শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা
শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত (সাদা প্যানেল) হানিফ-তাজুল পরিষদ বিজয়ী হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।২৮৫ জন ভোটারের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে ২৭২ জন ভোট দেন। ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া ১৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ কামরুল হাসান পেয়েছেন ১২২ ভোট। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে তাজুল ইসলাম, সহসভাপতি পদে মো. আলমগীর হোসেন হাওলাদার, অর্থ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ  মিজানুর রহমান, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে রেজওয়ানুল হাসান সানি, অডিট সম্পাদক পদে আসাদুল ইসলাম শুভ্র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে সহসভাপতি পদে ১৪৫ ভোট পেয়ে ছাইদুর রহমান ছাইদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ১৪৩ ভোট পেয়ে মো. জামাল ভুঁইয়া, সহসাধারণ সম্পাদক পদে ১৫১ ভোট পেয়ে মো. মনোয়ার হোসেন, সাংস্কৃতিক  সম্পাদক পদে ১৩৯ ভোট পেয়ে মো. রাধা রাণী দে বিজয়ী হয়েছেন। সদস্য পদে কবির হোসেন খোকন, আমিনুর রহমান মোল্লা, সানোয়ার হোসেন মল্লিক, মোয়াজ্জেম হোসেন, বিল্লাল হোসেন বিজয়ী হন।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ছয় বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি পায়নি শরীয়তপুর জেলা যুবদল
শরীয়তপুরে জেলা যুবদল অন্তর্কোন্দলে জর্জরিত হওয়ায় গত ৬ বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি। আরিফ মোল্লা সভাপতি ও জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে জাতীয়তাবাদী যুবদলের শরীয়তপুর জেলা কমিটি গঠন করা হয়।  ‘সুপার ফাইভ’ তথা পাঁচ সদস্যের ওই কমিটিকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয় যুবদলের হাইকমান্ড। এরপরে আর কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব। যে কারণে ছয় বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি পায়নি শরীয়তপুর জেলা যুবদল। জানা যায়, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে শরীয়তপুর জেলা যুবদলের ৫ সদস্যের বিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় যুবদল। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি।  কিন্তু কিছুদিন না যেতেই কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরে ৫ জনের কমিটি তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে তৃণমূলের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এরপর থেকেই ৬টি উপজেলা একটি থানা ৫টি পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিট সু-সংগঠিত করতে ব্যর্থ হন তারা। এর মধ্যে কমিটি বাণিজ্য সহ নানান অবিযোগে অভিযুক্ত সভাপতি সেক্রেটারির বিরুদ্ধে। বিগত দিনে কেন্দ্রঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে ফটোসেশন করে ফেসবুক রাজনীতি করে আসলেও ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সরকার বিরোধী এক দফা আন্দোলনে ফটোসেশন তো দূরের কথা, বিন্দু পরিমাণ কার্যক্রম চোখে পড়েনি। কমিটিকে কেন্দ্র করে কোন্দলের পাশাপাশি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ছে যুবদল। তাই দলীয় কর্মসূচি পালনের পরিবর্তে এ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেতাকর্মীরা। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান, এমন কর্মকাণ্ডে হতাশ তৃণমূল। নড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর বলেন, বিগত ৬ বছরে তাদের পিছনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ ব্যক্তিগতভাবেও লাখ টাকা খরচ করে হতাশা ছাড়া কিছুই পাইনি। গত ২৮ অক্টবরের পর থেকে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলা ছাড়া কোনো উপজেলায় বিন্দু পরিমাণ কোনো কর্মসূচিতে তাদের দেখা যায়নি। অতি দ্রুত নতুন কমিটি করে দলের গতি ফিরিয়ে আনা জরুরি। এ বিষয়ে জানতে জেলা যুবদলের সভাপতি আরিফ মোল্লার মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎ বলেন, শরীয়তপুরে যুবদল ছাড়াও বিএনপির মূলদলসহ অন্যান্য শাখা কমিটির দীর্ঘদিন যাবৎ নতুন করে কমিটি দেওয়া হয় না। এতে অনেক নেতা-কর্মীরা বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। নতুন করে কমিটি দিলে দলীয় কার্যক্রম আরও সুসংগঠিতভাবে পালন করা হতো। শরীয়তপুরে ২০১৭ সালে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে দিলে পরে আমরা ২০১ সদস্যবিশিষ্ট তালিকা কেন্দ্রে পাঠাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে কমিটি অনুমোদন হয়ে আসে নাই।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল যেন চোরদের অভয়ারণ্য
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে বেড়েছে চোরদের উৎপাত। ফলে  হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের খোয়া যাচ্ছে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন, ওষুধসামগ্রীসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারির অভাবে এমন পরিস্থিতি দাবি করে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সেবাপ্রার্থীরা। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, শয্যা সংকট থাকায় একদিকে যেমন রোগীর চাপ ও চিকিৎসা পেতে বিড়ম্বনা, অন্যদিকে হাসপাতালের অধিকাংশ সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো হওয়ায় রোগীদের ভিড়ে হাসপাতালে ঢুকে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে কেটে পড়ছে চোরচক্রের সদস্যরা।  ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ১১ মাসের শিশু ফারিসতার মা ডলি আক্তার কালবেলাকে বলেন, হাসপাতালের আয়া ঝাড়ু দিয়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই আমার ব্যাগটি গায়েব হয়ে গেছে। আমার ব্যাগের মধ্যে নগদ ২৬ হাজার টাকাসহ ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও আমার জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল। হাসপাতালের কক্ষে সিসিটিভি না থাকায় দেখতেও পারছি না কীভাবে আমার ব্যাগটি চুরি হয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা তাসকিন নামের একমাসের শিশুর বাবা মোরশেদ সরদার বলেন, তিন দিন ধরে তাসকিনকে নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি। সোমবার ভোর রাতে আমার পাশে থাকা ব্যাগ থেকে তিন হাজার টাকা, তাসকিনের প্যামপাস ও দামি কিছু ওষুধ নিয়ে গেছে চোর। গ্রাম থেকে চিকিৎসা করাতে অল্প কিছু টাকা নিয়ে আসি। এভাবে যদি চোররা সবকিছু নিয়ে যায় আমরা কীভাবে চলব।  আছিয়া বেগম নামের রোগীর এক স্বজন বলেন, আমার নাতিন নিয়ে চিকিৎসা করাতে সদর হাসপাতালে আসছি বাইরে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই। এখানে আসার পর গত কাল ভোররাতে আমার ব্যাগ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গেছে। আমরা গরীব মানুষ। এখন টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না।  শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতু আক্তার বলেন, ভোরে হাসপাতাল থেকে চারজন রোগীর স্বজনদের টাকা পয়সা ও মালামাল খোয়া যাওয়ার বিষয়ে শুনেছি। হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনদের মূল্যবান জিনিসপত্র তাদের নিজ দায়িত্বে রাখার কথা। হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে তবে সবগুলো সচল নয়। হয়তো ওই ওয়ার্ডের সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না।  সিসিটিভি অকেজো হওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং চুরির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, চিকিৎসা নিতে আসা সকল রোগীর ও তাদের লোকজনকে মালামাল নিজ দায়িত্বে নিরাপদে রাখার জন্য বলা হয়ে থাকে। সাধারণত ভোরের দিকে চোররা রোগীর লোক সেজে চুরি করে। আয়ার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, না দেখে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া ঠিক না। যদি কেউ চোর ধরতে পারে সেক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাসপাতালে আরও বেশি সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। চুরির বিষয়ে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবদুল হাদি মোহাম্মদ শাহ্‌ পরান কালবেলাকে বলেন, হাসপাতালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়কের। উনি একাই ওটা সামলান, হাসপাতালের উপরে আমার কোনো কর্তৃত্ব নেই। হাসপাতালে লোকবলের অভাব আছে কী না, বা সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রয়োজনীয়তা আছে কী না সব পরিকল্পনা তার। আমি শুধু তাকে পরামর্শ দিতে পারি।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩

শরীয়তপুর ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিল
ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শরীয়তপুরে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পৃথক দুটি বিল তোলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিল দুটি সংসদে তোলেন। পরে বিলগুলো পরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিল দুটির উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃস্টি , কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় দুটি স্থাপন করা অতিপ্রয়োজনীয় ও যুক্তিযুক্ত।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X