ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রবেশ পথ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪ হাজার যানবাহন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পারাপার হয়েছে। কিন্তু নেই কোনো ভোগান্তি। কর্মক্ষেত্রে যাত্রীদের স্বস্তিতে ফিরতে ঘাটের পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশের বিশেষ নজরদারি রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে যায়। যানজট ও ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তিতে ফিরছে ঢাকামুখী যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ কালবেলাকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪ হাজার যানবাহন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে বাস ৫২১টি, ট্রাক ২৯২টি, ছোট গাড়ি ১ হাজার ৬১৭টি এবং মোটরসাইকেল ১ হাজার ৫১৪টি পারাপার হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ কালবেলাকে আরও জানান, দৌলতদিয়ায় ৭টি ফেরিঘাটের মধ্যে ৩টি ঘাট সচল রয়েছে। এর মধ্যে ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ঘাট চালু আছে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাট শাখা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন কালবেলাকে জানান, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ ও যানবাহনের চাপ নেই। যাত্রী ও যানবাহন ফেরি ঘাটে পৌঁছানো মাত্রই ফেরিতে উঠে চলে যাচ্ছে। এই নৌরুটে ছোট বড় মিলে মোট ১৮টি ফেরি বর্তমানে চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার নুরুল আনোয়ার মিলন কালবেলাকে জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। এবং এগুলো দিয়েই যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ কালবেলাকে জানান, ঢাকামুখী যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার ও নিরাপত্তা জোরদারের জন্য পুলিশ কাজ করছে। ঘাটের বিশেষ পয়েন্টগুলোতে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে ট্রাফিক পুলিশ, ডিবি পুলিশ, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ মিলিয়ে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু আছে।
মন্তব্য করুন