জনগণের ঐক্য হলেও রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় আন্দোলন ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার মাধ্যমে জনগণ যে ঐক্যবদ্ধ, সেটির প্রমাণ তারা দিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে না। জনগণের ঐক্য হলেও রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় আন্দোলন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। সুতরাং সমস্ত বিভেদ ভুলে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, তাহলেই জনগণ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নেমে আসবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন রাশেদ। গণঅধিকার পরিষদের নেতা উজ্জ্বল, ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন ও যুব অধিকার পরিষদের বগুড়া ধুনট উপজেলার নেতা-কর্মীসহ সকল রাজবন্দি, আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা মহানগর গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একটি ভুয়া নির্বাচন করেছে। এই নির্বাচন জনগণ গ্রহণ করেনি। সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়েছে। আর ’১৪ সালের মতো কুত্তা-বিড়াল, ভেড়া ও বানরের পাল ঘোরাঘুরি করেছে।
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেক জায়গায় বিএনপিসহ আমাদের আন্দোলনের ব্যর্থতা খুঁজে বেড়ানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা কি আসলেই ব্যর্থ? সরকার কীভাবে নির্বাচন করেছে, সেটা তো সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেই দিয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব থেকে শুরু করে ৩০ হাজার নেতাকর্মী জেলে, গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে বাংলাদেশকেই ওরা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
রাশেদ খান বলেন, শুধু ঘরে বসে ফেসবুকে প্রতিবাদ জানালেই আন্দোলন তৈরি হবে না। আর যদি মনে করেন, আমেরিকা-ইউরোপ ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে, সেটি ভুল। আমেরিকা-ইউরোপ হয়তো গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলবে, কিন্তু রাজপথে আন্দোলন আমাদেরই করতে হবে। গণঅভ্যুত্থান ছাড়া সরকারকে সরানো যাবে না। আজকে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে আসাদ, মতিউরদের রক্তে আইয়ূব খানের পতন হয়। জনগণ রাজপথে নেমে আসলে আবারও গণঅভ্যুত্থান হবে।
দলটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, একদিকে সরকার কারাগারে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বন্দি রেখে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, অন্যদিকে এই ডামি সরকার দেশকে মহাকারাগারে পরিণত করেছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার বিকল্প নেই।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, মশিউর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন