ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী
সব কারখানায় ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিধান রেখে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন সংশোধন বিল পাস না হওয়া পর্যন্ত অংশীজনদের কিংবা যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা শ্রমিক অধিকারের কথা বলে, তাদের কথা শোনা হবে। কারণ, আমরা দেখব, আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী যে শ্রমিক অধিকার রক্ষা করা হয়, তার সঙ্গে অংশীজনদের পরামর্শের কোনো পার্থক্য আছে কি না।   সভায় আইএলওর পরামর্শ কী ছিল, জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, তাদের একটি পরামর্শ হচ্ছে, থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) কমিয়ে আনা। আমরা আগে এই থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু সেটা যে কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক আছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা। কিন্তু এখন সব কারখানার জন্য এই ১৫ শতাংশ থ্রেশহোল্ড রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ১৫ শতাংশ শ্রমিকরা রাজি হলেই তারা একটি ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করতে পারবে। আইএলওর এই পরামর্শ মেনে নিয়ে তা সংশোধিত শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।    মি. হক বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সারা বিশ্বের শ্রমিকদের একটি সংগঠন। সেখানে সবসময় শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়। শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তাদের সবসময় বক্তব্য থাকে, আমরা তা শুনছি এবং বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের সঙ্গে দরকষাকষির মধ্যে নেই।   তিনি বলেন, আইনটি সংশোধনের প্রাথমিক পর্যায়ে সারা বিশ্বে শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠার বেস্ট প্র্যাকটিসগুলো অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই চেষ্টায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার একটা অবদান আছে।   তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও সুরক্ষার জন্য যার যার কথা শোনার, সেটা আমরা শুনব। আগামী ১২ মে আইনটি সম্পূর্ণ করার জন্য একটি সভার আয়োজন করব।   আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরিচালনা পর্ষদে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিয়ে কিছু দেশ ২০১৯ সালে নালিশ করেছিল। সেই নালিশের পরে আমরা বহুবার আইএলও’র পরিচালনা পর্ষদকে বলেছি, শ্রমিকদের অধিকার আমাদের দেশে কেবল রক্ষাই হয়নি, শ্রমিকদের অধিকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে অহেতুক যে নালিশ করা হয়েছে, সেটা শেষ হওয়া উচিত।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

