মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
রেলপথ ও সড়ক পথ অবোরধের হুঁশিয়ারি ছাত্রলীগের
সদ্য বিলুপ্ত ঘোষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। অন্যথায় রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন তারা। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে কসবা উপজেলা চত্বরে এক প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে এ হুঁশিয়ারি দেয়। এতে বিলুপ্ত ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এসএম সাফায়েত হৃদয়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কসবা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশ প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, জেলা ছাত্রলীগ কালো টাকার বিনিময়ে বুধবার রাতের আঁধারে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। কোনো সম্মেলন ছাড়াই অগণতান্ত্রিকভাবে তড়িঘড়ি করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হককে অবগত না করেই এ কমিটি বিলুপ্ত করে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩০ জুন আফজাল হোসেন রিমনকে আহ্বায়ক, কাজী মানিক ও আশরাফুল ইসলামকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে তিন মাসের জন্য ৫৫ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই আহ্বায়ক কমিটি প্রায় পাঁচ বছর পর বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা থাকায় কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে কথা বলে ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
২৯ মার্চ, ২০২৪

ভাঙ্গা-বেনাপোল রেলপথ নির্মাণকাজ শিগগির শেষ হচ্ছে, জানালেন সেনাপ্রধান
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প (পিবিআরএলপি) কর্তৃক নবনির্মিত নড়াইল রেলওয়ে স্টেশনের কাজের অগ্রগতি এবং বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নড়াইল এসে তিনি এ প্রকল্প ছাড়াও বিভিন্ন কার্যক্রমের খোঁজ নেন। এ সময় তিনি জানান, ভাঙ্গা-বেনাপোল রেলপথ নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে। এ সময় সেনাপ্রধান রেল প্রকল্পে কাজের অগ্রগতির প্রসংশা করেন। তিনি সন্তুষ্ট বলেও জানান। সেনাপ্রধান বলেন, ভাঙ্গা-বেনাপোল রেল প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সেটি এপ্রিল মাসেই শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে নড়াইলের লোহাগড়ায় পৈতৃক ভিটায় মসজিদ উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। মধুমতী নদীর পাড়ের করফা গ্রামে সেনাপ্রধান এ উদ্বোধন করেন। মসজিদটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আল হুদা মসজিদ’। এ দিন সেনাপ্রধান পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প (পিবিআরএলপি) কর্তৃক নবনির্মিত নড়াইল রেলওয়ে স্টেশনের কাজের অগ্রগতি এবং বিভিন্ন স্থাপনাও পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া তিনি মল্লিকপুর ইউনিয়ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবনির্মিত অধ্যাপক শেখ মো. রোকন উদ্দিন আহমেদ মাল্টিপারপাস হল উদ্বোধন করেন। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় সভায় সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লোহাগড়া উপজেলার করফা গ্রাম আমার বাপ-দাদার ভিটা। ১৯৭১ সালে আমি ছোট ছিলাম। যুদ্ধের সময় আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ওই সময় যারা আমাদের পরিবারের পাশে ছিলেন তাদের আমি ও আমার পরিবার কোনোদিন ভুলে যাব না।’ নবনির্মিত আল হুদা মসজিদের পাশে একটি মাদ্রাসা ও একটি কবরস্থান নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন সেনাপ্রধান। এ সময় নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, লোহাগড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান হায়াত, লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায়, মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সহিদুর রহমান সহিদ উপস্থিত ছিলেন।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রেলের দায়িত্বশীলদের হাওয়া খেলে চলবে না : জিল্লুল হাকিম 
রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলের দায়িত্বশীলদের হাওয়া খেলে চলবে না, কাজ করতে হবে। ট্রেনের খাবার মানসম্মত না হলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বাতিল করা হবে।   মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ক্যাটারিং সার্ভিসের সেবার মান এবং সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।  রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিসের চুক্তি অনুযায়ী, মানসম্মত খাবার পরিবেশনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী, খাবার দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানগুলো বাসি রুটি ও গন্ধযুক্ত খাবার পরিবেশন করে। যারা ক্যাটারিং পরিচালনা করেন তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে, খাবারের মান ভালো করতে হবে। খাবারের মান খারাপ হলে বদনাম ক্যাটারিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের হয় না, দুর্নাম হয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের, রেলমন্ত্রীর।   এমন বাস্তবতায় খাবারের মান স্বাস্থ্যসম্মত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়মিত মনিটরিং করার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে খাবার মানসম্মত হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি পাবে এবং টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে। ট্রেনে হকারদের উৎপাত বন্ধ করতে হবে, হকারদের সাথে বসে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে।  যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী, ট্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেন অপরিষ্কার এবং অনেক সময় বাথরুম ব্যবহারে অনুপযোগী থাকে, যা মেনে নেওয়া যায় না।   মন্ত্রী বলেন, রেলে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের হাওয়া খেলে চলবে না, কাজ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হবে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে বদনাম হলে সে বদনাম মন্ত্রীর হয় এবং প্রধানমন্ত্রীকেও সে বদনামের ভাগিদার হতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর বদনাম হয় এমন কাজ সহ্য করা হবে না।  এর আগে মন্ত্রী এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের দুই শীর্ষ কর্তকর্তার সঙ্গে রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন। চলমান প্রকল্পসমুহে আর্থিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখা এবং ভবিষ্যতে প্রকল্পে আর্থিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘বিএনপি রাজবাড়ীর অনেক রেলপথ বন্ধ করে দিয়েছিল’
রাজবাড়ী জেলাকে রেলের শহর বলা হয়। বিএনপি রাজবাড়ীতে অনেক রেলপথ বন্ধ করে দিয়েছিল। আস্তে আস্তে আমরা পিছনের দিকে হাটছিলাম বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আবার রাজবাড়ীসহ বাংলাদেশে অনেক রেললাইন চালু করেছেন। সকলে জেনে খুশি হবেন রাজবাড়ীর লোকোশেডকে আবার জীবিত করা হচ্ছে। গোয়ালন্দে নকশিকাঁথা ট্রেন ও মধুমতি দুইটি ট্রেন পুনরায় ফেরত আসবে। বরিশাল পর্যন্ত রেললাইন করা হবে। মাগুরায় একটা রেললাইন চালু হচ্ছে।  বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে দৌলতদিয়া ৫ নং ফেরিঘাট এলাকায় গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে যে ট্রেনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো যেন চালু হয়, তার সর্বাত্মক চেষ্টা করব। রেলের জায়গা দখল করে অনেকেই নানান স্থাপনা তৈরি করেন, এটা করা যাবে না। এটা অন্যায় কাজ। অবৈধভাবে রেলের জায়গা কেউ দখল করবেন না। রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাটাই হবে আমার কাজ। গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সালমা চৌধুরী রুমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলজার হোসেন মৃধা, পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন জিল্লুল হাকিম
নবগঠিত এই মন্ত্রিসভায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন রাজবাড়ী-২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম।  এর আগে নতুন মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীর জন্য প্রথমবারের মতো ডাক পান তিনি।  এদিকে জিল্লুল হাকিমের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার খবরে রাজবাড়ী ও পাংশা শহরসহ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আনন্দবাজার গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবুল হোসেন নিজেও একজন সমাজসেবক এবং শিক্ষানুরাগী ছিলেন। জিল্লুল হাকিমের পৈতৃক বাড়ি পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) পাস করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জিল্লুল হাকিম মুক্তিযুদ্ধকালীন গোয়ালন্দ মহকুমা কমান্ডার ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্যের পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। তার স্ত্রী সাঈদা হাকিম ও দুই ছেলে মিতুল হাকিম এবং রাতুল হাকিমও সফল ব্যবসায়ী।
