আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার (২৪ এপ্রিল) আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া তিনজন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। নতুন নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে মোট বিচারপতির সংখ্যা হলো আটজন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই তিনজন বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এই তিন বিচারপতিকে শপথ পড়াবেন প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান। আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আজ বুধবার তাদের শপথ হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার তাদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

কাতারের আমিরকে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা
দুদিনের সফরে ঢাকায় আসা কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৫টার পর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবেও তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর আগে বিকেল ৫টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এ সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তাকে অভ্যর্থনা জানান।  রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২২ ও ২৩ এপ্রিল কাতারের আমির ঢাকায় এসেছেন। গত দুই দশকের মধ্যে এটিই হতে যাচ্ছে কাতারের আমিরের প্রথম বাংলাদেশ সফর। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ৬টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। সফরকালে যে ছয়টি চুক্তি সই হবে সেগুলো হলো- ১. দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, ২. আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, ৩. সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি, ৪. উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, ৫. দুই দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি সংক্রান্ত চুক্তি এবং ৬. যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি। এ ছাড়া শ্রমশক্তিবিষয়ক সমঝোতা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। ওইদিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। আগামী ২৩ এপ্রিল সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ বিষয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে ড. হাছান মাহমুদ জানান, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাতারের আমিরের সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে জ্বালানি বিষয়ে দুদেশের মধ্যে বহুমুখী আলোচনা হবে।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

রাষ্ট্রপতির এপিএস হলেন হায়দার মোহাম্মদ জিতু
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন হায়দার মোহাম্মদ জিতু। বুধবার (২২ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, হায়দার মোহাম্মদ জিতুকে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বেতন স্কেলে (৯ম গ্রেডে) রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, তার পিতার নাম সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আর মাতার নাম সৈয়দা মনিরা বেগম। বাসা রংপুরের সাতমাথায়।   আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতি যতদিন এ পদ অলংকৃত করবেন অথবা হায়দার মোহাম্মদ জিতুকে সহকারী একান্ত সচিব পদে বহাল রাখার অভিপ্রায় পোষণ করবেন ততদিন এ নিয়োগ আদেশ কার্যকর থাকবে।
২২ নভেম্বর, ২০২৩

বর্ণাঢ্য আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন
যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ (২১ নভেম্বর) উদযাপিত হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী দিবস। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমানবাহিনী ঘাঁটির মসজিদসমূহে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে  রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে পৃথকভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পুষ্পস্তবক অর্পণকালে শহীদদের স্মরণে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এর আগে তাঁরা শিখা অনির্বাণে এসে পৌঁছালে তিন বাহিনী প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার তাঁদের স্বাগত জানান। পরে মুক্তিযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণে সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে গমণ করেন। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালকবৃন্দ। পরে তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।  এ সময় প্রধানমন্ত্রী আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্ধারিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করেন। তিনি তাদের হাতে সম্মানী চেক এবং উপহার তুলে দেন। এ ছাড়াও পাঁচজন সেনা, তিনজন নৌ এবং তিনজন বিমান বাহিনী সদস্যদের ২০২২-২৩ সালের শান্তিকালীন পদকে ভূষিত করা হয়।  ০৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নিকট আত্মীয়সহ প্রায় ১০১ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীগণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, আরসিডিএস, পিএসসি (অব.), সেনাবাহিনীপ্রধান, নৌবাহিনীপ্রধান, বিমান বাহিনীপ্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সাথে চা চক্রে অংশগ্রহণ করেন।    পরে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনীপ্রধান, নৌবাহিনীপ্রধান ও বিমান বাহিনীপ্রধান বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ (২১ নভেম্বর) নৌবাহিনী প্রধান নৌবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনীপ্রধান আগামী ২৩ নভেম্বর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা/তাঁদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা প্রদান করবেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সেনাকুঞ্জে অপরাহ্ণে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই সংবর্ধনায় সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাগণ ছাড়াও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ ও স্থানীয় দূতাবাসসমূহের বিদেশি কূটনৈতিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনা স্থলে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং চা চক্রে মিলিত হন। সংবর্ধনায় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিগণ, প্রাক্তন প্রধান উপদেষ্টাগণ, মন্ত্রী ও মন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, ডেপুটি স্পিকার, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতগণ, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ, বিচারপতিগণ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, মুখ্য সচিব, সংসদ সদস্যগণ (ঢাকা এলাকার), প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তাগণ, বাহিনীত্রয়ের প্রাক্তন প্রধানগণ, ২০২৩ সালে ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, স্বাধীনতাযুদ্ধের সব বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধিকারীগণ, স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ঢাকা এলাকায় বসবাসরত খেতাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/তাঁদের উত্তরাধিকারীগণ, উচ্চপদস্থ অসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং তিন বাহিনীর চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ।           এদিকে, দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য ঢাকার বাইরে দেশের অন্যান্য সেনা গ্যারিসন, নৌ জাহাজ ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটিতেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌবাহিনী জাহাজসমূহ দুপুর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বসাধারণের দেখার জন্য নিকটস্থ ঘাঁটসমূহে অবস্থান/নোঙ্গরকৃত অবস্থায় রাখা হবে। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন সশস্ত্র বাহিনীর পরিবেশনায় ‘বিশেষ অনির্বাণ’ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। বাংলাদেশ বেতার ‘বিশেষ দুর্বার’ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। ‘বিশেষ অনির্বাণ’ অনুষ্ঠানটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সম্প্রচারিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে  আগামীকালের বাংলা ও ইংরেজি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। এ ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালনাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।     
২১ নভেম্বর, ২০২৩

যথাসময়ে নির্বাচন চান রওশন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যথাসময়ে নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। পাশাপাশি রওশন এরশাদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সব দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টিও রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেছেন। জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবং সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙা বৈঠকের পর বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা জানান। তিনি বলেন, সব দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে তাদের জানিয়েছেন। এ আগে আজ বেলা ১২টার দিকে বঙ্গভবনে যান রওশন এরশাদ। সঙ্গে ছিলেন মসিউর রহমান, রাহগীর এরশাদসহ চারজন। তারা বঙ্গভবনে প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন। মসিউর রহমান জানিয়েছেন, তারাই রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন। মসিউর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতিকে রওশন এরশাদ বলেছেন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন সময়মতো না হলে সাংবিধানিক সংকট হবে। যথাসময়ে নির্বাচন করতে সহযোগিতার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করবে বলে তিনি আশা করেন। মসিউর রহমান বলেন, যদি সম্ভব হয়, যে দলগুলো তপশিলের বিরোধিতা করছে, তাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আলোচনা করতে পারেন কি না, সেটা আলোচনায় তুলেছেন রওশন এরশাদ। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। রাষ্ট্রপতির কাছে রওশন এরশাদ মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর থেকে কিছুটা পিছিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন বলে জানান মসিউর রহমান। তিনি বলেন, ওইদিন (৩০ নভেম্বর) আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ারও শেষ দিন। সে কারণে মনোনয়নপত্র জমা দু-এক দিন পিছিয়ে দেওয়ার কথাটি বলেছেন রওশন এরশাদ। মসিউর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতি বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তাদের জানিয়েছেন। এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ১৪ অক্টোবর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
১৯ নভেম্বর, ২০২৩

রাষ্ট্রপতির ওপেন হার্ট সার্জারি বুধবার
সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে আগামীকাল রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের ওপেন হার্ট সার্জারি করা হবে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।  রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে ভর্তি হন রাষ্ট্রপতি।  বুধবার সকালে বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডাক্তার কফিদিস থিওডোরোস (Prof. Kofidis Theodoros) এর তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপ্রধানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হবে। রাষ্ট্রপতি তাঁর আশু আরোগ্য কামনায় দেশবাসীসহ সবার দোয়া চেয়েছেন । এর আগে সোমবার (১৬ অক্টোবর) চিকিৎসার  জন্য সিঙ্গাপুর যান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
১৭ অক্টোবর, ২০২৩

দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও উদ্যোক্তাদের সবাইকেই দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনাদের দুর্নীতি এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে সরকার সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে- উৎসাহ জোগাবে।’ দেশের শিল্পোন্নয়নে বিদ্যমান সব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সবার সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যেই ‘উন্নত বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব। রাষ্ট্রপতি বলেন, ইতিমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে সনাতনী থেকে ডিজিটাল কর্মসূচিতে পদার্পণের ছোঁয়া পরিলক্ষিত হয়েছে এবং ডিজিটাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট কর্মসূচিতে পদার্পণে বেশি সময় লাগবে না। ‘বর্তমানে আমাদের স্লোগান হবে টেকসই শিল্পায়ন স্মার্ট বাংলাদেশের দর্শন।’ তিনি বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর অতি মুনাফালোভী মনোভাব ও রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এবং এতে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে। অল্পকিছু লোকের অপকর্মের দায়ভার গোটা ব্যবসায়ী সমাজের হতে পারে না।    রাষ্ট্রপতি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে অবদান রাখারও তাগিদ দেন। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের কল্যাণের পাশাপাশি দুস্থ মানবতার সেবায় দেশের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, এমপির সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কৃষিমন্ত্রী  ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়্যারম্যান এসএম নুরুল আলম রেজভী এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। রাষ্ট্রপতি নিজ আসনে বসে তা অবলোকন করেন।
০৩ অক্টোবর, ২০২৩

গণতন্ত্রে বিশ্বাসীদের জন্য আগামী নির্বাচন চরম পরীক্ষা : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সামনে দ্বাদশ নির্বাচন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসীদের জন্য এটি একটি এসিড টেস্ট (চরম পরীক্ষা)। এ জন্য গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সমিতির (অ্যাটকো) প্রতিনিধি দল। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে না পারলে আমাদের সব অর্জন বৃথা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় রাখতে সরকার সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধীচক্র যাতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সে লক্ষ্যে গণমাধ্যমকে আরও তৎপর হতে হবে।  মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, গণমাধ্যম সরকারের সমালোচনা করবে, তবে অবশ্যই তা গঠনমূলক হবে। সেই সঙ্গে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম তুলে ধরতে হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য কারা অপরিহার্য এবং কোন ধারার জনপ্রতিনিধি আবশ্যক তা ঠিক করতে এবং জনমত তৈরিতে গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অ্যাটকো সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী এবং ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ও অ্যাটকো সহসভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। 
০৮ জুন, ২০২৩
X