আ.লীগ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না : রাশেদ খান
আওয়ামী লীগ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।  পিলখানা হত্যাকাণ্ডে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।  রাশেদ খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এই শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং সেখানে উপস্থিত শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে তাদের খোঁজখবর নেয়। রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতার মসনদে বসার পরপরই এমন নির্মম ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না। ঘটনার দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত জাতির কাছে কোনকিছু খোলাসা হয়নি যে, কেন এই নির্মম ঘটনা ঘটল। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি আসলেও, সেটি এখনো করা হয়নি। সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারাও বিভিন্ন সময় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।  কোনো আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতায় এই ঘটনা ঘটেছে কিনা, সেটিরও তদন্ত হওয়া দরকার। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপির উপর আওয়ামী লীগ দিয়ে থাকে, কিন্তু পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায় কেন তারা নেন না?  তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এবার ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতার নবায়ন করেছে। তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সঠিক তদন্ত ও বিচার সম্ভবপর নয়। আগামীতে গণতন্ত্রের সরকার ক্ষমতায় আসলে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্ত এবং শহীদ পরিবারবর্গকে যথাযথভাবে সম্মানিত করা হবে।  আমরা গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারবর্গের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। দেশের জনগণকে বলব, এই নির্মম ঘটনা আপনারা ভুলে যাবেন না। পিলখানা হত্যাকাণ্ড আপনারা স্মরণ করুন। এটি জাতির জন্য একটি শোকের দিন।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার কারণ জানালেন রাশেদ খান
জনগণের ঐক্য হলেও রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় আন্দোলন ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।  তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার মাধ্যমে জনগণ যে ঐক্যবদ্ধ, সেটির প্রমাণ তারা দিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে না। জনগণের ঐক্য হলেও রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় আন্দোলন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। সুতরাং সমস্ত বিভেদ ভুলে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, তাহলেই জনগণ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নেমে আসবে।  বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন রাশেদ। গণঅধিকার পরিষদের নেতা উজ্জ্বল, ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন ও যুব অধিকার পরিষদের বগুড়া ধুনট উপজেলার নেতা-কর্মীসহ সকল রাজবন্দি, আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা মহানগর গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়। রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একটি ভুয়া নির্বাচন করেছে। এই নির্বাচন জনগণ গ্রহণ করেনি। সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়েছে। আর ’১৪ সালের মতো কুত্তা-বিড়াল, ভেড়া ও বানরের পাল ঘোরাঘুরি করেছে। গণঅধিকার পরিষদের একাংশের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেক জায়গায় বিএনপিসহ আমাদের আন্দোলনের ব্যর্থতা খুঁজে বেড়ানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা কি আসলেই ব্যর্থ? সরকার কীভাবে নির্বাচন করেছে, সেটা তো সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেই দিয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব থেকে শুরু করে ৩০ হাজার নেতাকর্মী জেলে, গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে বাংলাদেশকেই ওরা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। রাশেদ খান বলেন, শুধু ঘরে বসে ফেসবুকে প্রতিবাদ জানালেই আন্দোলন তৈরি হবে না। আর যদি মনে করেন, আমেরিকা-ইউরোপ ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে, সেটি ভুল। আমেরিকা-ইউরোপ হয়তো গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলবে, কিন্তু রাজপথে আন্দোলন আমাদেরই করতে হবে। গণঅভ্যুত্থান ছাড়া সরকারকে সরানো যাবে না। আজকে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে আসাদ, মতিউরদের রক্তে আইয়ূব খানের পতন হয়। জনগণ রাজপথে নেমে আসলে আবারও গণঅভ্যুত্থান হবে।  দলটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, একদিকে সরকার কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বন্দি রেখে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, অন্যদিকে এই ডামি সরকার দেশকে মহাকারাগারে পরিণত করেছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার বিকল্প নেই। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, মশিউর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটারের উপস্থিতি দেখানো হবে : রাশেদ খান
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে। আগামীকাল রোববার কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। সকলে ঘরে অবস্থান করুন। নিজ নিজ জায়গা থেকে গণকারফিউ পালন করুন। শনিবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিজয়নগর পানির টাঙ্কির মোড়ে মিছিল-পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি এ আহ্বান জানান। ভোট বর্জনের আহ্বান এবং একদফা দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর চলমান হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে দলটি। মো. রাশেদ খান বলেন, ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে। আগামীকাল কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। সকলে ঘরে অবস্থান করুন। নিজ নিজ জায়গা থেকে গণকারফিউ পালন করুন। এ সরকার আপনাদের ভাত ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিউজ হচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নাই, আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠেছে। সংবিধান থেকে ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের জনগণকে বলব- রাজপথে নামুন, প্রতিবাদ করুন। আর কত চুপ করে সহ্য করবেন? আমরা গণঅধিকার পরিষদের নেতারা আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছি। আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থান রচিত হলে এ সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে।  রাশেদ খান আরও বলেন, ২০১৪ ও ’১৮ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। ভোটকেন্দ্রে কুকুর-বিড়াল ঘোরাঘুরি করেছে। আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করা হবে, ৫০-৬০% ভোটার উপস্থিতি দেখানো হবে। ডামি নির্বাচনে ডামি ভোটার থাকবে। বিদেশিদের দেখানো হবে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু জনগণ এ নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘ ও আমেরিকার সংলাপ-সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সরকার দেশকে নিষেধাজ্ঞার দিকে নিয়ে গিয়েছে। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন ও যেসব সরকারি কর্মকর্তা এ একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করছে- এটি বন্ধ না করলে নির্বাচনের পরে তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। নতুন সরকারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। তাই দেশ ও জাতির প্রতি ভালোবাসা থাকলে আজকেই পদত্যাগ করে সংসদ বিলুপ্ত করে সংবিধানের ১২৩ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিন। দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে তার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য নিজেদের লোক দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ট্রেনে এবং বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। আমরা ২০১৪ সালেও বাসে-ট্রেনে আগুনের ঘটনা দেখেছি।  তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে এ সরকারের একতরফা নির্বাচনের খবর প্রচার হচ্ছে। ৭ জানুয়ারির এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এক গভীর সংকটে পড়তে যাচ্ছে। তাই দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানাই, ডামি নির্বাচনকে বর্জন করে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।  গণঅধিকার পরিষদের এ অংশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশ ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন-দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, জসিম উদ্দিন আকাশ, ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ নেতাকর্মীরা।  
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪

পশ্চিমা শক্তির ষড়যন্ত্র সফল হবে না : রাশেদ খান মেনন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে ১৪ দলের প্রার্থী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ও আমেরিকাসহ পশ্চিমা শক্তির ষড়যন্ত্র সফল হবে না। সব অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ডিঙিয়ে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনী উৎসবে মেতেছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) উজিরপুরের বরাকোঠা ইউনিয়নের উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেওয়ার সময় মেনন এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন সরকারের গত তিন আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। এ সময় নৌকায় ভোট চান বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি। উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী রাশেদ খান মেননকে নির্বাচিত করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লড়াইকে এগিয়ে নিতে হবে। মেননের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সামনে নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রকারীরা ঠাঁই পাবে না। উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান, উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম জামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন বেপারী, ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি অতুলন দাস ও বরাকোঠা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সহিদুল ইসলাম। বৈঠকে সভাপতিত্বে করেন বরাকোঠা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম হেলাল।
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪

ডামি নির্বাচন কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না : রাশেদ খান
গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর নাইটিংগেল মোড় এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করে দলটি। পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভা করে গণঅধিকার পরিষদ। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, আওয়ামী লীগ আমি ও ডামির নির্বাচন করছে। এ নির্বাচন ৬২টি রাজনৈতিক দল বর্জন করেছে। জনগণও ভোটকেন্দ্রে যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু জনগণকে ভয় দেখিয়ে ভোটকেন্দ্র নেওয়ার জন্য আওয়ামী ভয় দেখাচ্ছে, এনআইডি কার্ড ও ভাতা সুবিধা বাতিলের হুমকি দিচ্ছে। বিরোধীদলবিহীন ডামি নির্বাচন দেশ-বিদেশের কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।  তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমেরিকার প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে। তাদের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল সংলাপ, সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে। কিন্তু সেটি করা হয়নি। বরং জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছাড় দিয়ে নির্বাচনে নিয়েছে। গতকাল জি এম কাদের বলেছে, তাদের কোনো আসন ছাড় দেওয়া হয়নি। কিন্তু আসন ছাড়ের বক্তব্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।  তিনি আরও বলেন, এটা ১৪ কিংবা ১৮ সাল নয়। এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে ২০২৪ সালে। এখনকার জনগণ অত্যন্ত সচেতন। আমাদের উন্নয়ন সহযোগী, বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে একতরফা নির্বাচন হওয়ায়, সেখানকার শতাধিক এমপির ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। বাংলাদেশে একতরফা ডামি নির্বাচন হলে এখানেও ৩০০ এমপির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এমপি মন্ত্রীদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করে, অনেকের ব্যবসা বাণিজ্য রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা আসলে পড়াশোনা ও ব্যবসা বাণিজ্য সব বন্ধ হয়ে যাবে।  আওয়ামী লীগ যে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্ভিক্ষের গল্প শোনাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন সরকার কর্তৃক অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও গার্মেন্টসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসলে, তার মূল ভুক্তভোগী হবে দেশের জনগণ। সুতরাং সরকারকে বলব, দেশ ও জনগণের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকলে, একতরফা নির্বাচন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিন। এখন সময় আছে, বিরোধীদলগুলোকে ডাকুন, বসুন, আলোচনা করুন। একটা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করুন। আমরাও ভোটকেন্দ্র যেতে চাই, নির্বাচন করতে চাই, ভোট দিতে চাই। অন্যথায় একতরফা নির্বাচনের পরিণতি ভালো হবে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল।  আরও বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সম্রাট, উচ্চতর পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন আকাশ, ক্রীড়া সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসানসহ দলের নেতাকর্মীরা।
০২ জানুয়ারি, ২০২৪

ভয় দেখিয়ে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে নেওয়া যাবে না : রাশেদ খান
বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর ডাকে আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন এবং একদফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে রাজধানীতে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। দ্বিতীয় ধাপের তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কাওরানবাজার মোড়ে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগপূর্ব সংক্ষিপ্ত পথসভা করে দলটি। এরপর কাওরানবাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। গণসংযোগপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, সাধারণ মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নিতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে সরকার। ভোটকেন্দ্র না গেলে সামাজিক নিরাপত্তার আদলে গরিব ও দুস্থ মানুষদের বিভিন্ন ভাতা কার্ড বাতিলের হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু ভয় দেখিয়ে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে নেওয়া যাবে না। আমরা প্রহসনের ডামি নির্বাচনের ভুয়া ভোট বর্জনে গণসংযোগ করছি। সাধারণ জনগণ বলছে, তারা ১৪ ও ১৮ সালে ভোট দিতে পারেনি। বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতারাই মধ্যরাতে ভোটচুরির স্বীকারোক্তি দিচ্ছে। ১৮ সালে নাকি উপর মহলের নির্দেশনায় তারা রাতেই ৬০ শতাংশ সিল মেরেছে। তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনকে বলবো দেশের জনগণের পাশে এসে দাঁড়ান। কারও অবৈধ ক্ষমতার সিঁড়ি হবেন না। নির্বাচন কমিশনের কালো আইন জনগণ মানেনি। কোনো আইন করে, দমনপীড়ন চালিয়ে চলমান আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এই সরকারের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছে, তারা এই প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। আর যারা ভোটচুরির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে, তারা রাজাকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে বলবো, রাজপথে নেমে আসুন। সরকারের পদত্যাগ এবং সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত না করে আমরা ঘরে ফিরব না। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম, যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

