এবার পুনমের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
নিজের মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়ানো। জরায়ুমুখের ক্যানসারের মতো বিষয়কে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন পুনম পান্ডে—এমনটাই অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। যদিও বেশকিছু মানুষ অভিনেত্রীর এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে তার বিরোধিতা করা মানুষের সংখ্যাটাই বেশি। অনেকেরই অভিযোগ সস্তা প্রচার পেতে মৃত্যু নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন। এবার পুনম ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে কানপুরের পুলিশ কমিশনারের কাছে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে। -খবর আনন্দবাজার এফআইআর দায়ের করা হয়েছে পুনমের নামে। ফয়জান আনসারি অভিযোগপত্রে লেখেন, পুনম ও তার স্বামী ষড়যন্ত্র করে মৃত্যুর মিথ্যা খবর ছড়ান। শুধু তাই নয়, ক্যানসারের মতো একটা রোগকে নিয়ে মশকরা করেছেন। কোটি কোটি ভারতীয় ও বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সংবেদনশীলতার সুযোগ নিয়ে গোটাটাই তিনি নিজের প্রচারের উদ্দেশে করেছেন। শুধু এফআইআর দায়ের করেই ক্ষান্ত হননি অভিযোগকারী। অভিযোগকারী পুনম ও তার স্বামী স্যাম বোম্বেকেও গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন। অভিযোগে কাজ না হলে আদালত পর্যন্ত যাবেন বলেই জানান অভিযোগকারী। গত ৪ ফেব্রুয়ারি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মৃত্যুর খবর জানান পুনম। একদিন পার করে প্রকাশ্যে এসে পুনম জানিয়েছেন, তিনি বেঁচে আছেন। আসলে এই গোটাটাই একটা প্রচার কৌশল, থুড়ি জরায়ুমুখের ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কৌশল। কিন্তু তার কার্যকলাপ একেবারেই ভালো চোখে নেননি সাধারণ মানুষ থেকে বলিউড তারকারা। পুনমের এই কাণ্ডকে কেউ নাম দিয়েছেন ‘গিমিক’, কেউ বলেছেন ‘স্টান্ট’। বলিউডের তারকারাও এ অভিনেত্রীকে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন। ক্যানসার নিয়ে পুনম ‘ঠাট্টা-তামাশা’ করেছেন, এই অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে এফআইআরের দাবি তোলে ‘দি অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’। কেউ কেউ তো তাকে ‘বয়কট’ করার ডাক তুলেছেন। যদিও নিজের কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। তবু তাকে নিয়ে বিতর্ক-নিন্দা থামছে না।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ধর্ষণ ও মানহানি মামলায় ট্রাম্পকে জরিমানা
ধর্ষণ ও মানহানির মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৮৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির একটি ফেডারেল আদালত। ভুক্তভোগী মার্কিন লেখিকা ই জেন ক্যারলকে ক্ষতিপূরণের এই অর্থ দিতে হবে। স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন। বিবিসি জানিয়েছে, পাঁচ দিন ধরে এ মামলার শুনানি চলেছে। শুনানি শেষে রায়ে পৌঁছতে তিন ঘণ্টা সময় নেন আদালত। মামলায় ক্যারল ন্যূনতম ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত তার ৮ গুণেরও বেশি অর্থ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্পকে। তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। আদালত জানিয়েছেন, শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৬৫ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে ট্রাম্পকে। আর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ায় ক্যারল ১১ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পাবেন। মানসিক ক্ষতিসাধনের জন্য ক্যারলকে বাকি ৭ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে। রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় ৮০ বছর বয়সী ক্যারল এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি প্রত্যেক নারীর জন্য একটি মহান বিজয়, যা তাদের আঘাতের পরও উঠে দাঁড়ানোর সাহস জোগাবে। এ রায় প্রত্যেক ধর্ষক এবং যারা নারীদের নিচু চোখে দেখার চেষ্টা করে তাদের জন্য এক বিশাল পরাজয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এলি ম্যাগাজিনের সাবেক কলামিস্ট ক্যারল ২০১৯ সালের নভেম্বরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৯৬ সালে ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিংরুমে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। ওই সময় ক্যারল তার এক বন্ধুর জন্য উপহার কিনতে সেখানে গিয়েছিলেন। পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে ট্রাম্প তাকে উপহার পছন্দ করে দিতে সহায়তা করছিলেন। পাশাপাশি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেন ক্যারল। তবে ক্যারলের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ট্রাম্প। ২০১৯ সালে এই মামলা হলেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালানো যায়নি। কারণ সে সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়মুক্তির সুবিধা পাচ্ছিলেন।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নামে মেয়রের মানহানি মামলা
