আয়শা খানম ছিলেন নারী আন্দোলনের একজন অনন্য কর্মী ও সংগঠক। তিনি ষাটের দশকের সেই প্রজন্মের একজন যিনি মানবতা, শান্তি ও সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং দেশকে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত করে আত্মপরিচয়ের জন্য জাতীয় মুক্তির আন্দোলনে নিজেকে শামিল করেছিলেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সভাপতি আয়শা খানমের চতুর্থ প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত সভাপতির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নীরবতা পালন শেষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা ও কর্মকর্তারা প্রয়াত আয়শা খানমের প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু প্রয়াত আয়শা খানমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন, সিডও বাস্তবায়ন আন্দোলনের পাশাপাশি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের আন্দোলনে তিনি জোরালো ভূমিকা পালন করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, আয়শা খানম ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ’৭১-এর জাতীয় আন্দোলনসহ সকল আন্দোলনের এক সম্মুখ সারির যোদ্ধা। তিনি আমাদের সকল কর্মে, সকল কিছুতে, আমাদের মননে সবসময়ই থাকবেন।
প্রয়াত আয়শা খানমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংগঠনের কর্মকর্তাদের মধ্যে সংগীত পরিবেশন করেন জনা গোস্বামী, অ্যাড. দীপ্তি শিকদার, শামীমা আফজালী শম্পা, অশ্রু ভট্টাচার্য, রোকেয়া বেগম এবং রণদা প্রসাদ সরকার। স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কাজী তামান্না; কবিতা আবৃত্তি করেন কাজী মনিরা যুঁথি ও দোলন কৃষ্ণ শীল। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম।
মন্তব্য করুন