১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে রবি
বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে রবি আজিয়াটা। রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে বুধবার হাইব্রিড পদ্ধতিতে এ সভা হয়। ২০২৩ সালে রবির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল দশমিক ৬১ টাকা। সভায় ছিলেন রবি আজিয়াটা পর্ষদের চেয়ারম্যান, বিবেক সুদ; ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রাজীব শেঠি, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) রিয়াজ রাশিদসহ অন্যরা। এজিএম পরিচালনা করেন কোম্পানি সচিব সাহেদ আলম। চেয়ারম্যান বিবেক সুদ বলেন, ২০২৩ সালে কিছু উদ্যোগের মাধ্যমে রবির সেবার মানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনেও এর প্রমাণ মিলেছে। তবে টেলিযোগাযোগ খাতে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে কর ব্যবস্থা। কর ব্যবস্থা যৌক্তিক না হলে শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণ কষ্টসাধ্য হয়। এর বাইরে দেশের বিধিবিধান অনুসরণ করে আমরা ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে যা যা করার সবই করছি। বিনিয়োগের কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে আমাদের সক্ষমতার ওপর আস্থা রাখার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

গ্রাহকদের মধ্যে ফোরজি ব্যবহারে শীর্ষে রবি
ডাটা সেবা থেকে আয়ের ওপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে রবি আজিয়াটা। মোট ডাটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে রবি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করছে। নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে রবি। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে রবির ৮১ শতাংশের বেশি ডাটা গ্রাহক এখন ফোরজি ব্যবহারকারী। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ের ব্যবধানে ডাটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডেটা ব্যবহার করেন, যা এই খাতে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা এ সময় অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। রবির এমডি-সিইও রাজীব শেঠি বলেন, সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব মোবাইল ব্যবহারের ওপর পড়ছে। একই সঙ্গে স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ঐক্যবদ্ধ বাঙালিকে বারবার বিভাজিত করার চেষ্টা হয়েছিল: রবি উপাচার্য
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ্ আজম বলেছেন, দীর্ঘকাল ধরে নববর্ষ পালনের বাঙালি সংস্কৃতিটি একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে এসেছে। কিন্তু বারবার ঐক্যবদ্ধ বাঙালিকে বিভাজিত করতে এটিকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিদেশি শাসক গোষ্ঠী।  তিনি বলেন, আইয়ুব খান তার অশুভ রাজনীতির লক্ষ্য পূরণ করতে বাঙালির সাংস্কৃতিক আয়োজনকে হিন্দু সংস্কৃতি বলে প্রচার করে বিভেদের দেয়াল তুলতে চেয়েছিল। ভারতবর্ষে উপনিবেশিক শাসনামলেও এই কাজটি করার চেষ্টা করেছিল ব্রিটিশ শাসকরা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য বিভাজন নীতি প্রয়োগ করে তারা। এসব কাজে সমাজে ভাঙন তৈরির জন্য সুবিধালোভী মোল্লা ও পুরোহিতদের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ বাঙালিকে বিভাজিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।  তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখ উৎসবের অনিবার্য অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। মঙ্গল শোভাযাত্রার সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেছে। এটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে যুক্ত হয়েছে। বাঙালি হিসেবে এটি আমাদের জন্য গর্বের ও পরমানন্দের। রবি উপাচার্য বলেন, সরল বাঙালির প্রকৃত ধর্মচর্চার সীমাবদ্ধতাকে পুঁজি করে একদিকে মনস্তাত্ত্বিক ভাঙন তৈরি করা হয়েছে, অন্যদিকে তাদের আচরণে নিজ নিজ ধর্মের সৌন্দর্য কালিমালিপ্ত হয়েছে। পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ছিলেন ইংরেজদের এই উপনিবেশিক মানসিকতার উত্তরাধিকার। ভাষা আন্দোলনের সাফল্যে পাকিস্তানি শাসকদের উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত না হলেও হাল ছাড়েননি আইয়ুব খান। আবার ধর্মকে অপব্যবহার করে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন বাঙালি মুসলমানকে। প্রচার করার চেষ্টা করেছেন বাংলা ‘হিন্দুর’ ভাষা আর উর্দু ‘কোরআনে’র ভাষা বলে।  