পার্লামেন্টে এমপিদের মধ্যে তুমুল মারামারি
পার্লামেন্টে বিভিন্ন সংস্কার বিল নিয়ে সংসদ সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা প্রায়েই দেখা দেয়। তবে সেসব উত্তেজনা কেবল যুক্তিতর্কে সীমাবদ্ধ থাকে। এবার সামনে এসেছে বিচিত্র ঘটনা। পার্লামেন্টে মারামারিতে জড়িয়েছেন এমপিরা। শনিবার (১৮ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের পার্লামেন্টে সংস্কার বিল নিয়ে এমপিদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। স্বশাসিত দ্বীপটির বিরোধীদলের এমপিরা পার্লামেন্ট সদস্যদের আরও ক্ষমতা দেওয়ার জন্য বিল উত্থাপন করেছিলেন। তবে এ বিল আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে ক্ষমতাসীন দল। এ নিয়ে দুই দলের মধ্যে মারামারি লেগে যায়।  পার্লামেন্টে এমপিদের মারামারির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, নতুন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে ভোট শুরুর আগে কয়েকজন এমপি পার্লামেন্ট কক্ষের বাইরে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় একে অন্যকে ধাক্কা দেন। এরপর তারা স্পিকারের আসনের চারপাশ ঘিরে ধরেন। এ সময় কেউ কেউ টেবিলের ওপর উঠে পড়েন। আবার কেউ কেউ সহকর্মীদের ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেন।  台灣立法委員為什麼會打架,原因是立法院想要擴張權力,侵害了執政的民進黨利益。 現在台灣政府是民進黨掌控、法院是獨立的,但是立法院是被國民黨和民眾黨掌控。 pic.twitter.com/cQjrWK3GEc — Cheng-Wei Lai (@ChengWeiLai2) May 18, 2024 প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টের স্পিকার হান কো-ইয়ু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল ডিপিপি বিলটি আটকে দেওয়ার নীতি অবলম্বন করে। তবে বিরোধীদলগুলোও তাদের অবস্থান ধরে রাখে।  তাইওয়ানে গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন লাই চিং। আগামী সোমবার তার দয়িত্ব গ্রহণের কথা রয়েছে। তবে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি লাই চিংয়ের দল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)। ফলে সরকার গঠনে অন্য ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোটের চেষ্টা করছে তারা।  তাইওয়ানের এমন পরিস্থিতির মধ্যে পার্লামেন্টে প্রভাব বাড়াতে কয়েকটি সংস্কার প্রস্তাব করেছে বিরোধীরা। সেই সংস্কার প্রস্তাব ঘিরেই এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।   
১৮ মে, ২০২৪

মারামারি করা মদ্যপ তরুণীরা ‘বার ড্যান্সার’
পহেলা বৈশাখের রাতে রাজধানীর গুলশানে মদ্যপ হয়ে প্রকাশ্যে রাস্তায় মারামারি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন কয়েক তরুণী। কয়েকদিনের আলোচনা-সমালোচনার পর তাদের পেশার পর্দা উঠল। বিভিন্ন বারে ড্যান্সার হিসেবে কাজ করেন তারা। প্রায়ই মদ্যপান করতে যেতেন ঘটনাস্থলের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারে। সেদিন রাতেও মদপানের সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বার থেকে বেরিয়ে তিন তরুণী মিলে আরেকজনকে মারধর করে প্রায় বিবস্ত্র করে ফেলেন। যদিও ভুক্তভোগীর অভিযোগ, অভিযুক্তদের সঙ্গে ওইদিনই প্রথম দেখা হয়। কিন্তু ঘটনার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা পূর্ব পরিচিত। নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোনো ঘটনা কেন্দ্র করে বারের সামনে মারামারিতে জড়ান তারা। এর আগে ওই তরুণীদের মদ্যপ অবস্থায় মারামারির ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। সেখানে দেখা যায়, কয়েক তরুণী মিলে আরেকজনকে বেদম মারধর করছেন। সে সময় ওই নারীর পোশাকও ছিঁড়ে যায়। তখন আশপাশের মানুষ এসে তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। এরপর ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার তিন নারী হলেন শারমিন আক্তার মিম, ফাহিমা ইসলাম তুরিন ও নুসরাত আফরিন। ভুক্তভোগী রিতা আক্তার সুস্মির দাবি, তিনি শুধু চিকেন খেতে গিয়েছিলেন। বারের চিকেনটা সুস্বাদু হওয়ায় শুধু চিকেনই খান, মদ পান করেন না। তবে ডিবি জানায়, ঘটনার রাতে তিনিও মদ্যপ ছিলেন। সুস্মি বলেন, আমি বিভিন্ন বারে এবং অভিজাত হোটেলে ড্যান্স করি। মাঝে মাঝে ক্যাফে সেলেব্রিটা বারে চিকেন খেতে যাই। ওইদিনও গিয়েছিলাম। খাওয়ার এক পর্যায়ে ওয়াশরুমে গিয়ে দেখি চার মেয়ে একসঙ্গে টয়লেটে প্রবেশ করেছেন। বিষয়টি রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে বলি। তারা