প্রচণ্ড গরমে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ
গত কয়েক সপ্তাহ মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহ তীব্র থেকে অতি তীব্রতে রূপান্তরিত হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ৪২ ও ৪৩ ডিগ্রির ঘরেই থাকছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে মেহেরপুরের হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। পেট ব্যথা, ঠান্ডা জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, কাশি, সর্দি, ডায়রিয়া ও পানি শূন্যতাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, বাড়ছে হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যাও।  বুধবার (১ মে) দুপুর ১২টার দিকে সরজমিনে ২৫০ শয্যা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায়, সেখানে ২৫৭ জন ভর্তি রোগী চিকিৎসাধীন।  এ ছাড়াও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা যায়, সেখানে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৪১২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৪৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ওয়ার্ড থেকে আজকে ২৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও আবার নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। এ ছাড়াও নতুন ৩১ রোগীসহ পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ৪২ জন। মহিলা ওয়ার্ডে নতুন ভর্তি ৩২ জনসহ মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১১০ জন। শিশু ওয়ার্ডে ৪৫টি শিশু ঠান্ডা-জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও বমিসহ নানা রোগের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ছাড়াও এইচডিইউ বিভাগে চারজন এবং আইসিইউ বিভাগে হিটস্ট্রোকের ১ জনসহ মোট ৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছিল শয্যা সংকট। তবে আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় রোগীর চাপ কিছুটা কম।  মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সাউদ কবির মালিক কালবেলাকে বলেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষভাবে এই গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাওয়াসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যেতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।  মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার কালবেলাকে বলেন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কাগজে-কলমে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও লোকবল মূলত ১০০ শয্যা হাসপাতালের। এর মধ্যেও রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসারের সংকট। জেলাজুড়ে চলমান অতি তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বেডের কিছুটা সমস্যা থাকলেও এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় ওষুধের কোনো সংকট নেই।
০১ মে, ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মেহেরপুর
চলতি মৌসুমে মেহেরপুর জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে দিনমজুর ও শ্রমিকরা বিপাকে পড়েছে। শুধু মানুষ নয়, প্রাণীকূলও করছে হাঁসফাঁস।  শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। জেলার আবহাওয়া প্রচণ্ড গরম হওয়াতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশাচালকেরা কাবু হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। এ ছাড়াও হাসপাতালগুলোতে ভিড় বাড়ছে বয়স্ক ও শিশু রোগীদের।  মেহেরপুর শহরের কোর্টমোড় এলাকার রিকশাচালক আব্দুল করিম বলেন, দুদিন ডায়রিয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। সকালেই হাসপাতাল থেকে বের হয়েছি। শরীরে দুর্বলতা থাকলেও জীবিকার তাগিদেই রিকশা নিয়ে বের হতে হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, শুক্রবার মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আর শনিবার তাপমাত্র আরও বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আপাতত মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের কোনো পূর্বাভাস বা সম্ভাবনা নেই।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

মেহেরপুর কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
মেহেরপুর জেলা কারাগারের আব্দুল আউয়াল (৪২) নামের এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি মাদক মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারা অভ্যন্তরে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  মৃত্যুবরণকারী আব্দুল আউয়াল গাংনী উপজেলা জেলার বামন্দি গ্রামের রকিবুল হোসেনর ছেলে। মেহেরপুর জেলা কারাগারের জেলার মো. আমানুল্লাহ কালবেলাকে বলেন, আব্দুল আউয়াল একটি মাদক মামলার আসামি ছিল। গত ১৫ জানুয়ারি আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। আজ সকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
০৭ মার্চ, ২০২৪

মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র রিটনকে শোকজ
সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেন এ শোকজ করেন। মেহেরপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ শোকজ করা হয়েছে। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের দপ্তর সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। শোকজ বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানের পক্ষে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছেন পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন। এ বিষয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার হতে দেখা যায়। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে মেহেরপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেন, তার স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, ভাই শহিদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল ও ভগ্নিপতি মো. আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে ব্যক্তিগত চরিত্র হেয় করতে অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেনকে দুর্নীতিবাজ, উন্নয়নকাজে বাধাদানকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাকে ও তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন বলে নোটিশে বলা হয়। আরও বলা হয়, সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ এবং উসকানিমূলক, মানহানিকর এবং ব্যক্তিগত চরিত্র হননমূলক বক্তব্য দিয়ে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১ (ক) ও ১৪ (২) লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। এ বিষয়ে পৌর মেয়রকে সশরীরে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে আগামী ১ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। 
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

মেহেরপুর জেলা বিএনপির দুই নেতাসহ আটক ১০
নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টোসহ ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে গাংনী উপজেলার বামন্দী এলাকা থেকে তাদের আটক করে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।   ডিবি সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বামন্দী ইউনিয়নের অলিনগর নামক স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীরা নাশকতার জন্য জড়ো হচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আহসান হাবীবের নির্দেশনায় ডিবির নেতৃত্বে অভিযান চালায় এসআই আশিকুর রহমান। অভিযানে জেলা বিএনপির দুই নেতাসহ ১০ জনকে আটক করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশের আভিযানিক দল। আটকদের গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আহসান খান জানান, হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি নেতাকর্মীরা নাশকতার অপচেষ্টা করছিল। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হলেও পালিয়ে যায় আরও কয়েকজন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলার আসামি হিসেবে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। তবে নাশকতার স্থান থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েকজনকে আটকের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে। আসামির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানান তিনি।
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের হামলা, ভাঙচুর
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেবিকা ও ওয়ার্ড বয়দের উপর হামলা চালিয়ে রোগীরা স্বজনরা। এসময় বেশ কিছু আসবাবপত্রও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে কর্মবিরতিতে যাওয়ার কথা চিন্তা করছে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের লোকজনের উপর।  জানা গেছে,  সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আলী হোসেন (৭২) পুরুষ ওয়ার্ডের  বি-৩২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সকালে ওয়ার্ড ভিজিটের সময় রোগীর এটেনডেন্ট কে ওয়ার্ডের বাইরে অপেক্ষা করতে বললে, তিনি উত্তেজিত হয়ে কয়েকজন কে ফোন দেন। এসময়  শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতির ছোট ভাইসহ বহিরাগত আট দশ জন এসে ওয়ার্ডবয়  ও নার্স ও ডাক্তারদের উপর চড়াও হয়। এসময় ওয়ার্ড বয় হিমেল মাস্টার সেলিমসহ কয়েকজন আহত হয়। হামলার ঘটনা জানতে পেরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেন এবং সংক্ষুব্ধদের তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কথা বলার ফাঁকে বহিরাগত আরো কয়েকজন সেখান থেকে বের হয়ে পাশে হাসপাতালের হিসাবরক্ষকের রুমে ভাঙচুর চালায়। এ সময় সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি খাতুনসহ কয়েকজন সেবিকা ও ওয়ার্ডবয় লাঞ্ছিত হয়। ঘটনার পর শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেন।  মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আাবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, হাসপাতালে ওয়ার্ড ভিজিটের সময় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা একটি নিয়মিত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারব না। শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি বলেন, ঘটনার কথা শুনে আমি হাসপাতালে গেছিলাম।হাসপাতাল সুপারের সাথে কথা হয়েছে। ছোট একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জামির মোঃ হাসিবুর সাত্তার বলেন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। তবে একজন জনপ্রতিনিধি আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আজকে যে তাণ্ডব চালিয়েছে এতে হাসপাতলের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। হাসপাতালের সকল স্টাফ কর্ম বিরতিতে যেতে চাচ্ছে। আমরা হাসপাতালের সকল স্টাফ মিটিংয়ে বসে একটি সিদ্ধান্ত নেব। আগের ঘটনাগুলোতে পুলিশে অভিযোগ করে কোনো ফল পাওয়া যায়নি, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার আদালতে মামলা করব। মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগ করেনি। আমি বাইরে থেকে ঘটনা শুনে ইন্সপেক্টর তদন্তকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

