ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এবার বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ সিটিতে জলাবদ্ধতা হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এ সময় মেয়র জানান, পান্থকুঞ্জকে আগামী জুলাইয়ের আগে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) কারওয়ানবাজার মোড়ে অবস্থিত পান্থকুঞ্জ পার্কের অভ্যন্তরে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র এসব কথা জানান।
মশার উপদ্রপের অভিযোগ তোলায় সুনির্দিষ্ট করে দক্ষিণ সিটির কোন ওয়ার্ডে মশা আছে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে জানতে চান মেয়র তাপস। জুরাইন ও যাত্রীবাড়ী এলাকায় এখনো মশার উপদ্রপ দেখা যাচ্ছে-ডিএসসিসি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, যাত্রীবাড়ী-জুরাইন এলাকায়ও এখন মশা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিউলেক্স মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমি আগেও বলেছিলাম, ইনশাল্লাহ আমরা মশা নিয়ন্ত্রণে রেখেই মৌসুম শেষ করতে পারব।
শেখ তাপস বলেন, তারপরও যদি দুএক জায়গায় বেড়ে যায়, সেগুলোও নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেব। একজন কর্মচারী গাফিলতি করতেই পারে কিন্তু আমরা কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেই। অব্যাহতভাবে গাফিলতি করলে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং কর্মচ্যুত করলে সঙ্গে সঙ্গে অন্য জনবল নিয়োজিত করে থাকি। মশককর্মী বা মশক সংক্রান্ত কার্যক্রমে কোনো জনবল সংকট নেই। আমাদের নিয়োজিত সকালে সাতজন, বিকেলে ছয়জন এবং একজন মশক সুপারভাইজর—১৪ জন শুক্রবার ছুটি বাদে প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছেন।
তিনি বলেন, করপোরেশন এলাকায় ২৪টি থানা, সেগুলো এডিস মশা বিস্তারের জন্য অভয়ারণ্য হয়ে থাকে। প্রস্তুতি পর্ব থেকে আমরা তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এগুলো আগে করতে চাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো পরিষ্কার রাখতে চাই। যাতে মৌসুমে গিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ না করে বা সংকটে পরিণত না হয়।
এ বছর দক্ষিণ সিটিতে জলাবদ্ধতা হবে না জানিয়ে তাপস বলেন, একদিনে জলাবদ্ধতা নিরসন, অন্যদিকে এডিস মশার বিস্তার রোধে সব প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম আমরা নিচ্ছি। গত বছর যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা ছিল, এবার সে এলাকায় কাজ করা হয়েছে। তাই জলাবদ্ধতা না হওয়ায় সম্ভাবনা আছে। পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করায় জলাবদ্ধতা রোধ করা যাবে। ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গা ছাড়া তেমন কোনো জায়গায় এখন দীর্ঘ সময় জলবদ্ধতা থাকে না।
এ সময় অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন