Thu, 09 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
বাংলা কনভার্টার
‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ব্যবসায় মানোন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার’
৭ ঘণ্টা আগে
বিয়ের দাবিতে জুয়েলের বাড়িতে ২ সন্তানের জননীর অনশন
৮ ঘণ্টা আগে
২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
৮ ঘণ্টা আগে
নানা আয়োজনে ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড সেন্ট দিবস’ পালিত
৮ ঘণ্টা আগে
৩৪০ টাকার জন্য লাথি মেরে গর্ভের সন্তান হত্যা
৮ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
সদ্যপ্রাপ্ত
পাবনায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেলযোগাযোগ বন্ধ।
অনুসন্ধান
চার মাসে ১৭৬ শিশু হত্যার শিকার : আসক
গত চার মাসে ১৭৬ শিশু হত্যা এবং ২২৬ জন শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে। বুধবার (৮ মে) এ তথ্য জানায় বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। আসক জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল- এই চার মাসে ১৭৬ জন শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। সারা দেশে শিশুদের প্রতি বিভিন্ন ধরনের সহিংসতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংস্থাটি জানায়, দেশে ১৭৬ জন শিশু হত্যার মধ্যে ৯৭ বালক ও ৭১ বালিকা রয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৮ জন ছেলে না মেয়ে তা চিহ্নিত করা যায়নি। তারা বিভিন্ন কারণে হত্যার শিকার হয়েছে। ৪১ জন হারিয়ে গিয়েছিল, নির্যাতনের পর ২৮ এবং আত্মহত্যা করেছে ৩৬ জন। সংস্থাটি আরও জানায়, সহিংসতার শিকার ২২৬ শিশুর মধ্যে ১৭০ বালিকা ও ৫৫ বালক রয়েছে। সহিংসতার শিকার হওয়াদের মধ্যে ১ জন ছেলে না মেয়ে তা জানা যায়নি। তাদের মধ্যে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ১৯, শারীরিক নির্যাতনের শিকার ২৭, ধর্ষণের শিকার ১৫ বালক, ধর্ষণ ৯৩ এবং গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ২২ জন।
১০ ঘণ্টা আগে
ফেরি থেকে নদীতে পড়ে শিশু নিখোঁজ, উদ্ধার হয়নি ১৪ ঘণ্টায়ও
খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালী ফেরি থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার ১৪ ঘণ্টা পরও হৃদি রায় (৭) নামের শিশুকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে উদ্ধার করার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল। নিখোঁজ শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৬ মে) সুন্দরবনের করমজল ইকো-ট্যুরিজম ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ফেরার পথে ফেরি ও পন্টুনের ফাঁক দিয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝপঝপিয়া নদীতে হঠাৎ পড়ে যায় হৃদি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, করমজল থেকে রাতে ট্রলারযোগে পরিবারের সঙ্গে ফিরছিল শিশুটি। বৃষ্টি থাকায় ট্রলার থেকে ফেরিঘাটে নেমে ফেরির ওপর দিয়ে দৌড় দেওয়ার সময় অন্ধকারে বুঝতে না পেরে পন্টুন ও ফেরির ফাঁকা স্থান দিয়ে নদীতে পড়ে যায়। শিশুটিকে কেউ পড়ে যেতে না দেখলেও তার দৌড়ে যাওয়া ও পানিতে পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পায়। শিশুটি নদীতে পড়ে যাওয়ার পর থেকে পরিবারের সদস্যদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠেছে পানখালী ফেরিঘাট এলাকা। দাকোপ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবুল বাসার জানান, তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। তবে রাত দুটা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি। বৈরী আবহাওয়া ও নদীতে খরস্রোত থাকায় ডুবুরিদলের উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটায় রাতে বন্ধ রাখা হয়। আবার সকাল ৭টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানান, নদীতে জোয়ার থাকায় শিশুটির এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস খুলনার ডুবুরি দল ও দাকোপ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুর্ঘটনাকবিলত এলাকাসহ সম্ভাব্য সব স্থানে শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে।
০৭ মে, ২০২৪
বাটারবন খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে শিশু
চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখার মোড়ের মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুডের নিজস্ব তৈরি বাটারবন খেয়ে শিশু অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে শিশুটি চিকিৎসাধীন। শনিবার (৪ মে) রাতে বাটারবন খেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় ওই শিশুটির মা ওই দোকানে গিয়ে হট্টগোল করে কান্নাকাটি করলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। স্থানীয়রা জানান, অসুস্থ হওয়া শিশুর নাম আরোওয়া। যার বয়স ২ বছর। সে মমিনপাড়ার বাসিন্দা। ক্ষুধা নিবারণের জন্যই ক্রিমযুক্ত বাটারবনটি তাকে তার মা কিনে খাইয়েছিলেন। ভুক্তভোগী শিশুর মা মমিনপাড়ার বাসিন্দা আবুল হোসেন তালুকদারের মেয়ে আসমা তালুকদার বলেন, দুই পিস বাটারবন বিশ টাকা দিয়ে মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুড দোকান থেকে কিনে নিয়েছিলাম। এর মধ্যে একটি বাটারবন খেয়ে আমার ২ বছরের ছোট্ট শিশুটি পেটের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি সবার কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি। এদিকে সরেজমিনে মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুডের দোকানে ঢুকে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ধুলোবালিময় গ্লাস, পুরানো-বাসি খাবার এবং দোকানে মাকড়সার বাসা বেঁধে রয়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুডের দোকনের পরিচালক মো. হাসান বলেন, বাটারবনগুলো আমি বিক্রি করিনি। করেছে আমার দোকানের স্টাফ। আর রাস্তার পাশের দোকান হওয়ায় ধুলোবালি তো একটু হবেই। তবে দোকান যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকে আমি নজর রাখব। যে বাচ্চা অসুস্থ হয়েছে হয়তো গরমেও অসুস্থ হতে পারে। তবে আমাদের নিজস্ব কারখানায় বাটারবনসহ সব খাবার তৈরি হচ্ছে। বাসি-পচা খাবার তো দোকানে রাখি না। তবুও ওনাদের সমস্যার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থী। মা বনফুল কেক অ্যান্ড ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী মো. রুবেল বলেন, বাটারবনগুলো হয়তো গরমে নষ্ট হতে পারে। মালিক এগুলো দোকানে এনেছে বলেই বিক্রি করেছি। ভবিষ্যতে খাবার বিক্রিতে আরও সতর্ক হবো।
০৫ মে, ২০২৪
নগর পরিকল্পনায় নারী পরিকল্পনাবিদদের এগিয়ে আসতে হবে : প্রতিমন্ত্রী রিমি
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে নারী পুরুষ উভয়ের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। নগর পরিকল্পনায় নারী পরিকল্পনাবিদদের এগিয়ে আসতে হবে। রোববার (৫ মে) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স এর উদ্যোগে আয়োজিত নারী পরিকল্পনাবিদ এবং নবীন নারী নেতৃত্ব সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জীবনের বাস্তবতায় বাংলাদেশ বর্তমানে এ বিষয়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। নারী সমাজেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশ যেমন এগিয়ে যাবে, তেমনি দেশের উন্নয়নে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও নারীর অবদান দৃষ্টিগোচর হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব বিকাশ পৃথিবীর সমস্ত কিছুতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। জ্ঞানবিজ্ঞান প্রযুক্তি মানুষের জীবন ধারাকে বদলে দিচ্ছে মুহূর্তেই। এই বাস্তবতায় সমভাবে এগিয়ে আসতে হবে নারীকেও। সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে রাষ্ট্র এবং সমাজকে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার বার্তা, নারী-পুরুষ সমতা’ শ্লোগানকে সামনে রেখে নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে আমাদের মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ অধিদপ্তরসমূহ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন, নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলাসহ নেয়া হয়েছে অনেক পদক্ষেপ। এছাড়াও নারীকে দেশের সকল উন্নয়নের স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে দেশের সকল উপজেলায় মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের আওতায় ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ কার্যক্রম সফলতার সাথে চলমান রয়েছে। একইসাথে, মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্যাতিত, দুঃস্থ ও অসহায় মহিলা ও শিশুদের চিকিৎসা, আইনি সহায়তা ও আত্মকর্মসংস্থানমূক কাজের জন্য গঠন করা হয়েছে বিশেষ তহবিল।
০৫ মে, ২০২৪
শিশু ও গর্ভবতীদের উচ্চ দাপদাহের প্রভাব থেকে রক্ষায় স্বাস্থ্য নির্দেশনা
