মুসলিম দেশগুলো এক হলে ফিলিস্তিনের কষ্ট লাঘব হতো
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের সব মুসলিম দেশ একসঙ্গে কাজ করলে, ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হতো। মুসলমানদের জন্য আরও ভালো অবস্থানে পৌঁছানো সহজ হতো। সব মুসলিম দেশ একযোগে কাজ করতে পারলে আমরা আরও অগ্রগামী হতে পারতাম। গতকাল বুধবার রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত হজ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। আজ (বৃহস্পতিবার) হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা। নিজেকে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বোন হিসেবে (নারী সরকারপ্রধান) উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা সবাই এক হোন। এ ধরনের অন্যায়-অবিচার যেন আমাদের ওপর না হয়, সেদিকে সবাই লক্ষ্য রাখবেন। আন্তর্জাতিক সব ফোরামে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আমি সোচ্চার কণ্ঠ। আমি সব জায়গায় ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। আরব ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিরা বসবাসের জায়গা পাবে। এটা তাদের অধিকার। এ অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারে না। এ অধিকার তাদের দিতে হবে। ১৯৭৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ থেকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানো হচ্ছে। সেখানে নারী ও ছোট শিশুদেরকেও রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমান সরকার হজযাত্রীদের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত হজ ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছে, সেটা ধরে রেখে যেন আরও উন্নত করতে পারে, আপনার সে দোয়া করবেন। দেশের মানুষের জন্যও দোয়া করবেন। আমরা হজ ব্যবস্থাপনা উন্নত করেছি। প্রতিবারই যারা যাচ্ছেন, যে কোনো সমস্যা হচ্ছে, সেটা লাঘবের পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে সৌদি সরকার সবসময় আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সৌদি বাদশাহ এবং ক্রাউন প্রিন্সকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের সার্বিক সহযোগিতায় সরকার ক্রমান্বয়ে হজ ব্যবস্থাপনাকে এত উন্নত করতে পেরেছে। সৌদি এয়ারলাইন্স ছাড়াও নিজস্ব বিমানেও আমরা এখন হজযাত্রী আনা-নেওয়া করতে পারি। আজ আমরা ই-হজ ব্যবস্থাপনা করতে পেরেছি। কেননা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের আগামী দিনের লক্ষ্য হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ করে মুষ্টিমেয় লোক আমাদের পবিত্র ধর্মের যে বদনাম করছে তা দুঃখজনক। আমি এটারও প্রতিবাদ করি সবসময়। কারণ আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হুছামুদ্দিন চৌধুরী ও বাংলাদেশে সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান প্রমুখ। পরে, ব্রিটেনের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান গণভবনে সাক্ষাতে এলে, শেখ হাসিনা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা চান। রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রতিমন্ত্রীকে পদমর্যাদা ব্যবহার করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
০৯ মে, ২০২৪

ক্ষুধার জ্বালায় ঘাস খাচ্ছেন মুসলিম দেশটির মানুষ
দেশটিতে খাবার নেই। পানি নেই। কিছুটা মজুত খাবার থাকলেও সে খাবার কেনার টাকাও নেই। চরম সংকটে নাজেহাল দেশটিতে কমে গেছে ত্রাণ সরবরাহও। সব মিলিয়ে চরম সীমায় পৌঁছে গেছে দুর্ভিক্ষ। ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে ঘাস খাচ্ছেন দেশটির বাসিন্দারা। এমনকি বাদামের খোসা খেয়েও জীবন ধারণ করছেন তারা। বলছিলাম ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে জর্জরিত সুদানের কথা।    জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বা ডব্লিউএফপির আশঙ্কা সুদানে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে। শনিবার ডব্লিউএফপির বরাত দিয়ে সুদানের এ চরম দুর্দশার খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন।  ডব্লিউএফপি বলেছে, পশ্চিম সুদানের দারফুরে মানুষের অনাহার ঠেকানোর সময় ফুরিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গোটা জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে। শুক্রবার যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, দারফুর এবং সুদানের অন্যান্য যুদ্ধকবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব এলাকায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে ক্ষুধায় বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ডব্লিউএফপির পূর্ব আফ্রিকার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড বলেছেন, খাদ্যাভাবে মানুষ ঘাস ও বাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছেন। শিগগিরই তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাতবিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখতে হতে পারে। এর আগে গত বছরের ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরে এই সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। ইতোমধ্যেই প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন ৭৮ শতাংশ কমে গেছে।  বর্তমানে সুদানের বিভিন্ন শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। তবে ‘ইউএন অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ বলেছে, এল ফাশের অঞ্চলকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা বাসিন্দারা এখন বিপদে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানকার ৩৬ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছেন। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সংঘাতে এল ফাশের ও এর আশপাশে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। পশ্চিম এল ফাশেরে এক ডজনেরও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে যৌন হয়রানি, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে আগুন এবং অবকাঠামো ধ্বংসসহ ভয়ংকর সহিংসতা চলছে। সংঘাতের এমন পরিস্থিতি আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দারফুরে খাদ্য সহায়তা বিতরণের কাজ থেমে গেছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি।
০৫ মে, ২০২৪

