গুগলের পর এবার মাইক্রোসফট উইন্ডোজের দায়িত্ব এক ভারতীয়র হাতে
গুগলের পর এবার মাইক্রোসফট উইন্ডোজের দায়িত্ব এক ভারতীয়র হাতে। মাইক্রোসফট উইন্ডোজের দায়িত্ব নিলেন মাদ্রাজ আইআইটির প্রাক্তন ছাত্র পবন দাভুলুরি। এর আগে গুগলের দায়িত্ব নিতে দেখা গিয়েছিল আরেক ভারতীয় সুন্দর পিচাইকে। গুগলের সিইও হিসেবে এখন দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।  মাইক্রোসফট উইন্ডোজের দায়িত্বে আসা পবন দাভুলুরি এর আগে মাইক্রোসফট উইন্ডোর সারফেস ডিপার্টমেন্টটি দেখতেন। গত বছর মাইক্রোসফট উইন্ডো প্রধানের পদ ছেড়ে আমাজনে যোগ দিয়েছিলেন সিইও পানস পানয়। তার জায়গায় দায়িত্ব গ্রহণ করলেন এ ভারতীয়। পবন দাভুলুরি এখন থেকে মাইক্রোসফট সারফেস ও উইন্ডোজ দুটি ডিপার্টমেন্টেই দায়ত্ব পালন করবেন।  উল্লেখ্য, গত ২৩ বছর ধরে মাইক্রোসফট উইন্ডোতে কাজ করছেন পবন দাভুলুরি। মূলত মাইক্রোসফট উইন্ডোজে প্রসেসর তৈরির কাজে পবনের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে পবনের অভিজ্ঞতা বিশেষ কাজে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।  মাইক্রোসফটের 'এক্সপিরিয়েন্সেস অ্যান্ড ডিভাইসেস' বিভাগের প্রধান রাজেশ ঝা জানিয়েছেন, মাইক্রোসফট উইন্ডোর প্রধান হিসাবে পবন দাভুলুরিকে নিয়ে আসা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এরফলে উইন্ডোজের গ্রাহক সংখ্যা আরও বাড়বে।  আইআইটি মাদ্রাস থেকে স্নাতক হিসেবে পাস করার পর মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন পবন। 
২৮ মার্চ, ২০২৪

সাইবার হামলাকারীদের ভরসা মাইক্রোসফট
২০২৩ সালে সাইবার হামলায় অপরাধীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল মাইক্রোসফট অফিস। ভার্চুয়াল জগতে এ প্রতিষ্ঠানের অ্যাপ্লিকেশনগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছে সাইবার অপরাধের জন্য। এরপরেই ছিল বিভিন্ন ওয়েব ব্রাউজার, জাভা স্ক্রিপটের অ্যাপ, অ্যান্ড্রয়েড, অ্যাডবি ফ্ল্যাশ এবং পিডিএফ অ্যাপ্লিকেশন। অ্যান্টিভাইরাস প্রতিষ্ঠান ক্যাস্পারস্কির ‘সিকিউরিটি বুলেটিন-২০২৩’এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে ক্যাসপারস্কি বলছে, সাইবার অপরাধে মাইক্রোসফট অফিসের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার ছিল ৬৯ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ওয়েব ব্রাউজার (১০.৩৫ শতাংশ)। তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে জাভা স্ক্রিপ্টের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন (৫.৮৫) এবং স্মার্টফোনের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন (৫.