শ্রম আইন সংশোধনে আরও আলোচনার পরামর্শ আইএলও’র : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করে আরও আলোচনা করলে ভালো হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইএলওর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাউটিয়াইনেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার নীরন রামজুথান, টেকনিক্যাল অফিসার চয়নিচ থামপারিপাত্র, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার চৌধুরী আলবাব কাদিরসহ আইন মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে বসেছিলাম। এর আগে যখন বসেছিলাম, তখন যেসব সংশোধনীর কথা বলা হয়েছিল- সেখানে আরও কিছু নতুন সংশোধনী আনার ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয় আমাকে জানিয়েছিল। তাছাড়া এ বিষয়ে আইএলও-এর কিছু বক্তব্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল। আইনমন্ত্রী বলেন, জেনেভা থেকে আইএলও’র চারজনের একটি টিমও আজকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন। বৈঠকে শ্রম আইনের প্রায় প্রত্যেকটা ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছিলাম, শ্রম আইনটা পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনে পাস করার জন্য। কিন্তু আইএলও প্রতিনিধিদল বলেছে, তাড়াহুড়ো না করে আলোচনা করে আরও কিছু করতে পারলে ভালো হবে। আনিসুল হক বলেন, আমি তাদের পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, আইএলও-তে আমাদের বিরুদ্ধে গত তিন বছর ধরে একটা অভিযোগ ঝুলে আছে। প্রত্যেক মার্চ মাসেই বলা হয়, এটার বিষয়ে মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত হবে না, নভেম্বরে হবে। আবার নভেম্বরে বলা হয় এবার হবে না, মার্চে হবে। আমি সেজন্য পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, আগামী মার্চ মাসের গভর্নিং বডির মিটিংয়ে যদি বলেন, এটা আবার নভেম্বরে যাবে। সেটা আমরা মেনে নিতে রাজি না। তখন তারা বলেছেন, কমপ্রিহেন্সিভ লেবার অ্যাক্ট (সমন্বিত শ্রম আইন) তাদের পরামর্শ মিলিয়ে যদি করতে পারি, তাহলে সেটা এই মার্চ মাসে আমাদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা হবে না, বরং আমরা যে আলোচনাগুলো করছি, সেটার একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আইনমন্ত্রী বলেন, এটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন নীতিনির্ধারকরা। এই আইনের কিছু কিছু বিষয় আছে, তা নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সাথেও আলাপ করতে হবে। তাই আমরা দুটি সিদ্ধান্তে এসেছি। একটা হচ্ছে এই মিটিং আবারও অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আইএলও’র উদ্যোগে একটা স্টেকহোল্ডার ফ্যাসেলিটি মিটিং হবে। সেখানে যেসব ইস্যু নিয়ে আমাদের সাথে তাদের মতপার্থক্য আছে, সেগুলো আলোচনা হবে। আজ তারা কী পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, তারা বলছেন, ‘সি ম্যান’ এর নাম বদলিয়ে ‘সি ফেয়ারার’ নামকরণ করার জন্যে। ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের ওয়ার্কার বলা। তিনি বলেন, একটা কথা আসছিল ইউনিভার্সিটি টিচারদের ওয়ার্কার বলতে হবে, আমি সেটা নাকচ করে দিয়েছি। আমি বলেছি, ইউনিভার্সিটি টিচারদের আমরা ওয়ার্কার বলতে পারব না। তার কারণ হচ্ছে, ইউনিভার্সিটি টিচাররাও চান না যে, তাদের ওয়ার্কার বলতে এবং ওয়ার্কারের সংজ্ঞায় আনতে, আমরাও চাই না। ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ১০ শতাংশ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। আগে ছিল ১৫ শতাংশ, হবে শুধু তিন হাজার বা তার ঊর্ধ্বে যেসব কারখানা শ্রমিক আছে তাদের। এখন আমরা সেটাও তুলে দিচ্ছি। সকল শ্রমিকের ব্যাপারে ১৫ শতাংশ কাজ করবে।
০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শ্রম আইন সংশোধন বিল পাস আগামী অধিবেশনে
শ্রম আইন সংশোধন বিল আগামী অধিবেশনে পাস হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বুধবার নিজ মন্ত্রণালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। বৈঠকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের দায়িত্বে) হাফিজ আহমেদ চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, আইএলওর (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) গভর্নিং বডির মিটিং আগামী মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে। দেশে শ্রম অধিকার ও শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে যেসব অগ্রগতি হয়েছে এবং শ্রম আইন সংশোধনের ব্যাপারে যেসব কাজ করা হয়েছে, তা পর্যালোচনার জন্য একটি মিটিং ছিল। মিটিংয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে আমি আপনাদের কোনো তথ্য দিতে পারব না। সংশোধিত শ্রম আইন আগামী সংসদ অধিবেশনে উঠবে এবং পাস হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই উঠবে, অবশ্যই পাস হবে। শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার ১০ শতাংশ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা নিয়েও আজ (গতকাল) আমরা আলোচনা করেছি। এখানেও যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর আগের নির্দেশনা অনুযায়ী একটা পরিবর্তন এনেছি, আমি শিগগির প্রধানমন্ত্রীকে এটা নিয়ে ব্রিফ করব।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় ইউনূসের যুক্তিতর্ক শুনানি আজ
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি আজ। এতে অংশ নিতে আদালতে গিয়েছেন ড. ইউনূস। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ড. ইউনূস শ্রম আদালতে আসেন। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলায় অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের পক্ষে মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এদিন যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।  প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

শক্তিশালী শ্রম আইন বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে শক্তিশালী শ্রম আইন ও এর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, তৈরি পোশাক শিল্প ও এর বাইরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত এবং অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে কটন এক্সপো উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের (সিসিআই) প্রতিনিধি আলী আরসালান, সিসিআইর আঞ্চলিক পরিচালক উইলিয়াম বেটেনডর্ফ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন এবং কটন ইউএসএ সলিউশনের লেই পেল, এলডিসি ও প্রধান জোয়ের্গ বাউরসাচস। পিটার হাস বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের জন্য সাম্প্রতিক ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা একটি বস্তুনিষ্ঠ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রমাণভিত্তিক জাতীয় মজুরি নীতির সুস্পষ্ট প্রয়োজনীয়তা প্রদর্শন করেছে, যা গার্মেন্টস শ্রমিকদের মুখোমুখি গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে পরিচালিত মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য একটি স্থিতিশীল এবং প্রত্যাশিত পরিচালনার পরিবেশের জন্য শক্তিশালী শ্রম আইন ও তাদের বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