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মুসলিম পরিবারের চমকে যাওয়া সম্পত্তি
একটি পরিবারে গাড়ি আছে ৭০০-রও বেশি। রয়েছে ৮টি বিমান। পরিবারটি যে বাড়িতে থাকেন তার মূল্য ৫ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই মুসলিম পরিবারের নাম আল নাহিয়ান পরিবার। তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজপরিবার। যারা মধ্যপ্রাচ্য তো বটেই, পুরো বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র বানিয়েছে উপসাগরীয় দেশটিকে।  আল নাহিয়ান পরিবারের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। তিনি একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবিরও শাসক। শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের রয়েছে ১৮ ভাই ও ১১ বোন। তার ৯ সন্তানের ঘরে রয়েছে ১৮ জন নাতি-নাতনি। তারা সবাই মিলে ক্বাসর আল ওয়াতান নামের এক বিশাল রাজবাড়িতে বসবাস করেন। ৩ লাখ ৮০ হাজার বর্গমিটারের এই বাড়িটির মূল্য ৪৭৮ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ২৩৩ কোটি টাকার কাছাকাছি।  শুধু রাজকীয় বাড়িই নয়, আমিরাতের এই রাজপরিবারের গাড়ি সংগ্রহের কথা শুনলে যে কারও চোখ কপালে উঠবে। আল নাহিয়ান পরিবারের গাড়ি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কোর ৪টি জাদুঘরে রয়েছে। কেবলমাত্র হামেদ বিন হামদান আল নাহিয়ানেরই রয়েছে ৭০০-র বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এস-ইউ-ভি’র মালিকও তিনি। শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ফেরারি এবং মার্সিডিজ-বেঞ্জ এজি কোম্পানিতে শেয়ার রয়েছে। তার সংগ্রহে বুগাটি ভেরন, ফেরারি ৫৯৯এক্সএক্স, ম্যাকলারেন এমসি১২, মার্সিডিজ-বেঞ্জ সিএলকে জিটিআর ও একটি ল্যাম্বরগিনি রেভেনটন রয়েছে। নাহিয়ান পরিবারের ৮টি বিমান রয়েছে। এর মধ্যে একটি এয়ারবাস এ৩২০-২০০, ৩টি বোয়িং ৭৮৭-৯। এ ছাড়া শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নিজের সংগ্রহে একটি বোয়িং ৭৪৭ আছে। যার মূল্য ৪৭৮ মিলিয়ন ডলার এবং একটি বোয়িং ৭৮৭ আছে। যার মূল্য ১৭৬ মিলিয়ন ডলার। এসব বিমানে একাধিক কেবিন, মিটিং রুম, বিনোদন রুম, বিলাসবহুল বাথরুম, এমনকি স্পা-ও রয়েছে। এর বাইরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি প্রমোদতরীর মধ্যে ৩টিরই মালিক আল নাহিয়ান পরিবার। আবুধাবির সাবেক শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের জন্য ৬০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত  প্রমোদতরী আজ্জাম নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৮০ মিটার লম্বা এই প্রমোদতরীতে ১০০ জনের বেশি মানুষ চড়তে পারে। এ ছাড়া ব্লু নামে আরও একটি প্রমোদতরীর মালিক আল নাহিয়ান পরিবার। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এই প্রমোদতরীর দাম ৫৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।  বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এই পরিবারের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা আছে। এ ছাড়া সিটি ফুটবল গ্রুপের অন্তত ৮১ শতাংশের মালিকানা এই পরিবারের। উল্লেখ্য, সিটি ফুটবল গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ম্যানচেস্টার সিটি, মুম্বাই সিটি, মেলবোর্ন সিটি এবং নিউইয়র্ক সিটি ফুটবল টিম খেলে থাকে।
০৪ মে, ২০২৪