৬৪)। পঞ্চম ও ষষ্ঠ অ্যাডবি ফ্ল্যাশভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন এবং পিডিএফ ফাইল। ওয়েবভিত্তিক বিভিন্ন সাইবার হামলার ভৌগোলিক উৎস-সংক্রান্ত একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে ক্যাসপারস্কি। তাদের দাবি, এ সময়ে ৪৩ কোটি ৭৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১টি ম্যালওয়্যারকে রুখে দিয়েছে ক্যাসপারস্কি। তবে হামলার ৮৪ শতাংশের বেশি হয়েছিল মাত্র ১০টি দেশ থেকে। সর্বাধিক ৩৩.৭৭ শতাংশ হামলার উৎস যুক্তরাষ্ট্র। একক দেশ হিসেবে পরের অবস্থানগুলোতে রয়েছে রাশিয়া (৭.৯৪), ফ্রান্স (৭.২৬), নেদারল্যান্ডস (৭.১৫), ব্রাজিল (৪.৯৩), সুইজারল্যান্ড (৪.৬৭), গ্রেট ব্রিটেন (৪.৪৩), জার্মানি (৪.৪৩), সিঙ্গাপুর (২.৯৯) এবং ইন্দোনেশিয়া (২.৯৪)।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘বিশ্বস্ত’ কোয়ান্টাম কম্পিউটার বানাল মাইক্রোসফট
সাধারণ কম্পিউটার বোঝে শুধু হাইভোল্টেজ ও লোভোল্টেজ কিংবা চুম্বকত্বের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি। কোয়ান্টাম কম্পিউটারে এর বাইরেও একটা দশা আছে। এটি কাজ করে সরাসরি ইলেকট্রন বা ফোটন নিয়ে। তাতে যুক্ত হয় কণার আরেক অবস্থা—যৌথ দশা। আর এটাই হলো কিউবিট তথা কোয়ান্টাম কম্পিউটারের প্রাণ। এখানে ক্ষুদ্রতম কণা এমন এক অবস্থা যা আমাদের সাধারণ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়। তবে এ দশাটিকেই বাগে আনতে পারলে তৈরি হয়ে যাবে পূর্ণাঙ্গ কোয়ান্টাম কম্পিউটার। এ কাজে সমস্যা রয়ে গেছে অনেক। কোয়ান্টাম দশাটিকে গণনা করার মতো দরকার বিশেষ হার্ডওয়্যার এবং গণনা হওয়া চাই নির্ভুল। আমাজন, আইবিএম, গুগল, ফেসবুকের মতো রাঘববোয়ালরাও এ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে দিনরাত। তবে এই প্রথম ‘বিশ্বস্ত’ হার্ডওয়্যারের নকশা করার ঘোষণা এলো মাইক্রোসফটের কাছ থেকেই। প্রতিষ্ঠানটি জানাল, কোয়ান্টাম কম্পিউটারে নির্ভুল দশা গণনার মতো একটি যন্ত্রের নকশা তারা তৈরি করেছে। এতে শুধু কোয়ান্টাম কম্পিউটারই নয়, আগামী কয়েক দশকের মধ্যে কোয়ান্টাম সুপার কম্পিউটারও তৈরি করা সম্ভব হবে। মাইক্রোসফট একই সঙ্গে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের পারফরমেন্স পরিমাপেরও একটি পদ্ধতি বের করেছে—রিলায়েবল কোয়ান্টাম অপারেশনস পার সেকেন্ড (আরকিউওপিএস)। এতে ১ সেকেন্ডে একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং সিস্টেম কতটা নির্ভুল গণনা করতে পারে সেটা যাচাই করা হয়। মাইক্রোসফট জানাল, একটি কোয়ান্টাম সুপার কম্পিউটারকে পাস করতে হলে সেকেন্ডে ১০ লাখ আরকিউওপিএস লাগবে। তবে প্রযুক্তি আরও উন্নত হলে এটি ১০০ কোটিও ছাড়িয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, সাধারণ প্রসেসরগুলো দুটি দশার (০, ১) বিভিন্ন বিন্যাস তৈরি করে গণনা ও সংরক্ষণের কাজ করে। কোয়ান্টাম কম্পিউটারে দুটির পরিবর্তে তিনটি দশার বিন্যাস ঘটানো যায়। এতে করে একই সঙ্গে এ ধরনের কম্পিউটারে একাধিক প্রসেসিং ঘটানো সম্ভব এবং একটি সমস্যার ভিন্ন ভিন্ন সমাধান একসঙ্গে পাওয়া যাবে।
২৫ জুন, ২০২৩
X