মেহেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৩৭ পিএম
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের হামলা, ভাঙচুর

হাসপাতালের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। ছবি : কালবেলা
হাসপাতালের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। ছবি : কালবেলা

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেবিকা ও ওয়ার্ড বয়দের উপর হামলা চালিয়ে রোগীরা স্বজনরা। এসময় বেশ কিছু আসবাবপত্রও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে কর্মবিরতিতে যাওয়ার কথা চিন্তা করছে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের লোকজনের উপর।

জানা গেছে, সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আলী হোসেন (৭২) পুরুষ ওয়ার্ডের বি-৩২ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সকালে ওয়ার্ড ভিজিটের সময় রোগীর এটেনডেন্ট কে ওয়ার্ডের বাইরে অপেক্ষা করতে বললে, তিনি উত্তেজিত হয়ে কয়েকজন কে ফোন দেন। এসময় শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতির ছোট ভাইসহ বহিরাগত আট দশ জন এসে ওয়ার্ডবয় ও নার্স ও ডাক্তারদের উপর চড়াও হয়। এসময় ওয়ার্ড বয় হিমেল মাস্টার সেলিমসহ কয়েকজন আহত হয়।

হামলার ঘটনা জানতে পেরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেন এবং সংক্ষুব্ধদের তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কথা বলার ফাঁকে বহিরাগত আরো কয়েকজন সেখান থেকে বের হয়ে পাশে হাসপাতালের হিসাবরক্ষকের রুমে ভাঙচুর চালায়। এ সময় সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি খাতুনসহ কয়েকজন সেবিকা ও ওয়ার্ডবয় লাঞ্ছিত হয়। ঘটনার পর শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেন।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আাবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, হাসপাতালে ওয়ার্ড ভিজিটের সময় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা একটি নিয়মিত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারব না।

শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি বলেন, ঘটনার কথা শুনে আমি হাসপাতালে গেছিলাম।হাসপাতাল সুপারের সাথে কথা হয়েছে। ছোট একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সমঝোতার প্রক্রিয়া চলছে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জামির মোঃ হাসিবুর সাত্তার বলেন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। তবে একজন জনপ্রতিনিধি আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আজকে যে তাণ্ডব চালিয়েছে এতে হাসপাতলের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। হাসপাতালের সকল স্টাফ কর্ম বিরতিতে যেতে চাচ্ছে। আমরা হাসপাতালের সকল স্টাফ মিটিংয়ে বসে একটি সিদ্ধান্ত নেব। আগের ঘটনাগুলোতে পুলিশে অভিযোগ করে কোনো ফল পাওয়া যায়নি, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার আদালতে মামলা করব।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগ করেনি। আমি বাইরে থেকে ঘটনা শুনে ইন্সপেক্টর তদন্তকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গরুর মাংসে হাড়-চর্বি বেশি দেওয়ায় সংঘর্ষ

‘বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না’

এক ইলিশ ১০ হাজার টাকা

ভাতের হোটেলের পাওনা চাওয়ায় গুলি

ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না : সেলিমুজ্জামান

‘জনগণের অধিকার ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিএনপি’

নিউইয়র্কের প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রমের উদ্বোধন

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

ফের জামায়াতের সমালোচনা করলেন হেফাজত আমির

জবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা হাসিবুলের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

১০

গণতন্ত্রে উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন পাওয়া গেছে : মির্জা ফখরুল

১১

আমরা পা ছেড়ে মাথার রগে ফোকাস করছি, মজার ছলে সর্ব মিত্র

১২

নাটকীয় ম্যাচ জিতে টাইগারদের সিরিজ জয়

১৩

জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যুতে হাসপাতালে ভিপি সাদিক কায়েম

১৪

হঠাৎ খিঁচুনিতে জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

১৫

আবারও ইনজুরিতে ইয়ামাল

১৬

ঈদগাহের নামকরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

১৭

খুলনায় ছেলের হাতে বাবা খুন

১৮

চাকসু নির্বাচন / ১৫ সেকেন্ডে দিতে হবে ১ ভোট

১৯

‘ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবীরা বেশি অমর্যাদার শিকার’

২০
X