ইরানের হামলার পর চার মুসলিম দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা
ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলার পরপর চারটি মুসলিম দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সময় মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তেজনা চায় না বলে তাদের অবহিত করেন তিনি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, জর্ডান, সৌদি আরব, তুরস্ক ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার বিষয়ে আলাপ করেছেন ব্লিঙ্কেন। এ সময় ওয়াশিংটন এই অঞ্চলে উত্তেজনা চায় না বলে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়েও তাদের জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক ত্রাণসহায়তা বাড়ানোর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেছেন ব্লিঙ্কেন। গত শনিবার রাতে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই পাল্টা হামলা করে তেহরান। ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ পর্যন্ত বেধে যেতে পারে বলে সতর্ক করছেন তারা। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকেও দাবি করা হয়, ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহারের জন্য শতাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। যে কোনো সময় এ অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানায় ইসরায়েল।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

মুসলিম দেশের নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা সৌদি বাদশা ও যুবরাজের
মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মঙ্গলবার অডিও বার্তা পাঠিয়ে তারা এই শুভেচ্ছা জানান বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।  সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের আগ্রহ থেকে এসব অডিও পাঠানো হয়েছে। বার্তায় সৌদি বাদশা ও যুবরাজ মুসলিম বিশ্বের আরও নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশা জানিয়েছেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন মুসলিম দেশের নেতাদের কাছ থেকেও শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন সৌদি আরবের নেতারা।  
১০ এপ্রিল, ২০২৪

একমাত্র মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ঈদ বৃহস্পতিবার
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করছে বিশ্বরে সকল মুসলিম দেশ। একমাত্র বাংলাদেশে একদিন পর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ঈদ পালন করবে। জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ, পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তান ও ভারতের কিছু অঞ্চলে আজ উদযাপন হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম দেশগুলোতে ঈদ উদযাপন এবং কতগুলো রোজা পালন করল সেটির একটি তালিকা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান যুবাইর এহসান হক। তার দেওয়া তথ্যমতে- ইন্দোনেশিয়ায় বুধবার ঈদ এবং রোজা ২৯টি, মালয়েশিয়ায় বুধবার ঈদ এবং রোজা ২৯টি, পাকিস্তানে বুধবার ঈদ এবং রোজা ২৯টি, আরব আমিরাতে বুধবার ঈদ এবং রোজা ৩০টি, কাতারে বুধবার ঈদ এবং রোজা ৩০টি, সৌদি আরবে বুধবার ঈদ এবং রোজা ৩০টি, ইয়েমেনে বুধবার ঈদ এবং রোজা ৩০টি। এছাড়া ওমানে বুধবার ঈদ এবং রোজা ২৯টি, জর্ডানে বুধবার ঈদ এবং রোজা ২৯টি, ফিলিস্তিনে বুধবার ঈদ এবং রোজা ৩০টি, মিশরে বুধবার ঈদ এবং রোজা ৩০টি, তিউনিসিয়ায় বুধবার ঈদ এবং রোজা ৩০টি এবং মরক্কোয় বুধবার ঈদ এবং রোজা ২৯টি।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

শবেকদরে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শবেকদর রজনীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন। আগামীকাল ৬ এপ্রিল পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘লাইলাতুল কদর এক অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত পবিত্র রজনী। সিয়াম সাধনার মাসের এ রাত্রিতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানবজাতির পথ নির্দেশক পবিত্র আল-কোরআন পৃথিবীতে নাজিল করেন। মহান আল্লাহ কোরআনে ঘোষণা করেছেন, নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ (জিবরাইল (আঃ)) অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সে রাত বিরাজ করে ফজরের আবির্ভাব পর্যন্ত।’ (সূরা আল-কদর, আয়াত ১-৫) শেখ হাসিনা বলেন, কদরের রজনীর অপার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সূরা আদ-দুখানে বলেছেন নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) এক মুবারকময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ফয়সালা হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রজনীকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রজনীতে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, বরকত ও মাগফিরাত।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনীতে দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন আমাদের সকল প্রকার অন্যায়, অনাচার, হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার তৌফিক দান করেন।’ পবিত্র এ রজনীতে তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

