লিওনেল মেসি ‘ফিফা দ্য বেস্ট’
ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড এবং পিএসজি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পেকে পেছনে ফেলে ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ নির্বাচিত হলেন লিওনেল মেসি। মাঠের নৈপুণ্যের দিক থেকে ২০২৩ সালে হলান্ড ও এমবাপ্পের তুলনায় মেসি সাদামাটাই ছিলেন। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে সময়ের অন্যতম সেরা দুই তারকাকে পেছনে ফেলেছেন আর্জেন্টিনার তারকা। গত সেপ্টেম্বরে ফিফার বিশেষজ্ঞ প্যানেল ১২ ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করে। ডিসেম্বরে সেটি তিনজনে নামিয়ে আনা হয়েছিল। শীর্ষ তিন ফুটবলারের মধ্যে ভোটের লড়াইয়ে সেরা বেছে নেওয়া হয়েছে। মেসি কীভাবে ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ নির্বাচিত হলেন—আপনার মনেও হয়তো প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে। সেটা দূর হতে পারে জামাল ভূঁইয়ার অবস্থান জানলে। বাংলাদেশ অধিনায়ক মেসির পক্ষেই অবস্থান নিলেন। আর্জেন্টিনার ক্লাব সোল দি মায়োর মিডফিল্ডারের মতো অধিকাংশ অধিনায়কের রায় গেছে মেসির পক্ষে। এ পুরস্কারের পথে স্কোরিংয়ে সহাবস্থানে ছিলেন মেসি ও আর্লিং হলান্ড। পুরস্কারের নীতিমালার ১২ নম্বর ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে, দুজনের পয়েন্ট সমান হলে জাতীয় দলের অধিনায়কদের প্রথম পছন্দের ভিত্তিতে সেরা নির্বাচিত হবেন। বিভিন্ন দেশের জাতীয় দলের অধিনায়করা তিনটি ভোট দিতে পারেন। তিন ভোটের প্রথমটির জন্য ৫, দ্বিতীয়টি ৩ এবং তৃতীয় ভোটে ১ পয়েন্ট। ১০৭ দেশের অধিনায়ক মেসিকে সেরা মনে করেছেন। ৬৪ জনের দৃষ্টিতে সেরা আর্লিং হলান্ড, ১৩ অধিনায়ক সেরা মনে করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। অধিনায়কদের কাছ থেকে মেসি পেয়েছেন ৬৭৭ পয়েন্ট। হলান্ড ও এমবাপ্পের পয়েন্ট যথাক্রমে ৫৫৭ ও ২৮২। মেসিকে অমরত্বের পথে নিয়ে গেছে কাতার বিশ্বকাপ। কিন্তু এবারের ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ নির্বাচনের ক্ষেত্রে কাতার বিশ্বকাপ কিন্তু কোনো ভূমিকা রাখেনি। ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে বিবেচনা করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পিএসজির লিগ-ওয়ান শিরোপা জয়ে ভূমিকা রাখেন মেসি। ১৬ গোল করা এ তারকা সমানসংখ্যক গোল করিয়েছেন। ফরাসি লিগে সর্বোচ্চ ২৯ গোল করা এমবাপ্পে সতীর্থদের দিয়ে ৫ গোল করান। কিন্তু নৈপুণ্যের দিক থেকে সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন হলান্ড। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড ৩৬ গোল করেছেন নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ৫২ গোল। সেরার জন্য বিবেচিত সময়ের মধ্যে ৩৩ ম্যাচে ২৮ গোল করেন ম্যানসিটি তারকা। ১৯৯১ সাল থেকে বিভিন্ন নামে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছে ফিফা। ১৯৯১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এ পুরস্কারের নামকরণ ছিল ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’। ২০০৯ সালে ওই নামকরণের শেষ পুরস্কার জিতেছেন মেসি। পরের ছয় বছর ব্যালন ডি’অর ও ফিফা যৌথভাবে এ পুরস্কার দিয়েছে, নামকরণ ছিল ফিফা ব্যালন ডি’অর। ২০১০, ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে এ পুরস্কার জিতেছেন মেসি। ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ নামকরণের পর ২০১৯ সালে প্রথম এই পুরস্কার জেতেন মেসি। ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। বার্সেলোনা ও স্পেনের তারকা আইতানা বনমাতি নারী বিভাগে সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন। ব্রাজিলের দ্বিতীয় বিভাগের দল বোটাফোগোর গুইলহেরমে মাদ্রুগা সেরা গোলের পুরস্কার পেয়েছেন। সেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি পেয়েছেন ম্যানসিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসন। সেরা কোচের স্বীকৃতি পেয়েছেন ম্যানসিটির পেপ গার্দিওলা।
