সকল কর্মচারীর আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে : মেয়র তাপস
করপোরেশনে কর্মরত সকল কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে দয়াগঞ্জ ও ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসের বাসা বরাদ্দপত্র ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।  শেখ তাপস বলেন, আগে বাসা বরাদ্দ নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অপবাদ ছিল। এটা দুর্নীতির অন্যতম একটি খাত ছিল। আমরা অনিয়ম-দুর্নীতির সেসব চক্র ভেঙে দিয়েছি। ফলে বাসা বরাদ্দ প্রদানে এখন আর কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করার সাহস দেখায় না। যারা যোগ্য, যাদের প্রাপ্যতার ন্যায্যতা রয়েছে আমরা এখন তাদেরকেই বাসা বরাদ্দ দিচ্ছি। বাসা বরাদ্দে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন স্বচ্ছতার অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে অনেককেই বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে করপোরেশনের কর্মচারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশের আবাসন নিশ্চিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল কর্মচারীর জন্য আবাসন নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যতদিন দায়িত্বে থাকব ততদিন দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে জানিয়ে মেয়র বলেন, আমাদের আবাসনগুলোর মধ্যে একটা বড় অংশই একসময় অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর সেসব দখলদারদের আমরা উচ্ছেদ করে চলেছি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটা চলমান থাকবে, ইনশাআল্লাহ। যতদিন আমি আছি, ততদিন এই করপোরেশনের আবাসনগুলোতে কোনো অবৈধ দখলদার থাকতে দিব না। অনুষ্ঠানে দয়াগঞ্জের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস নীলপদ্ম-এ ৬৪ জন এবং ধলপুরস্থ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস শাপলা, শালুক ও পলাশ-এ ২৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়।  দয়াগঞ্জের নীলপদ্ম পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাসে ৩৪৩টি বাসা বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত হলেও বাসা বরাদ্দ প্রাপ্তির সকল মানদণ্ড পূরণ করেছে ৬৪ জন। একইভাবে ধলপুরে ২৯০টি বাসা বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত করা হয়। তন্মধ্যে পূর্বে ২৬৯টি বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাকি ২১টি বাসা আজ যোগ্যপ্রার্থীদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয়।  করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ ও ৪৯ নম্বর কাউন্সিলর বাদল সরদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
০৭ মে, ২০২৪

কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না : মেয়র তাপস
কামরাঙ্গীরচরে বসবাসরত কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এ সময় তিনি সেখানে বসবাসরত সবাইকে অমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতেও অনুরোধ করেছেন। রোববার (৫ মে) বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে কামরাঙ্গীরচরকে নান্দনিক, বাসযোগ্য ও বুদ্ধিদীপ্ত এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এসব কথা বলেন। শেখ তাপস বলেন, আপনাদের মধ্যে একটি শঙ্কা আছে যে, কামরাঙ্গীরচরের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য আপনাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। আমি আগেও পরিষ্কার করেছি আবারও বলছি, সেখান থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। এই উন্নয়ন পরিকল্পনা আপনাদের জন্য। সেখানে আপনারা থাকবেন, আপনাদের পরিবার থাকবে, আপনাদের বংশধরেরা থাকবে। কিন্তু আপনারা অমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। তিনি বলেন, আমরা পোস্তগোলা থেকে রায়ের বাজার পর্যন্ত ৮ সারির ইনার সার্কুলার রোড করছি। কামরাঙ্গীরচরবাসী সেই সড়কের সুফল ভোগ করবে। এছাড়া কামরাঙ্গীরচরের ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঝাউচর সড়ক ৬ সারিতে উন্নীত করার জন্য কাউকে উচ্ছেদের প্রয়োজনই হবে না। দ্বিতীয়ত, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে নদীর পাড় ঘেঁষে ৪ সারির যে সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে সেখানে ব্যক্তি মালিকানাধীন কারও কোনো এক ইঞ্চি জমিও পড়ছে না। তৃতীয়ত, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ সারির সড়ক প্রশস্ত করার জন্য মাত্র ৩.৪ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। বাকিটা পুরোটাই সরকারি জমি। সেই ৩.৪ একর জমিতে যাদের বাড়ি পড়বে আমরা তাদেরকে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ তো দেবই। পাশাপাশি আমি আর কামরুল চাচা (অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম) তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করব। সুতরাং, অহেতুক শঙ্কার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। মেয়র তাপস বলেন, একটি বিষয় আপনারা নিশ্চয় অনুধাবন করবেন, আজ নতুন প্রজন্মের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পুরাতন ঢাকায় থাকেন না। তারা হয় নতুন ঢাকা নয়তো উত্তরার মতো জায়গায় বসবাস করেন। এর মূল কারণ হলো, পুরাতন ঢাকা বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। কামরাঙ্গীরচরের যে অবস্থা, তাতে সেখানে বাসযোগ্যতা হলো তিন লাখ মানুষের। কিন্তু আপনাদের কথামতো সেখানে বসবাস করে ২০ লাখ মানুষ। সুতরাং এখনই যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে কামরাঙ্গীরচরও অচিরেই বাসযোগ্যতা হারাবে। সেজন্যই আমাদের এই উন্নয়ন পরিকল্পনা। তবে আমি আপনাদের আবারও আশ্বস্ত করছি, সেখান থেকে কাউকে অন্যায়ভাবে, অবৈধভাবে উচ্ছেদ করা হবে না। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, উনি আমাদের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা দেখিয়েছেন তাতে আমাদের মাঝে যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, ভয়-ভীতি ছিল তা অনেকাংশেই কমে এসেছে। এই উন্নয়ন পরিকল্পনায় তিনটা সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। সুতরাং, আমরা মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছি। তারপরও আমি বলব, আমার নামে যে ১০৪ ফুটের সড়ক প্রশস্ত করা হবে তাতে ৩.৪ একর জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে। সেসব জমির মালিকদের সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কামরাঙ্গীরচরের অন্যান্য সরকারি জমিতে পুনর্বাসন করা যায় কিনা সেটা আপনি বিবেচনা করবেন। আমি আশাবাদী, আপনি সহযোগিতা করবেন। অনুষ্ঠানে কামরাঙ্গীরচরবাসীর পক্ষে ঢাদসিক মেয়রের কাছে লিখিত স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মাঝে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
০৫ মে, ২০২৪

ঢাকার ভবন মালিকদের হুঁশিয়ারি দিলেন মেয়র তাপস
নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে প্রয়োজনে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর গুলিস্তান শহীদ মতিউর পার্কের (মহানগর নাট্যমঞ্চ) ড. কাজী বশির মিলনায়তনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা শহরে যেসব ভবন নির্মাণ করা হয় সেসব স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে পানির আধার রয়ে যায়। গবেষণালব্ধ বিভিন্ন ফল ও জরিপে আমরা দেখেছি যে, নির্মাণাধীন ভবনগুলো এডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে বড় ধরনের একটি আখড়ায় পরিণত হয়ে থাকে। তিনি বলেন, সুতরাং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভবন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে রিহ্যাবের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা এ কাজে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু এবার আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেব। এডিস মশার লার্ভা পেলে এবার শুধু জরিমানা নয়, প্রয়োজনে নির্মাণকাজই বন্ধ করে দেওয়া হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এবার মে মাস থেকেই অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আসন্ন এডিস মশার মৌসুমকে সামনে রেখে আমাদের যে কর্মপরিকল্পনা ও সূচি রয়েছে, সে অনুযায়ী মে মাসে আমরা পুলিশ  প্রশাসন, রাজউক, রেলওয়ে, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা করব। সেটার মূল উদ্দেশ্য হলো, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন যে সকল স্থাপনা ও আবাসন রয়েছে সেগুলো যেন তারা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। কোথাও যেন পানি জানতে না দেয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে আমরা সর্বাত্মকভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করব। জুন মাসে যেহেতু বর্ষা মৌসুম শুরু হবে, তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা যেন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারি সে লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে মে মাস থেকে অগ্রিম কিছু অভিযান আমরা পরিচালনা করব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অঞ্চল-২ এর সুয়ে মেন জো, অঞ্চল-৫ এর মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের ও রাজীব খাদেম, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় প্রমুখ।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না : মেয়র তাপস
উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কামরাঙ্গীরচর থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, কামরাঙ্গীরচরে স্থাপনা নির্মাণে কোনো অনুমোদিত প্রকল্প নেই। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে এক মতবিনিময়ে কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদ প্রতিনিধিদের এ আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র।  মেয়রের দপ্তরে কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদের সমন্বয়ক হাসান আহমেদ ও সদস্য সচিব এসএম মওলা রেজার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এসময় মেয়রের কাছে এক স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন নাগরিক পরিষদ প্রতিনিধিরা।  পরিষদের সভাপতি একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি নির্মলেন্দু গুণের কামরাঙ্গীরচরস্থ সৃজন কুটির (বাড়ি) পরিদর্শনের আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন তারা। জবাবে সুবিধাজনক সময়ে কবির সৃজন কুটির পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান মেয়র।  মতবিনিময়কালে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস প্রতিনিধি দলকে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি, কামরুল ইসলাম সরণি এবং ইনার সার্কুলার রিং রোড প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত করেন।  পরে নাগরিক পরিষদ প্রতিনিধিরা মেয়র শেখ তাপসকে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে সন্তুষ্টি জানান এবং আশ্বস্ত হয়েছেন মর্মে অবগত করেন। এ ছাড়াও প্রতিনিধিরা কামরাঙ্গীরচরের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহলের সৃষ্ট বহুমাত্রিক গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ থেকে তা প্রতিহত করবেন বলে মেয়রকে জানান।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাকা দক্ষিণে মশা নিয়ন্ত্রণে, হবে না জলাবদ্ধতা : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এবার বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ সিটিতে জলাবদ্ধতা হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এ সময় মেয়র জানান, পান্থকুঞ্জকে আগামী জুলাইয়ের আগে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) কারওয়ানবাজার মোড়ে অবস্থিত পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র এসব কথা জানান। মশার উপদ্রপের অভিযোগ তোলায় সুনির্দিষ্ট করে দক্ষিণ সিটির কোন ওয়ার্ডে মশা আছে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে জানতে চান মেয়র তাপস। জুরাইন ও যাত্রীবাড়ী এলাকায় এখনো মশার উপদ্রপ দেখা যাচ্ছে-ডিএসসিসি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, যাত্রীবাড়ী-জুরাইন এলাকায়ও এখন মশা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিউলেক্স মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমি আগেও বলেছিলাম, ইনশাল্লাহ আমরা মশা নিয়ন্ত্রণে রেখেই মৌসুম শেষ করতে পারব। শেখ তাপস বলেন, তারপরও যদি দুএক জায়গায় বেড়ে যায়, সেগুলোও নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেব। একজন কর্মচারী গাফিলতি করতেই পারে কিন্তু আমরা কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেই। অব্যাহতভাবে গাফিলতি করলে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং কর্মচ্যুত করলে সঙ্গে সঙ্গে অন্য জনবল নিয়োজিত করে থাকি। মশককর্মী বা মশক সংক্রান্ত কার্যক্রমে কোনো জনবল সংকট নেই। আমাদের নিয়োজিত সকালে সাতজন, বিকেলে ছয়জন এবং একজন মশক সুপারভাইজর—১৪ জন শুক্রবার ছুটি বাদে প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন। তিনি বলেন, করপোরেশন এলাকায় ২৪টি থানা, সেগুলো এডিস মশা বিস্তারের জন্য অভয়ারণ্য হয়ে থাকে। প্রস্তুতি পর্ব থেকে আমরা তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এগুলো আগে করতে চাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পরিষ্কার রাখতে চাই। যাতে মৌসুমে গিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ না করে বা সংকটে পরিণত না হয়। এ বছর দক্ষিণ সিটিতে জলাবদ্ধতা হবে না জানিয়ে তাপস বলেন, একদিনে জলাবদ্ধতা নিরসন, অন্যদিকে এডিস মশার বিস্তার রোধে সব প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম আমরা নিচ্ছি। গত বছর যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা ছিল, এবার সে এলাকায় কাজ করা হয়েছে। তাই জলাবদ্ধতা না হওয়ায় সম্ভাবনা আছে। পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করায় জলাবদ্ধতা রোধ করা যাবে। ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোনো জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না। এ সময় অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জ হবে নান্দনিক উদ্যান : মেয়র তাপস
