শিশুদের ৮৭ শতাংশই ডেঙ্গুর ডেন-২ ধরনে আক্রান্ত
দেশে ইতিমধ্যে অনেক শিশু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ৮৭ শতাংশ শিশু ডেন-২ জিনগত ধরনে আক্রান্ত। আর বাকি ১৩ শতাংশ শিশু ডেন-৩ ধরনে আক্রান্ত হচ্ছে।  বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও শিশু হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে গবেষণাটির প্রতিবেদন তুলে ধরেন হাসপাতালটির পরিচালক ও গবেষণার প্রধান গবেষক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম। গবেষণা থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক হাজার ৩৯ ভর্তি শিশু রোগীর মধ্য থেকে ৭২২ শিশু রোগীকে রোগতাত্ত্বিক গবেষণার জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ডেঙ্গু ভাইরাসের সেরোটাইপ নির্ধারণে এবং অন্যান্য ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তকরণে ওই ৭২২ শিশু রোগী থেকে ১০৪ রোগীর রক্ত ও ন্যাজোফ্রানজিয়াল সোয়াব সংগ্রহ করে আইসিডিডিআরবির পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ ছিল কিন্তু এনএস-১ অথবা আইজিএম পরীক্ষায় ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি এমন ৫০ ভর্তি রোগীর রক্ত ও ন্যাজোফ্রানজিয়াল সোয়াবও সংগ্রহ করে আইসিডিডিআরবির পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এনএস-১ এবং আইজিএম নেগেটিভ ৫০টি নমুনার মধ্যে আরটি পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে ১৭টি (৩৪ শতাংশ) ফলস নেগেটিভ পাওয়া যায় ও ডেঙ্গু নেগেটিভ রোগীর মধ্যে ১৯ শতাংশ রোগী এবং ডেঙ্গু পজিটিভ রোগীর মধ্যে ১২ শতাংশ রোগী অন্যান্য ভাইরাসের সংক্রমণে (ইনফ্লুয়েঞ্জা ও রেসপাইরেটরি সিনসাইটাল ভাইরাস) আক্রান্ত ছিল। জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষায় দেখা যায়, ১১৩টি ডেঙ্গু পজিটিভ নমুনায় ৮৭ শতাংশ ডেন-২ এবং ১৩ শতাংশের ডেন-৩ ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যে শিশুদের ভেতর ৮৭ শতাংশ ডেন-২ ধরনের উপস্থিতি দেখা গেছে, তার জিনগত বৈশিষ্ট্য ২০১৮ সালের ডেন-২ এর জিনগত বৈশিষ্ট্যের কাছাকাছি। এমনকি যে ১৩ শতাংশের ডেন-৩ ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, তার জিনগত বৈশিষ্ট্য ২০১৭ সালের ডেন-৩ এর জিনগত বৈশিষ্ট্যের কাছাকাছি।
১৪ অক্টোবর, ২০২৩

আমাজন জঙ্গলে বেঁচে থাকা সেই চার শিশু হাসপাতাল ছাড়ল
আমাজন জঙ্গলের গভীরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ৪০ দিন পর জীবিত উদ্ধার হওয়া সেই ৪ শিশু হাসপাতাল ছেড়েছে। ৩৪ দিন চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে কলম্ববিয়ার রাজধানী বোগোতার সামরিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে তারা। তবে এখনই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে না। খবর আলজাজিরার। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ৪ শিশুর মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ১৩ বছর, তার নাম লেসলি। সবচেয়ে ছোট ক্রিস্তিনের বয়স মাত্র ১ বছর। সোলেইনি ও তিয়েন নোরিয়েল নামের অপর দুই শিশুর বয়স যথাক্রমে ৯ ও ৫ বছর। কলম্বিয়ার শিশু কল্যাণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আস্ত্রিদ ক্যাসেরেস গত শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই চার শিশুর ওজন ও উচ্চতা ঠিক আছে। সত্যিই তারা এখন খুব অনুভব করছে। শিশু লেসলির বরাত দিয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, টানা ৪০ দিন গভীর জঙ্গলে থাকার পরও চার শিশু বেঁচে ছিল ওদের নানির কল্যাণে। লেসলিকে তার নানি খুব ছোটবেলা থেকে গভীর জঙ্গলে মাছ ধরা ও শিকারের কলাকৌশল শিখিয়েছিলেন। প্রকৃতি থেকে খাবার সংগ্রহের উপায়ও শিখিয়েছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার পর এসব কৌশল চার শিশুকে আমাজনের গভীরে বেঁচে থাকার জন্য খাবার সংগ্রহে সহায়তা করেছে। কলম্বিয়ার জাতীয় আদিবাসী সংগঠনের লুই আকোস্তা জানিয়েছেন, ওই চার শিশু বনের গভীরে থাকার সময় বিভিন্ন বীজ, ফল, শিকড়বাকড় খেয়েছে। তারা যেসব খাবার খাওয়া যাবে বলে মনে করেছে, সেগুলোই খেয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১ মে ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ আমাজন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এই চার শিশু। ৪০ দিনের ব্যাপক তল্লাশি শেষে তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই তল্লাশি অভিযানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরসহ ১৫০ সেনাসদস্যকে মোতায়েন করা হয়। যোগ দেন নিখোঁজ শিশুদের বাবাসহ স্থানীয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকজন।
১৬ জুলাই, ২০২৩
X