Fri, 10 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
চাকরির নামে দুই পুলিশের ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল
কিছুক্ষণ আগে
ভিকারুননিসার আরও এক ছাত্রীর ভর্তি বাতিল
১ মিনিট আগে
রাতেই ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
১ মিনিট আগে
অনলাইনে আবেদন করে সার্টিফিকেট তুলতে পারবে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
৩০ মিনিট আগে
ঢাবির আবাসিক হলে ঢুকতে নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে : উপাচার্য
৩৭ মিনিট আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ১০ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
খতনার সময় লিঙ্গ কর্তন, ১৫ দিনেও রক্ত বন্ধ হয়নি
মহেশখালীর মাতারবাড়িতে খতনা করার সময় আলভী ফারাভী নামে এক শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেলেছেন আব্দুল ওয়াদুদ নামে এক পল্লী চিকিৎসক। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. রাজিব। ভুক্তভোগী শিশু আলভী ফারাভী উপজেলার সাইরার ডেইল এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে। এর আগে শনিবার (৩০ মার্চ) উপজেলার সাইরার ডেইল এলাকায় খতনা করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ শিশু ফারাভীকে খতনা করতে আসেন পল্লী চিকিৎসক আব্দুল ওয়াদুদ। পল্লী চিকিৎসক আব্দুল ওয়াদুদ জোর করে খতনা করতে চাইলে শিশুটি পালিয়ে বাথরুমে চলে যায়। সেখান থেকে জোর করে এনে খতনা করেন তিনি। পরে সেলাই করে দিয়ে চলে গেলেও শিশুটির রক্ত পড়া বন্ধ হয়নি। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি ঘটলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। এখন পর্যন্ত শিশুটি রক্ত পড়া বন্ধ হয়নি। লিঙ্গ হারিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে শিশুটি। আলভীর বাবা আবদুল কাদের বলেন, খতনার নামে পল্লী চিকিৎসক আব্দুল ওয়াদুদ আমার ছেলের লিঙ্গ কেটে ফেলেছে। সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। এ বিষয়ে জানতে পল্লী চিকিৎসক আব্দুল ওয়াদুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ফোন বিছিন্ন করে দেন তিনি। মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাফুজুল হক কালবেলা বলেন, পল্লী চিকিৎসকের খতনা করার অনুমোদন নেই। তারা এ ধরনের চিকিৎসা করতে পারে না। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে পল্লী চিকিৎসককে দায় নিতে হবে।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪
ড. নেহাল করিমের নিবন্ধ /
ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নিয়ে তরুণদের মধ্যে অস্থিরতা কেন?
প্রত্যেক মানুষের মধ্যে সংস্কার কাজ করে। ভীষণ রকমের সংস্কার কাজ করে। এই সংস্কার একান্তই ব্যক্তিগত এবং তা অন্য কারও কাজে আসে না। মুসলিম বা হিন্দু হিসেবে একজন যেভাবে ধর্ম পালন করেন তাতে অন্য কারও কোনো অসুবিধাও হয় না। তবে তরুণদের মধ্যে এখন নিজের ধর্ম পরিচয়ের বিষয়ে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। এটা ঘটছে মূলত ইউরোপীয় সংস্কৃতির প্রভাবে। আমাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সম্পূর্ণটাই আমরা ইউরোপীয় সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত। আমাদের এখনকার লেখাপড়া, জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি সবকিছুই ইউরোপীয়দের থেকে ধার করা। এমনকি এখনকার তরুণ প্রজন্ম ইউরোপীয় সংস্কৃতিকেই বেশি সম্মানজনক সংস্কৃতি মনে করে। ছোটবেলায় আমাদেরকে ধর্ম শেখানো হয় কিন্তু নিজের ধর্ম এবং সংস্কৃতির প্রতি মূল্যবোধ শেখানো হয় না। এর ফলে তরুণরা যখন আজকের প্রভাবশালী ইউরোপীয় সংস্কৃতির সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে তখন নিজেদের অস্তিত্বকে সংকটাপূর্ণ বলে মনে করছে। শহরের শিক্ষিত শ্রেণির তরুণদের মধ্যে এমনটা বেশি দেখা যাচ্ছে যে, অনেকে নিজের ধর্ম পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। ধর্ম পরিচয়ে তারা অস্বস্তি বা হীনমন্যতায় ভুগছে। নিজের একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় পরিচয়কে তারা ভাবছে সেকেলে। ধর্মীয় পরিচয় না থাকাটাকেই তারা ভাবছে আধুনিকতা। আমাদের এই জাতির মধ্যে একটি পারফেকশন আসতে আরও ২০-৩০ বছর সময় লাগবে। পশ্চাত্য দেশগুলোতে বাচ্চাদের শিশু ক্লাস থেকেই সৌজন্যবোধ, মার্জিত বোধ, শ্রেয় বোধ ও মূল্যবোধের ওপর যে চর্চা হয় বা শিক্ষা দেওয়া হয় আমাদের দেশে কোথাও সেটা নেই। সঙ্গত কারণেই আমাদের মধ্যে অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে। আরও তিনটা জেনারেশনের পর আমাদের একটি নিজস্ব পারসেপশন আসবে যেমনটা এসেছে ইউরোপে। তরুণদের অনেকের মধ্যে আরেক ধরনের অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে তাদের লিঙ্গ পরিচয়ে। ছেলে নিজেকে মেয়ে ভাবতে পছন্দ করছে আবার মেয়ে নিজেকে ছেলে ভাবতে পছন্দ করছে। এটাও পশ্চিমা সংস্কৃতির ফল। তবে এমন নয় যে, সারা দেশে ব্যাপকভাবে এমনটা ঘটছে। বরং দেখা যাচ্ছে, ক্ষেত্রবিশেষে এমনটা ঘটছে। পশ্চিমা সংস্কৃতিতে এই জিজ্ঞাসাগুলো উন্মুক্ত করে দেয়। একটা ছেলেকে এটা ভাবার সুযোগ দেয় যে, আমি মেয়ে হলে কেমন হবে। আবার একটা মেয়েকে ভাবার সুযোগ দেয় যে, সে ছেলে হলে কেমন হবে। ফলে তরুণরা পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবেই এই ধরনের অস্থিরতার মধ্যে পড়ছে। সম্প্রতি অভিশ্রুতি নাকি বৃষ্টি এই বিতর্কে আমাদের গণমাধ্যমগুলোতে অনেক শিরোনাম হয়েছে। জনমানুষের মধ্যেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে ঘটনাটি। বৃষ্টি একটি মুসলিম পরিবারের মেয়ে কিন্তু সে নিজেকে হিন্দু ধর্মীয় পরিবারে জন্ম বলে এবং নিজেকে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে পরিচয় দেয়। তার এই কর্মকাণ্ড বা মানসিক রূপান্তরের বিষয়ে অনেক প্রশ্ন আসে সামনে। হয়তো তার মধ্যেও ধর্ম নিয়ে এক ধরনের অস্থিরতা বা অ্যাডভেঞ্চার জেগেছিল যে এ রকম করে দেখি কি হয়। অনেক তরুণের মধ্যেই এ ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তরুণদের মধ্যে জাতীয় মূল্যবোধ তৈরিটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। একটি জাতীয় পারসেপশন তৈরি হওয়াটা জরুরি। তরুণ প্রজন্মের কাছে নিজের সংস্কৃতির সম্মানবোধটা তৈরি করে দিতে হবে আমাদেরকেই। ড. নেহাল করিম: সাবেক অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৬ মার্চ, ২০২৪
গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ নয়
গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় শনাক্তকরণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদিত এ-সংক্রান্ত নীতিমালা হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জনস্বার্থে করা এক রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে গত রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান ২০২০ সালে ওই রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। গর্ভের শিশুর লিঙ্গপরিচয় শনাক্তকরণ রোধে নীতিমালা বা নির্দেশনা প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের পর নীতিমালার জন্য ১৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। তারা ‘ন্যাশনাল গাইডলাইন রিগার্ডিং প্যারেন্টাল জেন্ডার সিলেকশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক নীতিমালা তৈরি করে। ওই নীতিমালা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদন দেয়। গত ২৯ জানুয়ারি এ নীতিমালা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। এই নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাবরেটরি কোনো লেখা বা চিহ্ন বা অন্য কোনো উপায়ে শিশুর লিঙ্গপরিচয় প্রকাশ করতে পারবে না। এ বিষয়ে কোনোরকম বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না। সরকারের মন্ত্রণালয়গুলো ডাক্তার, নার্স, পরিবার পরিকল্পনা কর্মী, টেকনিশিয়ান কর্মীদের নেতিবাচক ফল সম্পর্কে ট্রেনিং দেবে এবং নৈতিকতা ও পেশাগত আচরণ বিষয়ে ট্রেনিং দেবে। হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ মেডিকেল সেন্টারগুলো এ-সংক্রান্ত সব ধরনের টেস্টের ডাটা সংরক্ষণ রাখবে। হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ মেডিকেল সেন্টারগুলো ডিজিটাল ও প্রিন্ট মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা এবং কন্যাশিশুর গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন মেসেজ প্রচার করবে। এ নীতিমালা দাখিলের পর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান নিজেই শুনানি করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। রায়ের পর আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, এ রায়ের ফলে কোনো হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ল্যাবরেটরি মৌখিক, রিপোর্ট, চিহ্নসহ কোনো মাধ্যমে অনাগত শিশুর লিঙ্গপরিচয় প্রকাশ করতে পারবে না। শিশুদের যেসব পরীক্ষা হয়, যেখানে পরিচয় প্রকাশের সুযোগ আছে, তা ডাটাবেজ আকারে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি চলমান তদারকিতে থাকবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
গর্ভের সন্তানের লিঙ্গ প্রকাশ রোধে চূড়ান্ত শুনানি ১১ ফেব্রুয়ারি
মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় অনাগত শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না মর্মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। এই মর্মে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তীর্থ সলিল রায়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় অনাগত শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না, এই নীতিমালা তৈরি করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আবেদন করা হয়েছিল যেন রুলটি খারিজ করা হয়। হাইকোর্ট রুল খারিজের আবেদনে সাড়া দেননি। আদালত বলেছেন, ১১ ফেব্রুয়ারি আমরা রুল শুনব। এর আগে, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা তৈরি করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা বা নির্দেশনা তৈরি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় নির্ধারণে নীতিমালা তৈরি করতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছিলেন। হাইকোর্টের রুলের পর নীতিমালা তৈরির জন্য কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি গর্ভের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
নীতিমালা হাইকোর্টে /
গর্ভের শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না
মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না মর্মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গঠিত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাবরেটরি কোনো লেখা বা চিহ্ন বা অন্য কোনো উপায়ে শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করতে পারবে না। গতকাল সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নীতিমালা দাখিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। পরে ইশরাত হাসান জানান, গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে–জানার অধিকার নেই। কোনো আপত্তি ছাড়াই এটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মেনে নিয়েছে। এটা জানতে পারলে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের মনে চাপ সৃষ্টি হতে পারে। আর এর প্রভাব পড়তে পারে গর্ভের সন্তানের ওপর। এই নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে ভারতের মতো এ দেশেও কেউ গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ জানতে পারবে না। ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা তৈরি করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা বা নির্দেশনা তৈরি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় নির্ধারণে নীতিমালা তৈরি করতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। রুলের পর নীতিমালা তৈরির জন্য কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪
মাতৃগর্ভের শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না
মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় অনাগত শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না মর্মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। এই নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাবরেটরি কোনো লেখা বা চিহ্ন বা অন্য কোনো উপায়ে শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করতে পারবে না। একই সঙ্গে সবাইকে এই নীতিমালা মানতেও বলা হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নীতিমালা দাখিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আদালত এ নীতিমালার ওপর শুনানির জন্য মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। এর আগে, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা তৈরি করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় রোধে নীতিমালা বা নির্দেশনা তৈরি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অনাগত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় নির্ধারণে নীতিমালা তৈরি করতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছিলেন। হাইকোর্টের রুলের পর নীতিমালা তৈরির জন্য কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি গর্ভের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪
নৌকার প্রচারে নাচে গানে মাতলেন তৃতীয় লিঙ্গ ও যৌনকর্মীরা