আগামী জুলাই মাসের আগে পান্থকুঞ্জকে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১৭ এপ্রিল) পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, পান্থকুঞ্জ উদ্যান এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। এটা উন্নয়নের জন্য ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে ঢাকা লিমিটেড এক্সপ্রেসওয়ে এদিক দিয়ে নেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ফলে এই পার্কের উন্নয়ন কাজটা বন্ধ হয়ে যায়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি, দেন-দরবার করেছি। এর ফলশ্রুতিতে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরাই কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।  শেখ তাপস বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে। নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি এবার আর জলাবদ্ধ থাকবে না। নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নিয়েছি। এর মূল কারণ হচ্ছে পিলখানা ভেতর দিয়ে আগে যে পানি প্রবাহপ্রবাহের নর্দমা ছিল সেগুলো ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলবদ্ধতা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি এবং সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানিপ্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকটা এলাকায় বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোন জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের আগে সূচি অনুযায়ী বক্স কালভার্ট, খাল ও নর্দমাগুলো পরিষ্কার করে থাকি। কারণ যাতে করে বর্ষার সময় পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। এ ছাড়া ঢাকা শহরে আমরা ব্যাপকভাবে নর্দমা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রেখেছি। পরে মেয়র সায়েদাবাদ টার্মিনাল সংলগ্ন সায়েদাবাদ সুপার মার্কেট, গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পাঠাগার ও ওয়ারীর তাজউদ্দীন স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের, নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুঁইয়া ও সাইফুল ইসলাম জয়, স্থানীয় ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাবুল এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নারগিস মাহতাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের পর পুরান ঢাকায় রাসায়নিক গুদামে চিরুনি অভিযান : মেয়র তাপস
আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর পুরান ঢাকার অবৈধ রাসায়নিক গুদামের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) উদ্যোগে মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘পুরান ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে যানজটের প্রভাব ও উত্তরণের উপায় চিহ্নিতকরণ’ শীর্ষক স্টেকহোল্ডার মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন।  শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘পুরান ঢাকা আমরা আর ঝুঁকিপূর্ণ রাখতে পারি না। কিছুদিন আগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং এটা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ইতোমধ্যে রাসায়নিক দ্রব্যাদি স্থানান্তরের জন্য যে গুদামঘর, কারখানা প্রয়োজন তা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শ্যামপুরে শিল্পাঞ্চলে করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত সেখানে মাত্র একজন গিয়েছেন। আমরা তাকে বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) দিয়েছি। আরেকজন আবেদন করেছেন। সেটাও আমরা করে দিচ্ছি। এই সভার মাধ্যমে পুরান ঢাকায় যারা রাসায়নিক ব্যবসা করছেন তাদের প্রতি আমার নিবেদন এবং কঠোর হুঁশিয়ারি থাকবে। আপনারা আইন অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে সেখানে স্থানান্তরিত হোন। না হলে ঈদের পর আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করব।’ রাসায়নিক দ্রব্যাদির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত হয় এমন ভবনগুলো প্রয়োজনে সিলগালা করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৯২৪টি রাসায়নিক দ্রবাদির গুদাম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সেখানে রয়েছে। ২০১৭ সালের পর থেকে সেসব প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন বন্ধ রেখেছি। তারপরও আপনারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে সেখানে ব্যবসা করছেন। আমরা ঈদের পরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে সব বন্ধ করে দেব। আরেকটি বিষয় হলো, সেসব ভবনে উপরে কিন্তু অনেকেই আবাসন হিসেবে ব্যবহার করেন আবার নিচে গুদামঘর। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক। তাই প্রয়োজনে সেসব ভবন সিলগালা করে বিদ্যুৎ-পানি বন্ধ করে দেব। এতে পুরো ভবন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন যে ভোগান্তি হবে সেজন্য আপনারা আমাদের দোষারোপ করতে পারবেন না।’  ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিটিসিআই’র নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক মো. আব্দুল বাকী মিয়াসহ পুরান ঢাকাকেন্দ্রিক ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা জানান, বাংলাদেশের জিডিপিতে ঢাকার অবদান ৪৬ শতাংশ আর ঢাকাকেন্দ্রিক যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে তারমধ্যে পুরান ঢাকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান প্রায় ৪০ শতাংশ। সুতরাং পুরান ঢাকার যানজট কমাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে এবং বিদ্যমান সমস্যাসমূহের আশু সমাধান অত্যন্ত জরুরি। সভায় অন্যান্যের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেশি, চিকিৎসা না পেয়ে : মেয়র তাপস
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।  বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে ভূতের গলি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, যে বিষয়টা সবচেয়ে পীড়াদায়ক তা হলো, গত বছর মৃত্যুর হার খুবই বেড়ে গিয়েছিল। সেই ক্ষেত্রে আমরা বলেছি, স্বাস্থ্যসেবাকে আরও নিশ্চিত করতে হবে। গত বছর কিছু বিষয় আমরা লক্ষ্য করেছি, রোগীদের প্রাথমিক পর্যায়ে বলা হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করলেও চলবে। পরে দেখা গেছে সেই রোগীর পরিস্থিতি আরও বেশি খারাপ হয়েছে। পরে তিনি যখন ভর্তি হয়েছেন, তখন দেখা গেছে তাকে সেভাবে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যায়নি। এতে করে মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে সভায় বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে ১৭০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আক্রান্ত ১০০ জনের মধ্যে দশমিক ৫৩ জন মারা গেছেন। একই সময়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ লাখ ২৮ হাজার ৫৯০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১০৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা শতকরা শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ। অর্থাৎ ব্রাজিলের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার বেশি ১০ গুণ, ভারতের তুলনায় বেশি ৬ গুণ। একই বছর ভারতের ৯৪ হাজার ১৯৮ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের। মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। পৃথিবীর অনেক দেশের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে মেয়র তাপস বলেন, ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে বিশেষ করে, যেসব দেশে মৌসুমি বৃষ্টি হয় তথা বর্ষাপ্রবণ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এডিস মশা বেশি হয়। সেসব দেশের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি, তাদের তুলনায় আমাদের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, আমাদের দেশে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবাটা সঠিকভাবে পাচ্ছে না। ২০১৯ সালে ঢাকা শহরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজারের মতো হলেও মৃত্যু হয়েছিল ২০০ এর নিচে। গত বছর ঢাকা শহরে রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১০ হাজার। কিন্তু মৃত্যু ১ হাজার ৭০০ এর বেশি। মেয়র বলেন, পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট, স্বাস্থ্যসেবাকে আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করব। সে বিষয়ে সিটি করপোরেশন পর্যাপ্ত কাজ করছে। আমাদের পরিধি অনেক বৃদ্ধি করেছি। আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সময় বৃদ্ধি