দুই মাথার ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে রাশিয়া
চলতি বছরের শুরু থেকে ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পাশে যখন পশ্চিমা মিত্ররা রয়েছে তখন রাশিয়া যেন একাই তাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে। এ যুদ্ধে টিকে থাকতে রাশিয়া নিজেদের সামরিক সক্ষমতা উন্নত করছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই মাথায় ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র এনেছে দেশটি। নিউজ উইকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেএইচ-১০১ নামের একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকায়ন করেছে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটিকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে দুই মাথার করা হয়েছে। ফলে এ ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আগের চেয়ে আরও অনেক বেড়েছে।  কেএইচ-১০১ নামের এ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি শত্রুঘাঁটি ও সেনার ওপর ভয়ংকর ও কার্যকরভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। নতুন করে দুটি ওয়ারহেড যুক্ত করায় আগের চেয়ে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে এটি। যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।  ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ার মহাকাশ সেনা ভিকেএসের লং রেঞ্জ এভিয়েশন কমান্ড (এলআরএ) এটির উন্নয়নে কাজ করেছে। তারা রাশিয়ার প্রধান দূরপাল্লার এ ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক উন্নত করেছে। আগে একমুখী হলেও এখন এটিতে দুটি মাথা যুক্ত করা হয়েছে।  যুক্তরাজ্য রাশিয়ার এ ক্ষেপণাস্ত্রকে এর আগে প্রধান নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে হামলাকারী যুদ্ধাস্ত্র বলে উল্লেখ করেছিল। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র চার হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে। এটিকেই কাজে লাগিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে আসছে রুশ সেনারা। এ ছাড়া উচ্চতা অনেক কম হওয়ায় যে কোনো শত্রু দেশের রাডারকে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ফাঁকি দিতে পারে বলে জানিয়েছে স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ সেন্টার।  এতসব ইতিবাচকতার মধ্যে নেতিবাচক দিকও রয়েছে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে, আধুনিকায়নের ফলে এ ক্ষেপণাস্ত্রে সক্ষমতা কমেছে। যদিও এ নিয়ে চিন্তিত নয় রুশ বাহিনী। কেননা ইউক্রেন প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় খুব সহজেই দেশটিকে নিশানা করতে পারবে রুশ বাহিনী।  নিউজউইক জানিয়েছে, ব্ষিয়টি নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইমেইলে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তারা কোনো জবাব দিয়েছে কি না তা প্রতিবেদনে জানানো হয়নি।   
০৯ মে, ২০২৪

ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে গেল রুশ যুদ্ধজাহাজ
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ পর্যন্ত বেঁধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভয়ংকর সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে ইরানের মিত্র রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার মার্শাল শাপোশনিকভ নামে রুশ নৌবাহিনীর একটি ফ্রিগেট মিসরের সুয়েজ খাল হয়ে ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে। এই ফ্রিগেটটি কিনঝাল সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত বলে জানায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।  রাশিয়া বলছে, একটি পরিকল্পিত নৌ মহড়ার অংশ হিসেবে কিনঝাল সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত রাশিয়ান নৌবাহিনীর ফ্রিগেট মার্শাল শাপোশনিকভ ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে। মহড়া পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফ্রিগেটটি তার ওপর অর্পিত কাজগুলো সম্পাদন করে যাবে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এর বাইরে আর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানি দূতাবাসে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসির তিন শীর্ষ কমান্ডারসহ অন্তত ৮ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এ হামলার জবাব দিতে রোববার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ও তিন শতাধিক ড্রোন নিক্ষেপ করে ইরান।  ইরানের পাল্টা হামলার পরই আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা এড়াতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ক্রেমলিন। এমন পরিস্থিতিতে পরাশক্তি রাশিয়াকেও ইরানের নিন্দা জানানোর আহ্বান জানায় তেলআবিব। তবে এমন আবদারের বিপরীতে ইসরায়েলকে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখায় রাশিয়া, জানায় মস্কো প্রশাসন ইরানের হামলার নিন্দা জানাতে বাধ্য নয়। এমনটা জানান রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।  মস্কোর এমন ইসরায়েলবিরোধী আচরণের ব্যাখ্যাও দেন রুশ মুখপাত্র। জানান, তেলআবিব কখনোই রুশ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইউক্রেনের হামলার নিন্দা জানায়নি। এ সময় রাশিয়ায় নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত সিমোনা হ্যালপেরিনের কড়া সমালোচনাও করেন তিনি। রুশ মুখপাত্রের এমন বক্তব্যের আগে রিয়া নভোস্তিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরাসয়েলি রাষ্ট্রদূত জানিয়েছিলেন ইসরায়েল আশা করে রুশ কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদরা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের হামলার নিন্দা জানাবে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করার ইরানি চক্রান্তকে মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।  উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই পাল্টা হামলা করে তেহরান।  ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম করপোরেশন জানিয়েছে, শনিবারের হামলায় ইরান ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৬০টি সুইসাইড ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমার বাইরেই ভূপাতিত করা হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ক্রুজ মিসাইলসহ বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। তাদের হামলায় ২০০টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ ইসরায়েলি সীমার বাইরে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরানের এই সমন্বিত আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনার সামান্য ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ পর্যন্ত বেধে যেতে পারে বলে সতর্ক করছেন তারা। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলে ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা (ভিডিও)
লেবাননের সশস্ত্র গ্রুপ হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করার দাবি করেছে।  বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি ইসরায়েলি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে। ইসরায়েলি সেনাদের জন্য নির্মিত স্থাপনা এবং নজরদারি ও নিরীক্ষণ কেন্দ্রেও হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।  এসব হামলায় ক্ষতি হয়েছে হিজবুল্লাহরও। সংগঠনটি একজনের নিহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। শিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানায়, দক্ষিণ লেবাননে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দুই লেবানিজ কৃষক আহতের খবর পাওয়া গেছে। তারা এইতারৌন নামের গ্রামে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে আহত হয়েছেন।  এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে তারা সেনাবাহিনীর আর্টিলারি শাখার মাধ্যমে দক্ষিণ লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে। তারা ১৪টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে। ইসরায়েলি বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায় লেবানন থেকে হামলার জবাবে আইডিএফ পালটা আক্রমণ চালায়। তবে এসব হামলায় কোনো আইডিএফ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে খবর মেলেনি।  হিজবুল্লাহর প্রকাশিত ভিডিওতে দাবি করেছে যে তারা অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল দিয়ে লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা করেছে।   Footage has been released by Hezbollah which is claimed to show them launching an Anti-Tank Guided Missile against an Israeli Security Checkpoint near the Border with Lebanon resulting in IDF Casualties. pic.twitter.com/6vOj5nlqXd — OSINTdefender (@sentdefender) October 18, 2023 টানা দুই সপ্তাহ পেরিয়েছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮০০ ছাড়িয়েছে। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনে ৪ হাজার ৩৮৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৭৫৬ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলায় ৯৬৭ জন নারী এবং ১১ জন সাংবাদিক রয়েছেন।  ইসরায়েলি বাহিনীর এ হামলায় ফিলিস্তিনের আহত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫০০ জন। তাদের মধ্যে ২০০০ শিশু ও ১৪০০ নারী রয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের এ হামলায় ১৪০০ ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে ৭২০ জন শিশু রয়েছে।  অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলের পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে ৮৪ জন নাগরিক। তাদের মধ্যে ৩০ জন নারী ও শিশু রয়েছে।  এ ছাড়া এ সময়ে ফিলিস্তিনের হামলায় ইসরায়েলের ১৪০৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০৭ সেনা ও ৫৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।
২২ অক্টোবর, ২০২৩
X