কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম
আপডেট : ০৫ মে ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ক্ষুধার জ্বালায় ঘাস খাচ্ছেন মুসলিম দেশটির মানুষ

চরম খাদ্যাভাবে সুদানের বাসিন্দারা। প্রতীকী ছবি
চরম খাদ্যাভাবে সুদানের বাসিন্দারা। প্রতীকী ছবি

দেশটিতে খাবার নেই। পানি নেই। কিছুটা মজুত খাবার থাকলেও সে খাবার কেনার টাকাও নেই। চরম সংকটে নাজেহাল দেশটিতে কমে গেছে ত্রাণ সরবরাহও।

সব মিলিয়ে চরম সীমায় পৌঁছে গেছে দুর্ভিক্ষ। ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে ঘাস খাচ্ছেন দেশটির বাসিন্দারা। এমনকি বাদামের খোসা খেয়েও জীবন ধারণ করছেন তারা। বলছিলাম ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে জর্জরিত সুদানের কথা।

জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বা ডব্লিউএফপির আশঙ্কা সুদানে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে। শনিবার ডব্লিউএফপির বরাত দিয়ে সুদানের এ চরম দুর্দশার খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন।

ডব্লিউএফপি বলেছে, পশ্চিম সুদানের দারফুরে মানুষের অনাহার ঠেকানোর সময় ফুরিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গোটা জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে।

শুক্রবার যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, দারফুর এবং সুদানের অন্যান্য যুদ্ধকবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব এলাকায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে ক্ষুধায় বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

ডব্লিউএফপির পূর্ব আফ্রিকার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড বলেছেন, খাদ্যাভাবে মানুষ ঘাস ও বাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছেন। শিগগিরই তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাতবিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখতে হতে পারে।

এর আগে গত বছরের ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরে এই সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। ইতোমধ্যেই প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন ৭৮ শতাংশ কমে গেছে।

বর্তমানে সুদানের বিভিন্ন শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে।

তবে ‘ইউএন অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ বলেছে, এল ফাশের অঞ্চলকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা বাসিন্দারা এখন বিপদে পড়েছেন।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানকার ৩৬ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছেন। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সংঘাতে এল ফাশের ও এর আশপাশে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। পশ্চিম এল ফাশেরে এক ডজনেরও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে।

শুধু তাই নয়, দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে যৌন হয়রানি, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে আগুন এবং অবকাঠামো ধ্বংসসহ ভয়ংকর সহিংসতা চলছে।

সংঘাতের এমন পরিস্থিতি আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দারফুরে খাদ্য সহায়তা বিতরণের কাজ থেমে গেছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

করলা চাষে দ্বিগুণ লাভে খুশি কৃষক

আপেল বাগান দেখতে প্রতিদিন শতশত মানুষের ভীড়

জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হালিমার

আম কুড়াতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর

কর্ণফুলীর বালুচরে সবুজের বিপ্লব

বেড়া পাউবো / ৩৭ কর্মকর্তার বদলির আবেদনে তোলপার

সুনামগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব ২০ পরিবার

জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল ভ্যান হারিয়ে দিশেহারা পরিবার

নিউটনের ‘ভয়ংকর’ যৌন নিপীড়নের তথ্য দিল র‍্যাব

যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

১০

ট্রাক্টর চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

১১

ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে শিক্ষার্থী খুন

১২

ছাত্রলীগ কর্মীকে বেধড়ক কোপাল প্রতিপক্ষরা

১৩

মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম

১৪

অবশেষে লালমনিরহাটে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি

১৫

মিষ্টি বিতরণের ধুম / চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

১৬

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত

১৭

টানা কয়েকদিন বৃষ্টির আভাস

১৮

পৃথিবীর যে স্থানে কেউ যেতে পারে না

১৯

সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা

২০
X