করেছি। আমাদের কর্মীরা আসলে মাঠপর্যায়ে কাজ করছে কি না, কর্মপরিকল্পনা পরিপালন করছে কি না ইত্যাদি বিষয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তদারকি করছি। সে ক্ষেত্রে আমরা মনে করি, আমাদের প্রয়াস বা কর্মপরিকল্পনা ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে করে একটি মৃত্যুও না ঘটে। গত বছর শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়েছে এবং অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছে জানিয়ে মেয়র বলেন, এটা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। আক্রান্ত ও মৃত্যু হার কমাতে আমাদের যৌথভাবে আরও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে আরও বেশি কঠোরতা দেখানো হবে বলেও জানান মেয়র তাপস। এ সময় ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররাও উপস্থিত ছিলেন।  
২০ মার্চ, ২০২৪

ডেঙ্গুতে নারী ও শিশুর বেশি মৃত্যু হচ্ছে : মেয়র তাপস
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নারী ও শিশু বেশি মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, গবেষণার মাধ্যমে এর কারণ বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাসকরণ এবং চিকিৎসাসেবা সুসমন্বিতকরণবিষয়ক সভায় তিনি এ কথা জানান। তাপস বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত সব রোগীর সময়মতো চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। কোনো রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠানো যাবে না। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নারী ও শিশু বেশি কেন মারা গেল, তা গবেষণার পর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃতের বিষয়ে মানুষকে সঠিক তথ্য জানানোরও তাগিদ দেন তাপস। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে আমাদের এক হয়ে মাঠে নেমে কাজ করতে হবে। কোনো ভেদাভেদ যেন আমাদের মধ্যে না হয়। করোনা যেভাবে আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করেছি, ডেঙ্গুও এক হয়ে প্রতিরোধ করব। এ বছর ওষুধ কিনতে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর আবদুল্লাহ, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএসএমএমইউর ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্যরা।
১৯ মার্চ, ২০২৪

ভুল সংশোধনের উদ্দেশ্যেই অভিযান চলছে : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়ে তুলতে এবং ভুল সংশোধনের উদ্দেশ্যেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব ভুল শুধরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবার আবেদন করলে, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও ভবন খুলে দেওয়া হবে।’  বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে ‘সাউথ পয়েন্ট নগর ব্যায়ামাগার’ উদ্বোধন শেষে অগ্নি-নিরাপত্তা ও চলমান অভিযান প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।  মেয়র তাপস বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বেইলি রোডের দুর্ঘটনার পর থেকে অত্যন্ত কঠোরভাবে এসব বিষয় দেখভাল করছে। এ ক্ষেত্রে যে জায়গায় আইনের ব্যত্যয় পাচ্ছে, সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আমরা দেখছি, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর সরকারের উদ্যোগে ব্যাপক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে গার্মেন্টস শিল্পগুলো আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তখন সংস্থাগুলো গার্মেন্টসগুলোতে ঘুরে দেখেছে এবং সমস্যাগুলো নিরূপণ করে সমাধান করেছে। আমাদেরও এই অভিযানের উদ্দেশ্য সংশোধন।’  কঠোরভাবে অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিযান পরিচালনা করে যেখানে সমস্যা পাওয়া যাবে, প্রাথমিকভাবে সেগুলো বন্ধ করে দেব। পরবর্তী সময়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি তাদের ভুল শুধরে আবার আবেদন করে, তখন আমরা যাচাই করে তাদের ছাড়পত্র দিয়ে দেব। এতে তারা আবার তাদের ব্যবসা এবং তাদের অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। এটি সংশোধনীমূলক উদ্যোগ।’ একই সঙ্গে বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় পারস্পরিক দোষারোপ না করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির মুখোমুখি করে দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বানও জানান তিনি।  প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে রাজউক, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনা করছে সংস্থাগুলো।
০৬ মার্চ, ২০২৪
X