মালয়েশিয়ায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস
মালয়েশিয়ায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে পবিত্র কুরআন তেলওয়াত ও জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ দেশের জন্য জীবন দেওয়া সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।  আরও পড়ুন : দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতা অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন : প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাস প্রধান ফারহানা চৌধুরী ও শ্রম কাউন্সিলর সুমন কুমার দাস। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবনীর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার তার বক্তব্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে বাঙালি নারীদের মুক্তির পথ দেখানোর আর্দশ নারী হিসাবে আখ্যা দেন।  তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিশ্ব নেতা হওয়ার পিছনে বঙ্গমাতার ভূমিকা অনেক। একজন মা হিসেবে তিনি ছিলেন অনেক দায়িত্বশীল। সন্তানদের বিলাসী জীবন কাটানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি তার সন্তানদের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের মতো করে মানুষ করেন।  আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধুর সব লড়াই-সংগ্রামের নেপথ্যের প্রেরণাদানকারী বঙ্গমাতা : কাদের এ সময় মিনিস্টার শ্রম মো. নাজমুস সাদাত সেলিম, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর তারিকুল ইসলাম, ভিসা কাউন্সিলর জি এম রাসেল রানা, পাসপোর্ট কাউন্সিলর কিয়ামুদ্দিন শ্রম কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম, শ্রম ১ম সেক্রেটারি জাহিদুর রহমানসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  
০৮ আগস্ট, ২০২৩

বঙ্গবন্ধুর সব লড়াই-সংগ্রামের নেপথ্যের প্রেরণাদানকারী বঙ্গমাতা : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন দেশের স্বাধীনতাসহ বঙ্গবন্ধুর সব লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদানকারী ছিলেন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান। পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয়বার শ্রদ্ধা জানান তিনি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এ দেশে হত্যা খুনের রাজনীতির মূলহোতা বিএনপি আবারও দেশে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিরাপদ রাখতে এবং গণতন্ত্রকে বাঁচাতে বিএনপি নামক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। এদিকে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ ও জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতাই বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে বঙ্গমাতায় অভিষিক্ত করেছে। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ নারী, আদর্শ স্ত্রী ও আদর্শ মা। বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে প্রতিটি পদক্ষেপে ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সেই কঠিন দিনগুলোতে তিনি ছিলেন দৃঢ় ও অবিচল। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের নেপথ্যেও ছিলেন তিনি। তারই পরামর্শে বঙ্গবন্ধু হৃদয় থেকে উৎসারিত অলিখিত এ ভাষণ প্রদান করেন। বঙ্গমাতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন সহজ-সরল নিরহংকার। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের প্রতিষ্ঠাতা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন তিনি। একজন সাধারণ বাঙালি নারীর মতো স্বামী-সংসার, আত্মীয়স্বজন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। এ লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদাতা ছিলেন ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর গোটা রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি কাজে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কাছে ছুটে যেতেন। তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পৌঁছে দিতেন ও লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাতেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে তিনি ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন।
০৮ আগস্ট, ২০২৩
X