৬ ডিসেম্বর : মেহেরপুর মুক্ত দিবস আজ
‘মেহেরপুর মুক্ত’ দিবস বুধবার (৬ ডিসেম্বর) আজ। ১৯৭১-এর এই দিনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুর পাক হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় পর্যদুস্ত পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর শেষ দলটি ৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকে গোপনে মেহেরপুর ছাড়তে থাকে। পরের দিন ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর জেলা হানাদার মুক্ত হয়। এর আগে ২ ডিসেম্বর মেহেরপুরের গাংনী হানাদার মুক্ত হলে শিকারপুরে (ভারত) অবস্থিত মুক্তি বাহিনীর অ্যাকশন ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) তৌফিক ইলাহী চৌধুরী হাটবোয়ালিয়ায় এসে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করেন। মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী সম্মিলিতভাবে ৫ ডিসেম্বর মেহেরপুরে প্রবেশ করে। সীমান্তে পাকবাহিনীর স্থাপন করা অসংখ্য মাইন অপসারণের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর পুরোপুরিভাবে হানাদার মুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। ওইদিন মেহেপুরের জনসাধারণ এবং আপামর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বস্তরের লোক একযোগে রাস্তায় নেমে পড়ে আনন্দে উল্লাসিত হয় এবং মিষ্টি মুখ করে উল্লাসে মন প্রফুল্ল হয়। মেহেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। সকাল ৯টায় মেহেরপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

নেত্রকোনায় অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল মেহেরপুর থেকে নিখোঁজ সেই চিকিৎসক
নিখোঁজের তিন দিন পর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অচেতন অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেন পাভেলকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাভেল দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।  মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেন পাভেল ১৩ নভেম্বর তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ১৩ নভেম্বর তার ইমারজেন্সিতে ডিউটি থাকলেও তিনি ডিউটি অন্যের সঙ্গে সমন্বয় করেছিলেন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ ছিল না। ১৪ নভেম্বর তারিখে তার ডিউটি না থাকাতে বিষয়টি কারও নজরে আসেনি। বুধবার ১৫ নভেম্বর তিনি কর্মস্থলে না আসায় বিষয়টি সকলের দৃষ্টিগোচর হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসারের রুমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পায়। তার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পরিবার থেকেও জানানো হয় তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ হয়নি। পরিবার এবং মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারসহ ডিএসবি, ডিবি ও এনএসআইকে জানায়। এ বিষয়ে জানতে মেহেরপুর সদর থানায় যোগাযোগ করলে থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টা মিসিং বলা ভুল হচ্ছে। উনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি সম্পর্কে বলা যাবে। এক পর্যায়ে রাত ১১টায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফরহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  মেহেরপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. জমির মো. হাসিবুর সাত্তার কালবেলাকে বলেন, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ফরহাদ হোসেন পাভেলের মিসিংয়ের বিষয়টি অবগত হওয়ার মাত্র আমরা তার পরিবারসহ পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করি। তার সন্ধান পাওয়া গেছে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অচেতন অবস্থায় পেয়ে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি নেত্রকোনা সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেছি। সেখানকার চিকিৎসকরা মনে করছেন তাকে নেশা জাতীয় কোনো দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছে। তবে ফরহাদ হোসেন এখনো অচেতন থাকাতে কিভাবে তিনি ওখানে গেলেন বা তার সাথে কি হয়েছিল, এ নিয়ে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া এখনো সম্ভব হয়নি।
১৬ নভেম্বর, ২০২৩