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লীটনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোনাতলা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নুর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাসহ মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। লীটন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই। পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নু সোনাতলা উপজেলা সদরের নতুন বন্দর এলাকার বাসিন্দা। গত ১১ জানুয়ারি বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সোনাতলা আমলি) আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লীটনকে আসামি করা হয়েছে। ওই আদালতের বিচারক জিনিয়া জাহান বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং তা তদন্তের আদেশ দেন।  বাদী জাহাঙ্গীর আলম মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি সোনাতলা কেন্দ্রীয় বণিক সমিতির সভাপতি, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, সোনাতলা পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক শিক্ষক, জাহাঙ্গীর আলম গুড মর্নিং স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, দাতা ও সদস্য এবং সোনাতলা পৌরসভার মেয়র হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। আসামি তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাক্ষী এটিএম রেজাউল করিম মানিক ও তৌহিদুল ইসলাম বাদীকে ফোন দিয়ে জানান যে, সোনাতলা রেলগেট চত্বরে আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় ফেসবুক লাইভে আসামি বাদীর বিরুদ্ধে নানা প্রকার কুৎসা রটনা করে মানহানিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। তখন বাদি তার মোবাইল ফোনের ফেসবুকে এসে সাংবাদিক রিমন রহমানের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে ঘটনার সত্যতা দেখতে পান। বাদী ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ও ক্ষতির সম্মুখীন হন। ওই বক্তব্যে বাদির মানহানি হয়েছে মর্মে অভিযোগে বলা হয়।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

মন্ত্রী হয়েই প্রতিদ্বন্দ্বীর নামে করলেন শতকোটি টাকার মানহানি মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে আদালতে তার বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য এবং গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।  বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম জেলা জজ নজরুল ইসলামের আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগামী রোববার (১৪ জানুয়ারি) আদালত এই মামলায় শুনানি করবেন৷ বাদীর আইনজীবী আব্দুল জব্বার মামুন জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সুহিলপুরে ফিরোজুর রহমান নির্বাচনী এক সভায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তার ওই আপত্তিকর বক্তব্যে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি হয়েছে। তাই ফিরোজুর রহমানকে তার আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে তাকে পর পর তিনটি নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সেই নোটিশ আমলে নেননি। তাই র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি করায় আদালতে শত কোটি টাকার ক্ষতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী রোববার আদালত এই মামলায় শুনানি করবেন৷ এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি এই আসন থেকে চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে কেউই পূর্ণ মন্ত্রী হননি। এই আসন থেকে প্রথমবারের মতো পূর্ণ মন্ত্রী হন মোকতাদির। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে এবারের নির্বাচনে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ৬৪ হাজার ৩৭ ভোট পান।
১২ জানুয়ারি, ২০২৪

ফখরুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নামে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে মেহেদী হাসান রনি নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করা হয়েছে। গতকাল ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন মামলাটি করেন। অভিযুক্ত রনি রংপুরের পীরগঞ্জের বাজিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৭ আগস্ট রনি তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে এ ছবি প্রচার করেছেন। এতে বলা হয়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে সিঙ্গাপুর গেছেন। সোনালী ব্যাংকের চেকটিতে তারিখ দেওয়া হয়েছে ২০ আগস্টের। টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৫০ লাখ। দাবি করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চেক এটি। বাদী বলেন, যাচাই-বাছাই না করে একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে কটাক্ষ করে সম্মানহানি করতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া চেকের ছবি দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রমেশ কুমার মামলাটি গ্রহণ করেছেন।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

রিজভীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হিরো আলমের
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলম। এতে রিজভীর একটি মন্তব্যে ৫০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন তিনি। শুনানি শেষে অভিযোগ তদন্ত করে ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। এদিন দুপুর ১২টার পর আদালতে উপস্থিত হন হিরো আলম। তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মনসুর মামলার আবেদন করেন। এরপর আদালত হিরো আলমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। শুনানি শেষে তদন্ত করে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। মামলার পর বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হিরো আলমের উদ্দেশে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতে থাকেন। হিরো আলমকে ‘পচা আলম’ লেখা একটি প্ল্যাকার্ডে ধরা ছিল সফিকুল ইসলাম সবুজ নামে এক আইনজীবীর হাতে। মামলার পর হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, রিজভীকে মাফ করে দেওয়া হোক, যাতে আমাকে নিয়ে কেউ কোনো কথা না বলেন। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ, বিএনপির কোনো লোক আমাকে নিয়ে যেন বকাবকি করে কথাবার্তা না বলেন, তাই আমি আদালতে এসেছি। ভবিষ্যতে গালাগাল করলে আমি একটাকেও ছাড় দেব না। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট হিরো আলম নিজের মোবাইল ফোনে ইউটিউব দেখছিলেন। তখন দেখেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জনতার সামনে বক্তব্য দিচ্ছেন। তার বক্তব্যে বলেন, ‘হিরো আলমের মতো অর্ধপাগল, অর্ধশিক্ষিত একটা লোক। সে নির্বাচন করছে, মানে রুচি কতটা বিকৃত হলে পরে এ কাজ করতে পারে’, যা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং লিখিতভাবে লিফলেট আকারে প্রচার ও প্রকাশ করে। রিজভীর বক্তব্যের কারণে বাদী ও তার ভক্তদের মধ্যে হতাশাসহ ক্ষোভ বিরাজ করছে। তার মানহানিকর, সুনাম ক্ষুণ্ন হয় এমন কটূক্তি, মিথ্যা, অসত্য বক্তব্য, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার সম্পূর্ণ নিন্দনীয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে বাদীকে নিয়ে কটূক্তি ও আক্রমণাত্মক মানহানিকর বক্তব্যে প্রচারের মাধ্যমে অপমান, অপদস্থ করেছেন। তা ছাড়া আসামির এই অপমানকর, আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে বাদী বিএনপির নেতাকর্মী তথা রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের হামলা/হয়রানির আশঙ্কা করেন। আসামির উক্তির কারণে বাদীর মানহানি হয়েছে, যা টাকার হিসাবে মানহানির ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
০৮ আগস্ট, ২০২৩

তথ্যমন্ত্রীর মানহানি ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য সংবলিত একটি ভিডিও প্রচারের অভিযোগে কানাডা প্রবাসীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক। যারা ওই ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করেছেন এবং ভবিষ্যতেও শেয়ার করবেন, তাদেরও আসামি করা হবে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। গত রোববার চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানায় করা মামলার আসামিরা হলেন ইউটিউব চ্যানেল নাগরিক টিভির সাংবাদিক নাজমুস সাকিব (এজাহারে মোবাইল নম্বর ও ফেসবুক আইডির লিঙ্ক উল্লেখ আছে), এইচ এম এইচ এম কামাল, আজাদ শাহাদাত, সানি প্রধান, সাইফুল ইসলাম তালুকদার, খন্দকার ইসলাম, এমডি হারুন রশিদ। যারা ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করেছেন তাদের অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে আরিফুল উল্লেখ করেছেন, ‘আমার প্রিয় নেতা ড. হাছান মাহমুদ এমপিকে রাজনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়ভাবে, হেয়প্রতিপন্ন, মানহানি ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার কু-মানসে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন পূর্বক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ‘নাগরিক টিভি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করে। প্রকৃতপক্ষে ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক, মানহানিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রকৃত নাগরিক টিভি কর্তৃপক্ষ আসামি কর্তৃক পরিচালিত ভুয়া ও অবৈধ নামধারী নাগরিক টিভির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই মর্মে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি ইতোমধ্যে প্রচার করেছে।’ চকবাজার থানার ওসি মঞ্জুর কাদের মজুমদার বলেন, আমরা গুরুত্ব সহকারে মামলার বিষয়টি দেখছি। এই ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলটির অ্যাডমিন নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা এবং লন্ডনে বসে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টাকারী একটি মহলের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ আছে।
২০ জুন, ২০২৩
X