রাঙামাটি বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও
বিদ্যুৎ বিভাগের ‘ভুতুড়ে বিলে’ বিপাকে পড়েছে রাঙামাটির পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। প্রতিবাদে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে রাঙমাটির বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগীরা।  অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল থাকলে তা সমাধান করা হবে। জানা যায়, সরকার ঘোষিত ডিজিটাল মিটার পরিবর্তন করে প্রিপেইড মিটার স্থাপন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে প্রথম দফায় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর, শরিয়তপুর, পুরানবস্তি এলাকায় ১ হাজার গ্রাহকের ঘরে স্থাপন করা হয় প্রিপেইড মিটার।  নিয়মিত যে বাড়িতে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা বিল আসত, সেখানে হঠাৎ করে কাউকে ৫০ হাজার কাউকে ৩০ হাজার টাকার গায়েবি বিল দেওয়া হয়েছে। পুরোনো মিটার অনুযায়ী, মার্চের বিল বাবদ এ বিল দেওয়া হয়। এতে অসহায় হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।  এমন ভুতুড়ে বিলের প্রতিবাদে রোববার সকালে শহরের ভেদভেদিস্থ বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে স্থানীয় শতাধিক ভুক্তভোগী। এ সময়ে তারা মনগড়া বিল করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়ী করেন। একইসঙ্গে এ বিল পরিশোধে অপারগতা প্রকাশ করেন। ভুক্তভোগী সালেহ আক্তার জানান, আমার আগে বিল আসত ৫০০-৭০০ টাকা। এখন একসঙ্গে বিল দিয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এগুলো কোথা থেকে দেব। বিদ্যুৎ অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, গ্রাহকরা লিখিত অভিযোগ দিলে বিল পর্যালোচনাসহ সংশোধনে সহায়তা করা হবে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

বৃহত্তর চট্টগ্রামে বাস ধর্মঘট, রাঙামাটি ছাড়েনি কোনো বাস
কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে বাস পোড়ানোর প্রতিবাদে বৃহত্তর চট্টগ্রাম বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে রাঙামাটিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছে বাস মালিক-শ্রমিকরা। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের কারণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি-বান্দরবানসহ অভ্যন্তরীণ কোনো রুটে কাউন্টার থেকে বাস ছেড়ে যায়নি। সকাল থেকে সব রুটের বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও সকালে বিআরটিসি বাস চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি ছেড়ে আসলেও রাঙামাটি থেকে কোনো বিআরটিসি বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশে আসা যাত্রীরা এবং রাঙামাটি চট্টগ্রামসহ খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের যাত্রীরা।   তবে এতে বাড়তি ভাড়া গুনলে সিএনজি অটোরিকশাযোগে রাঙামাটি থেকে রানীহাট ও চট্টগ্রাম বিআরটিএ পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে। সিএনজি অটোচালক রাকিব জানান, বাস চলছে না তাই সিএনজি রানীহাট পর্যন্ত ভাড়া নিয়ে যাচ্ছি। জুরাছড়ি থেকে আসা যাত্রী রুপায়ন চাকমা জানান, আমি জুরাছড়ি থেকে ভোরে রওনা দিয়ে হ্রদে পানি না থাকায় সাড়ে ১১টায় কয়েকটি নৌকা পাল্টে সদরে এসেছি। চট্টগ্রামে আমার একটা কাজ আছে, আজকেই যেতে হবে। কিন্তু এখানে এসে দেখি বাস চলছে না। এখন সিএনজিযোগে ভেঙে ভেঙে যেতে হবে। খরচ দ্বিগুণ পড়বে।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

উচ্চ ঝুঁকিতে রাঙামাটি বান্দরবান ও কক্সবাজার