তীব্র দাপদাহে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে শিশুর অকাল জন্ম এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থায় ইউনিসেফের সহায়তায় জাতীয় নীতিমালা বা গাইডলাইন চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)। অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে উচ্চ তাপজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দিতেই এই উদ্যোগ। রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের উপর কারো হাত নেই, আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্য সচেতনতার মধ্য দিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। হাসপাতালগুলোতে গরমজনিত রোগের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতি তিন শিশুর একজন বা প্রায় ২ কোটি শিশু প্রতিদিন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহ, বন্যা, নদী ভাঙন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট অন্যান্য পরিবেশগত অভিঘাতের মতো বিরূপ আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিরও শিকার হচ্ছে শিশুরা। ইউনিসেফের সাম্প্রতিক প্রক্ষেপণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের একটি গুরুতর প্রতিক্রিয়া হিসেবে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের মোট শিশুর ৯৯ শতাংশ বা ৩ কোটি ৫৫ লাখ প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হবে। যার অর্থ হলো, গড়ে বছরে ৪.৫ বা তার বেশি অপপ্রবাহ হবে। এই সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি। ২০২০ সালে মাত্র ২৬ লাখ শিশু, যা দেশের মোট শিশুর ৫ শতাংশ, এই ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছিল। বাংলাদেশ ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, প্রতিটি শিশুরই সুস্থ পরিণত পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং আমাদের সবার এক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে। গরমজনিত অসুস্থতা মোকাবেলা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোয় অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিশুদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার পথ করতে পারি।
০৫ মে, ২০২৪
শরীয়তপুরে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার (এমসিএইচ) ইউনিটের চিকিৎসক ডা. মো. রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। নিয়মিত অফিস না করা, জোর করে অধীনস্থ কোয়ার্টারে থাকা, সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, নিয়মিত রোগী না দেখা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ না মানাসহ নানা অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। সুদূর চর মাইজারা থেকে ছয় মাসের শিশুকে নিয়ে উপজেলা হাসপাতালে আসা আমেনা বেগম বলেন, হঠাৎ বাচ্চাটির পেটে সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। এখানে এসে দেখি কোনো শিশুচিকিৎসক নেই। আমরা ডা. রাকিবুল ইসলামের কথা বললে এমন ডাক্তারের নাম কেউ শোনেনি বলে জানান। সরেজমিনে দেখা যায়, ফাহিমা বেগম নামে এক নারী তার বাচ্চাকে টিকা দেওয়ার জন্য এমসিএইচ ইউনিটে বসে আছেন। তার কাছে ড. রকিবুল ইসলাম নামের কোনো ডাক্তারকে আপনি চেনেন বা দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার বাচ্চাকে টিকা দেওয়ার জন্য আসি। কিন্তু আমি কোনোদিনও এ নামের কোনো ডাক্তার দেখিনি। আর ওনার নামফলক লাগানো রুমটা সবসময় বন্ধই দেখি। স্থানীয় ক্লিনিকের কর্মরত সবুজ মিয়া কালবেলাকে বলেন, আমি গত ৩ বছর ধরে এ হাসপাতালে আসা-যাওয়া করি। ডা. রকিবুল ইসলাম নামে যে একজন ডাক্তার এখানে আছে তা আপনাদের কাছে শুনলাম। জেলা পরিষদের সদস্য আব্রাহাম লিংকন কালবেলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী চরের গরিব-দুঃখী-অসহায় মানুষের চিকিৎসার জন্য দুর্গম চরের মধ্যে কোটি টাকা খরচ করে ১০ শয্যাবিশিষ্ট আব্দুর রাজ্জাক মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন। ডাক্তার ও নার্সের অভাবে আজ তা তালাবন্ধ থাকে। তাই চরের এ অসহায় পরিবারগুলো চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে উপজেলা সদর ও জেলা সদরে ছুটতে হয়। এখানে ডাক্তার রকিবুল ইসলাম নামের একজন চিকিৎসককে সপ্তাহে দুই দিন রোগী দেখার জন্য আদেশ প্রদান করা হলেও তিনি এখানে আসে না, রোগীও দেখেন না। আমি এ বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ মামুনের সঙ্গে কথা বলেছি। সে আমাকে জানায়, ডাক্তার রকিবুল ইসলামকে সপ্তাহে দুই দিন ওখানে রোগী দেখার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি এখানে আসেন না। গত কয়েক দিন আগে এ বিষয়টি নিয়ে আমি আমার ফেসবুক পেজে লাইভ করেছি, এতেও কোনো ফল পাচ্ছি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের এক কর্মচারী কালবেলাকে বলেন, ডা. মো. রকিবুল ইসলাম গোসাইরহাট উপজেলায় (MCHFP) পদে ২০২৩ সালের ৯ মে যোগদান করে। আজ পর্যন্ত তিনি ১০ জন রোগী দেখেছেন কিনা সন্দেহ। এখানে যে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক আছে তা গোসাইরহাট উপজেলার মানুষ জানেনই না। তার গোসাইরহাট চেম্বারও দিনের পর দিন তালা লাগানো থাকে। আমার মনে হয় তার খুঁটির জোর অনেক শক্তিশালী। তিনি তার অধস্তন কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তার ভয়ে সবাই মানসিক চাপে থাকে। এ বিষয়ে জানতে ডা. রকিবুল ইসলামের গোসাইরহাট (এমসিএইচ) ইউনিটের চেম্বারে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার কক্ষটি তালাবন্ধ ছিল। পরে মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কালবেলাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে আমি বেশিরভাগ সময় পরিদর্শনের কাজে ব্যস্ত থাকি। শরীয়তপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ মামুন কালবেলাকে বলেন, ডা. রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আমার কাছে অভিযোগ করেছে। সে অভিযোগের ভিত্তিতে আমি তারা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। প্রয়োজন হলে আবারও দেব।