জনবল সংকটের মধ্যেই মেহেরপুর জেলা কারাগারে বাড়ছে বন্দির চাপ
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের সকল কারাগারে বন্দির চাপ ক্রমশ বাড়ছে। কোনো কোনো কারাগারে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণের চেয়েও বেশি বন্দি রয়েছেন। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার হচ্ছেন অসংখ্য নেতাকর্মী। আর এতে হিমশিম খাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। ব্যতিক্রম নয় মেহেরপুর জেলা কারাগারও। সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সরজমিনে মেহেরপুর জেলা কারাগারে দেখা যায়, জেল কোড অনুযায়ী একজন বন্দির জন্য ৩৬ ফুট জায়গা প্রয়োজন। এই হিসাবে মেহেরপুর জেলা কারাগারে ৩৩০ জন কারাবন্দি রাখার জায়গা রয়েছে। ১৩ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত এই কারাগারে বন্দি ছিলেন ৩২৯। মেহেরপুর জেলা কারাগারের সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এই কারাগারে বন্দি ধারণ ক্ষমতা কাগজে কলমে ২০০ জনের। কিন্তু কিছু ভৌত অবকাঠামো নতুন কারাগারটি চালু হওয়ার পর নির্মিত হওয়ায় কারা অধিদফতরের নিয়মানুযায়ী সার্ভে করে বন্দি ধারণ ক্ষমতা ৩৩০ ঘোষণা করার সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। ২০১৫ সালে কারাগারটির কারারক্ষীর সংখা ৩৫ জন থেকে ৫১ জনে উন্নীত করা হয়। তারপরও বর্তমানে জনবল সংকটে রয়েছে কারাগারটি। কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলে মোট ৮০ পদের বিপরীতে জনবল রয়েছে মোট ৬৫ জনের। ডেপুটি জেলারের ২টি পদের বিপরিতে কর্মরত রয়েছেন একজন। সিভিল সার্জনের নির্দেশে কারাগারে একজন চিকিৎসক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত আছেন, তবে নাই কোনো ডিপ্লোমা নার্স। ফার্মাসিস্টের একটি পদ থাকলেও সেটি খালি। জেল সুপার মনির আহমেদ চিকিৎসাজনিত কারণে ছুটিতে দেশের বাইরে থাকায় মেহেরপুর জেলা কারাগারের জেলার মো. আমান উল্লাহ কালবেলাকে বলেন, ‘লোকবল সংকটজনিত কিছুটা সমস্যা থাকলেও বর্তমান জনবল নিয়েই কারাগারের সকল কর্মকাণ্ড সুচারুরূপে চালিয়ে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বন্দিদের খাবারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া আছে। শীত নিবারণের জন্যও রয়েছে পর্যাপ্ত কম্বলও। কিছু আপডেটেড সিকিউরিট ইকুইপমেন্টসহ শুন্য পদে জনবল চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও সুচারুভাবে জেলা কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৩০টি সিসিটিভি ক্যামেরা প্রয়োজন, এখানে কিছুটা ঘাটতি আছে।‘
১৪ নভেম্বর, ২০২৩

শহর ছেড়ে সীমান্তে মেহেরপুর জেলা বিএনপির মিছিল
গ্রেপ্তার এড়ানোর কৌশল হিসেবে কেন্দ্রের ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিনে শহর ছেড়ে সীমান্তে মিছিল করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।   বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা ইছাখালী পাকুড়তলা মোড় থেকে শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকের অংশগ্রহণে ঝটিকা মিছিল শুরু হয়। এরপর প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি। এ সময় মিছিলের নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন। মিছিল থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ অবরোধের প্রথম দুই দিনে মেহেরপুর জেলা বিএনপির আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মাসুদ তরুণ দাবি করেন, অবরোধের প্রথম দুদিনে মেহেরপুর জেলা বিএনপির ৫২ নেতাকে আটক করা হয়েছে।  তবে নাশকতা ঠেকাতে ৩১ জনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছে মেহেরপুর জেলা পুলিশ।
০২ নভেম্বর, ২০২৩
X