বিএমডিসি ছাড়া ভুল চিকিৎসা দাবির অধিকার কারও নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ছাড়া ভুল চিকিৎসা নির্ণয় ও দাবি করার অধিকার কারও নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারো নেই এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির। এই ভুল চিকিৎসা অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয় এটা খুবই নেক্কারজনক। ভুল চিকিৎসার নামে চিকিৎসককে মারধর এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। বুধবার (০১ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিউরো সার্জন সোসাইটির ১২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক শফিউল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন। চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন পাস করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাশ করাবো। আমাদের দ্বায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। তেমনি চিকিৎসকদেরও দ্বায়িত্ব রোগীকে সুরক্ষা দেওয়া। তাই চিকিৎসকদের কোনো অবহেলাও আমি সহ্য করবো না। আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি, আপনারা সেবা দেন আমি আপনাদের জন্য সব কিছু করবো। এর আগে গতকালও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে ডা. সামন্ত লাল একই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে দেখি ভুল চিকিৎসার কথা। ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নাই৷ এটা আমি-আমরা বলতে পারি না। ভুল চিকিৎসার ব্যাপার যদি থেকেও থাকে, সেটা বলার অধিকার একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের আছে। আমরা বললে চিকিৎসার অবহেলার কথা বলতে পারি।
০১ মে, ২০২৪

ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নেই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এ মন্তব্য করেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি প্রায়ই পত্র-পত্রিকা ও টিভিতে দেখি ভুল চিকিৎসার কথা। ভুল চিকিৎসা বলে কিছু নেই। এটা আমি বা আমরা বলতে পারি না। ভুল চিকিৎসার ব্যাপার যদি থেকেও থাকে সেটা বলার অধিকার একমাত্র বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের আছে। আমরা বললে চিকিৎসার অবহেলার কথা বলতে পারি। এ সময় মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের সুরক্ষা আমি দেখব, কিন্তু রোগীদের সুরক্ষা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে। আমি আপনাদের সঙ্গে থাকবো। নাহলে আমি ব্যবস্থা নেব। ভুটানের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি একবার ভুটানে গিয়েছিলাম। সেখানে ভুটানের মানুষ আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার বেশ প্রশংসা করেছে। শুধু ভুটানের না, নেপালেও দেখে আসছি আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় তারা খুশি। আমি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কথা বলেছি। তারা আমাদের দেশে চিকিৎসা নিতে আসছে। তিনি বলেন, বাহিরের দেশ যখন আমাদের চিকিৎসার ওপর আস্থা রাখেন তখন আমাদের গর্ব হয়। তাই আপনারা আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানকে এমনভাবে এগিয়ে নিয়ে যান যেন বিশ্বে আমাদের নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি আরও বলেন, আমি নাটক দেখতে ভালোবাসি। একদিন আমি আর আমার স্ত্রী নাটক দেখছিলাম। হটাৎ আমার কাছে একটি ফোন আসলো। এরপর কোথায় গেল আমার স্ত্রী, কোথায় গেল আমার নাটক। তার হিসেব নাই। আমি সারা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি। ঘুরে ঘুরে হাসপাতাল পরিদর্শন করছি।  এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত কতজন হিটস্ট্রোকে মারা গেছে তার সঠিক হিসাব এখনো আমার কাছে আসেনি। তবে আমরা হিটস্ট্রোকের প্রস্তুতি নিতে হাসপাতালগুলোতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু বেড খালি রাখার পরামর্শ দিয়েছি। 
৩০ এপ্রিল, ২০২৪
X