২৬ কোম্পানির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
প্রযুক্তি খাতে নিষেধাজ্ঞার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার টেক্সটাইল খাতের ২৬ কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের টেক্সটাইল কোম্পানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দেশটির ২৬টি তুলা ওয়্যারহাউস ফ্যাসিলিটি থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন বলছে, চীন উইঘুরের সংখ্যালঘুদের দিয়ে জোরপূর্বক শ্রম দিয়ে এসব পণ্য তৈরি করাচ্ছে। নিজেদের সরবরাহ তালিকা থেকে এমন পণ্য সরাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি তালিকায় সবশেষ এ কোম্পানিগুলো যুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুরসহ অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের জন্য শ্রম শিবির তৈরি করেছে। যদিও চীন সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। মার্কিন ডিপার্টমেন্ট হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞায় পড়া কোম্পানির বেশকিছু জিনজিয়াংয়ের বাইরে অবস্থিত। তবে এসব কোম্পানি ওই অঞ্চল থেকে মূলত তুলা সংগ্রহ করে। বৈশ্বিক তুলা উৎপাদনের ২০ শতাংশ এ অঞ্চল থেকে আসে।
১৭ ঘণ্টা আগে

২৬ কোম্পানির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
প্রযুক্তি খাতে নিষেধাজ্ঞার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার টেক্সটাইল খাতের ২৬ কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের টেক্সটাইল কোম্পানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দেশটির ২৬টি তুলা ওয়্যারহাউস ফ্যাসিলিটি থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  ওয়াশিংটন বলছে, চীন উইঘুরের সংখ্যালঘুদের দিয়ে জোরপূর্বক শ্রম দিয়ে এসব পণ্য তৈরি করাচ্ছে। নিজেদের সরবরাহ তালিকা থেকে এমন পণ্য সরাতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।  যুক্তরাষ্ট্রের উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি তালিকায় সবশেষ এ কোম্পানিগুলোকে যুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুরসহ অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের জন্য শ্রম শিবির তৈরি করেছে। যদিও চীন সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।  মার্কিন ডিপার্টমেন্ট হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞায় পড়া কোম্পানির বেশকিছু জিনজিয়াংয়ের বাইরে অবস্থিত। তবে এসব কোম্পানি ওই অঞ্চল থেকে মূলত তুলা সংগ্রহ করে। বৈশ্বিক তুলা উৎপাদনের  ২০ শতাংশ এ অঞ্চল থেকে আসে।  যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে ওয়াশিংটনের মার্কিন দূতাবাস। দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, উইঘুরের সংখ্যালঘুদের দিয়ে জোরপূর্বক শ্রম  প্রতিরোধ আইন জিনজিয়াং প্রদেশের স্থিতিশীলতা এবং চীনের উন্নয়নের গতিরোধ করার জন্য এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলমাত্র।  উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি আইন ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র পাস করে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটি চীনের ৬৫ কোম্পানির ওপর এটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।  এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দিয়ে গোয়েন্দা বেলুন ওড়ানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে কয়েকটি গোয়েন্দা বেলুন শনাক্ত হয়। এ নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা সব প্রতিষ্ঠান চীনের। মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে, এসব কোম্পানি মার্কিন উপকরণ ব্যবহার করে নজরদারি বেলুন ও দেশটির সামরিক বাহিনীর জন্য ড্রোন তৈরি করছিল। ফলে এগুলো মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে চায়না ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি গ্রুপের কয়েকটি ইউনিটও রয়েছে। রেডিও ফ্রি এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব চীনা কোম্পানির মধ্যে ২২টি কোম্পানি মার্কিন কোয়ান্টাম প্রযুক্তি খাতের সহায়তা নিয়ে চীনের সামরিক বাহিনীর জন্য ড্রোন তৈরি করেছে। এছাড়া ১১টি কোম্পানি নজরদারি বেলুন তৈরি করেছে এবং বাকিরা ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ৩৭টি কোম্পানিসহ মোট ৩৫৫ প্রতিষ্ঠান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে।
১৮ মে, ২০২৪

৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অপতথ্য ছড়ানোর অভিযোগে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রুশ সরকারের নির্দেশিত অপতথ্য প্রচারে সহায়তা করেছে। বুধবার মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।  রয়টার্স জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মস্কোভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল ডিজাইন এজেন্সি ও  রাশিয়ার বহুজাতিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্ত্রুকতুরা এলএলসি। এ ছাড়া দুই ব্যক্তি হলেন এ দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ইলিয়া আন্দ্রেভিচ গাম্বাশিজ এবং নিকোলাই আলেকসান্দ্রোভিচ তুপিকিন। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গণমাধ্যমের পরিচয় গোপন করে বিদেশে নেতিবাচক-ক্ষতিকারক প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত হয়ে রুশ সরকারকে পরিষেবা দেওয়ায় চার ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।  ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্যক্তিরা ৬০টির বেশি ওয়েবসাইট ও বৈধ গণমাধ্যমের ছদ্মবেশে এবং ভুয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অপতথ্য ছড়িয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে যে সম্পদ রয়েছে তা জব্দ করেছে দেশটি।  যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করে আসছে। দেশটির অভিযোগ, রাশিয়া গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে এমনটা করছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যকার টানপড়েনের মধ্যে এসব ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 
২১ মার্চ, ২০২৪

ইরানের ৬ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের অভিযোগে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডসের (আইআরজিসি) সাইবার ইলেকট্রনিক কমান্ডের ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। খবর রয়টার্সের। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ছয় কর্মকর্তা হলেন, হামিদ রেজা লশগারিয়ান, মাহদি লাশগারিয়ান, হামিদ হোমায়ুনফাল, মিলাদ মানসুরি, মোহাম্মদ বাগের শিরিঙ্কার ও রেজা মোহাম্মদ আমিন সাবেরিয়ান। নিষেধাজ্ঞার আওতায় এই ছয় ইরানি কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পত্তি ও দেশটির আর্থিক ব্যবস্থা ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। এ ছাড়া কোনো মার্কিন নাগরিক তাদের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবেন না। এ ছাড়া শুক্রবার ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ক্রয় কর্মসূচিকে লক্ষ্য করেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইরানের আইআরজিসির ৬ কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের অভিযোগে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডসের (আইআরজিসি) সাইবার ইলেকট্রনিক কমান্ডের ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। খবর রয়টার্সের। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ছয় কর্মকর্তা হলেন, হামিদ রেজা লশগারিয়ান, মাহদি লাশগারিয়ান, হামিদ হোমায়ুনফাল, মিলাদ মানসুরি, মোহাম্মদ বাগের শিরিঙ্কার ও রেজা মোহাম্মদ আমিন সাবেরিয়ান। নিষেধাজ্ঞার আওতায় এই ছয় ইরানি কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পত্তি ও দেশটির আর্থিক ব্যবস্থা ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। এ ছাড়া কোনো মার্কিন নাগরিক তাদের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবেন না। এ ছাড়া শুক্রবার ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ক্রয় কর্মসূচিকে লক্ষ্য করেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পৃথক আরেক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচির উপকরণ ও প্রযুক্তি সরবরাহে জড়িত চারটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই চার প্রতিষ্ঠান ইরান ও হংকংভিত্তিক। ইরানের পণ্য চীনে বিক্রির অভিযোগে হংকংভিত্তিক আরেকটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাস এই নিষেধাজ্ঞাকে বেআইনি ও একতরফা পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইসরায়েলের চার নাগরিকের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
দখলকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার অভিযোগে সেখানকার অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারী চার ইসরায়েলির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিতে অনুমোদন দিয়ে এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিম তীরে সহিংসতা ‘অসহনীয় পর্যায়ে’ পৌঁছেছে। খবর আলজাজিরার। নিষেধাজ্ঞার আওতায় ওই চার ইসরায়েলি যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পত্তি ও দেশটির আর্থিক ব্যবস্থা ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। তবে যে চার ইসরায়েলি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বিরল ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। মিশিগান অঙ্গরাজ্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সফরের সময় এ ঘোষণা এলো। অঙ্গরাজ্যটিতে আরব-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বসবাস করে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সদস্যরা হামলা চালানোর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা আরও বেড়েছে। দ্য আরব আমেরিকান ইনস্টিটিউট নামের একটি পরামর্শক গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট পার্টির প্রতি আরব-আমেরিকানদের সমর্থন ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২০ সালে ছিল ৫৯। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশকে তারই ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। আদেশে বাইডেন বলেছেন, পশ্চিম তীরের পরিস্থিতি, বিশেষ করে উগ্রপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের মাত্রাতিরিক্ত সহিংসতা, মানুষকে জোর করে বাস্তুচ্যুত করা এবং সহায়-সম্পত্তি ধ্বংস করা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এসব শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি। নিষেধাজ্ঞার আদেশে বাইডেনের স্বাক্ষরের পরপরই এ বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী বেশিরভাগ বাসিন্দা ‘আইন মেনে চলে’। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দপ্তর থেকে বলছে, ইসরায়েল সব জায়গায়ই আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। তাই এ বিষয়ে কারও অস্বাভাবিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ প্রতিক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের টানাপোড়েন আরও প্রকাশ্য করে তুলেছে। বাইডেন ও নেতানিয়াহু দীর্ঘদিনের মিত্র। তবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন প্রশ্নে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাদের মধ্যে দ্বিমত দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, ওই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফেরাতে হলে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানই সর্বোত্তম উপায়। এর অর্থ, ইসরায়েলের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র থাকবে। কিন্তু বারবার এ ধারণা প্রত্যাখ্যান করে আসছেন নেতানিয়াহু। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে মতানৈক্যের বিষয়টি গত মাসে স্বীকার করেছে হোয়াইট হাউস।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

এই প্রথম ইসরায়েলিদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনের অভিযোগে প্রথমবারের মতো চার ইসরায়েলির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা হলেন- ডেভিড শাই চাসদাই (২৯), ইনোন লেভি (৩১), ইনান তানজিল (২১) এবং শালোম জিচেরমান (৩২)। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিতে অনুমোদন দিয়ে এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য মিশিগান সফরে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় বা ট্রেজারি বিভাগ দেশটির ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রওনা হওয়ার আগে নিষেধাজ্ঞার আদেশে স্বাক্ষর করে গেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে এখন থেকে দেশটিতে প্রবেশ এবং সেখানে কোনো সম্পদ কিনতে পারবেন না এই চার ইসরায়েলি। যতদিন নিষেধাজ্ঞা থাকবে- ততদিন দেশটিতে অর্থনীতি এবং অর্থব্যবস্থার সঙ্গেও কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট হতে পারবেন না তারা। মূলত গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকমী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর থেকে পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে দাঙ্গা-সহিংসতা বেড়েছে ব্যাপক হারে। আর এর ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বসতি স্থাপনকারীদের পক্ষে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলি পুলিশ- নিরাপত্তা বাহিনী। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, ৭ অক্টোবরের পর গত প্রায় চার মাসে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি দাঙ্গায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৭০ জন ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বসতি স্থাপনকারীরা এসব হত্যার জন্য দায়ী। সূত্র : বিবিসি
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আরও ৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
বিভিন্ন অনিয়ম ‍ও দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার এই তালিকায় যেমন কোনো ব্যক্তির নাম থাকবে পারে তেমনি থাকবে পারে প্রতিষ্ঠানের নামও। এবার রাশিয়ার কাছে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর ও পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রুশ তিনটি প্রতিষ্ঠান এবং এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।  এতদিন ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র বিনিময়ের সমালোচনা করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। এবার এই অভিযোগে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল ওয়াশিংটন। মার্কিন সরকারের দাবি, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে রাশিয়া। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রাশিয়ার কাছে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর রুশ আগ্রাসনকে সহায়তা করেছে; ইউক্রেনীয় জনগণের দুর্ভোগ বৃদ্ধি করেছে এবং বৈশ্বিক অস্ত্র বিস্তার ব্যবস্থাকে দুর্বল করেছে। এ বিষয়ে আমরা আরও পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। তবে দুই দেশই নিজেদের মধ্যে কোনো ধরনের অস্ত্র চুক্তি করার কথা অস্বীকার করে আসছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় উচ্চপদস্থ রুশ কর্মকর্তারা পিয়ংইয়ং সফর করেছেন।
