লটারির মাধ্যমে ১২১ কর্মচারীকে বদলি করল রাজউক
লটারির মাধ্যমে ১১টি পদের ১২১ কর্মচারীকে বদলি করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। লটারির মাধ্যমে বদলি করা হলে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও কাজের গতি বাড়ার সঙ্গে নগরবাসী আরও বেশি সেবা পাবেন বলে আশা করছেন রাজউক সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজউক ভবনের সভাকক্ষে লটারির মাধ্যমে ১১টি পদের ১২১ জন কর্মচারীকে বদলি করা হয়। পদগুলো হলো- কানুনগো (গ্রেড-১০), ইমারত পরিদর্শক (গ্রেড-১০), হিসাবরক্ষক (গ্রেড-১১), নথিরক্ষণ কর্মকর্তা (গ্রেড-১২), নক্সাকার (গ্রেড-১২), উচ্চমান সহকারী (গ্রেড-১৪), সুপারভাইজার (গ্রেড-১৬), ডাটা এন্ট্রি অপারেটর (গ্রেড-১৬), কনিষ্ঠ হিসাব সহকারী (গ্রেড-১৬), অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর (গ্রেড-১৬) এবং নথিরক্ষক (গ্রেড-১৭)। এ সময় রাজউক চেয়ারম্যান (সচিব) আনিছুর রহমান মিঞা জানান, পদায়ন, বদলি ও অন্যান্য দাপ্তরিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে লটারির মাধ্যমে বদলির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৭ আগস্ট রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে বিভিন্ন পদে নতুন যোগদান করা ১৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সার্ভেয়ার পদে নতুন যোগদান করা ৩২ কর্মচারীকে একই প্রক্রিয়ায় লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরে পদায়ন করা হয়। লটারি পদ্ধতিতে বদলি হওয়া কর্মচারীরা কোথাও কোনো তদবির না করে স্বচ্ছতার সঙ্গে কর্মস্থলে যোগদান করবেন উল্লেখ করে রাজউক চেয়ারম্যান আরও বলেন, দাপ্তরিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের ওপর আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করছি, যাতে করে রাজউকের কর্মচারীরা নিরপেক্ষভাবে সেবামুখী মনোভাব নিয়ে কাজ করে নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারেন। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত নাগরিক সেবার কোনো বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী ও সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২১ মার্চ, ২০২৪

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অভিযোগ / রাজউক সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা অভিযানের নামে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, অভিযানের নামে রেস্তোরাঁ মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে যে যেভাবে পারছে চাঁদাবাজি করছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান। এখানকার প্রত্যেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া দরকার। অভিযান বন্ধ করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা এসব কথা বলেন। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, বর্তমানে নানা কারণে আটশরও বেশি রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সিলগালা করা হয়েছে ২৬০টি। প্রতিদিনই কোনো না কোনো অভিযান চলছে। ডিপিডিসি আমাদের বলছে রাজউকের ছাড়পত্র ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। পদ্ধতিগত কারণে রাজউকের ছাড়পত্র নেওয়া বেশ সময়সাপেক্ষ এবং জটিল। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারি অব্যবস্থাপনার দায় কেন রেস্তোরাঁ মালিকরা নেবেন? তিনি আরও বলেন, অনেকে ভয়ে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছেন। ইমারত বিধির ১৯৫২ সালের আইন বলা হয়েছে—ভবনের অনুমতি নিয়ে কেউ যদি সেটা বাস্তবায়ন না করেন সেক্ষেত্রে তাকে ১২ মাসের নোটিশ দিতে হয়। কিন্তু এখানে কোনো কিছুর তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। সংস্থাগুলো ‘সন্ত্রাসী কায়দায়’ রেস্তোরাঁ ভাঙচুর ও সিলগালা করে দিয়েছে। আমাদের কোনো নোটিশ তারা দিচ্ছে না। বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রাজউক। তাদের ব্যর্থতার জন্য আজ সারা ঢাকা শহর জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তাদের নিয়ে কেউ কোনো কথা বলে না। তাদের প্রত্যেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। রাজউকের এফ-১ ও এফ-২-এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ, আমরা জানি কমার্শিয়াল স্পেসে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা যাবে। রাজউকের ২০২২ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ড্যাবের মাস্টারপ্ল্যানেও ব্যবসায়ীদের ভবন মিশ্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। রাজউক বর্তমানে যা করছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। রেস্তোরাঁ খাতের সামগ্রিক সংকট নিরসনে বিষেশজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করত হবে। তারা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করুক। বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান না। সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। অন্যথায় ২০ মার্চ (আগামীকাল বুধবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এরপর একদিনের জন্য সারাদেশে রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হবে। প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি বলেন, ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছেন, বাণিজ্যিক হারে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বিল নিচ্ছেন। পাঁচ বছর ধরে ব্যবসা চলছে। এখন কোনো নোটিশ না দিয়ে রেস্তোরাঁগুলো ভেঙে ফেলছেন, বন্ধ করছেন এটা অমানবিক। রুফটপে রেস্তোরাঁ অবৈধ হলে আগে কেন ব্যবসার অনুমতি দেওয়া হলো—এমন প্রশ্ন রেখে নবাবী ভোজের মালিক কামরুল হাসান বলেন, ১২টি লাইসেন্স থাকার পরও আমার রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দিয়েছে। আমরা শতভাগ চেষ্টা করি সৎভাবে ব্যবসা করতে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা সেই সুযোগ দিচ্ছেন না। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সহসভাপতি শাহ সুলতান খোকন, যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন প্রমুখ।
১৯ মার্চ, ২০২৪

উত্তরায় ২ রেস্টুরেন্ট বন্ধ করল রাজউক
উত্তরায় খাজানা, পার্টি সেন্টার ও মেইনল্যান্ড চাইনিজ ব্লু রেস্টুরেন্ট সিলগালা করে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। রোববার (১০ মার্চ) সকাল ১১টায় রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান উত্তরার রেস্টুরেন্টগুলোতে অভিযান শুরু করেন। বিকাল ৪টা পর্যন্ত অভিযান চলবে। রাজউক কর্মকর্তা জানান, একতলা এই রেস্টুরেন্ট রাজউকের বাণিজ্যিক প্লট। এর পার্শ্ববর্তী বহুতল ভবনগুলোতে আগুন লাগার শঙ্কা থেকেই রাজউকের এই অভিযান। পার্শ্ববর্তী কিচেন থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও অভিযান চালায় রাজউক। প্রতিষ্ঠানটির মালিক এসময়  কোনো প্রকার লিগ্যাল দলিল কিংবা ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান বলেন, খাজানা রেস্টুরেন্ট এবং পার্টি সেন্টার ভবনের নকশা দেখাতে পারেনি। এ ছাড়া এই ভবনে রেস্টুরেন্ট পরিচালনার অনুমোদন নেই। রেস্টুরেন্টের নামে সিটি করপোরেশনের ট্রেডলাইসেন্সও নেই। তাদের ত্রুটি সংশোধনের করে নিয়মের মধ্যে আসতে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কার্যক্রম চালাতে পারবে না রেস্টুরেন্ট। এমনকি ভবনটি সিলগালাও করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সিয়াম টাওয়ারে মেইনল্যান্ড চাইনিজ ব্লু রেস্টুরেন্টে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে ছাদে কিংবা অন্য কোথাও নেই জমায়েত হওয়ার কোনো ব্যবস্থা। ১৪ তলার অনুমোদিত ভবনে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ১৫ তলায়। নেই রাজউকের অনুমোদন। তাই এই রেস্টুরেন্টও সিলগালা করে দেয় রাজউক। 
