কোন রাস্তায় কত গতিতে যানবাহন চলবে, জানাল সরকার
সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে দেশব্যাপী সড়ক-মহাসড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে ও মহানগরীর রাস্তায় কত গতিতে কোন ধরনের যানবাহন চলবে, তা ঠিক করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।  গত রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এ বিভাগ থেকে ‘মোটরযানের গতিসীমা-সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার (৮ মে) থেকে এ বিধিমালা কার্যকর হয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী, এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৫০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ২০ কিলোমিটার। মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস, হালকা যাত্রীবাহী মোটরযান এবং বাস-মিনিবাস ও ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৭০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৬০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৪০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৪০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার। ট্রাক, মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ মালবাহী মোটরযান এবং ট্রেইলারযুক্ত আর্টিকুলেটেড মোটরযানের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৪০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার। এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ও (ক্যাটাগরি-বি) এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা সড়ক, সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/জেলা সদর, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে চলাচলের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে। এ ছাড়া শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ২০ ও ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে। গতকাল মঙ্গলবার (৭ মে) বিআরটিএ’র সাধারণ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সড়কের শ্রেণি ও মোটরযানের শ্রেণি/ধরন অনুযায়ী উপরে বর্ণিত গতিসীমাই হবে সর্বোচ্চ গতিসীমা। এ গতিসীমা মেনে সড়ক মহাসড়কে মোটরযান চালাতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা এবং হাট-বাজার সংলগ্ন সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত হবে; তবে তা কোনোক্রমেই জাতীয় মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে ৩০ কিলোমিটার/ঘণ্টার অধিক হবে না। জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত মোটরযান, যেমন: অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের ক্ষেত্রে এই গতিসীমা শিথিলযোগ্য হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে; দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘনকুয়াশাসহ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে; দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে মোটরযান চালানো বন্ধ রাখতে হবে; এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কের উভয়দিকের প্রবেশমুখ ও নির্দিষ্ট দূরত্বে যানবাহনভিত্তিক নির্ধারিত গতিসীমা সংক্রান্ত সাইন রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদর্শন করতে হবে; মোটরযানের শ্রেণি/ধরন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন গতিসীমার জন্য একই পোস্টে মোটরযানের নাম ও ছবি সম্বলিত গতিসীমার সাইন প্রদর্শন করতে হবে; এবং পাহাড়ি এলাকা, আঁকাবাঁকা সড়ক, বাঁক, ব্রিজ, রেল বা লেভেলক্রসিং, সড়ক সংযোগস্থল, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে সাইনে প্রদর্শিত গতিসীমা প্রযোজ্য হবে। বিআরটিএ’র বিশেষ নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে, সড়ক বাঁক, জাংশন, জ্যামিতিক কাঠামো, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে মোটরযানের শ্রেণি/ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্বের জন্য ট্রাফিক সাইন ম্যানুয়াল অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড ট্রাফিক সাইন পোস্ট ও গতিসীমা প্রদর্শন/স্থাপন করবে। মালবাহী মোটরযানসহ অন্যান্য স্বল্পগতির মোটর যান সর্বদা সড়কের বামপাশের লেন দিয়ে চলাচল করবে। শুধু ওভারটেক করার সময় ডান লেন ব্যবহার করতে পারবে, কখনো বাম লেন দিয়ে ওভারটেক করা যাবে না। ওভারটেকিং নিষিদ্ধ না থাকলে রাস্তার ট্রাফিক সাইন, রোডমার্কিং দেখে এবং সামনে, পেছনে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় জায়গা থাকলে নিরাপদ পরিস্থিতি বিবেচনায় ওভারটেক করা যাবে; এবং ওভারটেক করার সময় সামনে বিপরীত লেনে আসা গাড়ি এবং পেছনের গাড়ির অবস্থান ও গতিবেগ দেখে ওভারটেকিংয়ের জন্য নিরাপদ দূরত্ব আছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। বিশেষ নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এ নির্দেশিকায় উল্লিখিত গতিসীমা অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৩ ঘণ্টা আগে

সড়কে যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ
দেশব্যাপী সড়ক-মহাসড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে ও মহানগরীর সড়কে সব যানবাহনের গতিসীমা নির্দিষ্ট করে বিধিমালা অনুমোদন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ বিধিমালা অনুমোদন হলেও আজ বুধবার থেকে এটি কার্যকর হবে। বিধিমালা অনুযায়ী এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেট কার, বাস ও মিনিবাসের গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার, মোটরসাইকেল ৬০ কিলোমিটার এবং ট্রাক চলবে ৫০ কিলোমিটার গতিতে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জেলা শহরের মধ্যে মোটরসাইকেল ও ট্রাক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। অন্যান্য যানবাহনের জন্য এই গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। যদি কেউ গতিসীমা লঙ্ঘন করে তার বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন অমান্যকারীকে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে। এগুলো হচ্ছে- মোটর ভেহিক্যাল স্পিড লিমিট গাইডলাইন-২০২৪ এর কয়েকটি ধারা। যা সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে বিআরটিএ প্রথমবারের মতো জারি করেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বুধবার (০৮ মে) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন ধরনের সড়ক ও যানবাহনের জন্য বিভিন্ন গতির সীমা নির্ধারণকারী এই বিধিমালা আজ থেকে কার্যকর হবে। বিআরটিএ বলছে, এখনো সারা দেশে রাস্তাভেদে গতিসীমা নির্ধারণ করা আছে। তবে সব ক্ষেত্রে সেই গতিসীমা মানা হয় না। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে গতিসীমা থাকলেও অন্যান্য সড়কে থাকে না। সড়ক-মহাসড়কে ও মহানগরীর সড়কে মোটরযানের গতিসীমা নিয়ে গত সপ্তাহে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে একাধিক সভা হয়েছে অংশীজনদের সঙ্গে। তবে বিআরটিএ কর্মকর্তারা জানান, যদিও গতিসীমা নীতিমালা ছয় মাস আগেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে সেটি নিয়ে বিভিন্ন সময় কাজ করাতে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে সময় লেগে গেছে। এর আগে সব শ্রেণির সড়কে মোটরযানের গতিসীমা নির্ধারণের জন্য গতিসীমা ম্যাপ তৈরি করা হয়। এ ম্যাপে মহাসড়কের কোন অংশে গাড়ির সর্বোচ্চ গতি কত হবে, তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। তার আগে ২০১৫ সালে দেশের মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিয়েছিল জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল। ২০১৫ সালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল সভায় অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চলাচল ঠেকাতে গাড়িতে ‘স্পিড গভর্নর’ নামের একটি যন্ত্রও বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
১৭ ঘণ্টা আগে

একদিনে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৪ হাজার যানবাহন পারাপার
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রবেশ পথ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪ হাজার যানবাহন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পারাপার হয়েছে। কিন্তু নেই কোনো ভোগান্তি। কর্মক্ষেত্রে যাত্রীদের স্বস্তিতে ফিরতে ঘাটের পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশের বিশেষ নজরদারি রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে যায়। যানজট ও ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তিতে ফিরছে ঢাকামুখী যাত্রীরা। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ কালবেলাকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪ হাজার যানবাহন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে বাস ৫২১টি, ট্রাক ২৯২টি, ছোট গাড়ি ১ হাজার ৬১৭টি এবং মোটরসাইকেল ১ হাজার ৫১৪টি পারাপার হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ কালবেলাকে আরও জানান, দৌলতদিয়ায় ৭টি ফেরিঘাটের মধ্যে ৩টি ঘাট সচল রয়েছে। এর মধ্যে ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ঘাট চালু আছে। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাট শাখা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন কালবেলাকে জানান, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ ও যানবাহনের চাপ নেই। যাত্রী ও যানবাহন ফেরি ঘাটে পৌঁছানো মাত্রই ফেরিতে উঠে চলে যাচ্ছে। এই নৌরুটে ছোট বড় মিলে মোট ১৮টি ফেরি বর্তমানে চলাচল করছে।  বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন কালবেলাকে জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। এবং এগুলো দিয়েই যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ কালবেলাকে জানান, ঢাকামুখী যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার ও নিরাপত্তা জোরদারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। ঘাটের বিশেষ পয়েন্টগুলোতে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে ট্রাফিক পুলিশ, ডিবি পুলিশ, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ মিলিয়ে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু আছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

দুর্ঘটনা ঠেকাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি
যাত্রাপথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঠেকাতে ঈদযাত্রা বহরে ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চ বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান। তিনি বলেন, সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মনিটরিং দুর্বলতার সুযোগে অসাধু পরিবহন মালিকরা মুনাফার লোভে ফিটনেসবিহীন পরিবহন পথে নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সচিত্র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুটিকয় অসাধু সদস্যকে ম্যানেজ করে তারা এসব প্রতিবছর ঈদে এভাবে অতিরিক্ত যাত্রীবহন করে আসছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ কম ভাড়ায় ফিটনেসবিহীন পরিবহনের যাত্রী হতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এসব যানবাহন বন্ধে কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও প্রকৃতপক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। সে কারণে প্রতি ঈদেই দুর্ঘটনায় শত শত প্রাণহানি ঘটে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ঈদে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত এবং ৫৬৫ জন আহত হন। বিআরটিএর পক্ষ থেকে সারা দেশে ৫ লাখ ফিটনেস যানবাহনের তথ্য কিছুদিন আগেই গণমাধ্যমে এসেছে। এ ছাড়া নৌ-পথে কয়েক হাজার ফিটনেসবিহীন নৌযান অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করে। বিআরটিএ ও বিআইডব্লিউটিএর ব্যর্থতার কারণে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে এবার ঈদে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি
পথ দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে ঈদযাত্রায় বহরে ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চ বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।  সোমবার (১ এপ্রিল) দেশের গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বার্তায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।  বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মনিটরিংয়ের দুর্বলতা ও কিছু অসাধু পরিবহন মালিক বেশি মুনাফার আশায় ফিটনেসবিহীন বাস, ট্রাক ও লঞ্চ ঈদযাত্রায় যাত্রী পরিবহনের জন্য পথে নামানোর প্রস্তুতি নিয়েছে এমন খবর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সচিত্র প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। গুটিকয়েক অসাধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ম্যানেজ করে এসব যানবাহন প্রতিবছর ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীবহন করে থাকে। এ ছাড়াও বাস ও লঞ্চে ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যর কারণে নিম্ন লোকজন কম ভাড়ায় যাতায়াতের আশায় এসব ফিটনেসবিহীন বাস, লঞ্চ ও পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হতে বাধ্য হচ্ছে।  সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও প্রকৃতপক্ষে ঈদে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার কারণে প্রতি ঈদে পথ দুর্ঘটনায় শতশত মানুষের প্রাণহানি ঘটে।  বিগত ঈদুল ফিতরে ৩০৪ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত, ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিআরটিএ পক্ষ থেকে সারা দেশে ৫ লাখ ফিটনেস যানবাহনের তথ্য কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও নৌ-পথে কয়েক হাজার ফিটনেসবিহীন নৌযান ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের বহরে যোগ দেয়।  বিআরটিএ ও বিআইডাব্লিউটিএ এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে প্রতি ঈদে শতশত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এবারের ঈদযাত্রা বহরে এমন যানবাহন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন যাত্রী অধিকার সুরক্ষা নিয়োজিত সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।  
