আমেরিকার ‘লজ্জা’ দেখতে হাজারো মানুষের ভিড়
ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমাদের দেওয়া অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম জব্দ করেছে রুশ বাহিনী। বিজয়ের স্মারক হিসেবে এসব যুদ্ধযান ও সমরাস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে মস্কোতে। আর নিজ দেশের এমন গৌরব দেখতেই ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার রুশ নাগরিক। এমনকি সেখানে ছিল খোদ মার্কিন নাগরিকরাও। গতকাল বুধবার পোকলোনায়া গোরা ভিক্টোরি পার্কে জব্দকৃত পশ্চিমা সামরিক সরঞ্জামের এ প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়।  প্রদর্শনীতে রুশ নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, ইউক্রেনসহ পশ্চিমা দেশগুলোর তৈরি ট্যাংক, সাজোয়া যান, সামরিক যান ও হাউইটজার ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ ছাড়া প্রদর্শনীতে ছোট অস্ত্র, যুদ্ধাস্ত্রের বিভিন্ন কারিগরি নকশা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর তৈরি সামরিক ও নজরদারি ড্রোন দেখানো হয়।  রাশিয়ার হাতে জব্দ এসব পশ্চিমা যুদ্ধযান দেখতে শুধু রুশ নাগরিকরাই ভিড় করেননি বরং এসেছেন আমেরিকান দর্শনার্থীরাও। তেমনি একজন মার্কিন নাগরিক টনি। তিনি জানান, এটি কিছুটা মিশ্র আবেগের বিষয়। কারণ এই প্রথমবারের মতো তিনি এসম সামরিক সরঞ্জাম দেখছেন যা সাধারণত আমেরিকা দেখায় না। এসব কিছু সবসময় চলচ্চিত্রে বা ডকুমেন্টারিতে দেখা যায়। এখন এগুলো চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে তবে এটা দুঃখজনক যে এই যুদ্ধযানগুলো রাশিয়ার মানুষের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে লড়াই করছে যা হওয়া উচিত নয়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, তুরস্ক, সুইডেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া এবং ইউক্রেনের তৈরি সামরিক সরঞ্জামের ৩০টিরও বেশি নমুনা দেখার সুযোগ পাবে। প্রদর্শনীতে রয়েছে জার্মানির তৈরি লেপার্ড-২ ট্যাংক ও মার্ডার ইনফেন্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল, আমেরিকার তৈরি ব্র্যাডলি ইনফেন্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল, বিভিন্ন ছোট অস্ত্রের নমুনা, মানচিত্র এবং ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ব্যবহৃত সরঞ্জাম। এদিকে রাশিয়ার অব্যাহত হামলায় ইউক্রেনের সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেক্সান্দার সাইরস্কি। তিনি জানান, রুশ বাহিনী একের পর এক হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। এতে ইউক্রেনের যুদ্ধপরিস্থিতির বেশ অবনতি হয়েছে। এরই মধ্যে বাধ্য হয়ে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
০২ মে, ২০২৪

রূপপুরে বক্তব্য রাখবেন ভ্লাদিমির পুতিন
রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি। খবর রুশ গণমাধ্যম তাসের।  এর আগে রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য জ্বালানি ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান ঢাকায় পৌঁছেছে। পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে আজ দুপুর ২টার দিকে। এর আগে আরও একটি চালান ঢাকায় এসেছিল। এছাড়া ধারাবাহিক আরও পাঁচটি চালান ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।  তাস জানায়, ৫ অক্টোবর বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট জ্বালানি হস্তাস্তর অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হবেন।  ইউরেনিয়াম হস্তান্তর প্রক্রিয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। ঐতিহাসিক এই কমিশনিংয়ের মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়াম জ্বালানির যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে রূপপুরে এসেছে উচ্চপর্যায়ের রুশ প্রতিনিধি দল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল এর দ্বিতীয় চালান বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছেছে। এই ইউরেনিয়াম আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে রূপপুর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন প্রস্তুতকারক রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। প্রথম চালানোর মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সড়কপথে নেওয়া হবে রূপপুরে।  হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভাচুর্য়ালি যুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। ইতোমধ্যে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর প্রক্রিয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।  ইউরেনিয়াম প্রকল্প এলাকায় পৌঁছার মধ্য দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক স্থাপনায় উন্নীত হয়েছে। আজ জ্বালানি সনদ হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে সেটির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃত মিলবে।  