১০ মার্চ, ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে দুটি বহুতল ভবন ভাঙল রাজউক
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নির্মাণাধীন দুটি বহুতল ভবনে অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ভেঙে ফেলা হয়েছে রাজউকের নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্মিত অংশ। বন্ধ করা হয়েছে নির্মাণকাজ। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় ১০তলা বিশিষ্ট ‘স্বপ্নবিলাস’ ও ‘স্কাই বেইলি’ নামক ভবনে এ অভিযান চালানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান জানান, রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী যতটুকু জায়গা ছাড়ার কথা ভবন মালিকপক্ষ তা ছাড়েনি। রাখেনি পার্কিং ব্যবস্থা। তা ছাড়া রাজউকের অনুমোদিত কোনো নকশা দেখাতে পারেনি মালিকপক্ষ। ফলে ভবন দুটির আংশিক ভেঙে দিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
০৬ মার্চ, ২০২৪

বেইলি রোডের বন্ধ নবাবী ভোজ সিলগালা করল রাজউক
রাজধানীর বেইলি রোডের নবাবী ভোজ নামের রেস্তোরাঁটি সিলগালা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজউজকের এক ঝটিকা অভিযানে প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করা হয়।   অভিযানকালে দেখা যায় রেস্টুরেন্টটি বন্ধ রয়েছে। এ সময় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায়। এরপর বন্ধ রেস্টুরেন্টটি সাময়িক সময়ের জন্য সিলগালা করে দেয় রাজউক।  রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের দেওয়া নোটিশে বলা হয়, ‘গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে সংগঠিত ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমলে নিয়ে যথাযথভাবে জরুরিভিত্তিতে সঠিকভাবে সংস্কারের কাজ চালু থাকায় সাময়িক সময়ের জন্য রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকিবে। এজন্য সবার নিকট আমরা দুঃখিত।’ এর আগে রাজধানীর বেইলি রোডের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ অগ্নিকাণ্ডের পরই রাজধানীর বিভিন্ন ভবনে রেস্তোরাঁ তৈরি নিয়ে উদ্বেগ জানান বিশেষজ্ঞরা। তারপরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ভবনের অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি। এদিকে গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডি, ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশত রেস্তোরাঁয় একযোগে অভিযান পরিচালনা করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও পুলিশ। 
০৫ মার্চ, ২০২৪

ম্যানেজে চুপ ছিল রাজউক
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটিতে রেস্তোরাঁ ব্যবসা চলছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই। রাজউক চুপ থাকায় অবৈধভাবে রেস্তোরাঁ স্থাপন, গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার ব্যবহার করে ব্যবসা করতে পারছিলেন তারা। আর এই সিলিন্ডার থেকেই আগুনের সূত্রপাত। পরে তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়লে প্রাণ হারায় ৪৬ জন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভবনটিতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় শুক্রবার পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করেছে। মামলায় রাজউককে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার বিষয়টি উঠে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন চুমুক ফাস্ট ফুডের মালিক আনোয়ারুল হক, গ্রিন কোজি কটেজের ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মালিক, ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল ও কাচ্চি ভাইয়ের মালিক সোহেল সিরাজ। বাকিরা অজ্ঞাত। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ভবনটিতে ১৪টি রেস্তোরাঁ ছিল। সেগুলো হলো চুমুক ফাস্ট ফুড, কাচ্চি ভাই, মেজবানী রেস্টুরেন্ট, খানাস ফ্ল্যাগশিপ, স্ট্রিট ওভেন, জেস্টি, হাক্কা ঢাক্কা, শেখহলি, ফয়সাল জুসবার, ওয়াফেলবে, তাওয়াজ, পিজ্জা ইন, ফোকো ও এম্ব্রোশিয়া। এই রেস্তোরাঁগুলো কোনো নিরিপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই রান্নার কাজে গ্যাসের সিলিন্ডার ও চুলা ব্যবহার করত। যেগুলো রাখা হতো নিচতলার গেটে ও সিঁড়িতে। রেস্তোরাঁগুলো বিপুল পরিমাণ গ্যাস সিলিন্ডার নিচতলায় মজুত করেছিল। নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে অবহেলা, অসাবধানতা ও বিপজ্জনকভাবে এই গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলার ব্যবহার করে আসছিল। ভয়াবহ আগুনের পর প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভবনটি আবাসিক হিসেবে নির্মিত হলেও পরবর্তী সময়ে বাণিজ্যিক সনদ সংগ্রহ করে। রেস্তোরাঁগুলো গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের কোনো অনুমতিপত্র নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণের জন্য পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইসারসহ অন্যান্য ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি ছিল না। এমনকি ভবনে ফায়ার এক্সিট সিঁড়িও ছিল না। বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাদের দায় থাকবে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, এই অবহেলাজনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে কাদের দায় আছে, ভবন মালিকের দায়, নাকি রেস্টুরেন্ট মালিক ও ম্যানেজারের দায়, কোথায় কোথায় অবহেলা আছে, কোন কোন সংস্থা এখানে কাজ করার কথা ছিল, তারা কীভাবে কাজ করছে—সব বিষয় আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করছি। এরপর যাদের দায় পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের তদন্তে রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিযোগ উঠলেও প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এই আগুনের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজউক। শুক্রবার কমিটি গঠন করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড রোধে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। গতকাল তিনি বলেন, আমার মনে হয় রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। গ্রেপ্তার চারজন রিমান্ডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল। গতকাল তাদের আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনছার মিলটন রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আলো ঝলমল ভবনটি এখন কঙ্কাল দুদিনের ব্যবধানে পাল্টে গেছে আলো ঝলমলে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটির চিত্র। ভোজনরসিকদের আনাগোনায় ব্যস্ত থাকা বেইলি রোডের পুরো ভবনটি এখন দেখলে আর চেনা যায় না। ২৯ ফেব্রুয়ারির আগুনে পুড়ে ভবনটির সব ফ্লোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাচঘেরা ঝলমলে ভবনটি এখন কঙ্কালের মতো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে এই বেইলি রোড ঘিরে যে কর্মচাঞ্চল্য থাকে, তা শুক্রবার ও গতকাল দেখা যায়নি। মানুষের সমাগম থাকলেও সবার মধ্যেই হাহাকার বিরাজ করছে। থমকে দাঁড়াচ্ছে ভবনটির সামনে। ক্রাইম সিন লিখা ফিতায় ঘিরে রাখা হয়েছে ভবনের চারপাশ। তদন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া ভেতরে ঢুকতে পারছেন না কেউ। ভয়াবহ আগুনের ফলে ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ বলছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল দুপুরে ভবনটির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মালিবাগের বাসিন্দা রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, মাঝেমধ্যেই পরিবার নিয়ে এখানে আসা হতো। আজ ভবনের এই চেহারা দেখে ভয় লাগছে। এই মারা যাওয়া ৪৬ জনের মধ্যে আমি, আমার পরিবার থাকতে পারতাম। ওরা গ্যাস সিলিন্ডারগুলো নিরাপদে রাখলে এমনটা হয়তো হতো না। রেদুয়ান নামে এক পথচারী বলেন, আমি প্রতিদিন এই ভবনের সামনে দিয়েই যাই। পুড়ে যাওয়ার পর ভবনটি দেখে ভয় লাগছে। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট এ. কে. এম হেদায়েতুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ৪৬ জনের মধ্যে ৪৩ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি থাকা তিনজনের মধ্যে একজনকে তার পরিবারের সদস্যরা ঘড়ি দেখে চিহ্নিত করেছেন। আরেকজন নারী সংবাদ কর্মী। এ ছাড়া আরও একজনের মরদেহ আছে।
০৩ মার্চ, ২০২৪

রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অগ্নিকাণ্ড রোধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনার থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেইলি রোডে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে হবে। অগ্নিকাণ্ড রোধে রাজউক এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক অবস্থান নিতে হবে। চলমান অভিযান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে হাসপাতাল বন্ধ নয়, তবে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরা ভালো থাকলে সেবার মান বাড়বে, সেবা নিশ্চিত হবে। তাই চিকিৎসকদের জায়গা দিতে হবে।
০২ মার্চ, ২০২৪

আইন শাখার অনুমোদন পেলেই উচ্ছেদ অভিযানে নামবে রাজউক
রাজধানীর সুতিভোলা খাল উদ্ধারে মাঠে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আইন শাখার অনুমোদন পাওয়া মাত্র উচ্ছেদ অভিযানে নামবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। দৈনিক কালবেলায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘ভাই-ভাই গ্রুপের কবজায় রাজউকের ১২১ প্লট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে রাজউক ও ডিএনসিসির। জানা গেছে, বাড্ডা পুনর্বাসন প্রকল্পের ১২১টি প্লট দখল, সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন সুতিভোলা খালে বাঁধ দিয়ে মাছের খামার, সাধারণ জনগণ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রায় হাজার বিঘার বেশি সম্পত্তি দখল করেছে ডিএনসিসির এক কাউন্সিলর। নিজের ভাই, বোনজামাই এবং বাবাকে নিয়ে গড়ে তোলা ভাই-ভাই গ্রুপের দখলে রয়েছে এসব জমি। ডিএনসিসির ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম হলেন এই গ্রুপের প্রধান। রাজউকের এস্টেট ও ভূমি-১-এর পরিচালক কামরুল ইসলাম জানান, আইন শাখার মতামত পেলেই বেদখল হয়ে যাওয়া প্লট উদ্ধারে মাঠে নামবে প্রশাসন। বিষয়টি রাজউক অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। নানা টালবাহানায় উচ্ছেদ অভিযান আবারও পিছিয়ে যাবে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে অভিযান শুরুর বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এদিকে বেদখল হয়ে যাওয়া সুতিভোলা খাল উদ্ধারে মাঠে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও (ডিএসসিসি)। এরই মধ্যে বেদখল হয়ে যাওয়া জমিতে লাল পতাকা নিশান গেড়ে জমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে ডিএসসিসি। এতে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন শত শত ভুক্তভোগী। এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মেয়রের নির্দেশেই বেদখল হয়ে যাওয়া এ খাল উদ্ধারে নেমেছে সিটি করপোরেশন। আশা করি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই আমরা তা উদ্ধার করতে সক্ষম হব। এদিকে কাউন্সিলর জাহাঙ্গিরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত মাহমুদুর রহমান শিমুল রাজউক ও সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে এসব বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করেন বলে বলে জানা গেছে। সিটি করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, বাড্ডা পুনর্বাসন এলাকায় মোট প্লট রয়েছে ১ হাজার ১৪১টি। তবে এর মধ্যে অন্তত দেড় শতাধিক প্লট বেদখল হয়ে গেছে। বেদখল হওয়ার জন্য রাজউক কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা। একাধিক প্লটের মালিক জানান, রাজউকের কাছ থেকে তারা প্লট ক্রয় করেছেন। এই প্লট তাদের হস্তান্তর করার আগেই একজন কাউন্সিলর তা দখল করে নেয়। এর মধ্যে দখলে নেওয়া প্লটে গড়ে তুলেছেন সুবিশাল মাছের আড়ত, বরফকল, ওয়ার্কশপসহ নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে অভিযুক্ত কাউন্সিলর লিখিতভাবে কালবেলাকে জানিয়েছেন, এসব দখলের সঙ্গে তার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। একটি মহল তার এবং তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

একাধিক পদে ১১৮ জনকে চাকরি দিচ্ছে রাজউক
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। প্রতিষ্ঠানটি একাধিক শূন্য পদে লোকবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ১৯ অক্টোবর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) পদের সংখ্যা : ৩০টি  লোকবল নিয়োগ : ১১৮ জন  পদের নাম : সহকারী পরিচালক (প্রশাসন/এস্টেট ও ভূমি) পদসংখ্যা : ০৮টি বেতন : ২২,০০০-৫৩,০৬০ (গ্রেড-৯) শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পদের নাম : সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও প্রটোকল) পদসংখ্যা : ১টি  বেতন : ২২,০০০-৫৩,০৬০ (গ্রেড-৯) শিক্ষাগত যোগ্যতা : সাংবাদিকতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বা সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। পদের নাম : সহকারী পরিচালক (হিসাব)  পদসংখ্যা : ২টি  বেতন : ২২,০০০-৫৩,০৬০ (গ্রেড-৯) শিক্ষাগত যোগ্যতা : ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স অথবা অ্যাকাউন্টিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। পদের নাম : সহকারী পরিচালক (পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন) পদসংখ্যা : ১টি  বেতন : ২২,০০০-৫৩,০৬০ (গ্রেড-৯) শিক্ষাগত যোগ্যতা : অর্থনীতি, পরিসংখ্যান, ফিন্যান্স বা হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। পদের নাম : সহকারী অথরাইজড অফিসার  পদসংখ্যা : ১৮টি  বেতন : ২২,০০০-৫৩,০৬০ (গ্রেড-৯) শিক্ষাগত যোগ্যতা : সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, স্থাপত্য অথবা নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়ে স্নাতক। পদের নাম : সহকারী স্থপতি  পদসংখ্যা : ০৬টি বেতন : ২২,০০০-৫৩,০৬০ (গ্রেড-৯) শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি পদের নাম : সহকারী আইন কর্মকর্তা  পদসংখ্যা : ০২টি বেতন : ২২,০০০-৫৩,০৬০ (গ্রেড-৯) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এলএলবি (সম্মান)সহ এলএলএম ডিগ্রি। পদের নাম : সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদসংখ্যা : ০৩টি বেতন : ২২,০০০-৫৩,০৬০ (গ্রেড-৯) শিক্ষাগত যোগ্যতা : সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি পদের নাম : সহকারী প্রকৌশলী (বৈদ্যুতিক) পদসংখ্যা : ১টি বেতন : ২২,০০০-৫৩,০৬০ (গ্রেড-৯) শিক্ষাগত যোগ্যতা : ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি পদের নাম : সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ পদসংখ্যা : ১৪টি বেতন : ২২,০০০-৫৩,০৬০ (গ্রেড-৯) শিক্ষাগত যোগ্যতা : নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি। পদের নাম : উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) পদসংখ্যা : ০৭টি বেতন : ২২,০০০-৫৩,০৬০ (গ্রেড-৯) শিক্ষাগত যোগ্যতা : পুরকৌশল প্রকৌশলে ডিপ্লোমা। পদের নাম : উপসহকারী প্রকৌশলী (বৈদ্যুতিক)  পদসংখ্যা : ১টি বেতন : ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ (গ্রেড-১০) শিক্ষাগত যোগ্যতা : তড়িৎ অথবা তড়িৎ প্রকৌশলে ডিপ্লোমা। পদের নাম : প্রধান ইমারত পরিদর্শক  পদসংখ্যা : ০২টি বেতন : ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ (গ্রেড-১০) শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্থাপত্য/সিভিল প্রকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা। পদের নাম : ইমারত পরিদর্শক  পদসংখ্যা : ১৯টি বেতন : ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ (গ্রেড-১০) শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্থাপত্য বা পুরকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা পদের নাম : কানুনগো  পদসংখ্যা : ০১টি  বেতন : ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ (গ্রেড-১০) শিক্ষাগত যোগ্যতা : ৪ বছর মেয়াদি সার্ভে (জরিপ) ডিপ্লোমা পদের নাম : হিসাবরক্ষক  পদসংখ্যা : ০১টি বেতন : ১২,৫০০-৩০,২৩০ (গ্রেড-১১) শিক্ষাগত যোগ্যতা : বাণিজ্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি পদের নাম : ফোরম্যান (যান্ত্রিক) পদসংখ্যা : ০১টি বেতন : ১২,৫০০-৩০,২৩০ (গ্রেড-১১) শিক্ষাগত যোগ্যতা : যান্ত্রিক বা অটোমোবাইল প্রকৌশলে ডিপ্লোমা। পদের নাম : ফোরম্যান (বৈদ্যুতিক) পদসংখ্যা : ০১টি বেতন : ১২,৫০০-৩০,২৩০ (গ্রেড-১১) শিক্ষাগত যোগ্যতা : তড়িৎ বা তড়িৎ প্রকৌশলে ডিপ্লোমা পদের নাম : সহকারী পরিসংখ্যানবিদ  পদসংখ্যা : ০১টি বেতন : ১২,৫০০-৩০,২৩০ (গ্রেড-১১) শিক্ষাগত যোগ্যতা : পরিসংখ্যান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি পদের নাম : অটোক্যাড অপারেটর  পদসংখ্যা : ০৩টি  বেতন : ১১,৩০০-২৭,৩০০ (গ্রেড-১২) শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্থাপত্য বিষয়ে ডিপ্লোমা পদের নাম : জিআইএস অপারেটর  পদসংখ্যা : ০২টি বেতন : ১১,৩০০-২৭,৩০০ (গ্রেড-১২) শিক্ষাগত যোগ্যতা : কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স বা স্থাপত্য বিষয়ে ডিপ্লোমা পদের নাম : নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক  পদসংখ্যা : ০১টি বেতন : ১০,২০০-২৪,৬৮০ (গ্রেড-১৪) শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক ডিগ্রি পদের নাম : সার্ভেয়ার  পদসংখ্যা : ০১টি বেতন : ৯,৭০০-২৩,৪৯০ (গ্রেড-১৫) শিক্ষাগত যোগ্যতা : ৪ বছর মেয়াদি সার্ভে ডিপ্লোমা পদের নাম : কাটোগ্রাফিক অ্যাসিসটেন্ট পদসংখ্যা : ১২টি বেতন : ৯,৭০০-২৩,৪৯০ (গ্রেড-১৫) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান  পদের নাম : জিআইএস টেকনিশিয়ান  পদসংখ্যা : ০২টি বেতন : ৯,৭০০-২৩,৪৯০ (গ্রেড-১৫) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান  পদের নাম : অপারেটর  পদসংখ্যা : ০১টি বেতন : ৯,৭০০-২৩,৪৯০ (গ্রেড-১৫) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান  পদের নাম : ভারী গাড়িচালক  পদসংখ্যা : ০১টি বেতন : ৯,৭০০-২৩,৪৯০ (গ্রেড-১৫) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এসএসসি বা সমমান এবং বৈধ লাইসেন্সসহ ৩ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পদের নাম : ট্রান্সপোর্ট সুপারভাইজার  পদসংখ্যা : ০১টি বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধা বা শহিদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর। আবেদন ফি : ১ থেকে ১১ পদের জন্য টেলিটক সার্ভিস চার্জসহ ৬৬৯ টাকা, ১২ থেকে ১৭নং পদের জন্য টেলিটক সার্ভিস চার্জসহ ৫৫৮ টাকা, ১৮ থেকে ২৩নং পদের জন্য টেলিটক সার্ভিস চার্জসহ ৩৩৫ টাকা, ২৪ থেকে ৩০নং পদের জন্য টেলিটক সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা জমা দিতে হবে।  আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময় : ১৯ নভেম্বর ২০২৩।
২০ অক্টোবর, ২০২৩
X