চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির কর্মসূচিতে আহত পুলিশ সদস্য
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালনের সময় আহত হয়েছিলেন ডিএমপির নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাক। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দেশে ফিরেছেন তিনি। এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে ৯ নভেম্বর রাজ্জাককে দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত অবস্থায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চলবে তার চিকিৎসা। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিরক্ষা বিভাগে কর্মরত। গত বছরের ২৮ অক্টোবর পল্টন এলাকায় হামলায় রাস্তায় পড়ে যান ৫৫ বছর বয়সী নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মাথায় অস্ত্রোপচার শেষে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শে আব্দুর রাজ্জাককে ভারতের দিল্লিতে অ্যাপোলো হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার চিকিৎসার ব্যয় আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার বহন করেন।  
১২ জানুয়ারি, ২০২৪

মহাসমাবেশ ইস্যুতে হেফাজতে ইসলামের বিবৃতি
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকা ২৯ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ স্থগিত করার সিদ্ধান্তের পর কিছু গণমাধ্যমে  বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ হওয়াতে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি।   বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকা ২৯ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে গতকাল কিছু গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রচারিত হয়েছে যে, এ সিদ্ধান্ত আমার অবগতি বা অনুমোদন ব্যতীত গৃহীত হয়েছে।  এই ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এমন অমূলক এবং বাস্তবতা বিবর্জিত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া খুবই দুঃখজনক। অনুমানের ভিত্তিতে এমন অসত্য তথ্য প্রকাশ করা চরম বিভ্রান্তিকরও বটে।  তিনি আরও বলেন, নির্বাচন-পূর্ব দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৯ তারিখের মহাসমাবেশ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমার নির্বাহী অনুমোদনের মাধ্যমেই নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের যেই বৈঠকে মহাসমাবেশ স্থগিত করার প্রস্তাবনা তুলা হয় সেই বৈঠকের ব্যাপারে আমি পূর্ণ অবগত ছিলাম। পরবর্তীতে মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান কর্তৃক আমার অনুমোদনের ভিত্তিতেই মহাসমাবেশ স্থগিত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সকল সিদ্ধান্ত সংগঠনের নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দায়িত্বশীলদের পরামর্শক্রমেই গৃহীত হয়ে থাকে। এ নিয়ে অমূলক বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো অবকাশ নেই।  হেফাজতের আমির বলেন, অনতিবিলম্বে বিনাশর্তে মাওলানা মামুনুল হকসহ সকল কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি দিতে হবে। ২০১৩ সাল থেকে হেফাজতের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। খুব শীঘ্রই হেফাজতের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে পরামর্শের ভিত্তিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।  
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

হেফাজতের মহাসমাবেশ স্থগিত
দেশের চলমান সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আগামী ২৯ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকা মহাসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেটে মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি, ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হেফাজতের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম থেকে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক সকল বিষয় বাতিলের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেই সমাবেশ থেকে আগামী ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণী ফোরামের মুরব্বিরা দেশের চলমান সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এ সময় আপাতত উক্ত মহাসমাবেশ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী আরও বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণী ফোরাম দ্রুত সময়ের মধ্যে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

২৯ ডিসেম্বর হেফাজতের মহাসমাবেশ
রাজনৈতিক উত্তেজনাময় পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকায় আবারও মহাসমাবেশ করার ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার বাদ আসর রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সংগঠনটির মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান আগামী ২৯ ডিসেম্বর এ মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন। সাজিদুর রহমান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি হেফাজতের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আগামী ২৯ ডিসেম্বরের আগে মাওলানা মামুনুল হকসহ বাকি কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আগামী ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে। প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর ঢাকায় এক মহাসমাবেশ থেকে কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। এর আগে তার সভাপতিত্বে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাওলানা মামুনুল হকসহ অনেক আলেমকে বিনা অপরাধে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সর্বজনশ্রদ্ধেয় আলেমদের ন্যূনতম সম্মান দেখানো হচ্ছে না। তারা যতটুকু আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখেন, সেক্ষেত্রেও অন্যায় ও বৈষম্য করা হচ্ছে। দেশের শান্তিপ্রিয় আলেম সমাজের সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার নির্মমভাবে হরণ করা হচ্ছে। যেসব আলেম এরই মধ্যে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, মাসের বেশিরভাগ দিন হাজিরার জন্য তাদের এক আদালত থেকে আরেক আদালতে হাজিরার জন্য ঘুরপাক খেতে হচ্ছে। আলেমদের সঙ্গে হয়রানিমূলক এসব আচরণ অতিসত্বর বন্ধ করতে হবে। বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন মাহফুজুল হক, জুনায়েদ আল হাবীব, মুহিউদ্দীন রাব্বানী, ফজলুল করীম কাসেমী, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মীর ইদরিস, মুনির হুসাইন কাসেমী, বশীরুল্লাহ, আতাউল্লাহ আমীন, জাবের কাসেমী, ফয়সাল আহমাদ, আলী আকবর, আজহারুল ইসলাম, যুবায়ের আহমাদ, এনামুল হক মুসা, আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, রাসেদ বিন নূর, রফিকুল ইসলাম মাদানী, শরিফুল্লাহ, আফসার মাহমুদ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঐক্য পরিষদের শুক্রবারের মহাসমাবেশ স্থগিত
২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুত সাত দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডাকা মহাসমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। গতকাল বুধবার এক বার্তায় এ ঘোষণা দিয়েছে পরিষদ। এতে বলা হয়েছে, পরিষদের স্থায়ী কমিটির সভায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় আগামী ১৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পূর্বনির্ধারিত মহাসমাবেশ স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও। পরে সুবিধাজনক সময়ে মহাসমাবেশের তারিখ ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন পরিষদের নেতারা।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মহাসমাবেশ স্থগিত
২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুত সাত দফা দাবি আদায়ে আগামী ১৭ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে ডাকা মহাসমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। বুধবার (১৫ নভেম্বর) পরিষদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।  এতে বলা হয়, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের স্থায়ী কমিটির সভায় দেশের বর্তমানে বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের সারা দেশব্যাপী অবরোধ, হরতাল কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।  এ সময় আরও জানানো হয়, এ অবস্থায় সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পূর্বনির্ধারিত আগামী ১৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে মহাসমাবেশের তারিখ ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন পরিষদের নেতারা।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

মহাসমাবেশের দিন পুলিশ হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিল সিটিটিসি
বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজকে হত্যা মামলার প্রধান নেতৃত্বদানকারী আমান উল্লাহ আমানকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গতকাল সোমবার (৬ নভেম্বর) রাতে আমানকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। পরে আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। সিটিটিসি জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় আমান উল্লাহ আমান পুলিশ সদস্য আমিরুল হক পারভেজকে হত্যা করে। আমান কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব। 
০৭ নভেম্বর, ২০২৩

পুলিশ সদস্যকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের নাম পাওয়া গেছে : ডিবিপ্রধান
রাজধানীতে বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা, গাড়িতে আগুন ও পুলিশ সদস্যকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের নাম পাওয়া গেছে। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। হারুন অর রশীদ বলেন, ২৮ অক্টোবর কাদের নেতৃত্বে, কাদের ইন্ধনে, কারা কারা বিএনপির ছিল স্টেজে, কারা ইন্ধন জুগিয়েছিল বাকি সদস্য যারা তাদের খুঁজে আমরা গ্রেপ্তার করব। তিনি বলেন, এ ছাড়াও অবরোধের দিনগুলোতে যেসব গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, পুলিশ হাসপাতালের গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়েছে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তথাকথিত অবরোধের নামে যেভাবে জনগণের যানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা হয়েছে, অনেক বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। যারা আগুন লাগিয়েছে তাদের নাম আমরা পেয়েছি, আমরা শিগগির তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। ডিবিপ্রধান বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমরা অনেকদিন ধরে খুঁজছিলাম। সে একটা বাসায় পালিয়ে ছিল, সেখান থেকে আমরা গতকাল রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মামলায় আমীর খসরু ৪ নম্বর আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আজ আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাইব। তিনি বলেন, আপনারা জানেন প্রকাশ্য দিবালোকে আমার পুলিশ ভাইকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আমার আরও অনেক পুলিশ ভাই ঢাকা মেডিকেল কলেজে ও রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে একজন কোমায় চলে গেছেন। হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, এসব পুলিশ সদস্যদের পরিবার ও বাচ্চাদের কান্না এবং আহাজারি। এ মামলার যারা আসামি তাদের সবাইকে আইনের কাছে সোপর্দ হতে হবে। যারা পালিয়ে ছিলেন তারা কিন্তু রক্ষা পায়নি। যারা পালিয়ে আছেন, এখনো আমি মনে করি, তাদের ধরে আদালতের কাছে সোপর্দ করব, বলেন তিনি।
০৩ নভেম্বর, ২০২৩

ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ শুরু
জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে।  শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।  জানা যায়, সমাবেশে চলমান রাজনৈতিক সমসাময়িক বিষয় ও আগামী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। বক্তব্য রাখবেন জাতীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে গত ২২ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে ২০টি শর্ত বেঁধে দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপি পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  মহসমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই জড়ো হতে শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সময় যত গড়াচ্ছে ভিড় তত বাড়ছে। স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠছে সমাবেশস্থল।
০৩ নভেম্বর, ২০২৩

মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে যেসব কৌশল নিয়েছে চরমোনাই
সর্বকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এই মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে দলটির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম। মহাসমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র মুফতি বলেন, মহাসমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য আমরা ইতোমধ্যে জেলায়, থানায় সফর করেছি, পোস্টার, লিফলেট, দাওয়াতি ব্যবস্থা, স্পর্শকাতর এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া, মাইকিং, অনলাইন ভিত্তিক প্রচার, ব্যক্তির কাছে আমরা দাওয়াতি কার্যক্রম করেছি। অর্থাৎ সমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য আগে যা যা করা দরকার আমরা সবই গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (৩ নভেম্বর) যে মহাসমাবেশ হবে সেখান থেকে ইসলামী আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কী ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে জানতে চাইলে ফয়জুল করিম বলেন, পরিস্থিতির আলোকে সেটা আমরা আগামীকাল মহাসমাবেশে জানিয়ে দেব। সমাবেশ কত লোক হতে পারে জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের এ নেতা বলেন, সংখ্যা তো আর বলা যাবে না তবে আশা করি সর্বকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ হবে। এই মহাসমাবেশ কোনো দলের নয়, এটি সব জনগণের। পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছেন তাদের কাজ হলো জনগণের নিরাপত্তা প্রদান করা। তাই আমি রাষ্ট্রপক্ষের সবাইকে বলব জনগণের বন্ধু কোনো দলের নয়, জনগণকে ভালোবাসেন কোনো দলকে নয়। মহাসমাবেশ ঘিরে কোনো শঙ্কা দেখছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়জুল করিম বলেন, কিছু কিছু জায়গায় আমাদের নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হুমকিও দিচ্ছে। যতক্ষণ মহাসমাবেশ না হচ্ছে ততক্ষণ আমরা শঙ্কামুক্ত নই। কারণ, সরকার কখন কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটা তো জানা যায় না। মহাসমাবেশ কখন শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের মহাসমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ১০টার দিকে শুরু হবে, তবে মনে হয় ফজরের নামাজের পরেই সবাই চলে আসবে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে রেজাউল করিম বলেন, আমরা তো বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল চাই, তার সঙ্গে কিসের সংলাপ। এই নির্বাচন কমিশন তো মানুষের মৃত্যু কামনা করে। যারা মানুষের মৃত্যু কামনা করে তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ। আমরা বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করার জন্যই এই মহাসমাবেশের আয়োজন করেছি। বেশ কয়েকদিন ধরেই বিরোধীদলগুলো আবরোধ হরতাল পালন করছে সেখানে আপনাদের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ, নির্দলীয় ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আমরা যোগদান করিনি। আমাদের দাবির ওপরে সবার ঐকমত্য আছে কিন্তু কর্মসূচিতে আমরা সবাই ঐকমত্য পোষণ করি নাই। তাই অন্যদলের সঙ্গে আঁতাত করার প্রশ্ন উঠতে পারেন। ভবিষ্যৎ একসঙ্গে কর্মসূচি হবে কি হবে না সেটা এখন বলা যাবে না, সময় বলে দেবে। নির্বাচন কমিশন আপনাদের সংলাপের জন্য ডাকলে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী আন্দোলন এই কমিশনের সঙ্গে কোনো সংলাপে যাবে না। বিএনপি তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে আর আপনারা বলছেন জাতীয় সরকারের কথা, এই জাতীয় সরকারের রূপরেখা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সরকার হবে। তারাই নির্ধারণ করবে সরকারপ্রধান কে হবেন।
০২ নভেম্বর, ২০২৩
X