ময়মনসিংহ নগরীর গাঙ্গিনারপাড় এলাকায় যৌনপল্লীর সামনে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। ‘সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে নতুন বছরে হোক নতুন গল্পের শুরু, সবার উপরে মানুষ সত্য আমরা গড়ব মানবিক সমাজ’- এই প্রত্যয়ে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানের। নৌকার সমর্থকদের এ আয়োজনে নাচে গানে মেতে ওঠেন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও যৌনকর্মীরা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদরের নৌকার এমপি প্রার্থী মোহিত উর রহমান শান্ত। এ সময় তিনি বলেন, আমি এমপি হলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে টাকা চাইতে হবে না তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য একটি মার্কেট করে দেওয়া হবে তারা যেন স্বাবলম্বী হতে পারে। পতিতাপল্লীর সন্তানরা যেন সুশিক্ষা পায় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে নৌকার ভোট চান তিনি। যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন শুকতারা সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি লাভলী আক্তার বলেন, যৌনকর্মীরাও মানুষ। অনেক প্রার্থী থাকলেও আমাদের কথা কারও মনে নেই। কিন্তু নৌকা নিয়ে এ প্রার্থী আমাদের কাছে এসেছে, সমাজের আড়ালে থাকা মানুষের কথা ভেবেছে। মানবকল্যাণে কাজ করতে এমন ভালো মানুষের বিজয় অবশ্যই প্রয়োজন। সেতুবন্ধুন সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি তনু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভোটের অধিকার, পরিবারের জমির অধিকার শুধু দেয়নি জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আমরা সব সময় পাশে আছি।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩
রাজশাহীতে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে চাকরি দেওয়া হবে
তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীদের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে ও তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজশাহীতে দিনব্যাপী চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনের আলো হিজড়া সংঘের আয়োজনে বুধবার (২২ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহানগরীর শাহ্ ডাইন কনভেনশন সেন্টারে এই মেলার আয়োজন করা হয়। দিনের আলো হিজড়া সংঘের সভাপতি মোহনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থেকে মেলার উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। এ সময় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী ও দিনের আলো হিজড়া সংঘের উপদেষ্টা শরীফ সুমন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, আমাদের সমাজে কাউকে পেছনে ফেলে বা অবহেলা করে উন্নতি করা সম্ভব নয়। প্রত্যেক মানুষের প্রতিভা আছে। হিজড়া জনগোষ্ঠীরাও ভালো কাজ করতে পারে। কিন্তু আমাদের মানসিক বোধের জায়গা থেকে তৃতীয় লিঙ্গের সমাজে বা নিজ পরিবারে অবহেলিত। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার সবাইকে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে নানা কাজ করছেন। এরই মধ্যে সরকার তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর গেজেট প্রকাশ করেছে। এ ছাড়াও ভোটার হিসেবে তাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নানা কাজে লাগানো হচ্ছে। তারাও আর চাঁদাবাজি বা অন্যকিছু করে বাঁচতে চায় না। হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকজনকে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, আমরা সরকারি ও বেসরকারিভাবে তাদের বিভিন্ন সেক্টরে কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। বিভিন্ন প্রকল্প দিয়েও তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সুযোগ করে দিতে পারি। এ সময় যে কোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিভাগীয় কমিশনার। পরে অতিথিবৃন্দ মেলার স্টল পরিদর্শন করে আগত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে লোকজনকে কী ধরনের চাকরির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে তার খোঁজ-খবর নেন। চাকুরি মেলায় ১০ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টল দিয়েছিল। সেখানে রাখা হয়েছিল সিভি সংগ্রহের কার্যক্রম। হিজড়া সম্প্রদায়ের শতাধিক লোকজন চাকরি প্রার্থী হিসেবে তাদের সিভি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে জমা দেন। জমা হওয়া সিভিগুলো থেকে অধিকতর যোগ্যদের সিভি বাছাই করে তাদের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
২২ নভেম্বর, ২০২৩
‘নারী-পুরুষ লিঙ্গ বৈচিত্র্যপূর্ণ মানুষের মধ্যে জেন্ডার সমতাকে বাধাগ্রস্ত করছে’