চট্টগ্রাম বিভাগের পার্বত্য অঞ্চলের তিন জেলা ও কক্সবাজারে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমছেই না। রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে তিন বছর ধরে ম্যালেরিয়ার রোগী বাড়ছে। বান্দরবানে ২০২৩ সালে রোগীর সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে কম হলেও এই সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় বেশি। কোনো এলাকায় এক বছরে প্রতি হাজার মানুষের মধ্যে একজনের বেশি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়, তবে তা উচ্চ ঝুঁকির এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়। এ হিসেবে পার্বত্য তিন জেলার মধ্যে বর্তমানে বান্দরবান ও রাঙামাটি বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। খাগড়াছড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও এখানে ঝুঁকি কম নয়। এর মধ্যে নতুন করে যোগ হয়েছে কক্সবাজার জেলা। দেশে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের ৯৫ শতাংশই পার্বত্য চট্টগ্রামে। ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার দেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করতে চায়। আক্রান্ত বাড়ার প্রবণতা সরকারের লক্ষ্য পূরণে বাধা হয়ে উঠতে পারে বলেই ধারণা সংশ্লিষ্টদের। মাঠপর্যায়ের চিকিৎসক, কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষকদের মতে, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির পেছনে তিনটি কারণ রয়েছে। এক. পার্বত্য এলাকায় মশা প্রতিরোধে বিতরণ করা কীটনাশক যুক্ত মশারি কাজ করছে না। দুই. পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় সংক্রমণ বেশি হওয়ার পরও প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে নজরদারির অভাব। তিন. প্রকৃতি, মশা ও মানুষের আচরণে পরিবর্তন। এমন পরিস্থিতিতে দেশে আজ পালিত হবে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। চলতি বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো—ন্যায়সংগত বিশ্বের জন্য ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই আরও গতিশীল করতে হবে। দিবসটি ২০০১ সালের ২৫ এপ্রিল প্রথম পালন করা হয় আফ্রিকায়। ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেমব্লির ৬০তম অধিবেশনে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসের প্রস্তাবনা করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সরকারের ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত দশ বছরে দেশে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮ জনের ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়। তার মধ্যে ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়। দেশের ১৩টি জেলা ম্যালেরিয়া প্রবণ। এর মধ্যে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার। দেশের মোট ম্যালেরিয়া সংক্রমণের ৯৫ শতাংশের বেশি এই তিন জেলায়। বাকি ১০ জেলা হলো চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার তুলনামূলকভাবে নিম্ন ঝুঁকির এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ১৫৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ ৫০৩ জন। বান্দরবানে ৪৬০ জন এবং কক্সবাজারে ১৩৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া খাগড়াছড়িতে ৪০, চট্টগ্রামে ১৩, হবিগঞ্জে দুই এবং সিলেট ও নেত্রকোনায় একজন করে রোগী শনাক্ত হন। এ সময় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পার্বত্য তিন জেলার মধ্যে বান্দরবানে প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। ২০২৩ সালে দেশে ১৬ হাজার ৫৬৭ জন রোগী শনাক্ত হন। তার মধ্যে ৬০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বান্দরবানের। ২৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ রাঙামাটি, ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ কক্সবাজারে, ২ দশমিক ৫২ শতাংশ খাগড়াছড়ির বাসিন্দা। ২০২২ সালে ১৮ হাজার ১৯৫ জনের ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়। তার মধ্যে ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ বান্দরবানের। রাঙামাটির ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ আর কক্সবাজারে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালে সারা দেশে ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয় ৭ হাজার ২৯৪ জনের। তার মধ্যে বান্দরবানের ৭১ দশমিক ৭ শতাংশ। রাঙামাটির ২১ দশমিক ৩ শতাংশ। কক্সবাজারের ৪ দশমিক ৯ শতাংশ আর খাগড়াছড়ির ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ রয়েছে—এমন ১৩ জেলার মধ্যে ১২টি জেলার ৩৬ উপজেলার সঙ্গে ভারতের আন্তঃসীমান্ত রয়েছে। আর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সঙ্গে প্রতিবেশী মিয়ানমারের আন্তঃসীমান্ত রয়েছে। পাহাড়ে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ কমাতে সেখানে কীটনাশকযুক্ত মশারি দেওয়া হয়। তবে সেই মশারি এখন মশা প্রতিরোধে কাজে আসছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অ্যানোফিলিস জাতীয় মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হয়। দেশে অন্তত ৩৭ প্রজাতির অ্যানোফিলিস মশা রয়েছে। এর মধ্যে সাতটির অধিক প্রজাতি বেশি ম্যালেরিয়া ছড়ায়। ইনক্রিমিনেশন অব ম্যালেরিয়া ভেক্টর মসকিউটোস ইন বাংলাদেশ: সিজনাল প্রিভিলেন্স অব অ্যানোফিলিস মসকিউটোস অ্যান্ড দেয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ম্যাপস’ শীর্ষক পিএইচডি গবেষণা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারিত সময়ে ম্যালেরিয়া নির্মূল খুবই কঠিন কাজ। পার্বত্য অঞ্চলে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কীটনাশক যুক্ত যে মশারি বিতরণ করা হয়, তাতে ডেলটামেট্রিন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে এটি মশা প্রতিরোধ করতে পারছে না। কীটনাশক পরীক্ষা করলেও আমরা মশারি পরীক্ষা করিনি। কারণ, কীটনাশকই যেখানে কাজ করছে না, সেখানে মশারির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। পার্বত্য অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন—যারা বনে গাছ কাটেন, জুম বাগান রক্ষণাবেক্ষণ করেন এবং সীমান্তে চোরাচালানে জড়িত। তারা বাইরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়া কাজ ও ঘোরাঘুরি করেন। মশাবিরোধী ক্রিম হাতে-পায়ে ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তঃদেশীয় সমঝোতার মাধ্যমে একযোগে মশক নিধনে কাজ করলে পার্বত্য অঞ্চলের ম্যালেরিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল করা সম্ভব। আইইডিসিআর’র সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কীটতত্ত্ববিদ মুশতাক হোসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ যেসব অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব এখনো সক্রিয়, সেখানে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যতদূর জানি, ওষুধের ঘাটতি নেই। সম্ভবত ওষুধ অকার্যকর হয়ে গেছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

রাঙামাটিতে কলেজছাত্র নিহতের বিচার দাবিতে সড়কে সহপাঠীরা
রাঙামাটি সরকারি কলেজের ছাত্র ওমর সালেহীন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে।মানববন্ধনে এ ঘটনায় দোষীদের আইনের আওয়াত এনে দ্রুত বিচার এবং নিরাপদ সড়কের ৯ দফা দাবি জানানো হয়। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাঙামাটি সরকারি কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে কলেজের মূল ফটকে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওমর কলেজের গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিনি নিহত হন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার তুষার কান্তি বড়ুয়া, উপাধ্যক্ষ প্রফেসার জাহেদা সুলতানা, গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দীপক কুমার আচ্যার্য্য, রসায়ন বিভাগের প্রধান প্রফেসার মো. আবুর সৈয়দ চৌধুরী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক শান্তুনু চাকমা। বক্তারা বলেন, কোনো একটি ঘটনা ঘটলে কয়েক দিন এই বিষয়ে আলোচনা ও আন্দোলন করা হয়। পরে এই বিষয়টি সবাই ভুলে যায়। আবার ঘটনা ঘটলে তখন নতুন করে আবারও আলোচনা হয়। কিন্তু আমরা চাই সড়ক সব সময় নিরাপদ থাকুক। বক্তারা আরও বলেন, আমরা আর কোনো মায়ের বুক এভাবে সড়কে ঝড়ে পড়ুক, সেটা চাই না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার চাই। উল্লেখ্য, রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে রাঙামাটির কাপ্তাই সাপছড়ি এলাকায় রাঙামাটি সড়ক বিভাগের একটি ট্রাক ওমরকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় অটোরিকশার ডান পাশে থাকা যুবক ওমর সালেহিন ঘটনাস্থলে মারা যান।
০৪ মার্চ, ২০২৪