আবার উনিশ শতকে হিন্দু সমাজপতিরা ব্রাহ্ম আদর্শের অনুসারীদের হিন্দু বলে মানতে চায়নি। সেই ব্রাহ্ম পরিবারে জন্ম নেওয়া কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে পূর্ব পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এভাবে বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানার আরেক অশুভ চেষ্টা দেখেছিলেন এ দেশের সংস্কৃতিকর্মীরা।  এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজমের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা আরম্ভ হয়। শোভাযাত্রাটি শাহজাদপুরের প্রধান সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে। বর্ষবরণের দ্বিতীয় অংশে ছিল অতিথিদের সঙ্গে রবীন্দ্র উপাচার্য শাহ্ আজমের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন।  উৎসবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সুধীজন অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফখরুল ইসলামসহ বিভাগসমূহের চেয়ারম্যানরা। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

উন্নত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দ্বিগুণ গতির সুপারনেট নিশ্চিত করল রবি
গত এক বছরে রবির ডেটা স্পিড ১৩০ শতাংশ এবং ভয়েস কোয়ালিটি ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার জন্য রবি যে সাহসী পদক্ষেপগুলো নিয়েছে ডেটা স্পিডে এই দ্বিগুণ গতি তারই প্রতিফলন। স্পেকট্রাম রিফার্মিং করে কোম্পানি টুজি, থ্রিজি এবং ফোরজি প্রযুক্তির জন্য উপলব্ধ স্পেকট্রামের ব্যবহার পুনঃবিন্যাস করার মাধ্যমে ২০২২ সালের তুলনায় ভয়েস এবং ডেটা অভিজ্ঞতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে। ২০২৩ সালে এক হাজারের  বেশি সাইট যুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে সর্বোচ্চ ফোরজি কভারেজ (৯৮.৮ শতাংশ) নিশ্চিত করা হয়েছে। ক্রমবর্ধমান ডেটা ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কের ক্ষমতা অপ্টিমাইজ করার জন্য রবি এল ২ হাজার৬০০ স্পেকট্রামও স্থাপন করেছে। এর ফলে গ্রাহকদের ডেটা অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হয়েছে। এছাড়া এআই-ভিত্তিক সফটওয়ার এবং মেশিন লার্নিং টুলগুলি রবির নেটওয়ার্ককে আরও উন্নত, ট্রাফিক লোড অপ্টিমাইজ এবং ভয়েস ও ডেটাতে গ্রাহকের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার জন্য স্থাপন করা হয়েছে। রবির কলড্রপের হার আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) স্বীকৃত কলড্রপের অনেক নিচে যা মাত্র শূণ্য দশমিক ৩ শতাংশ। এর মাধ্যমে রবি গ্রাহকের আস্থার নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। রবির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ বলেন, ‘২০২৩ সালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য স্মার্ট নেটওয়ার্ক এর ভিত্তি স্থাপন করি। এর ফলে রবির ফোকাস প্রথাগত কানেক্টিভিটি সেবার বাইরেও ডিজিটাল লাইফস্টাইলকে সহজতর করতে এবং দৈনন্দিন এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে । এটি অগ্রণী ডিজিটাল ব্র্যান্ড হিসাবে রবির বিস্তৃত 4.5G সুপারনেটকে রবির ব্র্যান্ড স্লোগান ‘পারবে তুমিও’ এর সঙ্গে একই গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

রবি এখন ‘গ্লোবাল রাইজিং স্টার’
বিশ্বজুড়ে মোবাইল খাতে ‘গ্লোবাল রাইজিং স্টার’ এর স্বীকৃতি পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ফোরজি এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড। মোবাইল সেবার কার্যক্ষমতা পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওপেনসিগন্যাল ওই স্বীকৃতি প্রদান করেছে।  ওপেনসিগন্যাল জানিয়েছে, রবি’র ডাউনলোড স্পিড ৬৯ দশমিক ১ শতাংশ উন্নতি করেছে। এক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে যেসব প্রতিষ্ঠান এগিয়েছে সে তালিকায় রবি’র অবস্থান দ্বিতীয়। রবি ওই তালিকায় থাকা একমাত্র বাংলাদেশি অপারেটর। অন্যদিকে আপলোড স্পিডে রবি এগিয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে রবি’র অবস্থান ১১তম। এই ক্যাটাগরিতে অন্য বাংলাদেশি অপারেটর গ্রামীণ ফোনের অবস্থান ১৪তম।  ২০২৩ সালের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করে রবি জানিয়েছিল, ধারাবাহিক বিনিয়োগের ফলে একদিকে রবি’র নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি ও ডেটা ক্যাপাসিটি বেড়েছে। একইসঙ্গে ভিডিও স্ট্রিমিং এর ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে রয়েছে অপারেটরটি। রবি নেটওয়ার্কে কলড্রপের হার বর্তমানে শূণ্য দশমিক ২ শতাংশে নেমে এসেছে যা কলড্রপের স্বীকৃত মানদণ্ডের অনেক নিচে। এসবের প্রতিফলনে ২০২৩ সালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সমস্ত টেলিকম অপারেটরদের মধ্যে শীর্ষ অবস্থান অজন করে রবি। মোট গ্রাহকের ৬১ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে ২০২৩ সালেও ফোরজি সেবায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রবি। ২০২৩ সালে রবির মোট গ্রাহকের ৭৬ শতাংশের বেশি গ্রাহকই ছিলেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, যা এ খাতে সর্বোচ্চ। ২০২৩ সাল শেষে রবি ১৬ হাজার ৮০০+ ফোরজি সাইট দিয়ে ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ দেশের জনগণের জন্য ফোরজি কভারেজ নিশ্চিত করেছে। ৪৩ লাখ নতুন গ্রাহক যোগ হওয়ার মধ্য দিয়ে হয়েছে রবির গ্রাহক সংখ্যা ২০২৩ সালে ৫ কোটি ৮৭ লাখে পৌঁছেছে, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৩১ শতাংশ। ২০২৩ সালে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধিতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে রবি। একইসঙ্গে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ডাটা গ্রাহক সংখ্যা ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ কোটি ৪৭ লাখে পৌঁছেছে এবং রবির ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩ কোটি ৫৭ লাখে পৌঁছেছে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

লাখো রেলযাত্রীর বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থায় রবি
লাখো রেলযাত্রীদের সুপেয় পানি সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে ‘নিরাপদ পানি, সুস্থ জীবন’ নামে একটি উদ্যোগ। এর আওতায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি রেলস্টেশনে বিনামূল্যে সুপেয় পানি পাচ্ছেন রেলযাত্রীরা। প্রতিটি স্টেশনে স্থাপিত প্ল্যান্ট থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৫ হাজার লিটার সুপেয় পানি সরবরাহ করা যায়।  রেলযাত্রীদের সুপেয় পানি সরবরাহে প্রায় এক যুগ ধরে সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড। রেলযাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) অধীনে এসব প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে রবি। এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটার এইড।  ঢাকার কমলাপুর, বিমানবন্দর রেলস্টেশন, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, ফেনী ও কুমিল্লা রেলস্টেশনে স্থাপন করা হয়েছে সুপেয় পানির এ সব প্ল্যান্ট।  প্ল্যান্টগুলোতে পুরুষ, মহিলা এবং প্রতিবন্ধীদের ব্যবহারের জন্য আলাদা ব্যবস্থার পাশাপাশি ওজুর জন্যও কল সংরক্ষিত আছে।  প্রতিটি বিশুদ্ধকরণ ইউনিটের মধ্য দিয়ে আসা পরিশোধিত পানিতে ইউভি এবং মেমব্রেন ফিল্টার ও কয়েকটি প্ল্যান্টে রিভার্স অসমোসিস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যা এরই মধ্যে যাত্রীদের আস্থা অর্জন করেছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অন্যতম একটি শর্ত সুপেয় পানির নিশ্চয়তা। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্যগুলো রয়েছে তার মধ্যে ছয় নম্বরে রয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সব মানুষের জন্য সুপেয় বা বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করা। এ নিয়ে দেশজুড়ে কাজ করছে সরকার ।  রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, রবি উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যকর জীবন স্লোগান নিয়ে সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এসডিজি ৬ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহযোগিতায় এ উদ্যোগ চলমান রয়েছে।   ২০১১ সালে কমলাপুর রেলস্টেশনের মাধ্যমে ওই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। যা দেশে শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে রবির দশকব্যাপী প্রতিশ্রুতির একটি অংশ।
২৮ মার্চ, ২০২৪

লাখো রেলযাত্রীর বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থায় রবি