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের লিওনেল মেসি : প্রতিমন্ত্রী খালিদ 
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিয়ে কেউ যেন খেলতে না আসে। আন্তর্জাতিক খেলায় বাংলাদেশ জিতবে। বাংলাদেশের লিওনেল মেসি হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।  বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় দিনাজপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম বড়মাঠে বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।  খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে উৎসবমুখর পরিবেশে। ১৫ বছর ধরে আমি আপনাদের আমানত নিয়ে চিন্তিত আছি, সেই আমানত যেন কখনই খেয়ানত না হয়। ২০০৮ সালে আপনাদের পবিত্র আমানত ভালোবাসা ও স্নেহ দিয়ে আমাকে বেঁধে রেখেছেন এবং বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। আমি সংসদ সদস্য হয়ে আপনাদের সেই আমানত রক্ষা করার চেষ্টা করছি। তারই ধারাবিহকতায় আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আপনাদের সরব  উপস্থিতি আমাকে আবারও বিজয়ী করবে ইনশাআল্লাহ।  তিনি বলেন, আমরা খেলার জন্য উপস্থিত ছিলাম কিন্তু বিএনপি মাঠ ছেড়ে পালিয়েছে। এখন জাতীয়ভাবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন শেখ হাসিন। দেশে শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নাই, তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী হল আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ।  তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ে কেউ যেন খেলতে না আসে, খেলা হবে। আন্তর্জাতিক খেলায় জিতবে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের লিওনেল মেসি হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের নেত্রী থেকে বিশ্ব নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। তার সাহসিকতা ও বলিষ্ট নেতৃত্বের কারণে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। শেখ হাসিনা বোচাগঞ্জের মানুষকে সন্মানিত করেছেন। একই প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রীসভায় পিতা এবং পুত্র মন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কেউ নেই। যা তিনি আমার মরহুম পিতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুর রৌফ চৌধুরী ও বর্তমানে আমাকে দিয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আফছার আলীর সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন-  জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলতাফুজ্জামান মিতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, সেতাবগঞ্জ পৌরসভা মেয়র মো. আসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সবুর, মো. জাফরুল্লাহ, নঈমউদ্দীন শাহ, যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের মো. মামুন, অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার অধিকারী, মো. শামীম আযাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জুলফিকার আলী, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মো. মাইনউদ্দীন আহম্মেদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ আলী তুহিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোওয়ার হোসেন বিপুল প্রমুখ। 
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

মহাকাব্যের মহানায়ক লিওনেল মেসি
মহাকাব্যের মহানায়ক লিওনেল মেসি। মহাকাব্য ঠিক এমনই হয়। ঠিক এমনই। যেমন করে একটা মহাকাব্যে থাকে ট্র্যাজেডি, দুঃখ, না পাওয়ার বেদনা অবশেষে আনন্দ। মিলিয়ে নিতে পারেন। সাহিত্যে মহানায়কের সংজ্ঞায় যে গুণগুলো থাকা দরকার আর্জেন্টাইন অধিনায়করে মধ্যে কোন জিনিসটা কমতি আছে?  রোজারিওর সেই ছোট্ট মেসি। যাকে কিনা হরমোন সমস্যার জন্য ছোটবেলায় থেমেই যেতে হতো। তবে কেউ কি জানত, সেই মেসিই একদিন পাবে অমরত্ব, হবেন সর্বকালের সেরাদের একজন। অদম্যরা কখনো দমে যান না। অদম্যরা ইতিহাস গড়েন। স্বর্গের সঙ্গে মিতালি করার ইতিহাস। মেসি তাদেরই একজন। ২০১৪ সালের কথা। সব পাওয়া মেসি না পাওয়া বিশ্বকাপের খুব কাছাকাছি। তবে ঈশ্বর যে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন। শেষ মুহূর্তের ঝোড়ো হাওয়ায় লন্ডভন্ড হলো সব। সবাই বললো দেশের জার্সিতে অপয়া মেসি। কোনদিনই দেশকে কিছু দিতে পারবেন না। মেসি আর্জেন্টিনার নন মেসি বার্সেলোনার।  মেসি রোবট নন রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ। তাইতো তারও অভিমান আছে, রাগ আছে আছে ক্ষোভ। না পাওয়ার কষ্ট নিতে পারেন নাই মেসি। তাই অবসর নিয়েছিলেন আকাশি-নীল শিবির থেকে। নানা চড়াই-উতরাই পার করে আবারও ফিরেছেন। কারণ তিনি জানতেন তিনি পারবেন। পারবেন অমর হতে। মহাকাব্যের মহানায়ক হতে। মেসি এলেন দেখলেন জয় করলেন।  মারাকানা থেকে লুসাইল স্টেডিয়াম। সময়ের ব্যবধান আট বছর আর দূরত্বে আট হাজার মাইল। মারাকানায় কেঁদেছিলেন মেসি, সতীর্থ, কিংবা গ্যালারি ভর্তি সমর্থক। সাথে ছিলো বিশ্বের আনাচে কানাচে আর্জেনিটনার কোটি ভক্ত। লুসাইলেও কেঁদেছেন সবাই। তবে কান্নার রঙটা ছিল আলাদা। আর্জেন্টিনার ছত্রিশ বছরের শিরোপা খরা ঘোচানোর সুখের কান্না। গন্ধটা ছিলো প্রাপ্তির। লিওনেল মেসির প্রাপ্তির।  লুসাইলে ১৮ ডিসেম্বর মেসি পেয়েছেন অমরত্ব। তবে তিনি একা নন। যারা জীবনে একবারের জন্য হলেও মেসি নামের আবেগে ভেসেছে, একবারের জন্য হলেও মেসির ওই কান্নায় আক্ষেপের অনলে পুড়েছে, না পাওয়ার হাহাকার করেছে সেই কোটি মানুষও  জিতেছেন। গেলো ৩৬৫ দিনে অসংখ্য প্রহর জানিয়ে দিয়ে যায়, মেসি কেবল একা জিতেননি কোটি মানুষ জিতেছে এক মেসিতে।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

অবশেষে ইন্টার মিয়ামিতে লিওনেল মেসি
সৌদি আরবের আল হিলাল নাকি স্পেনের বার্সেলোনা—কয়েক দিন ধরে লিওনেল মেসির সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে শোনা যাচ্ছিল এ দুই ক্লাবের নাম। কিন্তু দলবদল মানেই থাকে অনিশ্চয়তা ও চমক। সেই চমকই যেন এবার দিলেন আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার। আল হিলাল বা বার্সেলোনায় নয়, মেসি গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে। গতকাল বুধবার স্প্যানিস সংবাদমাধ্যম স্পোর্টস এবং মুন্দো দোপোর্তিভোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান লিওনেল মেসি। এর আগেই স্প্যানিশ সাংবাদিক গিলেম বালাগ বিবিসিতে লেখা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিলেন, ইন্টার মিয়ামিতে যাচ্ছেন মেসি। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের আকর্ষণীয় প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ইন্টার মিয়ামির প্রস্তাবিত চুক্তিতে নাকি সম্মতি দিয়েছেন মেসি। তবে ইএসপিএনের পক্ষ থেকে ইন্টার মিয়ামির এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তখন এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। বিশ্বকাপের পরই মূলত সামনে আসে মেসির দলবদলের গুঞ্জন। পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় প্যারিস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি। মেসির পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে শোনা যাচ্ছিল তিনটি ক্লাবের নাম। সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের সঙ্গে মেসিকে পাওয়ার দৌড়ে ছিল স্প্যানিশ পরাশক্তি বার্সেলোনা ও এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মিয়ামি। তবে শুরু থেকেই মিয়ামিকে নিয়ে আলোচনা ছিল কম। বেশিরভাগজুড়ে ছিল আল হিলাল ও বার্সা। মেসি আল হিলালের বড় অঙ্কের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বার্সেলোনায় ফিরে যাবেন কি না, তা নিয়েও হয়েছে অনেক বিতর্ক।
০৮ জুন, ২০২৩
X