মিডিয়ার সহযোগিতায় জেন্ডার সমতার ভিত্তিতে একটি সচেতনতামূলক সমাজ গড়ে তোলা, যার মাধ্যমে প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার বজায় থাকবে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায় নেদারল্যান্ডস দূতাবাস। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডের দূতাবাস প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং জাগো ফাউন্ডেশনকে ‘সমতা তারুণ্য : ইয়ুথ ফর ইকুয়ালিটি’- প্রকল্পের অনুদানের চেক আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে। অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স থিজস ওয়াউডস্ট্রা, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড লার্নিং ডিরেক্টর জলি নুর হক, জাগো ফাউন্ডেশনের সভাপতি করভি রাকশান্দ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পরে চার বছরে (২০২৪-২৭) এই প্রকল্পের মাধ্যমে জেন্ডারের নেতিবাচক ভাবনা দূর করে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠিত করবে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সমাজে নারী, পুরুষ এবং লিঙ্গ বৈচিত্র্যপূর্ণ মানুষের মধ্যে জেন্ডার সমতাকে বাধাগ্রস্ত করছে। সমতা তারুণ্য একটি যুবকেন্দ্রিক এবং মিডিয়া ফোকাস পদ্ধতি অনুসরণ করবে। যেখানে তাদের সমস্ত বৈচিত্র্যের তরুণদের নিরাপদে ব্যায়াম এবং সমান অধিকার প্রচারের সুযোগ থাকবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবে। জেন্ডার সমতা মানুষের মধ্যে সামাজিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মিডিয়া, কখনও কখনও দেশের নারী এবং লিঙ্গ বৈচিত্র্যপূর্ণ মানুষের বাস্তবতাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে। এই সমস্যা নিরসনে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল এবং জাগো ফাউন্ডেশন অংশীদারের ভিত্তিতে সকল তরুণদের অধিকার, প্রতিনিধিত্ব এবং কমসংস্থান বাড়াতে কাজ করবে।
২১ নভেম্বর, ২০২৩
লিঙ্গ পরিবর্তনের পর প্রেম, অতঃপর প্রেমিককে হত্যা
অস্ত্রোপচার করে লিঙ্গ পরিবর্তন করেছিলেন নওশাদ। নাম পাল্টে হয়েছেন চম্পা ওরফে স্বপ্না হিজড়া। এরপর রাকিব হাসান শাওন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। থাকতে শুরু করেন আশুলিয়ার এনায়েতপুরে একটি ভাড়া বাসায়। একপর্যায়ে সম্পর্কে অবনতি হলে ২০২১ সালের ১ জুন রাকিবকে খুন করে গা-ঢাকা দেন স্বপ্না। এ ঘটনার দুই বছর পর গত ১৭ অক্টোবর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হিজড়া পল্লি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা। পরে তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পিবিআই। পাশাপাশি নওশাদকে এক পল্লি চিকিৎসকের মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করানো দেলু হিজড়াকেও গত সোমবার জামালপুরের নারায়ণপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ২০২১ সালের ৭ জুন আশুলিয়ার এনায়েতপুর গ্রামে ফাঁকা জমিতে বস্তাবন্দি অজ্ঞাত এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন একটি হত্যা মামলা হয় এবং থানা পুলিশের দুই মাসের তদন্তে রহস্য উদ্ঘাটন না হওয়ায় মামলাটির তদন্তভার যায় পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশের কাছে। সেই ধারাবাহিকতায় পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলের পাশের একটি ভবনের মালিকের কাছে জানতে পারেন, লাশ পাওয়ার পরদিন ওই ভবনের ভাড়াটিয়া চম্পা নামে এক তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি বাবার অসুস্থতার কথা বলে গ্রামের বাড়ি জামালপুর চলে যান। তদন্তে জানা যায়, চম্পা হিজড়ার আগের নাম নওশাদ। প্রায় ২০ বছর আগে তার বাবা-মা মারা গেছেন। এ সময় চম্পা হিজড়ার ওপর সন্দেহ হয়। সেই সূত্রে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শাওনের লাশ শনাক্তের পর জানা যায় তিনি চম্পার সঙ্গে ওই বাসায় থাকতেন। বনজ কুমার বলেন, রিমান্ড নওশাদ ওরফে চম্পা ওরফে স্বপ্না জানায়, তিনি বিবাহিত পুরুষ ছিলেন এবং তার ১২ বছরের একটি ছেলে আছে। ১১ বছর আগে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তার সঙ্গে দেলু হিজড়ার পরিচয় হয়। তিনিই প্রচুর টাকা আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নওশাদকে হিজড়া হওয়ার প্রস্তাব দেন। এরপর খুলনার লোহাপাড়ায় এক ডাক্তারের মাধ্যমে অপারেশন করে তিনি মেয়ে হিজড়া হন। পরে ঢাকার আশুলিয়ার এনায়েতপুরে বসবাস শুরু করলে সেখানে রাকিবের সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এক বাসায় থাকতে শুরু করেন। একপর্যায়ে চম্পা জানতে পারেন রিপা নামে আরেক হিজড়ার সঙ্গেও রাকিবের প্রেমের সম্পর্ক আছে। এ নিয়ে একদিন তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হলে চম্পা রাকিবের গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করেন এবং লাশ ঝোপের মধ্যে ফেলে দেন। এরপর তিনি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হিজড়া পল্লিতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে স্বপ্না হিজড়া বনে যান।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩
আরও
X