মেয়েদের বের করে দেন। পরে রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার সময় তারা আমার ওপর হামলা করেন। তাদের চিনতামও না। এ ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। পরে জানতে পারি ডিবি তাদের গ্রেপ্তার করেছে। সেখানে গিয়ে জানতে পারি ওই মেয়েরাও বিভিন্ন বারে ডিজে পার্টিতে ড্যান্স করে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভুক্তভোগী তরুণীর কথার সঙ্গে গ্রেপ্তার তরুণীদের কথাবার্তার কিছু অমিল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা পূর্ব পরিচিত এবং প্রায়ই এ বারে যেতেন। নিজেদের মধ্যে কোনো সমস্যার কারণে তারা বারের ভেতরে ঝামেলায় জড়ান। এরপর বের হয়ে আবার রাস্তায় মারামারি করেন। ঘটনা নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে। বার কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মদ খাওয়ার জন্য কোনো পুরুষ বা নারীর যদি লাইসেন্স থাকে, তাহলে বৈধ লাইসেন্সের বার থেকে মদ পান করতে পারে। কিন্তু গত পহেলা বৈশাখের রাতে গুলশানে মতো একটি এলাকার একটি বারে কয়েকজন নারী মদ পান করেছেন। তাদের কারও কোনো লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্সহীন কারও কাছে বার কর্তৃপক্ষ মদ বিক্রি করতে পারে না। তাদের উচিত ছিল ওই নারীদের মদ লাইসেন্স পরীক্ষা করা। এমনকি তাদের কাছে অতিরিক্ত পরিমাণে মদ বিক্রি করেছে বার কর্তৃপক্ষ, যা পান করে তারা বেসামাল হয়ে পড়েন। বারের লোকজনের উচিত ছিল বেসামাল নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এ ভিডিও দেখে ভাববে শহরের রাস্তায় নারীরা মাতলামি করে, মারামারি করবে এটা কোনো অভিভাবকই মেনে নিতে পারবেন না। যে বারগুলো লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি করে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

পায়ের ওপর পা তোলা নিয়ে ছাত্রলীগের মারামারি
চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বেঞ্চে পায়ের ওপর পা তোলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। বিবদমান দুটি পক্ষই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।  বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে কলেজের বাংলা বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন মঈনুল ইসলাম (২০), ওয়াহিদুল রহমান সুজন (২৪), আমিন ফয়সাল বিদ্যুৎ (২১), তৌহিদুল করিম ইমন (২১) ও মো. জাহিদ (২০)। পুলিশ জানিয়েছে, মারামারিতে জড়িয়ে পড়া দুটি পক্ষই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের অনুসারী। দুপক্ষের মারামারির পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।  জানতে চাইলে মাহমুদুল করিম কালবেলাকে বলেন, বেঞ্চে পা তুলে বসা নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। তারা সবাই আমার অনুসারী। এটা তেমন বড় কিছু না। ছোট ঘটনা। নগর কমিটির জন্য আমি সিভি জমা দিয়েছি। তাই ছোট ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে প্রচার করার চেষ্টা করছে। সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে মারামারি খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মিটমাট করিয়ে দিয়েছি। চকবাজার থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব নিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
২৮ মার্চ, ২০২৪

তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বরখাস্ত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুদিনব্যাপী নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় এবার তিন অ্যাটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ, জাকির হোসেন মাসুদ ও শ্যামা আক্তার।  সোমবার (১১ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ থেকে তাদের বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহমেদ ও অ্যাডভোকেট শ্যামা আক্তারের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে অত্র মন্ত্রণালয়ের বিগত ১২/০৬/২০১৭ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর/২০০৯-৪৬ নং, ১৯/১০/২০১৭ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর /২০০৯-৮৬ নং ও ০৭/০৭/২০১৯ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর/২০০৯-৬৩ নং স্মারকে প্রদত্ত নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে তাদের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’ প্রসঙ্গ, সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ইতোমধ্যে রিমান্ডে আছেন ৬ আইনজীবী। যার মধ্য রয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তাকেও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