মুসলিম দেশে হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম
২০৩০ সালে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বপ্ন দেখছে আফ্রিকার দেশ মরক্কো। দেশটিতে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ও বার্সেলোনার ন্যু ক্যাম্পের মতো ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম। এরপরও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। প্রায় ৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা হতে ১ লাখ ১৫ হাজার দর্শক। পশ্চিমাদের নানা বিতর্কের পর কাতার বিশ্বকে উপহার দিয়েছে স্মরণকালের সেরা বিশ্বকাপ। আয়োজনটি নির্ভুল করতে কোনো ক্রুটি করেনি ফিফাও। কাঁড়িকাঁড়ি টাকা খরচ করে বিশ্বকাপের আয়োজনকে অন্যান উচ্চতায় নিয়ে গেছে এশিয়ার দেশ কাতার। সেই বেঞ্চমার্ক পার করা অন্যদেশগুলোর জন্য প্রায় অসম্ভব। ফুটবলের বিশ্ব আসরকে ঘিরে মেগা পরিকল্পনা নিয়েছে মরক্কো। তিন মহাদেশের ৬টি দেশে হতে পারে ২০৩০ বিশ্বকাপ। সে বছর ফুটবল বিশ্বকাপ পা দেবে শতবর্ষে। তাই উদ্বোধনী ম্যাচগুলো হবে প্রথম আসরের ভেন্যু দক্ষিণ আমেরিকায়। আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে মিলে আয়োজন করবে শুরুর দিকে কিছু ম্যাচ। তবে বিশ্বকাপের মূল অংশের আয়োজক থাকবে ইউরোপের স্পেন-পর্তুগাল ও আফ্রিকার মরক্কো। অতীতে বড় ইভেন্ট আয়োজন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে স্পেন-পর্তুগালের। তবে মরক্কোর জন্য এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম। তাই বেশ ভালো এবং বড় পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছেন মরক্কোর আয়োজকরা। যদিও এখনও চূড়ান্ত হয়নি ২০৩০ বিশ্বকাপের সূচি ও ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু। তবে ফাইনাল আয়োজনের পরিকল্পনা করছে মরক্কো ফুটবল ফেডারেশন। এ জন্য স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে যাচ্ছে তারা। যাতে করে ফাইনাল আয়োজন করতে স্পেনের ঐতিহাসিক সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ও ন্যু ক্যাম্পকে টেক্কা দেওয়া যায়। স্পেনের দুটি প্রতিষ্ঠান ক্রুজ ও অর্তিজের সঙ্গে স্টেডিয়ামটির ডিজাইন ও নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিখ্যাত ব্রিটিশ আর্কিটেকচারাল ফার্ম পপুলাস। বেন্সলিমান প্রদেশের এল মানসুরিয়া শহরে প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে পূর্ণাঙ্গ ফুটবল কমপ্লেক্স করার ইচ্ছে মরক্কোর। গ্র্যান্ড স্তাদে দি কাসাব্লাঙ্কা নামের স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হবে দেশটির ঐতিহ্য মেনে। পূরণ করা হবে আলাদা অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক, ইনডোর সুইমিংপুল, শপিং সেন্টার ও পাঁচ তারকা হোটেলসহ ফিফার সব শর্ত। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার পিয়ং ইয়ংয়ের রুনগ্রাদো। মরক্কোর পরিকল্পনা সফল হলে ২০৩০ বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে। মুসলিম দেশটিতে রচিত হবে নতুন এক ইতিহাস।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