১২ জানুয়ারি, ২০২৪

ইআরএফের মতবিনিময় সংস্কারে শৈথিল্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ঝুঁকি বাড়াবে
সংস্কারের বিষয়ে বাংলাদেশ যত শৈথিল্য দেখাবে, মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি তত বাড়বে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থেই বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কৌশল ব্যবহার করে। যদি এমন নিষেধাজ্ঞা আসেও, তা বাংলাদেশের স্বার্থে নয়, দেওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য উদ্ধারের জন্য। তাই শ্রম পরিস্থিতিসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার সুযোগগুলো বন্ধের তাগিদ দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বর্তমানে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে তিনটি ক্ষেত্রে বড় সংস্কার করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কষ্টদায়ক হলেও এসব সংস্কার করতে হবে। তাতে অর্থনীতিতে এক ধরনের ভারসাম্য আসবে। অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজনে ‘দেশের সমসাময়িক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার পুরানা পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। অধ্যাপক মোস্তাফিজ রহমান বলেন, বাণিজ্যে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসবে কি-না, এলে কোন পদ্ধতিতে আসবে, সেটি অনুমান করা কঠিন। আমরা দেখেছি, শ্রম অধিকার ও কর্মপরিবেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বলতে চাই, আমাদের যেসব জায়গায় উন্নতি করার প্রয়োজন আছে, সেগুলো যেন আমরা যথাযথভাবে করতে পারি। সরকার, উদ্যোক্তা এবং শ্রমিকদের সমন্বয়ে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই সেগুলো আমরা করতে পারি। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের মূল দাবি ট্রেড ইউনিয়ন। তবে তারা এক দিনে সবকিছু চাইছেন না। তাদের পাশ কাটিয়ে কিংবা সঠিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সমস্যা বাড়ে। ফলে তাদের কথা শুনে সমস্যা সমাধানে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্র কী করবে-না করবে, তারা জানে। নিষেধাজ্ঞা দিতেও পারে। তবে আমরা যত শৈথিল্য দেখাব, ততই দেশটির আকাঙ্ক্ষা বাড়বে। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন আয়কর আইন পাস করেছে সরকার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ পরামর্শ দিয়েছে, তাই আইন পাস বা সংশোধন করা হয়েছে। এভাবে না দেখে বরং ব্যাংক খাতে সুশাসন ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর দৃষ্টিকোণ থেকে একে দেখতে হবে। আইনগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে গেলে কিছু কিছু মানুষের ওপর চাপ বাড়বে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজনীতিবিদের সদিচ্ছা লাগবে। তিনি আরও বলেন, ডলারের দাম খোলাবাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। ডলারের দামের ক্ষেত্রে শক থেরাপি দিতে হবে। হয়তো নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। ডলারের দামে বড় ধরনের সমন্বয় করলে পণ্য আমদানি ব্যয় বাড়বে। তখন আমদানি শুল্ক কমানোর মতো আর্থিক উদ্যোগ নিতে হবে। যদিও ডলারের দাম বাড়লে পণ্য রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে। রপ্তানিকারকদের প্রণোদনা দিতে হবে না। অন্যদিকে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসা বাড়বে। এ ছাড়া ব্যাংক ঋণের সুদের হারও বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য করার বিষয়ে মত দেন তিনি। সরকারদলীয় প্রার্থীদের অর্থসম্পদ কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রার্থীদের হলফনামায় সম্পদের পরিমাণ দেখে বিস্মিত, চমৎকৃত ও আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। এত কম সময়ে তারা এত টাকার মালিক কীভাবে হলেন, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। যদিও এক কোটি টাকার জমির দাম এক লাখ টাকা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে হলফনামার থেকেও প্রকৃত সম্পত্তির পরিমাণ অনেক বেশি হবে। রাজনৈতিক দলের উচিত তাদের প্রার্থীদের সম্পদের বিশ্লেষণ করা। দুর্নীতি দমন কমিশনেরও (দুদক) বিষয়টি নিয়ে কাজ করা দরকার যে প্রার্থীদের এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ যৌক্তিক, অযৌক্তিক, নাকি অনৈতিক। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাট-সংক্রান্ত সিপিডি যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেটা বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যম প্রকাশিত তথ্য থেকে নেওয়া হয়েছে। এটা সিপিডির নিজস্ব কোনো গবেষণা নয়। তিনি বলেন, যারা সিপিডি ব্যাংক খাতের লোপাট হওয়া বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলেছেন, তারা খুব ভালো করেই জানেন, ব্যাংক খাত থেকে লোপাট হওয়া ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা কেবল আইসবার্গ বা একটি ছোট্ট অংশ। আসলে এটা আরও বেশি হবে। তিনি বলেন, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি বলব সমস্যা যখন হয়, এটাকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা হিসাবে না দেখে সমস্যাটার আদৌ যৌক্তিকতা আছে কি না এবং কীভাবে এটা সমাধান করা যায়, সেটা করা উচিত। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে অব্যবস্থাপনা অনিয়ম চলছে, খেলাপি ঋণ বাড়ছে, কিছু ব্যাংক বিপর্যয়ের মধ্যেও পড়েছে। এখন আর্থিকভাবে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত বা মার্জার করার বিষয় আগেই অনেকবার বলা হয়েছে। এজন্য আইনি দুর্বলতা ও নিয়মনীতিগুলো ঠিক করতে হবে। কারণ ব্যাংক খাত হচ্ছে অর্থনীতির প্রাণ। এ খাতের সমস্যা পুরো অর্থনীতির ওপরে পড়ে। তিনি বলেন, ঋণ অবলোপনসহ নানা কায়দায় মওকুফ করার পরও এই সরকারের ১৫ বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২২ হাজার কোটি থেকে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের বিপরীতে একটি বড় অংকের অর্থ ব্যাংকের প্রভিশনিং করতে হচ্ছে। এর মানে টাকাটা অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারছে না, ব্যাংকে পড়ে থাকছে। এতে করে একদিকে ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে আয় কমে যাচ্ছে। এটা আবার বিনিয়োগে প্রভাব ফেলছে। ব্যাংকিং সেক্টরের এ অবস্থা একটি ‘দুষ্টুচক্র’ সৃষ্টি করছে জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ খাতের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার সবকিছুই এক জায়গায় নিয়ে এসেছে। এটা নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। এখানে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। আগামীতে এ খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে এ উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তৈরি পোশাক শিল্পকে এ পর্যায়ে এনেছে। পোশাকের বিশ্বের বাজার ৭০০ বিলিয়ন ডলার। আমাদের রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। এত বড় খাত অন্য একটাও নেই। রপ্তানি বহুমুখীকরণ করতে হবে, নতুন বাজারে যেতে হবে। তবে এ খাত বাদ দিয়ে নয়। কারণ এখনও এই বাজারের অনেক বড় অংশ দখল করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য আমাদের আরও আধুনিকায়ন করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের চামড়া খাত ও ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের রপ্তানিতে জোর দিতে হবে। বিশ্বে ফার্মাসিউটিক্যালে অনেক বড় বাজার আছে বলেও জানান সিপিডির এ সম্মানীয় ফেলো। সম্পাদনা: রাসেল
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

এবার চার দেশের ১৪ ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতি ও অগণতান্ত্রিক আচরণের অভিযোগে এবার চার দেশের ১৪ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চার দেশের ১৪ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতি ও অগণতান্ত্রিক আচরণের অভিযোগে সেকশন ৩৫৩ অনুসারে তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা হলেন নিকারাগুয়ার চারজন, গুয়েতেমালার চারজন, হন্ডুরাস ও সালভাদরের তিনজন করে ছয়জন। এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়াকে অবজ্ঞা এবং দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে এসব ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে ভিসা ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না। এর আগে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে বিভিন্ন দেশের ১০ কোম্পানি ও চার ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তেহরানকে সংবেদনশীল সরঞ্জাম পাঠানোর অভিযোগে বিদেশি কয়েক কোম্পানির ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এসব ব্যক্তি ও কোম্পানি সংশ্লিষ্ট ফার্ম মূলত মধ্যস্থতাকারী, সম্মুখসারি আবার কোনোটা কাঁচামাল সরবরাহ করে আসছে। এগুলো হলো ইরানি, মালয়েশিয়া, হংকং ও ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, এ নেটওয়ার্ক মিলে হাজার হাজার ডলারের বিদেশি সরঞ্জাম ইরানের ইসলামিক রেভলুশনারি গার্ডের মহাকাশ গবেষণা দলকে সহযোগিতা করছে। এ দলটি মূলত ইরানভিত্তিক অস্ত্র ও যুদ্ধসরঞ্জাম তৈরি করে আসছে। মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্রিয়ান নেলসন এক বিবৃতিতে জানান, মধ্যপ্রাচ্য ও রাশিয়ায় ইরানের উৎপাদিত অবৈধ বেনামি ড্রোন উৎপাদনে উত্তেজনা বাড়ছে ও সংঘাত দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ফলে স্থিতিশীলতাও নষ্ট হচ্ছে।
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
X