খান মাহমুদ আল রাফি, মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ০৬:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রচণ্ড গরমে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ

মেহেরপুর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেড়েছে রোগীর চাপ। ছবি : কালবেলা
মেহেরপুর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বেড়েছে রোগীর চাপ। ছবি : কালবেলা

গত কয়েক সপ্তাহ মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহ তীব্র থেকে অতি তীব্রতে রূপান্তরিত হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ৪২ ও ৪৩ ডিগ্রির ঘরেই থাকছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরমে মেহেরপুরের হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। পেট ব্যথা, ঠান্ডা জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, কাশি, সর্দি, ডায়রিয়া ও পানি শূন্যতাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, বাড়ছে হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যাও।

বুধবার (১ মে) দুপুর ১২টার দিকে সরজমিনে ২৫০ শয্যা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায়, সেখানে ২৫৭ জন ভর্তি রোগী চিকিৎসাধীন।

এ ছাড়াও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা যায়, সেখানে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৪১২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বর্তমানে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৪৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ওয়ার্ড থেকে আজকে ২৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও আবার নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। এ ছাড়াও নতুন ৩১ রোগীসহ পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ৪২ জন। মহিলা ওয়ার্ডে নতুন ভর্তি ৩২ জনসহ মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১১০ জন। শিশু ওয়ার্ডে ৪৫টি শিশু ঠান্ডা-জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও বমিসহ নানা রোগের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ছাড়াও এইচডিইউ বিভাগে চারজন এবং আইসিইউ বিভাগে হিটস্ট্রোকের ১ জনসহ মোট ৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছিল শয্যা সংকট। তবে আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় রোগীর চাপ কিছুটা কম।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সাউদ কবির মালিক কালবেলাকে বলেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষভাবে এই গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি ও তরল খাবার খাওয়াসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যেতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার কালবেলাকে বলেন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কাগজে-কলমে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও লোকবল মূলত ১০০ শয্যা হাসপাতালের। এর মধ্যেও রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিকেল অফিসারের সংকট। জেলাজুড়ে চলমান অতি তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বেডের কিছুটা সমস্যা থাকলেও এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় ওষুধের কোনো সংকট নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জয়ের পরও শান্তর মুখে হতাশা

ঘুষ ছাড়া ফাইল ছাড়েন না কর্মকর্তা, রাজশাহী মাউশি কার্যালয়ে দুদক

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর লটকন

মুসলিম ছাত্রকে পাকিস্তানের পতাকায় মূত্রত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ ভারতে

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে ‘কড়া হুঁশিয়ারি’ ভারতের

মে মাসে পুড়তে পারে দেশ

ভাঙা হলো ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ মঞ্চ

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময় 

সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট আর জয়, মিরাজের ধন্যবাদ পেলেন যারা

সূর্যের তাপে পুড়ছে পাকিস্তান

১০

রাজনৈতিক মতৈক্যে করিডরের সিদ্ধান্ত নিন, সরকারকে সমমনা জোট

১১

ঈদের আগেই বাজারে আসছে নতুন নোট, যা থাকছে নকশায়

১২

মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে ঢাবি অ্যালামনাই

১৩

পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের অবস্থান কর্মসূচি

১৪

সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া সেই অধ্যক্ষকে কেন্দ্র সচিবের পদ থেকে অব্যাহতি

১৫

রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া করিডর নয় : শেখ বাবলু

১৬

ইবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের নিন্দা

১৭

ইসরায়েলি গুপ্তচর সন্দেহে ইরানে এক জনের ফাঁসি কার্যকর

১৮

তীব্র তাপদাহের সঙ্গে মে মাসে কালবৈশাখী-ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

১৯

ফ্যাসিস্ট আমলে হাজার হাজার শ্রমিককে পথে বসানো হয়েছে : রিজভী

২০
X