যেভাবে মুসলিম স্বামীর পাশে দাঁড়ালেন খ্রিষ্টান স্ত্রী
মুসলমানদের কাছে বছরের অন্যান্য মাসের চেয়ে বিশেষভাবে পবিত্র মাস রমজান। বিশেষ এই মাসে একসঙ্গে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে কঠোর ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে থাকেন মুসলিমরা। এমন পরীক্ষায় তাই স্বামী ডনতাইয়ের সঙ্গে উপোস থাকার মধ্য দিয়ে ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন খ্রিষ্টান ধর্মানুসারী স্ত্রী কাওরি লিওনার্ড।  সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র ১৩ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক ডনতাই। পরিবারের একমাত্র মুসলিম সদস্য হিসেবে লন্ডনে বেড়ে উঠেছেন তিনি।  খালিজ টাইমসকে ডনতাই জানান, খুবই অল্প বয়সে ইসলাম গ্রহণ করার কারণে প্রথম দিকে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলতেন না তিনি। পরবর্তী সময়ে বুঝতে শেখার পর বাড়িতে ইচ্ছানুযায়ী ধর্মীয় ইবাদত, বিশেষ করে রমজান মাসে রোজা রাখতে পারতেন না, এমনকি তার ঘরে প্রায়ই শূকরের মাংস রান্না করা হতো যা ইসলামে নিষিদ্ধ ছিল।  ডনতাইয়ের স্ত্রী কাওরি জানান, স্বামীর পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে এটি তার জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ। তিনি বলেন, তার স্বামী যা ভালোবাসেন এবং অনুশীলন করেন তার অংশ হতে পারাটা আনন্দের। তার জন্য রমজান গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিনি ডনতাইয়ের এই অভিজ্ঞতাকে আরও ভালো করতে চান। তার সঙ্গে রোজা রাখতে চান। এটি তাদের আরও বেশি কাছাকাছি নিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস কাওরির।  স্ত্রীর এমন সমর্থনের প্রশংসা করে ডনতাই জানান, তিনি খুব খুশি যে, তার স্ত্রী তার সঙ্গে উপোস থাকছে। তিনি কাওরিকে নিয়ে খুব গর্বিত। জন্মগতভাবে কাওরি অর্ধেক ইতালীয় এবং অর্ধেক ভেনেজুয়েলার। প্রথম দিকে সারা দিন উপোস থাকা তার জন্য অনেক কঠিন একটি বিষয় ছিল। কাওরি জানান, লন্ডনেও স্বামীর সঙ্গে তিনি একবার রোজা রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুবাইয়ে আসার পর শহরটির প্রাণবন্ত পরিবেশ এবং স্বতঃস্ফূর্ততা বিষয়টিকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। ইফতারের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, দিনটি দ্রুত চলে যায়। রোজা ভাঙার মুহূর্তটিকে পুরস্কারের মতো মনে হয়।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

বাইডেনের ইফতার দাওয়াত নাকচ করে দিলেন মুসলিম নেতারা
গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে একতরফা অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হলেও এই সহায়তা বন্ধ কিংবা স্থগিত করেনি ওয়াশিংটন। ইসরায়েলকে লোক দেখনো সমালোচনা করলেও তলে তলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। আর এতেই বাইডেনের ওপর ক্ষুব্ধ মার্কিন মুসলিম সম্প্রদায়। এমনকি পবিত্র রমজান মাসে মুসলিম নেতাদের ইফতারের দাওয়াত দেওয়া হলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন তারা। মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা অংশগ্রহণ না করায় শেষ পর্যন্ত ইফতার আয়োজন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে হোয়াইট হাউস। গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন দুজন কর্মকর্তার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলজাজিরাকে সূত্র দুটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইফতার আয়োজন করার কথা ছিল। তবে মুসলমান নেতাদের এতে যোগদানের বিষয়ে আগেই সতর্ক করে দেন সম্প্রদায়ের মানুষজন। এ কারণে হোয়াইট হাউসের ইফতার বাতিল করতে হয়েছে। আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস কাউন্সিলের (সিএআইআর) উপ-পরিচালক এডওয়ার্ড আহমেদ মিচেলও বলেছেন, অনেকে ইফতারে থাকবেন না বলে জানিয়ে দেন। শুরুর দিকে নেতারা যোগ দেওয়ার কথা বললেও শেষে তারা মানা করে দেন। এই জন্য এই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। তিনি আলজাজিরাকে বলেন, আমেরিকান মুসলিম সম্প্রদায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে হোয়াইট হাউস গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা এবং অনাহরে রাখতে ইসরায়েল সরকারকে সহায়তা করছে তাদের সঙ্গে ইফতার করা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য হবে। গাজা যুদ্ধ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের নীতি ঘিরে ইতিমধ্যে মার্কিন মুসলিমদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কয়েক মাস পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাদের এই ক্ষোভ ব্যালটে বাইডেনের বিপক্ষে কাজ করতে পারে বলেই সতর্ক করছেন বিশ্লেষকরা।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪
X