শক্তিশালী শ্রম আইন বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক : পিটার হাস
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে শক্তিশালী শ্রম আইন ও এর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, তৈরি পোশাক শিল্প ও এর বাইরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত এবং অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ তুলা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীতে আয়োজিত কটন এক্সপো উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, কটন কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের (সিসিআই) প্রতিনিধি আলী আরসালান, সিসিআইর আঞ্চলিক পরিচালক উইলিয়াম বেটেনডর্ফ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন এবং কটন ইউএসএ সলিউশনের লেই পেল, এলডিসি ও প্রধান জোয়ের্গ বাউরসাচস। পিটার হাস বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের জন্য সাম্প্রতিক ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা একটি বস্তুনিষ্ঠ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রমাণভিত্তিক জাতীয় মজুরি নীতির সুস্পষ্ট প্রয়োজনীয়তা প্রদর্শন করেছে, যা গার্মেন্টস শ্রমিকদের মুখোমুখি গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে পরিচালিত মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য একটি স্থিতিশীল এবং প্রত্যাশিত পরিচালনার পরিবেশের জন্য শক্তিশালী শ্রম আইন ও তাদের বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক। এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সদ্য ঘোষিত শ্রম স্মারকের উল্লেখ করে বলেন, ‘এই নতুন বৈশ্বিক শ্রম কৌশলটি সব মার্কিন সরকারি সংস্থাকে সরকার, শ্রম সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, নাগরিক সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংগঠন এবং সম্মিলিত দরকষাকষির স্বাধীনতার অধিকার প্রচার ও সুরক্ষা করবে। বাংলাদেশের পোশাকশিল্প শ্রমিকদের অধিকারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়মে এগিয়ে নিতে দেশি বিদেশি বেসরকারি খাত ও সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে খুবই আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।’
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

‘টাইপের ত্রুটিতে শ্রম আইন ফেরত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি’
শ্রমিক অধিকার ক্ষুণ্ন করে—এমন টাইপিং ভুলের জন্য সংসদে পাস হওয়া শ্রম আইন রাষ্ট্রপতি ফেরত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। নির্বাচনের পর নতুন সংসদ বসবে, তখন সেই ত্রুটি সংশোধন করা হবে বলেও জানান তিনি। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। জানা যায়, সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি যে দফাটি পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন, সেটি বেআইনি ধর্মঘট বা লকআউটের দণ্ড-সংক্রান্ত। এটি মূল আইনের ২৯৪ ধারা। এই ধারার ১ উপধারায় শ্রমিকদের বেআইনি ধর্মঘটের দণ্ডের কথা বলা আছে। আর ২ উপধারায় মালিকপক্ষের বেআইনি লকআউটের দণ্ডের বিধান আছে। উভয় ক্ষেত্রে দণ্ড একই। সর্বশেষ অধিবেশনে যেভাবে বিলটি পাস হয়েছে, তাতে শুধু শ্রমিকদের বেআইনি ধর্মঘটের জরিমানা ৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২০ হাজার টাকা হয়েছে। অন্যদিকে, মালিকদের দণ্ড আগের মতো ৫ হাজার টাকাই রয়ে গেছে। কারণ, উপধারা-২ সংশোধিত হয়নি। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ কারণে বিলটি পুনর্বিবেচনার জন্য সম্প্রতি সংসদের কাছে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

ড. ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। এর আধা ঘণ্টা আগে আদালতে হাজির হন নোবেলজয়ী ইউনূস। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী ও খুরশীদ আলম খান। গত ৯ নভেম্বর এই আদালতে হাজির হয়ে ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ইউনূস ওই সময় বলেন, আমি তো নিজে এ প্রতিষ্ঠানের মালিক নই। আমার আদর্শ কর্মসূচিতে কোনো ত্রুটি ছিল না। এত বড় কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হতে পারে। আমরা তো ফেরেশতা নই; কিন্তু ভুল হলে তা ইচ্ছাকৃত নয়। লিখিত বক্তব্যে আসামিরা বলেন, দেশে গ্রামীণ ব্যাংকসহ ৫০টির অধিক সামাজিক প্রতিষ্ঠান ইউনূস গড়ে তুলেছেন। কোনো কোম্পানিতে তার নিজস্ব শেয়ার নেই। সুতরাং কোনো লভ্যাংশ বা লাভের টাকা কারও পকেটে ঢোকে না। কোম্পানি আইনসহ বিভিন্ন আইনের ব্যাখ্যাসহ এই মামলাটি কেন চলতে পারে না, তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয় বক্তব্যে। সেখানে মামলার আসামিদের অব্যাহতির প্রার্থনা জানানো হয়। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় এরই মধ্যে চারজনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী এবং প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে গত ৬ নভেম্বর চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয়েছে বলে জানান ইউনূসের আইনজীবী মামুন।
১৭ নভেম্বর, ২০২৩

শ্রম আইন লঙ্ঘন : ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দিন সাক্ষ্য দেন শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। এর আগে, গত ২০ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। তার আগে গত ৬ জুন এ মামলায় বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার শ্রম আদালত। পরে এ আদেশে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী। মামলার অপর তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। চলতি বছরের ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের নামে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। পরে ১৯ মে শ্রম আদালতের আদেশটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৩ জুলাই শ্রম আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। রুলের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২৫ জুলাই চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশ না দিয়ে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মামলাটিতে স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন। এর ধারাবাহিকতায় ৩ আগস্ট মামলাটির রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টে নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী শুনানি শেষে ৮ আগস্ট রুল খারিজ করে রায় দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
২২ আগস্ট, ২০২৩
X