শরীয়তপুরে জেলা যুবদল অন্তর্কোন্দলে জর্জরিত হওয়ায় গত ৬ বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি। আরিফ মোল্লা সভাপতি ও জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে জাতীয়তাবাদী যুবদলের শরীয়তপুর জেলা কমিটি গঠন করা হয়।
‘সুপার ফাইভ’ তথা পাঁচ সদস্যের ওই কমিটিকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয় যুবদলের হাইকমান্ড। এরপরে আর কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব। যে কারণে ছয় বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি পায়নি শরীয়তপুর জেলা যুবদল।
জানা যায়, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে শরীয়তপুর জেলা যুবদলের ৫ সদস্যের বিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় যুবদল। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরে ৫ জনের কমিটি তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে তৃণমূলের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এরপর থেকেই ৬টি উপজেলা একটি থানা ৫টি পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিট সু-সংগঠিত করতে ব্যর্থ হন তারা। এর মধ্যে কমিটি বাণিজ্য সহ নানান অবিযোগে অভিযুক্ত সভাপতি সেক্রেটারির বিরুদ্ধে। বিগত দিনে কেন্দ্রঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে ফটোসেশন করে ফেসবুক রাজনীতি করে আসলেও ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সরকার বিরোধী এক দফা আন্দোলনে ফটোসেশন তো দূরের কথা, বিন্দু পরিমাণ কার্যক্রম চোখে পড়েনি। কমিটিকে কেন্দ্র করে কোন্দলের পাশাপাশি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ছে যুবদল। তাই দলীয় কর্মসূচি পালনের পরিবর্তে এ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেতাকর্মীরা। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান, এমন কর্মকাণ্ডে হতাশ তৃণমূল।
নড়িয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর বলেন, বিগত ৬ বছরে তাদের পিছনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ ব্যক্তিগতভাবেও লাখ টাকা খরচ করে হতাশা ছাড়া কিছুই পাইনি। গত ২৮ অক্টবরের পর থেকে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলা ছাড়া কোনো উপজেলায় বিন্দু পরিমাণ কোনো কর্মসূচিতে তাদের দেখা যায়নি। অতি দ্রুত নতুন কমিটি করে দলের গতি ফিরিয়ে আনা জরুরি।
এ বিষয়ে জানতে জেলা যুবদলের সভাপতি আরিফ মোল্লার মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎ বলেন, শরীয়তপুরে যুবদল ছাড়াও বিএনপির মূলদলসহ অন্যান্য শাখা কমিটির দীর্ঘদিন যাবৎ নতুন করে কমিটি দেওয়া হয় না। এতে অনেক নেতা-কর্মীরা বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। নতুন করে কমিটি দিলে দলীয় কার্যক্রম আরও সুসংগঠিতভাবে পালন করা হতো। শরীয়তপুরে ২০১৭ সালে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে দিলে পরে আমরা ২০১ সদস্যবিশিষ্ট তালিকা কেন্দ্রে পাঠাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে কমিটি অনুমোদন হয়ে আসে নাই।
মন্তব্য করুন