রাবিপ্রবির হলে ছাত্রলীগ নেতার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) হলে এক ছাত্রলীগ নেতার প্রবেশে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছাত্রদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে হলের আসনে ছাত্র তোলাসহ কয়েকটি অভিযোগে তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া আপত্তিকর শব্দ ব্যবহারের অভিযোগে আরও চার ছাত্রকে সতর্ক করা হয়েছে। তারাও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে এক নোটিশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট দপ্তর। ছয় মাসের জন্য ছাত্র হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আকিব মাহমুদ হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। আকিব হাসান রাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি গঠিত না হওয়ায় একাংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। প্রভোস্ট দপ্তরের নোটিশে বলা হয়, রাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের আবাসিক হল/হোস্টেলেসংক্রান্ত বিধানের ধারা অনুযায়ী এ শাস্তি দেওয়া হয়। রাবিপ্রবি আবাসিক ছাত্র হলে ভয়-ভীতি প্রদর্শন বা হুমকি প্রদান, নিয়মবহির্ভূতভাবে হলের আসনে অন্য ছাত্রকে তোলা, পারস্পরিক সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, সম্প্রীতি বিনষ্ট করে আবাসিক ছাত্র দলের পড়াশোনার পরিবেশ ও শৃঙ্খলাজনিত বিধান লঙ্ঘন করায় আকিব মাহমুদ হাসানকে এক হাজার টাকা জরিমানা এবং ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ৬ মাসের জন্য আবাসিক ছাত্র হলে প্রবেশ ও অবস্থানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। সতর্ক পাওয়ার চার শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মো. রিয়াদ, পাংশু চাকমা, সিএসই বিভাগের মুহাম্মদ আবীর চৌধুরী ও মো. মহিউদ্দিন মুন্না।  প্রভোস্ট দপ্তরের নোটিশে বলা হয়, রাবিপ্রবির আবাসিক হল/হোস্টেলসংক্রান্ত বিধানের ধারা অনুযায়ী হলের মধ্যে চিৎকার করা, উচ্চস্বরে গান গাওয়া, উপহাস করা, আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে ছাত্র হলের পড়াশোনার পরিবেশ ও শৃঙ্খলাজনিত বিধান লঙ্ঘন করায় চার আবাসিক ছাত্রদের প্রথম পর্যায়ে সতর্ক করা হলো। সতর্ক পাওয়া ছাত্ররা এই আদেশ পুনরায় লঙ্ঘন করলে পরবর্তীতে বরাদ্দকৃত আসন বাতিল, আর্থিক জরিমানাসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোটিশে রাবিপ্রবি হল প্রশাসনের সহকারী প্রভোস্ট সৌরভ দত্ত ও আহমেদ ইমতিয়াজের যৌথ সই রয়েছে।
৩১ জানুয়ারি, ২০২৪

রাঙামাটি হেলিসটিংয়ে হেলিকপ্টারে গেল নির্বাচনীসামগ্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙামাটি ২৯৯নং সংসদীয় আসনের দুর্গম হেলিসটিং এলাকার ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পোঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাঙামাটির ১৮টি দুর্গম হেলিসটিং কেন্দ্রের মধ্যে বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলার ১৪টি কেন্দ্রে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে নির্বাচনী মালামালসহ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।  জানা গেছে, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) আরও ৪টি কেন্দ্রে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে মালামাল পৌঁছানো হবে। রাঙামাটিতে ২১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৯টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করছে রিটার্নিং অফিস। এর মধ্যে ১৮টি কেন্দ্র হেলিসটিংয়ে অবস্থিত। নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষ করে আগামী ৮ জানুয়ারি কর্মকর্তারা হেলিকাপ্টারে করে আবার রাঙামাটি ফিরবেন।  রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান জানান, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পাশাপাশি হেলিসটিং এলাকায় মালামাল পৌঁছানো শুরু হয়েছে। 
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

রাঙামাটি ফুড প্রোডাক্টসের পণ্য মীনা বাজারে
