বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লীটনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোনাতলা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নুর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাসহ মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। লীটন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই। পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নু সোনাতলা উপজেলা সদরের নতুন বন্দর এলাকার বাসিন্দা।
গত ১১ জানুয়ারি বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সোনাতলা আমলি) আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লীটনকে আসামি করা হয়েছে। ওই আদালতের বিচারক জিনিয়া জাহান বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং তা তদন্তের আদেশ দেন।
বাদী জাহাঙ্গীর আলম মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি সোনাতলা কেন্দ্রীয় বণিক সমিতির সভাপতি, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, সোনাতলা পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক শিক্ষক, জাহাঙ্গীর আলম গুড মর্নিং স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, দাতা ও সদস্য এবং সোনাতলা পৌরসভার মেয়র হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। আসামি তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
গত ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাক্ষী এটিএম রেজাউল করিম মানিক ও তৌহিদুল ইসলাম বাদীকে ফোন দিয়ে জানান যে, সোনাতলা রেলগেট চত্বরে আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় ফেসবুক লাইভে আসামি বাদীর বিরুদ্ধে নানা প্রকার কুৎসা রটনা করে মানহানিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। তখন বাদি তার মোবাইল ফোনের ফেসবুকে এসে সাংবাদিক রিমন রহমানের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে ঘটনার সত্যতা দেখতে পান। বাদী ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ও ক্ষতির সম্মুখীন হন। ওই বক্তব্যে বাদির মানহানি হয়েছে মর্মে অভিযোগে বলা হয়।
মন্তব্য করুন