তীব্র দাপদাহে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে শিশুর অকাল জন্ম এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থায় ইউনিসেফের সহায়তায় জাতীয় নীতিমালা বা গাইডলাইন চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)। অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে উচ্চ তাপজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দিতেই এই উদ্যোগ।
রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের উপর কারো হাত নেই, আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্য সচেতনতার মধ্য দিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। হাসপাতালগুলোতে গরমজনিত রোগের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতি তিন শিশুর একজন বা প্রায় ২ কোটি শিশু প্রতিদিন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহ, বন্যা, নদী ভাঙন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট অন্যান্য পরিবেশগত অভিঘাতের মতো বিরূপ আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিরও শিকার হচ্ছে শিশুরা।
ইউনিসেফের সাম্প্রতিক প্রক্ষেপণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের একটি গুরুতর প্রতিক্রিয়া হিসেবে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের মোট শিশুর ৯৯ শতাংশ বা ৩ কোটি ৫৫ লাখ প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হবে। যার অর্থ হলো, গড়ে বছরে ৪.৫ বা তার বেশি অপপ্রবাহ হবে। এই সংখ্যা ২০২০ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি। ২০২০ সালে মাত্র ২৬ লাখ শিশু, যা দেশের মোট শিশুর ৫ শতাংশ, এই ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছিল।
বাংলাদেশ ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, প্রতিটি শিশুরই সুস্থ পরিণত পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং আমাদের সবার এক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে। গরমজনিত অসুস্থতা মোকাবেলা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোয় অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিশুদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার পথ করতে পারি।
মন্তব্য করুন