লিচুর বিচি গলায় আটকে শিশুর মৃত্যু
দিনাজপুরের বিরামপুরে স্কুল ছুটির পর সহপাঠীর সঙ্গে লিচু বাগানে লিচু খেতে গিয়ে গলায় বিচি আটকে সালামান ফারসি রনি নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে বিরামপুর পৌরসভার শীমুলতলী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সালমান ফারসি রনি পৌরসভার শীমুলতলী গ্রামের রাসেদুল ইসলামের ছেলে। সে শীমুলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ছিল। নিহত সালমান ফারসির পরিবারের সদস্যরা জানায়, দুপুরে সে স্কুল থেকে এসে পাশের বাড়ির শহীদের ছেলে জীবন (৭) এর সঙ্গে বাড়ির সামনে আনিছুর রহমানের লিচু বাগানে গিয়ে লিচু খায়। এ সময় একটি লিচুর বিচি গলায় আটকে গেলে শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই শিশুটি মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, লিচুর বিচি গলায় আটকে ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পৌরসভার মহিলা কাউন্সিল নাজনীন আক্তার বলেন, শিশুটি স্কুল থেকে এসে বাগান থেকে লিচু খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বিরামপুর থানার পুলিশ পরিদশর্ক সুব্রত কুমার সরকার জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুটিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  বাগান মালিক আনিছুর রহমান জানান, শিশুটির গলায় লিচুর বিচি আটকে মারা গেছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।  শিমুলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাহসিনা বেগম জানান, শিশুটির মা জহুরা বেগম বেলা ১১টার প্রথম শিফটের ক্লাস শেষ হওয়ার পর তাকে বাসায় নিয়ে যান। এরপর শুনতে পাই এই দুর্ঘটনার কথা। ঘটনাটি দুঃখজনক ও মর্মান্তিক।
১৪ মে, ২০২৪

কুমিল্লায় কীটনাশক ছিটানো পুকুরে মাছ ধরতে নেমে শিশুর মৃত্যু
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় কীটনাশক দেওয়া পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে কীটনাশকযুক্ত পানি খেয়ে ফাহাদ (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মৃত ফাহাদ জগন্নাথপুর এলাকার মনির হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্র।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মামুনুর রশিদ মামুন।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর গ্রামে একটি পুকুর লিজ নিয়ে একই গ্রামের আইয়ুব আলী মাছ চাষ করে আসছিলেন। তিনিএকই দিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে কাউকে না জানিয়ে ওই পুকুরে মাছ ধরার জন্য শক্তিশালী কীটনাশক প্রয়োগ করেন। পরবর্তী সময়ে ওই পুকুরে কিছু মাছ ভাসতে দেখে স্থানীয় পাড়া-প্রতিবেশীরা মাছ ধরতে নেমে পড়ে। এদের মধ্যে ফাহাদও সেখানে মাছ ধরতে নামে। এক পর্যায়ে সে গভীর পানিতে ডুবে যাওয়ার সময় বিষাক্ত পানি খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি উপস্থিত লোকজন টের পেয়ে দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে কুমিল্লা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত ফাহাদের মা সায়িদা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাদ্রাসা থেকে এসে পুকুরে মাছ ধরতে গেলে আমি তার পিছে পিছে যাওয়ার ৪-৫ মিনিটের মধ্যে তাকে না দেখতে পেরে খোঁজাখুজি শুরু করি। পরবর্তীতে তাকে পুকুরে পাওয়া যায়। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার ছেলেরে আমি এখন কই পামু।  এই বিষয়ে পুকুর লিজ নেওয়া আইয়ুব আলী বলেন, মাছ ভেসে উঠার জন্য ট্যাবলেট প্রয়োগ করেছিলাম। সকালে মাছগুলো উঠিয়ে নিবো সেজন্য। মাছ ভাসতে দেখে এলাকার মানুষ সেখানে নেমে পড়ে। এই বিষয়ে কোতওয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি এইমাত্র শুনেছি। আমি সেখানে পুলিশ পাঠাচ্ছি।
১৩ মে, ২০২৪

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নাটোরে ডোবার পানিতে ডুবে মো. রাব্বি (১৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের হাজরা নাটোর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাব্বি একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। রাব্বির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পেছনের বাঁশঝাড়ের পাশে ডোবার পানিতে গোসল করতে যায়। সেখানে পানিতে ডুব দিয়ে আর উঠতে পারেনি রাব্বি। ঘটনাটি জানতে পেরে তার বাবা-মা ডোবা থেকে তাকে তুলে নিয়ে দ্রুত নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকাবাসী জানায়, রাব্বি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। সে বারবার ওই ডোবার পানিতে গিয়ে গোসল করতো। সবার অগোচরে গোসল করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
০৯ মে, ২০২৪

বাবার কোলে চিরনিদ্রায় সেই পেট জোড়া লাগানো জমজ শিশু
দিনমজুর বাবার ঘরে জন্ম নেওয়া পেট জোড়া লাগানো জমজ শিশু (কনজয়েন্ট টুইন বেবি) মায়মুনা ও মরিয়ম বাবার কোলেই গেলেন চিরনিদ্রায়। অর্থসংকটে থাকায় দুই দিন জ্বরে ভোগা এই দুই শিশুর চিকিৎসা চলছিল পল্লীচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।  মা সন্তানদের ওষুধ খাইয়ে বাবার কোলে রেখে যান। তারপর বাবার কোলেই চিরনিদ্রায় ঢলে পড়েন তারা। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর বদলকোট গ্রামের দরগা বাড়িতে তাদের মৃত্যু হয়। নবজাতক দুটির মা আফরোজা সুলতানা মেঘলা নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর বদলকোট গ্রামের দরগা বাড়ির মাহবুব আলমের মেয়ে। মো. শাহানুর ইসলামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায়। শাহানুর মুন্সীগঞ্জের ভাটারচরে একটি কাপড়ের মিলে স্বল্প বেতনে দিনমজুরের কাজ করেন। নিরুপায় হয়ে শিশু দুটিকে নিয়ে নানার বাড়িতে চলে যান তারা। জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি ভোর ৪টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে আফরোজা সুলতানা মেঘলা ও মো. শাহানুর ইসলাম দম্পতির জমজ দুই কন্যার জন্ম হয়। তবে নবজাতক দুজনের পেট জোড়া লাগা (কনজয়েন্ট টুইন) থাকায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে তাদের। টাকার অভাবে তাদের দিনমজুর বাবা উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না এমন প্রতিবেদন দৈনিক কালবেলা প্রকাশ করে। বিষয়টি নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য ও শ্রম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএম ইব্রাহিম এমপির নজরে আসলে তিনি চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি এইচএম ইব্রাহিম এমপির সহযোগিতায় বিকেলে শিশু দুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন তারা। গত দুইদিন জ্বরে আক্রান্ত ছিল মায়মুনা ও মরিয়ম। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে মা আফরোজা ওষুধ খাইয়ে দিয়ে বাবা শাহানুরের কোলে দিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই বাবার কোলে মারা যান তারা। নবজাতক দুটির মা আফরোজা সুলতানা মেঘলা বলেন, আমার সন্তানদের ওষুধ খাইয়ে আমি গোসল করতে গেছি। হঠাৎ করে আমার স্বামীর চিৎকার শুনে এসে দেখি আমার সন্তানদের নড়াচড়া নেই। অর্থের অভাবে দীর্ঘদিন তাদের ভালো চিকিৎসা করাতে পারি নাই। আর কিছু বলার ভাষা আমার নাই। শিশু মায়মুনা-মরিয়মের বাবা শাহানুর ইসলাম বলেন, আমার কোলে আমার সন্তান আজ চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে। আমি তাদের নড়াচড়া না দেখে চিৎকার দেই। তারপর মানুষজন আসে। স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক এসে জানায় তারা আর দুনিয়াতে নাই। অনেকে আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমি অর্থের অভাবে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা করাতে পারি নাই।  চাটখিল থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তাদের দুইদিন ধরে জ্বর ছিল। কোনো চিকিৎসকের সহায়তা নেয়নি। আজ দুপুরে শিশু দুইটা মারা যায়। নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিম এমপি ও নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মহোদয়সহ অনেকেই তাদের অর্থ সহায়তা দিয়েছিল। তাদের ঢাকায় হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়েছিল। কিছুদিন চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক তাদের বাড়িতে পাঠায়। তাদের আরেকটু বয়স হলে অপারেশন করার কথা ছিল। সব মিলিয়ে অর্থাভাব ও সঠিক পরামর্শের অভাব ছিল।
০৩ মে, ২০২৪

কুমিল্লায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
কুমিল্লার মুরাদনগরে বসতবাড়ির পাশে থাকা পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে  উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কালারাইয়া গ্রামের কাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত শিশু কাজী ইয়াসিন আরাফাত (৩) উপজেলার কালারাইয়া গ্রামের কাজী তানভীর মিয়ার ছেলে ও রোজা মনি (৩) একই এলাকার মিদন মিয়ার মেয়ে। তারা দুজন সম্পর্কে চাচা-ভাতিজি। এ বিষয়ে ইয়াছিনের বাবা কাজী তানভীর বলেন, প্রতিদিনের মতো সকাল ১০টার দিকে আমার চাচাতো বোন রোজা মনি ও আমার ছেলে দুজন মিলে বাড়ির পেছনে পুকুর পাড়ে খেলতে যায়। কিছুক্ষণ পর তাদের দুজনকে কোথাও দেখতে না পেয়ে দুই পরিবারের সদস্যরা চারদিকে খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুরের পানিতে তাদের ভাসতে দেখে। তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করে। এ বিষয়ে বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহার খান বলেন, দুই শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমি অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমবেদনা জানিয়েছি। এ রকম যেন দুর্ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য সব অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। বাঙ্গরা থানার ওসি শফিউল আলম বলেন, দুই শিশু নিহতের ঘটনা আমরা শুনছি। বিকেলে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

গাজীপুরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরের সালনায় চার বছর বয়সী দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসক। গত রোববার সকালে সিটি করপোরেশনের টেকিবাড়ি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ময়নাতদন্তের পর এদিন রাতেই তাদের লাশ দাফন করা হয়। নিহত জান্নাতুল (৪) টেকিবাড়ি গ্রামের শাহজাহানের মেয়ে এবং মাহিম (৪) গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানার হরিচণ্ডী গ্রামের শাহ্ আলমের ছেলে। সোয়েটার কারখানায় কর্মী শাহ আলম পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন ওই এলাকায়। মাহিমের মামা মাসুদ রানা জানান, ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাসার পাশে খেলছিল শিশু মাহিম ও জান্নাতুল। সে সময় হঠাৎ তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাদের মাথায় পানি দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। জান্নাতুলের বাবা শাহজাহান জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জান্নাতুল এসে জানায় কুকুর তাদের তাড়া করেছে বলে হাঁপাচ্ছে। এ কথা বলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে গাজীপুর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জানান মেয়ে মারা গেছে। হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক হাসনিন জাহান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় শিশু দুটি মারা গেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সদর থানার ওসি রাফিউল করিম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে শিশুদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে খাবারে বিষক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন। তারা কিছু খেয়েছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ঝালকাঠিতে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় পানিতে ডুবে আব্দুল্লাহ (৬) ও জামিলা আক্তার (৬) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের বামনকাঠি ও গালুয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  জামিলা আক্তার দূর্গাপুর এলাকার আবদুল বারেকের মেয়ে এবং আব্দুল্লাহ বামনকাঠি এলাকার রফিক হাওলাদারের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আতাউর রহমান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আব্দুল্লাহ বাবার সঙ্গে গরু আনতে মাঠে যেতে চাইলে বাবা রফিক হাওলাদার ছেলেকে বাড়িতে রেখে তিনি মাঠে চলে যান। গরু নিয়ে বাড়ি ফিরে ঘরের পেছনে পুকুরে ছেলের লাশ ভাসতে দেখেন। পরে ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।  অন্যদিকে জামিলা প্রতিদিনের মতো খেলাধুলা করতে গিয়ে ঘরের পেছনে পুকুরে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তাকে কোথাও দেখতে না পেয়ে সবাই খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজাপুর উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাহেদ হাসান খান বলেন, দুপুরে পানিতে পড়া দুজন শিশুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল।  রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, পানিতে পড়ে নিহত দুই শিশুর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

গাজীপুরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনার টেকিবাড়ি এলাকায় চার বছর বয়সী দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।  রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সালনার টেকিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম। মৃত মোছা. জান্নাতুল (৪) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সালনার টেকিবাড়ি গ্রামের শাহজাহানের মেয়ে ও মাহিম (৪) গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার হরিচন্ডী গ্রামের শাহ্ আলমের ছেলে। শাহ আলম সালনার টেকিবাড়ি গ্রামের বুলবুল আহমেদের ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করে গাজীপুরের ইপসা এলাকার একটি সোয়েটার কারখানায় কাজ করেন। নিহত শিশু মাহিমের মামা মাসুদ রানা জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সালনার টেকিবাড়ি এলাকার ভাড়া বাড়ি পাশে খেলছিল শিশু মাহিম ও জান্নাতুল। এ সময় তারা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের মাথায় পানি ঠেলা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশু জান্নাতুলের বাবা শাহজাহান জানান, বেলা ১১টা সাড়ে ১১টার দিকে আমি বাসায় বসে ছিলাম। হঠাৎ জান্নাতুল দৌড়ে এসে জানায় কুকুরের ভয়ে তারা দৌড়ে হাঁপিয়ে উঠেছে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই জান্নাতুল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে জান্নাতুলকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মরদেহ রাত ১টার দিকে দাফন করা হয়েছে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক হাসনিন জাহান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মাহিম ও জান্নাতুলের মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, দুই শিশুর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়ায় কথা জানিয়েছেন। ওরা কিছু খেয়েছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