ভয় দেখিয়ে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে নেওয়া যাবে না : রাশেদ খান
বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর ডাকে আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন এবং একদফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে রাজধানীতে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। দ্বিতীয় ধাপের তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কাওরানবাজার মোড়ে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগপূর্ব সংক্ষিপ্ত পথসভা করে দলটি। এরপর কাওরানবাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। গণসংযোগপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, সাধারণ মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নিতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে সরকার। ভোটকেন্দ্র না গেলে সামাজিক নিরাপত্তার আদলে গরিব ও দুস্থ মানুষদের বিভিন্ন ভাতা কার্ড বাতিলের হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু ভয় দেখিয়ে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে নেওয়া যাবে না। আমরা প্রহসনের ডামি নির্বাচনের ভুয়া ভোট বর্জনে গণসংযোগ করছি। সাধারণ জনগণ বলছে, তারা ১৪ ও ১৮ সালে ভোট দিতে পারেনি। বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতারাই মধ্যরাতে ভোটচুরির স্বীকারোক্তি দিচ্ছে। ১৮ সালে না কি উপর মহলের নির্দেশনায় তারা রাতেই ৬০ শতাংশ সিল মেরেছে। তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনকে বলব দেশের জনগণের পাশে এসে দাঁড়ান। কারও অবৈধ ক্ষমতার সিঁড়ি হবেন না। নির্বাচন কমিশনের কালো আইন জনগণ মানেনি। কোনো আইন করে, দমন-পীড়ন চালিয়ে চলমান আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এই সরকারের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছে, তারা এই প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। আর যারা ভোটচুরির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে, তারা রাজাকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সকল দেশপ্রেমিক নাগরিককে বলবো, রাজপথে নেমে আসুন। সরকারের পদত্যাগ এবং সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত না করে আমরা ঘরে ফিরব না। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

রাশেদ খান মেনন
সমবায়কে আমরা সমবায় আন্দোলন হিসেবে দেখেছি, প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখার সুযোগ হয়নি। সমবায় আন্দোলন বাংলাদেশে এসে অফিসিয়াল পদ্ধতিতে পড়ে গেছে। এ নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গিটাই পাল্টে গেছে। যেখানে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ রয়ে গেছে, এটি কমাতে হবে। আমাদের সংবিধানে তিন ধরনের মালিকানার কথা বলা হয়েছে। একটি হলো রাষ্ট্রীয় মালিকানা, একটি সমবায় মালিকানা এবং অন্যটি ব্যক্তি মালিকানা। বঙ্গবন্ধু সমবায়কে গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছিলেন। এমনকি বাকশাল কর্মসূচিতেও সমবায়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি গ্রামাঞ্চলেও সমবায় গঠনের কথা বলেছেন। যাতে জমির মালিকদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি না হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরবর্তী সময়ে যখন আমরা রাষ্ট্রীয় মালিকানা এবং সমবায় মালিকানাকে বিদায় করে ধীরে ধীরে ব্যক্তি খাতকে প্রাধান্য দিয়ে অর্থনৈতিক নীতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ শুরু করলাম, তখন সমবায়কে আর এগিয়ে নেওয়া যায়নি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু-পরবর্তী সময়ে যখন আমরা রাষ্ট্রীয় মালিকানা এবং সমবায় মালিকানাকে বিদায় করে ধীরে ধীরে ব্যক্তি খাতকে প্রাধান্য দিয়ে অর্থনৈতিক নীতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ শুরু করলাম, তখন সমবায়কে আর এগিয়ে নেওয়া যায়নি। ফলে সমবায়ের যে স্বনির্ভরতার উৎসাহ সেটা বাধাগ্রস্ত হয়। সমবায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে দেখা উচিত। নিবন্ধনের জন্য কিছু নীতিমালা থাকবে, কীভাবে নিবন্ধন হবে তার জন্য কিছু রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক থাকবে। যারা সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, যারা সমবায় আন্দোলনের কর্মী রয়েছেন, তাদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে। জনমত গঠন করতে হবে এবং সমবায় আইন ও সমবায় কমিশনের জন্য জনআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

বরিশাল-৩ নয়, ২ পেলেন মেনন
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের আসন ফের পরিবর্তন হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে বরিশাল-৩ নয়, বরিশাল-২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী করবেন তিনি। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন রাশেদ খান মেনন। রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি এখন বরিশাল-২ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। এর আগে বৃহস্পতিবার ১৪ দলীয় জোট শরিকদের সাত আসনে ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টিকে যে তিনটি আসনে ছাড় দেওয়া তার মধ্যে মেননকে বরিশাল-৩ আসন দেওয়া হয়েছিল। একদিন পরেই পরিবর্তন করে তাকে বরিশাল-২ আসন দেওয়া হলো। অবশ্য মেনন বরিশাল–২ ও ৩ আসনেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এদিকে বরিশাল–২ (উজিরপুর ও বানারীপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তালুকদার মো. ইউনুস। এখন ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে রাশেদ খান মেনন ওই আসন থেকে নির্বাচন করলে তালুকদার মো. ইউনুস বাদ পড়বেন। বর্তমানে ঢাকা–৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন ১৯৭৯, ১৯৯১ সালে বরিশাল-২ আসনে নির্বাচন করেছিল।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

বঙ্গবন্ধু কর্মসূচিতে সমবায়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন : মেনন
সমবায় বিষয়টি আজ বাস্তবে নেই বললেই চলে মন্তব্য করে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, কিছু সমবায় সমিতি এবং ফেডারেশন উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী ছিল। সমবায় সমিতি আইনে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ রয়ে গেছে। যে কারণে সমবায়ের যে স্বনির্ভরতার উৎসাহ তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সমবায়কে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতেন। এমনকি তার বাকশাল কর্মসূচিতেও সমবায়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর নিউমার্কেটে দৈনিক কালবেলার প্রধান কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমবায় গঠনে অন্তরায় ও উত্তরণ: প্রসঙ্গ সমবায় সমিতি আইন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও দৈনিক কালবেলা গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। রাশেদ খান মেনন বলেন, শুধু সংসদীয় আলোচনায় এটার সুরাহা হবে না। সংসদের ওপরে শুধু তখনই ভরসা করা যাবে যখন বাইরে থেকে চাপ আসবে। তাই আমি বলব, যারা সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ও আন্দোলনের কর্মী রয়েছেন তাদের এগিয়ে আসতে হবে।  তিনি বলেন, সমবায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে দেখা উচিত। নিবন্ধনের জন্য কিছু নীতিমালা থাকবে, কীভাবে নিবন্ধন হবে তার জন্য কিছু রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক থাকবে। জনমত গঠন, সমবায় আইন ও সমবায় কমিশনের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আপনারা যদি সমবায় আইন সংশোধন করতে চান এবং আমি যদি সংসদে ফিরে আসি তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে কথা বলব। তবে জনমানুষের মধ্য থেকে অবশ্যই সমবায় কমিশনের জন্য আন্দোলন গড়ে উঠতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে তিন ধরনের মালিকানার কথা বলা হয়েছে। একটি হল রাষ্ট্রীয় মালিকানা, একটি সমবায় মালিকানা এবং অন্যটি ব্যক্তি মালিকানা। যা বঙ্গবন্ধু সমবায়কে গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছিলেন। এমনকি তার বাকশাল কর্মসূচিতেও সমবায়ের ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি গ্রামাঞ্জলেও সমবায় গঠনের কথা বলেছেন। যাতে জমির মালিকদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি না হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরবর্তী সময়ে যখন আমরা রাষ্ট্রীয় মালিকানা এবং সমবায় মালিকানাকে বিদায় করে আস্তে আস্তে ব্যক্তিখাতকে প্রাধান্য দিয়ে অর্থনৈতিক নীতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ শুরু করলাম, তখন সমবায়কে আর এগিয়ে নেওয়া যায়নি। মেনন বলেন, সমবায়কে আমরা সমবায় আন্দোলন হিসেবে দেখেছি, প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখার সুযোগ হয়নি। সমবায় আন্দোলন বাংলাদেশে এসে অফিসিয়াল পদ্ধতিতে পড়ে গেছে। এ নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গিটাই পাল্টে গেছে। যেখানে রাষ্ঠীয় হস্তক্ষেপ রয়ে গেছে। তা কমাতে হবে। সমবায়কে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ এটাকে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবেই দেখা উচিত, এ বেশি নয়। আজকের আলোচনায় সমবায় আন্দোলনের চূড়ান্ত জায়গা হিসেব সমবায় কমিশন গঠনের প্রস্তাবের সঙ্গে আমি একমত।    বর্তমানে গ্রামীণ কৃষির ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের চেয়ে বেশি। যার বড় কারণ ইয়াং ছেলেরা কৃষিকাজের চেয়ে বিদেশ চলে যায়। তারা পরিবারকে রেখে যায়, তখন পরিবারের মুখ্য ভূমিকা রাখে নারী। তখন তারাই কৃষিতে ভূমিকা রাখেন। নারী কৃষি শ্রমিকের ক্ষেত্রে মজুরি বৈষম্য, ঋণের বৈষম্য দূরীকরণে সমবায় আন্দোলনই কেবল না নারী আন্দোলই যুক্ত থাকা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। সবশেষ তিনি জনপ্রিয় দৈনিক কালবেলাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আশা করি কালবেলা আরও পাঠকপ্রিয়তা পাবে।  মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে ও কালবেলা মাল্টিমিডিয়ার শিফট ইনচার্জ অমিত হাসান রবিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক (সমিতি ব্যবস্থাপনা) আহসান কবীর। আলোচক ছিলেন উপস্থিত ছিলেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন নাহার লিপি ও রাজশাহীর রুলফাওর পরিচালক আফজাল হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রিজওয়ানুল ইসলাম।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
X