১১ মার্চ, ২০২৪

সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোট গণনার সময় মারামারি
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুদিনের ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও গণনার সময় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আইনজীবী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় ভোট গণনা বন্ধ রয়েছে। আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সূত্র বলছে, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সম্পাদক পদে লড়ছেন ব্যারিস্টার শাহ মঞ্জুরুল হক। অপরদিকে একই পদে লড়ছেন যুবলীগ সভাপতির শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী নাহিদ সুলতানা যুথী। ভোট গণনা শুরুর আগেই এই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের ভিতর এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ব্যালট বাক্স হারিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে ব্যালট বাক্স উদ্ধার করে। এখন দুপক্ষ শান্ত থাকলেও সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।   সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (২০২৪-২৫) নির্বাচনে দুদিনের ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) শেষ হয়।  এর আগে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ হয়। দুই দিনই সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে মাঝে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনে মোট ১৪টি পদে এক বছর মেয়াদের জন্য এ নির্বাচন হয়ে থাকে। ১৪টি পদের বিপরীতে এবার নির্বাচনে ৩৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সভাপতি পদে, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সম্পাদক পদে লড়ছেন।  অপরদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সভাপতি পদে লড়ছেন আবু সাঈদ সাগর, সম্পাদক পদে লড়ছেন ব্যারিস্টার শাহ মঞ্জুরুল হক। এর বাইরেও নাহিদা সুলতানা যুথী সম্পাদক পদে লড়ছেন।  এ ছাড়া প্রবীণ আইনজীবী সাবেক অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল এম কে রহমানও লড়ছেন সভাপতি পদে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সাত হাজার ৮৮৩ জন। 
০৮ মার্চ, ২০২৪

টাকা দিলেই মারামারি ও ডাকাতি করত তারা
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একাধিক কিশোর গ্যাংয়ের নেতাসহ ৩৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ধারাবাহিক এ অভিযানে বনানী, মহাখালী, উত্তরা ও টঙ্গী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব বলছে, স্থানীয় বিভিন্ন বড় ভাইয়ের হয়ে কাজ করে এসব গ্যাং সদস্য। টাকার বিনিময়ে মারামারি, ছিনতাই, দখলবাজিসহ ডাকাতির সঙ্গেও জড়িত এসব কিশোর। গ্রেপ্তার হওয়া এসব কিশোর বিভিন্ন গ্যাংয়ের সদস্য। তাদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ২৪টি মোবাইল ফোন, একটি কুড়াল, একটি পাওয়ার ব্যাংক, পাঁচটি রড, ১৬টি চাকু, তিনটি লোহার চেইন, একটি হাতুড়ি, একটি উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করা মোটরসাইকেল এবং ২৪ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়। রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব-১-এর প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোসতাক আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে কিশোর গ্যাং, গ্যাং কালচার, উঠতি বয়সীদের মধ্যে ক্ষমতা বিস্তার নিয়ে এক গ্রুপের সঙ্গে অন্য গ্রুপের মারামারি-বহুল আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গ্যাং সদস্যরা এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায়, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়, পথচারীদের উত্ত্যক্ত করে এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষকে মারধর করে। এসব ঘটনায় কাউকে খুন করতেও দ্বিধা করে না তারা। এ অবস্থায় মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, টঙ্গী ও গাজীপুর এলাকায় অভিযানে কিশোর গ্যাং গ্রুপ জিরো জিরো সেভেন গ্রুপের দলনেতা আল-আমিন, জাউরা