রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (সচিব) আনিছুর রহমান মিঞা বলেছেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কিছু ভবন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব ভবন নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে তারা নিজ উদ্যোগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে আমাদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত পরীক্ষা-নিরাক্ষায় প্রমাণ করতে না পারবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের রিপোর্টই সঠিক।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে ‘নগর উন্নয়নের ঝুঁকি হ্রাসে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফয়জুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব সত্যব্রত সাহা, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পাল। তাছাড়া বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরাও তাদের সংস্থার বক্তব্য তুলে ধরেন।
আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, আমরা শুধু ভবনের নাম লিখেই ঝুঁকিপূর্ণ লিখে দেইনি। এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিস্তারিত রিপোর্ট রয়েছে। কেউ চাইলে তা যাচাইবাছাই করুক। কিন্তু নিরাপদ নগরী গড়তে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসরাণের কোনো বিকল্প নেই।
সাবেক সচিব সত্যব্রত সাহা বলেন, ঢাকায় যে ভবনগুলো নির্মাণ হচ্ছে তার সঠিক মানদণ্ড অনুসরণ করা হচ্ছে কি না তা বোঝার উপায় নেই। কত রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হলে তা সইতে পারবে সেটা নির্ধারণ করা উচিত। শুধু কর্তৃপক্ষকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, নগরবাসীরও দায় আছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, অভিযাত এলাকার অনেককেই দেখি কলার খোসাসহ ময়লা জানালা দিয়ে ফেলে দিচ্ছেন। এসব ময়লা আবার তারের সঙ্গে আটকে থাকছে। এই ময়লা পরিষ্কারের জন্য আমরা কাকে দোষারূপ করবো?
মন্তব্য করুন