বঙ্গবন্ধু’র সমাধিতে আইসিবি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) আইসিবি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, আইসিবি শাখার উদ্যোগে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে আইসিবি’র পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুবর্ণ বড়ুয়া এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেন বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে অধ্যাপক ড. সুবর্ণ বড়ুয়া টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু ভবনে সংরক্ষিত পরিদর্শন বই এ স্বাক্ষর করেন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, আইসিবি শাখার সদস্য ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাকরা এবং আইসিবি কর্মকর্তা সমিতি ও আইসিবি কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

ভয়াল ২৫ মার্চ / নওগাঁয় ১৩২ গণহত্যা স্থানের মাটি সংগ্রহ করে শ্রদ্ধা নিবেদন
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে শহীদদের স্মরণ করেছে নওগাঁবাসী। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের আয়োজনে শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে এমন ১৩২টি স্থানের মাটি সংগ্রহ করে আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে প্রদর্শন করা হয়। সেসবে গোলাপ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সেখানে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ডিএম আব্দুল বারি, সাধারণ সম্পাদক এম এম রাসেলসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও মাটি সংগ্রহের অন্যতম উদ্যোক্তা এম এম রাসেল বলেন, এখনো পর্যন্ত জেলায় জরিপ করে দেখা গেছে, ১৩২টি স্থানে গণহত্যা চালানো হয়েছে। এ গণহত্যার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, শহীদদের নাম, তাদের ঠিকানা, পেশা, বয়স এগুলো সংগ্রহ করতে প্রায় ১১ বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। যেখানে বদ্ধভূমি বা গণকবর রয়েছে সেই স্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শহীদদের এই রক্তে ভেজা মাটি সংগ্রহ করতে সময় লেগেছে দুই মাসের মতো। কিন্তু শুধু মাটি প্রদর্শন বা শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। আমাদের দাবি- গণহত্যায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের স্বীকৃতি, গণহত্যার স্থানগুলোকে চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক নির্মাণ এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদদের সম্মাননা দেওয়ার বা তালিকাভুক্ত করতে হবে। 
২৫ মার্চ, ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার, পতাকা স্ট্যান্ডে শ্রদ্ধা নিবেদন
বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় পতাকা স্ট্যান্ডে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার মাগুরমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মঞ্জুরুল হক কালবেলাকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমি সকল প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের বলেছি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। যেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেই প্রতিষ্ঠানগুলো পার্শ্ববর্তী যে কোনো শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবে। আমার জানামতে, পতাকা স্ট্যান্ডে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার কোনো বিধান নেই। এটি আসলেই দুঃখজনক ঘটনা। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে মাগুরমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিন্দ্রনাথ রায়কে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলাজুড়ে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাদ্রাসা, কলেজ ও কারিগরি কলেজ মিলে মোট ৯৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলার কোনো মাদ্রাসা ও কারিগরি কলেজে শহীদ মিনার না থাকারও তথ্য পাওয়া গেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টুঙ্গিপাড়ায় ঢাবি প্রো-ভিসির শ্রদ্ধা নিবেদন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবনিযুক্ত উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। শনিবার ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষসহ প্রায় ২০০ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন এমপি সৌরেন
নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী (সৌরেন)।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন তিনি। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের প্রশাসনিক ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বহিতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন সদ্য নির্বাচিত এ সংসদ সদস্য। তিনি নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও সাবেক সিনিয়র সচিব।  এর আগে কয়েকটি বাস ও মাইক্রোবাসযোগে নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন এমপি সৌরেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।  নির্বাচিত এমপি সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী সৌরেন বলেন, আমার ইচ্ছে ছিল আমি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার নেতাকর্মীদের নিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করব। তাই এদিন সকালে তাদের নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় নামলে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। এ সফরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অনেকেই আছেন যারা প্রথমবার টুঙ্গিপাড়ায় এসেছেন। বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতে পেরে তারা মহা খুশি। যারা আমার জন্য কাজ করেছেন, যাদের জন্য আমি এমপি নির্বাচিত হয়েছি, তাদের নিয়ে একসঙ্গে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে।  তিনি বলেন, এ সফর শুধু বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত নয়, দলের নবীন প্রবীণ হাজারো নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নতুন কিছু জানতে পেরেছে। এদিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারতের সুযোগ পেয়ে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছেন নওগাঁ-৩ আসনের তৃণমূলের অনেক প্রবীণ নেতারা। আর সেই আশা পূরণ করায় এমপির এমন মহৎ উদ্যোগের জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন ফেরদৌস
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেছেন তিনি। জয়ের পরেই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন ফেরদৌস। সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিজ নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার অপসারণে অংশ নিবেন ফেরদৌস। পরে হাজারিবাগে ককটেলে আহতদের দেখতে যাবেন। বিজয়ী হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে ফেরদৌস বলেন, ‘আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য আমার নির্বাচনী এলাকার সব ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই।’ ঢাকার ধানমন্ডি, হাজারীবাগসহ আশপাশের এলাকা নিয়ে ঢাকা-১০ আসন। এ আসনে ফেরদৌস আহমেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কে এম শামসুল আলম (আম), জাতীয় পার্টির হাজি মো. শাহজাহান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের (মুক্তিজোট) শাহরিয়ার ইফতেখার (ছড়ি) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. বাহারানে সুলতান বাহার (টেলিভিশন)।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