গ্রুপের দলনেতা মাহাবুব, বাবা গ্রুপের দলনেতা সাদ, ভোল্টেজ গ্রুপের মনা, ডি কোম্পানির দলনেতা পাপ্পু ওরফে লন্ডন পাপ্পুসহ ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক মোশতাক আহমেদ বলেন, প্রতিটি গ্রুপের সদস্য ১০ থেকে ১৫ জন। তারা টাকার বিনিময়ে মারামারি, দখলবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে কিছু ব্যক্তি এসব গ্রুপের সদস্যদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। তারা মদদদাতাদের হয়ে মারামারি করে। তাদের হয়ে কাজ করার কারণে অপরাধ করে শেল্টার পায়। মদদদাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। র‌্যাব-১-এর সিও বলেন, গণমাধ্যম ও র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কিশোর গ্যাং সম্পর্কে আমরা অনুসন্ধান করছি। আগেও এভাবে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন কিশোর গ্যাং নিয়ে নির্দেশনা পাওয়ার পর গত ১৫-২০ দিন ধরে কাজ করেছি। এ সময়ে নতুন গ্রুপগুলোর দলনেতাসহ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কার্যক্রম, মামলাসহ তাদের বিষয় অনুসন্ধান চলছে। আমাদের অভিযান থেমে নেই। কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতাদের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়ে দেখা যায়। এসব মদদদাতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই অপরাধীদের কোনো দল থাকতে পারে না। তাদের কোনো পরিচয় বিষয় না। অপরাধ করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে মারামারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি-হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ইনানের এক অনুসারী জানান, দুপুরের পর ইনানের কাছে সৈকতের অনুসারীরা জগন্নাথ হলে ঘটে যাওয়া বৃহস্পতিবার রাতের মারামারির ঘটনার বিচার দিতে এসেছিলেন। এ সময় সৌরভ নামে একজন ইনানের সঙ্গে উচ্চ এবং বেয়াদবির স্বরে কথা বলেন। এতে তার অনুসারীরা ক্ষেপে যান এবং তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা মারামারিতে গড়ায়। মারধরের শিকার সৈকতের অনুসারী পলাশ রায় সৌরভ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার জগন্নাথ হলের প্রোগ্রামে জুনিয়রদের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়। সেই ঝামেলা সিনিয়রদের মধ্যেও ছড়িয়ে যায়। তখন ক্যান্ডিডেটদের মধ্যকার একজন ইনান ভাইয়ের গ্রুপে চলে আসে। এটা নিয়ে একটু অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এরপর যখন আমরা আমাদের নেতাকে বিদায় দিয়ে ফিরছিলাম, তখন ইনান ভাইয়ের সমর্থকরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের এক ক্যান্ডিডেটের মাথা ফেটে যায়। তার মাথায় ১৪টি সেলাই দিতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার বিচার দিতে আমরা ১৫ থেকে ২০ জন আজ (শুক্রবার) দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে ইনান ভাইয়ের কাছে গেলে তার সমর্থকরা আবার আমাদের ওপর হামলা করে। এতে দুজনের হাত কেটে যায়। ইনান ভাইয়ের উপস্থিতিতেই তারা হামলা করেছে।’ ঘটনা প্রসঙ্গে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আগের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে আমার কর্মীরা বিচার দিতে গেলে তার সমর্থকরা আবারও কয়েকজনকে মেরেছে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, মধুর ক্যান্টিনে একটা ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। ওখানে আমার যারা ক্যান্ডিডেট ছিল, তাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখে জানাতে বলেছি। দোষ যারই হোক না কেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারি-হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনাটি ঘটে।  ঘটনার বর্ণনা জানিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের এক অনুসারী কালবেলাকে বলেন, দুপুরের পর ইনান ভাইয়ের কাছে তানভীর হাসান সৈকত ভাইয়ের অনুসারীরা জগন্নাথ হলে ঘটে যাওয়া গতকাল রাতের মারামারির ঘটনার বিচার দিতে আসছিলেন। এ সময় পলাশ রায় সৌরভ নামে একজন ইনান ভাইয়ের সঙ্গে উচ্চস্বরে এবং বেয়াদবির স্বরে কথা বলায় ইনাম ভাইয়ের অনুসারীদের কিছুসংখ্যক নেতাকর্মী ক্ষেপে যায় এবং তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রুপ নেয়। মারধরের শিকার হওয়া তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী পলাশ রায় সৌরভ নামে একজন বলেন, গতকাল