কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ মে ২০২৪, ০৬:৪৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বিশ্ব মা দিবস আজ

সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে মা দিবস। ছবি : সংগৃহীত
সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে মা দিবস। ছবি : সংগৃহীত

মা নিয়ে দারুণ কবিতা লিখে গেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মা কবিতাই তিনি বলেছেন, ‘যেখানেতে দেখি যাহা, মা-এর মতন আহা। মার বড়ো কেউ নাই –কেউ নাই কেউ নাই! নত করি বল সবে মা আমার! মা আমার!’

মা— পৃথিবীর মধুরতম ডাক। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা- প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস।

এ হিসাব অনুযায়ী, আজ রোববার ১২ মে সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে মা দিবসটি। এই দিনটি মাকে বিশেষভাবে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জানানোর দিন।

বিশেষ এই দিবসটি কীভাবে এলো তা হয়তো অনেকেরই অজানা। ইতিহাস বলছে, অনেক পথ পেরিয়ে এই দিবসটি নতুন রূপ পেয়েছে। ধারণা করা হয়, মা দিবসের সূচনা প্রাচীন গ্রিসের মাতৃরূপী দেবী সিবেলের এবং প্রাচীন রোমান দেবী জুনোর আরাধনা থেকে।

এ ছাড়া ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য অনেক আগে থেকেই মায়েদের এবং মাতৃত্বকে সম্মান জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট রোববারকে বেছে নিয়েছিলেন। ষোড়শ শতকে এটি ইংল্যান্ডে মাদারিং সানডে বলে পরিচিতি লাভ করে। অনেকেই ক্যাথলিক পঞ্জিকা অনুযায়ী এটিকে লেতারে সানডে যা লেন্টের সময়ে চতুর্থ রোববারে পালন করতে শুরু করে।

তবে ইতিহাস বিদদের মতে, জুলিয়া ওয়ার্ড হোই রচিত "মাদার্স ডে প্রক্লামেশন" বা "মা দিবসের ঘোষণাপত্র" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস পালনের গোড়ার দিকের প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

১৮৭০ সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের পৈশাচিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে শান্তির প্রত্যাশায় জুলিয়া একটি ঘোষণাপত্র লেখেন। এরপর যুদ্ধ শেষে পরিবারহীন অনাথদের সেবায় ও একত্রীকরণে নিয়োজিত হন মার্কিন সমাজকর্মী আনা রিভিজ জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মেরি জার্ভিস।

এ সময় তারা জুলিয়া ওয়ার্ড ঘোষিত মা দিবস পালন করতে শুরু করেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে আনা রিভিজ জার্ভিস ১৯০৫ সালের ৫ মে মারা যান।

মায়ের মৃত্যুর পর আনা মেরি জার্ভিস মায়ের শান্তি কামনায় ও তার সম্মানে সরকারিভাবে মা দিবস পালনের জন্য প্রচারণা চালান। তিন বছর পর ১৯০৮ সালের ১০ মে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার আন্দ্রেউজ মেথডিস্ট এপিসকোপাল চার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম মা দিবস পালন হয়।

এরপর ১৯১২ সালে এই দিবসটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচার শুরু হয়। এই প্রচার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কানাডা, মেক্সিকো, চীন, জাপান, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকায়।

এই প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস ও জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই প্রতিটি দেশে মায়েদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই দিনটি উৎসর্গ করা হয়। দেশে দেশে পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নাকে আইফোনের তার ঢুকিয়ে ভয়াবহ প্রতারণা

কিবরিয়া হত্যায় আটক ব্যক্তির মৃত্যু, ব্যাখ্যা দিল ডিএমপি

যে ভূমিকম্পে পরিবর্তন হয়ে যায় পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি

ভূমিকম্পে দুর্ঘটনা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানদের সাক্ষাৎ

নরসিংদীতে ভূমিকম্পে শিশুসহ নিহত ২, আহত শতাধিক

রাতে ফোন চার্জে রেখে ঘুমালে কি ফোনে আগুন লাগতে পারে?

ফুটবল মাঠে আবারও মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘অস্ট্রেলিয়া এডুকেশন এক্সপো-২০২৫’

বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি

১০

খুলনা বিভাগের উন্নয়নে পাঁচ দফা দাবি

১১

জাতীয় বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতল এআইইউবি 

১২

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নাতীত : গোলাম পরওয়ার

১৩

জাল টাকার কারখানার সন্ধান, যুবক গ্রেপ্তার

১৪

ভূমিকম্পে কোথাও আটকা পড়লে যা করবেন

১৫

ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের মিথিলা

১৬

ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

১৭

কেয়ামত কি শুক্রবারেই সংঘটিত হবে, যা বলা হয়েছে হাদিসে

১৮

ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে তাইজুল, ছুঁয়ে ফেললেন সাকিবকে

১৯

ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন

২০
X