দেশের অন্যতম চেইন সুপারশপ মীনা বাজারের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করেছে রাঙামাটি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড। ফলে রাঙামাটি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ৪১টি পণ্য প্রাথমিকভাবে মীনা বাজারের সব বিক্রয়কেন্দ্রে পাওয়া যাবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে মীনা বাজারের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে এ চুক্তি সই হয়। রাঙামাটি ফুড প্রোডাক্টস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি ফুড প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদ চৌধুরী এবং মীনা বাজারের ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন ব্যবস্থাপক তাসনিম হোসেন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান দুটির অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

লালমাইয়ের সেই ইউএনওকে রাঙামাটি বদলি
নামাজের আগে কাতার সোজা করতে বলায় ইমামকে পানিতে চুবাতে চাওয়া বহুল আলোচিত কুমিল্লার লালমাই ইউএনও মো. ফোরকান এলাহী অনুপমকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। গত রোববার রাতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বদলির এই আদেশ দেওয়া হয়। আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।  প্রজ্ঞাপনে লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফোরকান এলাহী অনুপমকে রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করতে বলা হয়েছে। আর ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌমিতা দাশকে লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর খুতবা শেষে জুমার নামাজ শুরুর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে একটু সরে দাঁড়াতে বলাকে কেন্দ্র করে লালমাই উপজেলার ভাটরা কাছারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমামকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া এ ঘটনায় ইউএনও ক্ষুব্ধ হয়ে একাধিকবার সেই ইমামকে মসজিদের পুকুরের পানিতে চুবানোর হুমকি দেন।
২৪ অক্টোবর, ২০২৩

পানিতে ডুবল রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতু
কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির কারণে ডুবে গেছে রাঙামাটি পর্যটন শিল্পের আইকন ঝুলন্ত সেতু। গত শনিবার রাতে রাঙামাটিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, যে কারণে পাহাড়ি ঢল কাপ্তাই হ্রদে নামায় হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে যায় এবং ডুবতে শুরু করে ঝুলন্ত সেতুটি। ফলে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা। আর নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেতুতে পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। পাটাতনের ওপর পানি উঠেছে প্রায় ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি। পানির চাপে অনেক স্থানেই খুলে গেছে পাটাতনের কাঠ। তা মেরামত করছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে ডুবে যাওয়া সেতুতে পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাঙামাটিতে উন্নয়ন কাজের নামে চার প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বরকল উপজেলার এসব প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতে অভিযুক্তদের মধ্যে জেলা পরিষদের সদস্য ছাড়াও নির্বাহী প্রকৌশলী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী, দুজন সহকারী প্রকৌশলী, একজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিন ঠিকাদার রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক জাহিদ কামাল। তিনি আরও জানান, রাঙামাটির দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক ফরহাদ হোসেন এসব মামলা করেন। অভিযুক্তরা হলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোর্তিময় চাকমা, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, ঠিকাদার প্রো. মেসার্স সমৃদ্ধি এন্টারপ্রাইজ মিলন তালুকদার, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, ঠিকাদার মেসার্স নাংচিং এন্টারপ্রাইজ চিংহেন রাখাইন ও জেলা পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমার, ঠিকাদার অমলেন্দু চাকমা এবং ৪ নম্বর ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মামুনের নামে মামলা করা হয়। রাঙামাটির দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহিদ কামাল বলেন, এজাহার পেয়েছি। এজাহার মূলে আবারও তদন্ত করা হবে। তদন্তে প্রমাণিত হলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
১০ জুন, ২০২৩
X