রাতে জগন্নাথ হলের প্রোগ্রামে জুনিয়রদের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়, সেই ঝামেলাটা সিনিয়রদের মধ্যেও ছড়িয়ে যায়। তখন ক্যান্ডিডেটদের মধ্যকার একজন ইনান ভাইয়ের গ্রুপে চলে আসে। এটা নিয়ে একটু অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এরপর যখন আমরা আমাদের নেতাকে বিদায় দিয়ে ফিরতেছিলাম, তখন ইনান ভাইয়ের সমর্থকরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এই হামলায় আমাদের এক ক্যান্ডিডেটের মাথা ফেটে যায় এবং তার মাথায় ১৪টা সেলাই লাগে। তার অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি বলেন, আমরা ১৫-২০ জন আজ দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে গতকাল রাতের ঘটনা ইনান ভাইকে জানাতে এবং বিচার দিতে গেলে তার সমর্থকরা আজ আবার আমাদের ওপর হামলা করেছে। তারা একদম অতর্কিত হামলা করেছে। এ সময় আমাদের দুজন জুনিয়রের হাত কেটে যায়। এটা তারা ইনান ভাইয়ের উপস্থিতিতেই করেছে। উনি মধুর ক্যান্টিনের ভেতরে চেয়ারে বসা ছিলেন।  এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আজ মধুর ক্যান্টিনে আমাদের জুনিয়রদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিল। সেটা আমি আর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিলে সমাধান করে দিয়েছি। এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, একটা ঝামেলা হয়েছে মধুর ক্যান্টিনে, এরকমটা আমি শুনেছি। ওখানে আমার যারা ক্যান্ডিডেট ছিল তাদেরকে আমি বিস্তারিত খতিয়ে দেখে আমাকে জানাতে বলেছি। ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর আমরা দেখবো, কে অপরাধী। অপরাধী যেই হোক না কেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ক্রিকেট মাঠে মারামারি : ঢাবির প্রতিবাদ প্রত্যাখান রাবির
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচে বিবাদে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। এ নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। তবে ঢাবি প্রশাসনের বিবৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে রাবি প্রশাসন।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে রাবির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ঢাবির বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করা হয়।  ঢাবির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা আজ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টিমের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিম যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শত শিক্ষার্থী মাঠে ঢুকে ঢাবি ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়দের উপর অতর্কিত ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং হামলা চালায়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিমের ৫/৬জন খেলোয়াড় গুরুতর আহত হয়। ধরনের হামলা অখেলোয়াড়সুলভ এবং অনাকাঙ্কিত। আয়োজনকারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পূর্ব থেকেই বিশেষ সতর্কতা ও সার্বিক শৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল। স্বাগতিক ভেন্যু হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত ছিল প্রতিপক্ষ টিমকে সম্মান দেখানো এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।  অন্যদিকে রাবির বিবৃতিতে বলা হয়, আজ বিকেলে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলায় ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মো. হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্য হলেন শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন ও সদস্য সচিব হলেন শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী। বিবৃতিতে আরও বলা হয়,  আজ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)-এর মধ্যকার ফাইনাল খেলায় পূর্ব থেকেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিলো। তবে, খেলার চূড়ান্ত পর্যায়ে আম্পায়ারের একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও ঢাবির খেলোয়াড়দের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে স্টেডিয়ামের দর্শক সারি থেকে বেশ কয়েকজন মাঠে প্রবেশ করলে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে খেলাটি সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে দুজন আম্পায়ার ও দুই দলের ম্যানেজারের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ম্যাচ রেফারি দুই দলকে যৌথ-চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন। রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার মাঠে থেকে অনাকাঙ্কিত সমস্যাটি নিরসনের চেষ্টাও চালান। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। বিবৃতিতে রাবি প্রশাসন জানায়, ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে যে ভাষায় ঢাবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে তা অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। এর আগেও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খেলাকে কেন্দ্র করে এমন অনাকাঙ্কিত ঘটনা ঘটেছে এবং সেসকল স্থানে রাবির খেলোয়াড়দের উপর নির্মম হামলা চালানো হয়েছে। ঢাবির সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিকে রাবি প্রত্যাখ্যান করছে এবং এহেন বিজ্ঞপ্তি প্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মারামারি করে নিষিদ্ধ তিন নারী ক্রিকেটার
ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ব্যস্ত পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। এ সময়ে পাকিস্তানে চলছে জাতীয় নারী ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ। আর সেখানে ঘটেছে অপ্রীতিকর ঘটনা। টুর্নামেন্ট চলাকালে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন দেশটির তিন নারী ক্রিকেটার। অভিযোগ উঠেছে দুজন মিলে একজনকে পেটানোর।  বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড-পিসিবির কাছে অভিযোগ করেন এক নারী ক্রিকেটার। এ ঘটনায় তিনজনকেই সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে পিসিবি। নিষিদ্ধ হওয়া তিন ক্রিকেটার হচ্ছেন--সাদাফ শামস, ইয়ুসরা আমির ও আয়েশা বিলাল। মারামারির ঘটনা এবং নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও সুপার। তারা জানায়, প্রথমে সাদাফ ও ইয়ুসরার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন আয়েশা। পরে দুই সতীর্থ মিলে হামলে পড়ে আয়েশার ওপর। এতে তার নাক দিয়ে রক্তও ঝরে।  প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঘটনার দুদিন পার হয়ে গেলেও বিষয়টি অজানা ছিল পিসিবির। পরে আয়েশা বোর্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। এতে অনির্দিষ্টকালের জন্য তিনজনকেই নিষিদ্ধ করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ফলে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নারী চ্যাম্পিয়নশিপের আর কোনো ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না ওই তিন ক্রিকেটার। পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানায়, ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলো। নিষিদ্ধ হওয়া ক্রিকেটাররা বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থান করছেন। ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানতে সেখানে যাবেন পাকিস্তান নারী ক্রিকেটের প্রধান তানিয়া মালিক।  পুরো বিষয়টি তদন্ত করবেন তিনি। এবারের নারী চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছে ৬টি রাজ্য- করাচি, লাহোর, মুলতান, পেশাওয়ার, কোয়েটা ও রাওয়ালপিন্ডি। ১৭ দিনের এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল ১০টি করে ম্যাচ খেলবে। যেখান শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনালে। এই টুর্নামেন্ট ক্রিকেটারদের প্রতিভা প্রমাণে বেশ ভালো একটি সুযোগ। এতে পাকিস্তান জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া সহজ হয়।  টুর্নামেন্টের বিজয়ী দল পাবে ১০ লাখ টাকা, রানার্সআপ পাবে ৫ লাখ টাকা। টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটার ৫০ হাজার এবং প্রতিটি ম্যাচ সেরা ক্রিকেটারকে ২০ হাজার টাকা করে পুরস্কৃত করা হবে। এ ছাড়া টুর্নামেন্টের সেরা পারফর্মার- সেরা ব্যাটার, সেরা বোলার এবং সেরা উইকেটরকিপার পাবেন ২৫ হাজার টাকা। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশে বসছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর জন্য ঘরোয়া এই টুর্নামেন্ট দিয়ে উপযুক্ত ক্রিকেটার বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড-পিসিবি। কিন্তু এতে ঝরল রক্ত।   
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪
X