আয়শা খানমের চতুর্থ প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন
আয়শা খানম ছিলেন নারী আন্দোলনের একজন অনন্য কর্মী ও সংগঠক। তিনি ষাটের দশকের সেই প্রজন্মের একজন যিনি মানবতা, শান্তি ও সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং দেশকে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত করে আত্মপরিচয়ের জন্য জাতীয় মুক্তির আন্দোলনে নিজেকে শামিল করেছিলেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সভাপতি আয়শা খানমের চতুর্থ প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত সভাপতির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নীরবতা পালন শেষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা ও কর্মকর্তারা প্রয়াত আয়শা খানমের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু প্রয়াত আয়শা খানমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন, সিডও বাস্তবায়ন আন্দোলনের পাশাপাশি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের আন্দোলনে তিনি জোরালো ভূমিকা পালন করেছেন। সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, আয়শা খানম ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ’৭১-এর জাতীয় আন্দোলনসহ সকল আন্দোলনের এক সম্মুখ সারির যোদ্ধা। তিনি আমাদের সকল কর্মে, সকল কিছুতে, আমাদের মননে সবসময়ই থাকবেন। প্রয়াত আয়শা খানমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংগঠনের কর্মকর্তাদের মধ্যে সংগীত পরিবেশন করেন জনা গোস্বামী, অ্যাড. দীপ্তি শিকদার, শামীমা আফজালী শম্পা, অশ্রু ভট্টাচার্য, রোকেয়া বেগম এবং রণদা প্রসাদ সরকার। স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কাজী তামান্না; কবিতা আবৃত্তি করেন কাজী মনিরা যুঁথি ও দোলন কৃষ্ণ শীল। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম।
০২ জানুয়ারি, ২০২৪

বিজয় দিবসেও শ্রদ্ধা নিবেদন হয় না দেবীগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয় না মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতি জাগরূক করে রাখতে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে। প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি না থাকায় রাতের আঁধারে দেবীগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে ওঠে মাদকসেবীদের অভয়াশ্রম। গতকাল শনিবার মহান বিজয় দিবসে সরেজমিন দেখা যায়, সেখানে কাপড় শুকাতে দেওয়া হয়। স্মৃতিস্তম্ভের চারদিকে ফেলা হয়েছে বাসাবাড়ির আবর্জনা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ যেন ভাগাড়ে দাঁড়িয়ে আছে। এ ছাড়া নির্মাণের পর থেকে ব্যবহার না করায় এরই মধ্যে নষ্ট হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভের পাশে নির্মাণ করা টয়লেটসহ অন্যান্য স্থাপনা। এদিকে দেবীগঞ্জের যে স্থানটিতে মুক্তিযুদ্ধের কোনো স্মৃতি নেই, সেই স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এ ছাড়া প্রশাসনের অবহেলায় এটি ময়লার ভাগাড় হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ভূঁইয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভটি এখানে কীভাবে কার পরামর্শে করা হলো আমি জানি না। এখন যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেহেতু এটির যথাযথ মর্যাদা দেওয়া উচিত। স্মৃতিস্তম্ভে কাপড় শুকানো হচ্ছে, পাশেই ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। জাতীয় বিভিন্ন দিবস, বিশেষ করে স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবসেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় না দেবীগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, দেওয়া হয় না কোনো ধরনের শ্রদ্ধাঞ্জলি। অন্যদিকে, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ থাকতেও বিজয় চত্বরের মঞ্চে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা নিয়েও উঠেছে সমালোচনা। এ বিষয়ে ইউএনও শরীফুল আলম বলেন, এটি কোন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে, সেটির খোঁজখবর নিয়ে দেখতে হবে। স্মৃতিস্তম্ভে কারা ময়লা-আবর্জনা ফেলতেছে, আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি এবং দ্রুত যথাযথভাবে এটি রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, মুক্তিযুদ্ধের এ স্মৃতিস্তম্ভটির দ্রুত সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করে প্রতিবছর বিজয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হোক। মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন দেওয়া শহীদদের স্মৃতি চির জাগরূক রাখতে ২০১৯ সালে সারা দেশের মতো পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভার বাবুপাড়া সংলগ্ন সরকারি খাসজমিতে প্রায় ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় দেবীগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ।
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

মহান বিজয় দিবসে বাউবি উপাচার্যের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন
মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতারের নেতৃত্বে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ব্যানার ও ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে যান তারা। এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল, রেজিস্ট্রার ড. মহা. শফিকুল আলমসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা, বাউবি শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষক ফোরামের নেতাকর্মীরা। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এর আগে ভোরে উপাচার্যের নেতৃত্বে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। জোহরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ ছাড়া দেশজুড়ে বিস্তৃত বাউবির আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

চাঁদপুরে বীর শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন শিক্ষামন্ত্রীর
বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ চাঁদপুরের সর্বস্তরের জনগণ। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য শহরের অঙ্গীকার পাদদেশে ৩১ বার তপধ্বনির পরে এই পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। প্রথমেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এরপর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা শ্রদ্ধা জানান। পর্যায়ক্রমে জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ইউনিট, নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চল, চাঁদপুর জেলা পরিষদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, চাঁদপুর পৌরসভা, চাঁদপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দপ্তর ও সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিকে সকাল সাড়ে ৮টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা এবং চাঁদপুর সদর উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, স্কুাউটস, রোভার স্কাউটস্ গার্লস গাইড এবং শিশু-কিশোর সংগঠনের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করা হয়। কচুকাওয়াজের পর শিশু-কিশোরদের শরীর চর্চা ও ডিসপ্লে পরিদর্শন, ক্রীড়া অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
X