শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়- ম্যাথিউ মিলার
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। বাংলাদেশের কোনো বিশেষ দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। যুক্তরাষ্ট্র আগামী জাতীয় নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্র শুধু চায় বাংলাদেশের জনগণ যেন স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে। স্থানীয় সময় গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চান। এ নিয়ে মিলার বলেন, বাংলাদেশে তালেবানি ব্যবস্থা চালুর পক্ষে থাকা কট্টরপন্থি গোষ্ঠী ও বিরোধী নেতারা পিটারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এরই মধ্যে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি উগ্র মতাদর্শের সমালোচক সাংবাদিকদের তালিকাও প্রচার করা হচ্ছে। অন্যদিকে নাগরিক ও মানবাধিকারকর্মী, যুদ্ধাপরাধবিরোধী প্রচারকর্মী, সম্পাদক, সাংবাদিক, লেখক, সংখ্যালঘু নেতারা গণমাধ্যমের ওপর সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি অবমাননা হিসেবে দেখছেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কেন্দ্রে আছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। এরপর ওই সাংবাদিক মিলারের কাছে জানতে চান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে সমর্থন করেন কি না? ধর্মনিরপেক্ষ জাতির সমর্থনকারী এত বড় উদারপন্থি গোষ্ঠীর উদ্বেগকে কি তিনি সরাসরি অস্বীকার করেন? জবাবে মিলার বলেন,Ñতিনি গত সপ্তাহে যা বলেছিলেন, তা একটু ভিন্ন ভাষায় আবারও বলতে চান। তা হলোÑবাংলাদেশিরা যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রও তা-ই চায়। আর সেই চাওয়া হলো, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমÑসবাই এই ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছে। তারা চায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হোক। একই চাওয়া যুক্তরাষ্ট্রেরও। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি এই উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে। বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না। নির্বাচনের ফলকে প্রভাবিত করতে চায় না। বাংলাদেশের জনগণ যেন স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের লক্ষ্যে গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা দেয়। এতে বলা হয়,Ñনির্বাচনে কারচুপি, ভীতি প্রদর্শন এবং নাগরিক ও গণমাধ্যমের বাকস্বাধীনতায় যারা বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। এই ঘোষণার প্রায় চার মাস পর গত ২২ সেপ্টেম্বর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ শুরু হয়েছে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, গণমাধ্যমও ভিসা নীতির আওতায় আসতে পারে।
০৪ অক্টোবর, ২০২৩

পিটার হাসের নিরাপত্তা শঙ্কা ইস্যুতে কী বললেন ম্যাথিউ মিলার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস ও সেখানে কর্মরত আমাদের সকল কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন মিলার। নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বলেন, বাংলাদেশি এক টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুধু তার নিরাপত্তা উদ্বেগই নয়, দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। তার এই উদ্বেগ হওয়া স্বাভাবিক। কারণ আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর কয়েকটি হামলা দেখেছি। এখন প্রশ্ন হলো পিটার হাসের এই উদ্বেগ কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছেন? জবাবে মিলার বলেন, অবশ্যই কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি না। কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, দূতাবাস ও সব কূটনৈতিক কর্মীদের রক্ষার দায়িত্ব আয়োজক দেশের। তাদের ওপর আক্রমণ প্রতিরোধে সমস্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে আয়োজক দেশকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার আমাদের সব কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেবে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে গিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি সেখানে নিজের ও দূতাবাসে কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। 
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X