০১ এপ্রিল, ২০২৪

৯ যানবাহন নিয়ে পদ্মায় ডুবল ফেরি
ঘন কুয়াশার কারণে পদ্মা নদীর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট-বড় ৯টি যানবাহন নিয়ে নোঙর করা ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে গেছে। গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি থাকা ফেরিটি ডুবে যায়। ফেরিডুবির ঘটনায় ২৩ জন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এ ঘটনায় ফেরির দ্বিতীয় চালক নিখোঁজ রয়েছেন। দুপুরে ফেরি ও ট্রাক উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী নৌযান রুস্তম ও প্রত্যয়। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে ফেরিডুবির ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ বলছে, বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যায়। অন্যদিকে নদীতে ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে ফেরির তলা ফেটে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ। আর ফেরিতে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলছেন, ফেরিতে পানি উঠে কাত হয়ে ধীরে ধীরে এটি তলিয়ে যায়। ফেরিতে থাকা ট্রাক মালিক কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম পাটুরিয়া ঘাটে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো বাল্কহেড ধাক্কা দেয়নি। নিচ দিয়ে পানি উঠে ডুবে গেছে।’ তিনি জানান, ভোর ৪টার দিকে ফেরির তলা দিয়ে পানি ওঠা শুরু করে। সকালের দিকে ফেরি ডুবতে শুরু করে। ট্রাকে করে মালপত্র নিয়ে চাঁদপুর যাচ্ছিলেন তিনি। ফেরি ডুবতে শুরু করলে আশপাশে থাকা কয়েকটি নৌযান ফেরির আরোহীদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে। তাকেসহ কয়েকজনকে একটি ট্রলারে তুলে নেওয়া হয়। উদ্ধার পাওয়া আরোহীদের মধ্যে এক ট্রাকের কর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পানি উঠে ডুবে গেছে। ঘাটের ২০০ মিটারের কাছে, তাও ডুবে গেছে। নিচ দিয়ে পানি উঠছে। ফেরিওয়ালারা ঘাট কর্তৃপক্ষ কাউকে জানায়নি। তারা এখন বলছে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবেছে।’ তবে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবেছে, এতটুকু তথ্যই আমার কাছে আছে। নিচ দিয়ে পানি উঠে ফেরি ডোবার যে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীরা করছেন, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।’ ডুবে যাওয়া ফেরির চালক বলেন, ‘কুয়াশার কারণে নোঙর করে থাকা ফেরির স্টাফরা আমাদের ঘুমিয়ে যেতে বলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে যখনই ফেরি স্টার্ট করা দেখি, তখনই ফেরির একপাশ কাত হয়ে ডুবে যায়। পরে আমি সাঁতরে পাড়ে চলে আসি।’ ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, তাদের ডুবুরিরা মোট ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। কারও মৃত্যুর তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে ফেরির দ্বিতীয় চালক হুমায়ুন কবিরের (৩৯) খোঁজ মেলেনি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী ডুবুরি দলও সেখানে তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা র্যাব-৪ সিপিসি-৩-এর মানিকগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আরিফ হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এখানে এসে যতটুকু জেনেছি, ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরির দ্বিতীয় চালক হুমায়ুন নিখোঁজ রয়েছেন।’ বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. একেএম মতিউর রহমান জানান, ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে সাতটি ছোট ট্রাক এবং দুটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তারা পাটুরিয়া ঘাটের কাছাকাছি এসে পৌঁছায়। এ সময় অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে ফেরিটি ঘাটে নোঙর করতে না পেরে ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি নদীতে নোঙর করে। সকাল ৬টা সারে ৬টায় ফেরির মাস্টার বুঝতে পারেন, ফেরিটি এক পাশ কাত হয়ে পানি উঠছে। তখন তার চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন উদ্ধারকাজে ছুটে আসেন। তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিসির কারিগরি বিভাগের প্রধান পরিচালক কাজী ওয়াসির আহমেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন। তখন বোঝা যাবে দুর্ঘটনার আসল কারণ। এদিকে গতকাল দুপুরে মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশা এবং আবহাওয়ার সতর্কতা সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও জাহাজের ঘাট ছেড়ে নদীর মাঝখানে নোঙর করা ঠিক নয়। আবহাওয়া দেখে ফেরির ঘাটেই থাকা উচিত। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাল্কহেড নদীতে একটি বিপজ্জনক যানবাহনে পরিণত হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনে এসব যানবাহনের প্রয়োজনও আছে। তবে এগুলোকে আরও আধুনিকায়ন করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

৯ যানবাহন নিয়ে পদ্মায় ডুবল ফেরি
ঘন কুয়াশার কারণে পদ্মা নদীর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট-বড় ৯টি যানবাহন নিয়ে নোঙর করা ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে গেছে। গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি থাকা ফেরিটি ডুবে যায়। ফেরিডুবির ঘটনায় ২৩ জন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এ ঘটনায় ফেরির দ্বিতীয় চালক নিখোঁজ রয়েছেন। দুপুরে ফেরি ও ট্রাক উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী নৌযান রুস্তম ও প্রত্যয়। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে ফেরিডুবির ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ বলছে, বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যায়। অন্যদিকে নদীতে ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে ফেরির তলা ফেটে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ। আর ফেরিতে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলছেন, ফেরিতে পানি উঠে কাত হয়ে ধীরে ধীরে এটি তলিয়ে যায়। ফেরিতে থাকা ট্রাক মালিক কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম পাটুরিয়া ঘাটে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো বাল্কহেড ধাক্কা দেয়নি। নিচ দিয়ে পানি উঠে ডুবে গেছে।’ তিনি জানান, ভোর ৪টার দিকে ফেরির তলা দিয়ে পানি ওঠা শুরু করে। সকালের দিকে ফেরি ডুবতে শুরু করে। ট্রাকে করে মালপত্র নিয়ে চাঁদপুর যাচ্ছিলেন তিনি। ফেরি ডুবতে শুরু করলে আশপাশে থাকা কয়েকটি নৌযান ফেরির আরোহীদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে। তাকেসহ কয়েকজনকে একটি ট্রলারে তুলে নেওয়া হয়। উদ্ধার পাওয়া আরোহীদের মধ্যে এক ট্রাকের কর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পানি উঠে ডুবে গেছে। ঘাটের ২০০ মিটারের কাছে, তাও ডুবে গেছে। নিচ দিয়ে পানি উঠছে। ফেরিওয়ালারা ঘাট কর্তৃপক্ষ কাউকে জানায়নি। তারা এখন বলছে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবেছে।’ তবে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবেছে, এতটুকু তথ্যই আমার কাছে আছে। নিচ দিয়ে পানি উঠে ফেরি ডোবার যে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীরা করছেন, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।’ ডুবে যাওয়া ফেরির চালক বলেন, ‘কুয়াশার কারণে নোঙর করে থাকা ফেরির স্টাফরা আমাদের ঘুমিয়ে যেতে বলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে যখনই ফেরি স্টার্ট করা দেখি, তখনই ফেরির একপাশ কাত হয়ে ডুবে যায়। পরে আমি সাঁতরে পাড়ে চলে আসি।’ ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, তাদের ডুবুরিরা মোট ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। কারও মৃত্যুর তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে ফেরির দ্বিতীয় চালক হুমায়ুন কবিরের (৩৯) খোঁজ মেলেনি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী ডুবুরি দলও সেখানে তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা র্যাব-৪ সিপিসি-৩-এর মানিকগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আরিফ হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এখানে এসে যতটুকু জেনেছি, ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরির দ্বিতীয় চালক হুমায়ুন নিখোঁজ রয়েছেন।’ বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. একেএম মতিউর রহমান জানান, ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে সাতটি ছোট ট্রাক এবং দুটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তারা পাটুরিয়া ঘাটের কাছাকাছি এসে পৌঁছায়। এ সময় অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে ফেরিটি ঘাটে নোঙর করতে না পেরে ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি নদীতে নোঙর করে। সকাল ৬টা সারে ৬টায় ফেরির মাস্টার বুঝতে পারেন, ফেরিটি এক পাশ কাত হয়ে পানি উঠছে। তখন তার চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন উদ্ধারকাজে ছুটে আসেন। তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিসির কারিগরি বিভাগের প্রধান পরিচালক কাজী ওয়াসির আহমেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন। তখন বোঝা যাবে দুর্ঘটনার আসল কারণ। এদিকে গতকাল দুপুরে মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশা এবং আবহাওয়ার সতর্কতা সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও জাহাজের ঘাট ছেড়ে নদীর মাঝখানে নোঙর করা ঠিক নয়। আবহাওয়া দেখে ফেরির ঘাটেই থাকা উচিত। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাল্কহেড নদীতে একটি বিপজ্জনক যানবাহনে পরিণত হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনে এসব যানবাহনের প্রয়োজনও আছে। তবে এগুলোকে আরও আধুনিকায়ন করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

৯ যানবাহন নিয়ে পদ্মায় ডুবল ফেরি
ঘন কুয়াশার কারণে পদ্মা নদীর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট-বড় ৯টি যানবাহন নিয়ে নোঙর করা ফেরি রজনীগন্ধা ডুবে গেছে। গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি থাকা ফেরিটি ডুবে যায়। ফেরিডুবির ঘটনায় ২৩ জন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এ ঘটনায় ফেরির দ্বিতীয় চালক নিখোঁজ রয়েছেন। দুপুরে ফেরি ও ট্রাক উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী নৌযান রুস্তম ও প্রত্যয়। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে ফেরিডুবির ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ বলছে, বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যায়। অন্যদিকে নদীতে ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে ফেরির তলা ফেটে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ। আর ফেরিতে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলছেন, ফেরিতে পানি উঠে কাত হয়ে ধীরে ধীরে এটি তলিয়ে যায়। ফেরিতে থাকা ট্রাক মালিক কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম পাটুরিয়া ঘাটে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো বাল্কহেড ধাক্কা দেয়নি। নিচ দিয়ে পানি উঠে ডুবে গেছে।’ তিনি জানান, ভোর ৪টার দিকে ফেরির তলা দিয়ে পানি ওঠা শুরু করে। সকালের দিকে ফেরি ডুবতে শুরু করে। ট্রাকে করে মালপত্র নিয়ে চাঁদপুর যাচ্ছিলেন তিনি। ফেরি ডুবতে শুরু করলে আশপাশে থাকা কয়েকটি নৌযান ফেরির আরোহীদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে। তাকেসহ কয়েকজনকে একটি ট্রলারে তুলে নেওয়া হয়। উদ্ধার পাওয়া আরোহীদের মধ্যে এক ট্রাকের কর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পানি উঠে ডুবে গেছে। ঘাটের ২০০ মিটারের কাছে, তাও ডুবে গেছে। নিচ দিয়ে পানি উঠছে। ফেরিওয়ালারা ঘাট কর্তৃপক্ষ কাউকে জানায়নি। তারা এখন বলছে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবেছে।’ তবে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবেছে, এতটুকু তথ্যই আমার কাছে আছে। নিচ দিয়ে পানি উঠে ফেরি ডোবার যে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীরা করছেন, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।’ ডুবে যাওয়া ফেরির চালক বলেন, ‘কুয়াশার কারণে নোঙর করে থাকা ফেরির স্টাফরা আমাদের ঘুমিয়ে যেতে বলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে যখনই ফেরি স্টার্ট করা দেখি, তখনই ফেরির একপাশ কাত হয়ে ডুবে যায়। পরে আমি সাঁতরে পাড়ে চলে আসি।’ ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, তাদের ডুবুরিরা মোট ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। কারও মৃত্যুর তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে ফেরির দ্বিতীয় চালক হুমায়ুন কবিরের (৩৯) খোঁজ মেলেনি। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী ডুবুরি দলও সেখানে তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা র্যাব-৪ সিপিসি-৩-এর মানিকগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আরিফ হোসেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এখানে এসে যতটুকু জেনেছি, ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরির দ্বিতীয় চালক হুমায়ুন নিখোঁজ রয়েছেন।’ বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. একেএম মতিউর রহমান জানান, ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে সাতটি ছোট ট্রাক এবং দুটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। রাত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তারা পাটুরিয়া ঘাটের কাছাকাছি এসে পৌঁছায়। এ সময় অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে ফেরিটি ঘাটে নোঙর করতে না পেরে ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি নদীতে নোঙর করে। সকাল ৬টা সারে ৬টায় ফেরির মাস্টার বুঝতে পারেন, ফেরিটি এক পাশ কাত হয়ে পানি উঠছে। তখন তার চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন উদ্ধারকাজে ছুটে আসেন। তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে বিআইডব্লিউটিসির কারিগরি বিভাগের প্রধান পরিচালক কাজী ওয়াসির আহমেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন। তখন বোঝা যাবে দুর্ঘটনার আসল কারণ। এদিকে গতকাল দুপুরে মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশা এবং আবহাওয়ার সতর্কতা সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও জাহাজের ঘাট ছেড়ে নদীর মাঝখানে নোঙর করা ঠিক নয়। আবহাওয়া দেখে ফেরির ঘাটেই থাকা উচিত। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাল্কহেড নদীতে একটি বিপজ্জনক যানবাহনে পরিণত হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহনে এসব যানবাহনের প্রয়োজনও আছে। তবে এগুলোকে আরও আধুনিকায়ন করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

মহাসড়কে হাটবাজার, অননুমোদিত যানবাহন অপসারণের নির্দেশ
ঢাকা-গাজীপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সব হাটবাজার, স্থাপনা, অননুমোদিত যানবাহন, ময়লার ভাগাড় অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে অপসারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারা দেশের মহাসড়কে থাকা স্থাপনা, হাটবাজার, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন, ভটভটি অপসারণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ এবং বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ নির্দেশ দেন। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, হাইওয়ে পুলিশের প্রধানকে। আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন। এর আগে রোববার (১৪ জানুয়ারি) নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কে থাকা অবৈধ স্থাপনা, হাটবাজার, ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। এ রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

বগুড়ায় মশাল মিছিল থেকে যানবাহন ভাঙচুর
হরতালের সমর্থনে বগুড়ার বিভিন্নস্থানে মশাল মিছিল করেছে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। শহরে মশাল মিছিলের সময় বেশকিছু যানবাহন ভাঙচুর করে হরতাল সমর্থকরা। বগুড়ার গাবতলীতে মশাল মিছিল বের করা হলে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর মশাল মিছিল বের করলে এসব ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার নামুজা বন্দর এলাকায় যুবদল হরতালের সমর্থনে মশাল মিছিল বের করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া শহর যু্বদল শহরের নারুলী এলাকায় হরতালের সমর্থনে মশাল মিছিল করে এবং রাত ৮ টার দিকে শহরের কলোনি এলাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মশাল মিছিল বের করে।  কলোনিতে মিছিল শেষে শহরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে হামলা করে জানালা ভাঙচুর করে। এছাড়াও আরও কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে চলে যায়। ছাত্রদলের ফেসবুক পেজে আপলোড করা মশাল মিছিলের ভিডিওতে যানবাহন ভাঙচুরের দৃশ্য দেখা গেছে। শহরের বনানী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক আলী আশরাফ বলেন, কলোনির জামিল মাদ্রাসার সামনে মশাল মিছিলের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পৌঁছে কাউকে পায়নি। সেখানে যানবাহন ভাঙচুরের বিষয়টি তার জানা নেই। এদিকে সন্ধ্যা ৭টার পরপরই বগুড়ার গাবতলীতে একটি মশাল মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। মিছিলকালে তারা পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ রাবার বুলেট ছোঁড়ে। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। গাবতলী থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মিছিল থেকে পুলিশের ওপরে হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
০৫ জানুয়ারি, ২০২৪
X