প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানিয়েছেন, রূপপুর কেন্দ্রে ১২০০ মোগাওয়াটের দুটি ইউনিট রয়েছে। প্রথম ইউনিটের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় ইউনিটের অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী এপ্রিলের মধ্যে প্রথম ইউনিট জ্বালানি স্থাপনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ হলে ইউরেনিয়াম ফুয়েল স্থাপন করা হবে।  প্রকল্প পরিচালক আরও জানান, সেপ্টেম্বর মাসে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে। প্রথম ধাপে ২০-৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। প্রথম ধাপের সফলতার পর ধাপে ধাপে ৫০ ও ৭০ শতাংশ এবং শেষ ধাপে পুরোপুরি উৎপাদনে যাবে। এই ধাপগুলো পার হতে সাধারণত ১০ মাস সময় লাগে। ২০২৫ সালের শুরুতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।
০৫ অক্টোবর, ২০২৩

পুতিনের চীন সফরের সময় জানাল রাশিয়া
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে আগামী অক্টোবর মাসে বেইজিং সফর করবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আগামী মাসে পুতিন যদি চীন সফরে যান তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সেটিই হবে তার প্রথম কোনো বিদেশ সফর। খবর রয়টার্স। রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভ বলেছেন, পশ্চিমারা রাশিয়া ও চীন উভয়কে দমিয়ে রাখতে চায়। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করা উচিত। মস্কোয় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে পাত্রুশেভ বলেন, আগামী অক্টোবরে বেইজিংয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে পরিপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে আমরা আগ্রহী।’ প্রেসিডেন্ট শির আমন্ত্রণে পুতিন তৃতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে যোগ দেবেন। গত মার্চে মস্কো সফরের সময় পুতিনকে এই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শি। বর্তমানে নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করতে চার দিনের রাশিয়া সফর করছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এবারের সফরে ওয়াং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চীন সফরের ভিত্তি তৈরি করবেন। চলতি মাসের শুরুতে পুতিন বলেছিলেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে কখন তাদের বৈঠক হবে, তখন তা না জানাননি পুতিন।   ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর থেকে তিনি আর বিদেশ সফরে যাননি। সবশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বেলারুশ ও কিরগিজস্তান সফর করেছিলেন পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ঘনিষ্ঠ মিত্র চীনের সমর্থন চেয়ে আসছে রাশিয়া। তবে এ যুদ্ধে মস্কোকে সরাসরি সমর্থন না দিলেও পরোক্ষভাবে বেইজিং সহায়তা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।  
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নৌশক্তি বাড়াচ্ছে রাশিয়া, যুক্ত হচ্ছে আরও ৩০ যুদ্ধজাহাজ
প্রতিনিয়ত নিজেদের নৌশক্তি বাড়িয়ে চলেছে রাশিয়া। এরই অংশ হিসেবে রুশ নৌবাহিনীতে আরও ৩০টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত করার কথা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল রোববার (৩০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পুতিন বলেন, ‘আজকে রাশিয়া আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতীয় সমুদ্রনীতি নিয়ে বড় ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ধারাবাহিকভাবে আমাদের নৌবাহিনীর শক্তি বাড়ছে। শুধু এ বছরই আমাদের নৌবহরে বিভিন্ন শ্রেণির ৩০টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হচ্ছে।’ রুশ নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে রেবাবার সেন্ট পিটার্সবার্গে যুদ্ধজাহাজ ও পারমাণবিক সাবমেরিন সম্মিলিত একটি নৌ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন পুতিন। ৪৫টি যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন ও অন্যান্য নৌযানের অংশগ্রহণে ফিনল্যান্ড উপসাগর ও সেন্ট পিটার্সবার্গের নেভা নদীতে এই নৌ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া এতে রাশিয়ার নৌবাহিনীর প্রায় ৩ হাজার সদস্য অংশগ্রহণ করেন। আরও পড়ুন : এবার ভয়ংকর যুদ্ধবিমান নামাচ্ছে রাশিয়া পুতিন ছাড়াও রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিকোলাই ইয়েভমেনভ একটি লঞ্চ থেকে কয়েকটি জাহাজ পর্যবেক্ষণ করেন। এ ছাড়া এ অনুষ্ঠানে আফ্রিকার চার দেশের রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত ছিলেন এবং আরও পাঁচটি আফ্রিকান দেশ তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। এর আগে গত ১৯ জুলাই সশস্ত্র বাহিনীকে দেওয়া পঞ্চম প্রজন্মের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল রুশ সরকার। রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্টিন বলেছিলেন, গত মাসে বিমান নির্মাতারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এসইউ-৩৫এস যুদ্ধবিমানের আরেকটি চালান দিয়েছে। আরও যুদ্ধবিমান তৈরি করা হচ্ছে।  
৩১ জুলাই, ২০২৩
X