১১ জানুয়ারি, ২০২৪

অবহেলায় বিলীন হওয়ার পথে ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথ
ফেনী শহর থেকে পরশুরামের বিলোনিয়া সীমান্ত পর্যন্ত চলত একটি লোকাল ট্রেন যা ফেনীর উত্তরাঞ্চলের মানুষদের কাছে বিলোনিয়া ট্রেন নামে পরিচিত ছিল। ফেনী থেকে বিলোনিয়া পর্যন্ত এ রেল রুটের দূরত্ব ছিল ২৮ কিলোমিটার। ১৯২৯ সালে নির্মিত ২৮ কিলোমিটারের এ রেলপথে বন্ধুয়ার দৌলতপুর, আনন্দপুর, মুন্সির হাটের পীরবক্স, নতুন মুন্সির হাট, ফুলগাজী, চিথলিয়া, পরশুরাম ও বিলোনিয়া নামে ৮টি স্টেশন স্থাপন করা হয়েছিল। এক সময়ে রেলপথটি ছিল এলাকার শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের একমাত্র যোগাযোগমাধ্যম। বিভিন্ন অজুহাতে ১৯৯৭ সালের ১৭ আগস্ট রেল কর্তৃপক্ষ ফেনী-বিলোনিয়া রেলপথটি বন্ধ করে দেয়। কর্মচারীদের বদলি করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের এক কর্মকর্তা বলেন, রেল কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি না থাকায় প্রতিনিয়ত বিলোনিয়া রেললাইন দখল হয়ে চলেছে। রেললাইনের উপরে নির্মাণ হয়েছে ঘরবাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রেললাইনটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা আছে তারা টাকা পয়সা নিয়ে স্থানীয়দের নানানভাবে রেল লাইনটি ভোগ দখল করতে সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে মুন্সিরহাট বাজার ফুলগাজী বাজার এলাকায় সবচেয়ে বেশি রেললাইনের জায়গা দখল হয়েছে।  এ সম্পর্কে আরও জানতে বাংলাদেশ রেলওয়ে এস্টেট বিভাগ ৩১নং ফেনী কাচারী কানুনগো অফিস কর্মকর্তা সারবেয়ার মো. আমান উল্লাহর মোবাইল নম্বরে একাধিক বার কল দিয়েও ফোন রিসিভ হয়নি।।    উল্লেখ্য বিলোনিয়া ট্রেনের ফেনী স্টেশনের পরের স্টেশনের নাম বন্দুয়া। এটি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায়। এখন সেখানে স্টেশন বলতে ভাঙা, লতাপাতায় ঠাসা কয়েকটি ইটের দেয়াল কালের সাক্ষী হয়ে পড়ে আছে। এর পরের স্টেশন আনন্দপুর এ স্টেশনের অবস্থাও বিলিন হবার পথে। স্টেশনগুলোর একপাশে টিকেট ঘর, ওয়েটিং রুম, স্টেশন মাস্টারের ঘর সবই আছে। নেই শুধু মানুষের কোলাহল। দীর্ঘদিন অবহেলা আর অযত্নে থেকে সেগুলো আজ পরিত্যক্ত। এরই মধ্যে দখল হয়েছে ফেনী বিলোনিয়া রেললাইনের সিংহভাগ অংশ। বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারি না থাকায় স্থানীয়রা যে যার মতো করে রেলের জায়গা দখল করে নির্মাণ করেছে বাড়িঘরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফেনী বিলোনিয়া রুটে ট্রেনটি বন্ধ হওয়ায় দীর্ঘ ২৬ বছরেও দেখেনি আলোর মুখ। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয়রা এ ট্রেনটি চালু হওয়ার জন্য আশায় বুক বাঁধলেও কার্যত বিলোনিয়া রুটে ট্রেনটি চালু করতে আওয়ামী লীগ সরকারের তেমন কোনো আহামরি উদ্যোগ চোখে পড়েনি। স্থানীয় বাসিন্দারা এখনো আশাবাদী চালু হবে বিলোনিয়ার ট্রেন। আবারো ঝকঝক শব্দ করে হুইসেল বাজিয়ে ফেনী থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি পৌঁছাবে বিলোনিয়া স্টেশনে। স্থানীয়দের এমন অপেক্ষার প্রহর কি শেষ হবে। না কি এই অপেক্ষাটাই তৈরি হবে দীর্ঘশ্বাসে। 
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

গাজীপুরে দুর্ঘটনাকবলিত সেই রেলপথ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু
গাজীপুরের ভাওয়াল রেলস্টেশন ও রাজেন্দ্রপুর রেলস্টেশনের মধ্যবর্তী বন খড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলে ইঞ্জিনসহ ৭ বগি লাইনচ্যুত হয়। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার সাড়ে ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধারকারী দলের প্রচেষ্টায় ওই রুটে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার সকালে মেরামত হওয়া রেলরুট দিয়ে প্রথম বলাকা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে বলে নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পুলিশ। জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শহীদুল্লাহ হিরো বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বনখড়িয়া এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ রেললাইনের মেরামত কাজ শেষ করে ট্রেন চলাচলের জন্য উপযোগী করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বলাকা এক্সপ্রেস ট্রেন মেরামত করা রেললাইন অতিক্রম করেছে। নাশকতাকারীরা রেললাইনের ২০ ফুট কেটে ফেলায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক যাত্রী মারা যান। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় রেলওয়ে বিভাগের। এ ঘটনায় রেলওয়ে বিভাগের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার কারণে ময়মনসিংহ-ঢাকা রেল সড়কের ৬০০ ফুট রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে রেল কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধারকারী দল রেললাইন মেরামত অংশগ্রহণ করে। তাদের প্রচেষ্টায়  স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।  রেল চলাচল চালু করা হলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বগি ও ইঞ্জিন রেল সড়কের দুপাশে পড়ে রয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সফিকুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনায় শুধু রেললাইনের বগি-ইঞ্জিনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ইঞ্জিন-বগির পাশাপাশি ৬শ ফুট রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০০টি স্লিপার পুরোই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তিনশ ফুট রেললাইনে নতুন করে পাত বসানো হয়। লাইনচ্যুত বগিগুলো নিরাপদ দূরত্বে রেল সড়কের পাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

ময়মনসিংহ থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ছাড়ার দাবিতে রেলপথ অবরোধ
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তনের প্রতিবাদে ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনসাধারণ। গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে ট্রেন আটকে এ বিক্ষোভ করেন তারা। নাগরিক সমাজের ব্যানারে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে পৌঁছলে রেললাইনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা রেললাইনের ওপর শুয়ে ও প্ল্যাটফর্মের সামনে দাঁড়িয়ে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির স্টার্টিং পয়েন্ট ময়মনসিংহে বহাল রাখার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। জানা গেছে, ময়মনসিংহবাসীর দাবির ফলে ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলতে শুরু করে। এটি ময়মনসিংহ থেকে চলা একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন। কিন্তু সম্প্রতি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনটি জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ হয়ে চট্টগ্রামে চলাচল করার ঘোষণা দেয়। এতে কমে গেছে টিকিট বরাদ্দ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলে ঘণ্টাখানেক পর চলাচল শুরু হয় জামালপুর-ময়মনসিংহ রেল চলাচল। তবে মঙ্গলবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে বুধবার ফের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩

ময়মনসিংহ থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ছাড়ার দাবিতে রেলপথ অবরোধ
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টার্টিং পয়েন্ট পরিবর্তনের প্রতিবাদে ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনসাধারণ। গতকাল শুক্রবার ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে ট্রেন আটকে এ বিক্ষোভ করেন তারা। নাগরিক সমাজের ব্যানারে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে পৌঁছলে রেললাইনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা রেললাইনের ওপর শুয়ে ও প্ল্যাটফর্মের সামনে দাঁড়িয়ে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির স্টার্টিং পয়েন্ট ময়মনসিংহে বহাল রাখার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। জানা গেছে, ময়মনসিংহবাসীর দাবির ফলে ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম রুটে চলতে শুরু করে। এটি ময়মনসিংহ থেকে চলা একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন। কিন্তু সম্প্রতি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনটি জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ হয়ে চট্টগ্রামে চলাচল করার ঘোষণা দেয়। এতে কমে গেছে টিকিট বরাদ্দ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলে ঘণ্টাখানেক পর চলাচল শুরু হয় জামালপুর-ময়মনসিংহ রেল চলাচল। তবে মঙ্গলবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে বুধবার ফের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
০২ ডিসেম্বর, ২০২৩
X