০৫ মে, ২০২৪
শিশুদের হাতে মোবাইল দিলে বিপদ
১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেয়া উচিত নয় এবং ১৮ বছর বয়সের আগে শিশুদের ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর নির্দেশে দেশটিতে এমন এক নীতিমালা তৈরি করেছেন বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতেই মাখোঁ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফ্রান্সের শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধে যে নজিরহীন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তখন তিনি বলেছিলেন, শিশুদের স্মার্টফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করা হতে পারে। গত জানুয়ারিতেই ফ্রান্সের শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে ইঙ্গিত দেন মাখোঁ। তখন তিনি বলেছিলেন, শিশুদের স্মার্টফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করা হতে পারে। গবেষকরা বলেছেন, মুনাফালোভী প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করার কৌশল থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হবে। কোম্পানিগুলো শিশুদের পছন্দের বিষয়গুলো দেখিয়ে তাদের মনোযোগ স্মার্টফোনে আটকে রাখে। প্রযুক্তি বাজারে শিশুদের ‘পণ্য’ হিসেবে দেখা হয়। প্রতিবেদনে গবেষকরা বলেন, আমরা প্রযুক্তি শিল্পকে জানাতে চাচ্ছি, শিশুদের সঙ্গে তারা যা করছে, তা আমরা জানি এবং এসব করে তারা পার পাবেন না। মূলত পল-ব্রাউস হাসপাতালের মনোরোগ ও আসক্তি বিভাগের প্রধান অ্যামাইন বেনিয়ামিনার এবং স্নায়ু বিশেষজ্ঞ সার্ভেন মাউটনের নেতৃত্বে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি নিয়ে তিন মাস ধরে একটি গবেষণা করেন। গবেষণাপত্রে বলা হয়, তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের স্মার্টফোনে কোনো কিছু দেখানো উচিত নয়। টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। আর ১১ বছরের আগে কোনো শিশুরই নিজস্ব স্মার্টফোন থাকা উচিত নয়। যদি ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুদের হাতে স্মার্টফোন দিতেই হয়, তাহলে খেয়াল রাখতে হবে সে ফোনে যেন ইন্টারনেট ব্যবহার করা না যায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৫ বছরের শিশুরা মাস্টডোনের মতো শুধু নৈতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে। ১৮ বছরের কম বয়সীরা যেন টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। একইসঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীদের জ্ঞান বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
০৫ মে, ২০২৪
বাবার কোলে চিরনিদ্রায় সেই পেট জোড়া লাগানো জমজ শিশু
দিনমজুর বাবার ঘরে জন্ম নেওয়া পেট জোড়া লাগানো জমজ শিশু (কনজয়েন্ট টুইন বেবি) মায়মুনা ও মরিয়ম বাবার কোলেই গেলেন চিরনিদ্রায়। অর্থসংকটে থাকায় দুই দিন জ্বরে ভোগা এই দুই শিশুর চিকিৎসা চলছিল পল্লীচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। মা সন্তানদের ওষুধ খাইয়ে বাবার কোলে রেখে যান। তারপর বাবার কোলেই চিরনিদ্রায় ঢলে পড়েন তারা। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর বদলকোট গ্রামের দরগা বাড়িতে তাদের মৃত্যু হয়। নবজাতক দুটির মা আফরোজা সুলতানা মেঘলা নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর বদলকোট গ্রামের দরগা বাড়ির মাহবুব আলমের মেয়ে। মো. শাহানুর ইসলামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায়। শাহানুর মুন্সীগঞ্জের ভাটারচরে একটি কাপড়ের মিলে স্বল্প বেতনে দিনমজুরের কাজ করেন। নিরুপায় হয়ে শিশু দুটিকে নিয়ে নানার বাড়িতে চলে যান তারা। জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি ভোর ৪টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে আফরোজা সুলতানা মেঘলা ও মো. শাহানুর ইসলাম দম্পতির জমজ দুই কন্যার জন্ম হয়। তবে নবজাতক দুজনের পেট জোড়া লাগা (কনজয়েন্ট টুইন) থাকায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে তাদের। টাকার অভাবে তাদের দিনমজুর বাবা উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না এমন প্রতিবেদন দৈনিক কালবেলা প্রকাশ করে। বিষয়টি নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য ও শ্রম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএম ইব্রাহিম এমপির নজরে আসলে তিনি চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি এইচএম ইব্রাহিম এমপির সহযোগিতায় বিকেলে শিশু দুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন তারা। গত দুইদিন জ্বরে আক্রান্ত ছিল মায়মুনা ও মরিয়ম। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে মা আফরোজা ওষুধ খাইয়ে দিয়ে বাবা শাহানুরের কোলে দিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই বাবার কোলে মারা যান তারা। নবজাতক দুটির মা আফরোজা সুলতানা মেঘলা বলেন, আমার সন্তানদের ওষুধ খাইয়ে আমি গোসল করতে গেছি। হঠাৎ করে আমার স্বামীর চিৎকার শুনে এসে দেখি আমার সন্তানদের নড়াচড়া নেই। অর্থের অভাবে দীর্ঘদিন তাদের ভালো চিকিৎসা করাতে পারি নাই। আর কিছু বলার ভাষা আমার নাই। শিশু মায়মুনা-মরিয়মের বাবা শাহানুর ইসলাম বলেন, আমার কোলে আমার সন্তান আজ চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে। আমি তাদের নড়াচড়া না দেখে চিৎকার দেই। তারপর মানুষজন আসে। স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক এসে জানায় তারা আর দুনিয়াতে নাই। অনেকে আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমি অর্থের অভাবে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা করাতে পারি নাই। চাটখিল থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তাদের দুইদিন ধরে জ্বর ছিল। কোনো চিকিৎসকের সহায়তা নেয়নি। আজ দুপুরে শিশু দুইটা মারা যায়। নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিম এমপি ও নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মহোদয়সহ অনেকেই তাদের অর্থ সহায়তা দিয়েছিল। তাদের ঢাকায় হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়েছিল। কিছুদিন চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক তাদের বাড়িতে পাঠায়। তাদের আরেকটু বয়স হলে অপারেশন করার কথা ছিল। সব মিলিয়ে অর্থাভাব ও সঠিক পরামর্শের অভাব ছিল।
০৩ মে, ২০২৪
‘ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে’
ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)। শুক্রবার (৩ মে) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় আয়োজিত ওরাল ক্যান্সারবিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওরাল ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ক্যান্সার অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বাংলাদেশে মূলত লিভার, স্তন, কোলন ও ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে অধিকাংশ ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা জানেন না কীভাবে এই ক্যান্সার সংক্রমিত হয়। তিনি বলেন, পান, জর্দা, গুল ইত্যাদির মাধ্যমে ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এসব দ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী। ওরাল ক্যান্সার প্রতিরোধে রাতে ঘুমানোর পূর্বে উত্তম রূপে দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ক্যান্সারের চিকিৎসা একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। শুধু সরকারি অনুদানের মাধ্যমে দেশের সকল ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর পাশে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তিনি এ লক্ষ্যে দেশের বিত্তশালী মানুষদের মানবিক হয়ে ক্যান্সার রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মে মাস ওরাল ক্যান্সার প্রতিরোধের মাস। শান্তি ফাউন্ডেশনে ওরাল ক্যান্সার পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর পারভীন শাহিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন।
০৩ মে, ২০২৪
নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ হারাল শিশু
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল মরদেহ উদ্ধার করে বলে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন। নিহত ইফাত হোসেন (৮) কাপাসিয়া উপজেলার উলুসারা গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে কাপাসিয়া উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীতে তিনজন ছেলে গোসল করতে নামে। একপর্যায়ে তাদের মধ্য থেকে ইফাত হোসেন পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা খোঁজা খুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। পরে টঙ্গী থেকে ডুবুরিদল ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নদী থেকে শিশু ইফাত হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের মরদেহ টোক ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শফিকুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
০২ মে, ২০২৪
আরও
X