লাখো রেলযাত্রীদের সুপেয় পানির সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে ‘নিরাপদ পানি, সুস্থ জীবন’ নামে একটি উদ্যোগ। এর আওতায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি রেলস্টেশনে বিনামূল্যে সুপেয় পানি পাচ্ছেন রেলযাত্রীরা। প্রতিটি স্টেশনে স্থাপিত প্ল্যান্ট থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৫ হাজার লিটার সুপেয় পানি সরবরাহ করা যায়।    রেলযাত্রীদের সুপেয় পানি সরবরাহে প্রায় এক যুগ ধরে সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড। রেলযাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) অধীনে এসব প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে রবি। এতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটার এইড।    ঢাকার কমলাপুর, বিমানবন্দর রেলস্টেশন, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, ফেনী ও কুমিল্লা রেলস্টেশনে স্থাপন করা হয়েছে সুপেয় পানির এ সব প্ল্যান্ট।    প্ল্যান্টগুলোতে পুরুষ, মহিলা এবং প্রতিবন্ধীদের ব্যবহারের জন্য আলাদা ব্যবস্থার পাশাপাশি ওজুর জন্যও কল সংরক্ষিত আছে।    প্রতিটি বিশুদ্ধকরণ ইউনিটের মধ্য দিয়ে আসা পরিশোধিত পানিতে ইউভি এবং মেমব্রেন ফিল্টার ও কয়েকটি প্ল্যান্টে রিভার্স অসমোসিস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যা এরই মধ্যে যাত্রীদের আস্থা অর্জন করেছে।   টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অন্যতম একটি শর্ত সুপেয় পানির নিশ্চয়তা। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্যগুলো রয়েছে তার মধ্যে ছয় নম্বরে রয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে সব মানুষের জন্য সুপেয় বা বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করা। এ নিয়ে দেশজুড়ে কাজ করছে সরকার ।   রবি’র চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, রবি উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যকর জীবন স্লোগান নিয়ে সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এসডিজি ৬ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহযোগিতায় এই উদ্যোগ চলমান।     ২০১১ সালে কমলাপুর রেলস্টেশনের মাধ্যমে ওই প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। যা দেশে শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে রবির দশকব্যাপী প্রতিশ্রুতির একটি অংশ।
২৭ মার্চ, ২০২৪

বিএনপি নেতা শেখ রবি কারামুক্ত
প্রায় ৯ মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবি। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ সময় ঢাকা মহানগর বিএনপির অনেক নেতাকর্মী কারাফটকের সামনে তাকে অভ্যর্থনা জানান।  এর আগে গতকাল সোমবার হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বিএনপির এই নেতা। গত বছর ২৩ মে ধানমন্ডির সিটি কলেজের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হন রবি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৯ বার কারাবরণ করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ১৯৩টি মামলা। তিনটি মামলায় তার সাড়ে আট বছর সাজা হয়।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টুকরো খবর / ফের বিসিবির সঙ্গে রবি
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পন্সর হচ্ছে দেশের মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘রবি’। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে আজ একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেছে, চড়া দামে জাতীয় দলের স্পন্সরশিপ পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এই চুক্তির আওতায় ‘এ’ দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পাশাপাশি মেয়েদের জাতীয় দলের স্পন্সর থাকবে তারা। বিসিবির সঙ্গে আগেও ছিল রবি। ২০১৫ থেকে দুই মেয়াদে ২০১৮ পর্যন্ত ছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে শেষবার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই সরে দাঁড়ায় তারা। আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কারণ না জানালেও গুঞ্জন ছিল—চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় সরে দাঁড়িয়েছিল তারা। এবারও যখন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে বিসিবির, তখন প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মোবাইল ফোন সেবাদাতা অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে জাতীয় ইন্টার্নশিপ নীতিমালা প্রয়োজন : রবি উপাচার্য
  উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সব গ্রাজুয়েটের জন্য বাস্তব প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টিতে জাতীয় ইন্টার্নশিপ নীতিমালা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম। রোববার (১০ ডিসেম্বর)  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ফ্রেশার্স রিসিপশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাবের সভাপতি পৃথ্বিরাজ প্রধান এবং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ সৌম। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও তরুণ শিক্ষার্থীসহ দুই শতাধিক সুধী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে নবীন ছাত্রদের সম্মাননা স্মারক, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, বাংলাদেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি পরিবর্তিত হয়ে এখন অনেকটাই নির্ভর করে উৎপাদন এবং সেবা শিল্পের ওপর। এই ইন্ডাস্ট্রিগুলোর উন্নয়ন বহুলাংশে নির্ভর করে উপযুক্ত জনসম্পদের সহজলভ্যতার ওপর। উৎপাদন শিল্প এবং সেবা শিল্পের উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে সুযোগ্য জনসম্পদ তৈরি ও সরবরাহ করতে পারলেই এ উন্নয়ন অর্থবহ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা প্রচলিত ধারায় ব্যবসায় শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, তারা মেধাকে অনেকটাই শাণিত এবং ব্যবসায়ের তাত্ত্বিকজ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন; কিন্তু কর্মোপযোগী পরিবেশে নিজেকে মেলে ধরার মতো পেশাগত যোগ্যতার ঘাটতি থাকে। তাদের বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও জ্ঞানার্জনের পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমর্থ্য হচ্ছে না। তিনি বলেন, এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব, যদি আমরা আমাদের গ্রাজুয়েটদের উপযুক্ত ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারি। এটি দুঃখজনক যে, বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপের সুযোগ অনেকটাই কম এবং ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করে দেওয়া আরও কঠিন। ফলে অনেক শিক্ষার্থী এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, দেশের সব  সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যদি ইন্টার্নশিপ করার সুযোগটি সৃষ্টি করা যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের প্রত্যেকেই পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে যদি ইন্টার্নশিপ সংক্রান্ত জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা যায় এবং এর বাধ্যবাধকতায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপ সুবিধা নিশ্চিত হয়, তাহলেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির যে চাহিদা, সেই চাহিদা অনুযায়ী জনসম্পদ সৃষ্টি এবং সরবরাহ করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সক্ষম হবে। শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতার উন্নয়নের জন্য যদি সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমকে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহলে  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছেন এবং বাংলাদেশ যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তা অর্জন করা সম্ভব হবে। যতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই  সুযোগ-সুবিধাগুলো অন্তর্ভুক্ত না করা হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এটি অনানুষ্ঠানিকভাবেই অর্জন করতে হবে।  সেক্ষেত্রে উপাচার্য মহোদয় শিক্ষার্থীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান, যেভাবে শিক্ষার্থীরা বিজনেস ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের গড়ে তুলছেন, তা প্রশংসনীয়।  এভাবেই তাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস ক্লাবের অবদান তাৎপর্যপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন। উপাচার্য মহোদয় ক্লাবের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে সব নবীন ক্লাব মেম্বারদের অভিষিক্ত করার মাধ্যমে তার বক্তব্য শেষ করেন।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
X