ভোলায় সপ্তাহের ব্যবধানে ডুবে ৮ শিশুর মৃত্যু
ভোলায় পানিতে ডুবে সপ্তাহের ব্যবধানে ৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল থেকে রোববার (২৮ এপ্রিল) পর্যন্ত জেলার সদর, চরফ্যাশন, মনপুরা, দৌলতখান, লালমোহন উপজেলায় এসব শিশুর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে চরফ্যাশনে চারজন, সদরে দুজন, মনপুরায় একজন ও দৌলতখানে একজনসহ ৮ শিশুর মৃত্যু হয়। তাদের সবার বয়স ৯ বছরের কম। জানা গেছে, রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবাসী মো. মহিউদ্দিনের ছেলে ওসমান (২), চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানা এলাকার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালাম মাঝির ছেলে আওলাদ হোসেন (৬) এবং মনপুরা উপজেলার ৩ নম্বর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর গোয়ালিয়া এলাকায় জান্নাতুল ফেরদৌসসহ (৬) তিন শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেছে।  এর আগে শনিবার (২৭ এপ্রিল) পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শাহীনের ছেলে মো. ইয়াছিন (৬) এবং দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শফিক মাঝির মেয়ে মিনজু আক্তার (৭)। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চরফ্যাশনের আসলামপুর ইউনিয়নে পানিতে ডুবে মারা গেছে একই উপজেলার হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নে আরেফিন (৮) নামে আরও এক শিশু।  এ ছাড়া গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোলার চরফ্যাশনে পানিতে ডুবে মারা গেছে দুই ভাই-বোন। শশিভূষণ থানা এলাকার রসুলপুর ইউনিয়নের ভাসানচরে এ ঘটনা ঘটে। শিশু বায়েজিদ (৬) ও মারিয়া (৪) ভাসানচর গ্রামের মো. রাসেল মিয়ার সন্তান। পরপর কয়েকদিনে পানিতে ডুবে ও পৃথক ঘটনায় শিশু মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভোলার প্রশাসন। জেলার শিশুদের প্রতি যত্নবান হওয়ার জন্য অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

কুমিল্লায় পানিতে ডুবে তিন দিনে ৮ শিশুর মৃত্যু
কুমিল্লায় পানিতে ডুবে তিন দিনে ৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৫, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল এই তিন দিনে জেলার চান্দিনা, দাউদকান্দি, বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলায় এসব শিশুর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল জেলার চান্দিনায় দুটি, দাউদকান্দিতে দুটি, ২৬ এপ্রিল বুড়িচংয়ে একটি এবং ২৭ এপ্রিল দেবিদ্বারে ৩টি শিশুর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া আট শিশুর মধ্যে সাতজনের বয়স ৮ বছরের কম। এদিকে বর্ষা শুরুর আগেই হঠাৎ পানিতে ডুবে এত শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৭ এপ্রিল) কুমিল্লার দেবিদ্বারে চার ঘণ্টার ব্যবধানে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। মৃত শিশুরা হলো, দেবিদ্বার পৌর এলাকার বিজলীপাঞ্জার গ্রামের রঙমিস্ত্রি অলিউল্লাহর মেয়ে মোসা. রাইসা আক্তার (৭)। বড় আলমপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন সোহাগের ছেলে আঠারো মাস বয়সী শিশু সালমান এবং গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের গুনাইঘর গ্রামের ইমান্দি ভূঁইয়া বাড়ির ইউনুস ভূঁইয়ার মেয়ে হাফসা (৫)। এ তিন শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান। এর আগের দিন ২৬ এপ্রিল কুমিল্লার বুড়িচংয়ে পুকুরে সাঁতার শিখতে নেমে পানিতে ডুবে মোহাম্মদ হৃদয় হাসান নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। একই দিন বিকেলে উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নস্থ কিংবাজেহুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত হৃদয় হাসান ওই গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। পরে রাতেই তাকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগের দিন ২৫ এপ্রিল কুমিল্লার চান্দিনা ও দাউদকান্দিতে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়। ওই দিন সকালে দাউদকান্দি উপজেলার বিটেশ্বর ইউনিয়নের বরকোটা এবং দুপুরে চান্দিনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড তুলাতলী গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। চান্দিনায় মারা যাওয়া শিশুরা হলো, উপজেলার তুলাতলী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মন্টুর মেয়ে নাদিয়া (৭) ও এই গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া (৮)। সম্পর্কে তারা দুজন খালা ও বোনের মেয়ে হয়। অপরদিকে দাউদকান্দিতে মারা যাওয়া দুই শিশু হলো, উপজেলার বরকোটা গ্রামের মো. নজরুলের ছেলে ফয়সাল (৮) এবং একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত (৭)।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪
X