কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকশতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে, বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে হঠাৎ মৌলভীবাজার জেলা দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। এতে জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-বাঁশ ঘরের ওপরে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল শহরে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সড়কে গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। শহরের বিভিন্ন দোকানের চাল উড়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য বড় বড় গাছ। শ্রীমঙ্গল শহরের বাসিন্দা মামুন আহমদ বলেন, হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড় আসে। এতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় শ্রীমঙ্গল শহর। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েকশত গাছ ভেঙে পড়েছে। ঘরবাড়িসহ দোকানের টিন উড়ে গেছে। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সদর দপ্তর মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, শনিবার রাতের ঝড়ে বড়লেখা উপজেলায় প্রায় ২০টি খুটি ভেঙ্গেছে অথবা পড়ে গেছে। শাহবাজপুর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। অন্যান্য এলাকায় ক্রমান্বয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বিকেলে শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বর্তমানে এ দুই উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। ঠিকাদারসহ আলোর গেরিলা টিম লাইন পুনঃস্থাপনের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। সবাইকে আরেকটু ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছি।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখর শ্রীমঙ্গল
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে। ঈদের নামাজের পর থেকেই আনন্দ উপভোগ করতে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন সেখানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকের আনাগোনায় শ্রীমঙ্গল এলাকা মুখর হয়ে উঠে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে নয়াভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ভিড় করছেন হাজারও মানুষ। পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে সকাল থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা ছুটে যান। এখানকার জীববৈচিত্র্য ঘুরে দেখে তাদের ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন তারা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে পর্যটকরা পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটিতে বেড়াতে এসেছেন এখানে। দুপুরের পর থেকে উপচেপড়া ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠে চা বাগান, মাধবপুর লেইক, ৭১ বধ্যভূমি, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, টি মিউজিয়াম এবং সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানাসহ দর্শনীয় স্থানগুলো। হৈ-হুল্লোড় আর নাচ-গানে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এদিকে চা বাগানসহ জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে টুরিস্ট পুলিশসহ প্রশাসনকে। তবুও দর্শনাথীদের নিরাপত্তা দিতে মোড়ে মোড়ে ছিল কঠোর নজরদারি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা শিক্ষিকা রুসনা বেগম বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে সময় দেওয়া যায়। তাই লাউয়াছড়ায় আসলাম। যদিও কয়েকবছর আগে একবার শীতকালে এসেছিলাম, আশা ছিল এইবার নতুন কিছু পাব, কিন্তু পেলাম না। বি-বাড়িয়া থেকে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে মাধবপুর লেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা ডা. ফজলুর রহমান বলেন, প্রকৃতির অপার লীলা নিকেতন মাধবপুর লেক দেখে আমরা মুগ্ধ। রাস্তা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও এখানে বেড়াতে এসে পর্যটকরা নিজেদের সাধ্যমতো আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করছেন। জলের মধ্যে উঁচুনিচু পাহাড়ে চা বাগান ঘেরা, এ এক আলাদা মায়াবী টান।   কিশোরগঞ্জ থেকে বেড়াতে আসা জাহিদুল হক বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে এখানে এসেছি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না। মৌলভীবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক প্রবাল সিনহা বলেন, পুলিশের সার্বক্ষণিক নজরদারির কারণে এখানে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই পর্যটকরা আনন্দ উপভোগ করে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিটি পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের অফিস সহকারী ক্যাশিয়ার আফজাল হোসেন বলেন, ঈদের দিন উদ্যানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পর্যটক প্রবেশ করেছেন। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে দেড় লাখ টাকারও বেশি। আশা করছি আগামী কয়েকদিনে অনেক পর্যটকের আগমনে হবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।
১২ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল
দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১১-১২ এপ্রিল দেশে উদযাপিত হবে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব।ঈদ উপলক্ষে বরাবরের মত এবার বেশকদিনের জন্য ছুটি পাচ্ছেন সবাই। এবার ঈদের ছুটির সাথে যুক্ত হচ্ছে পহেলা বৈশাখের ছুটিও। তাই টানা ছুটিতে ঘুরে আসার জন্য ভ্রমণপিপাসুরা বেছে নিতে পারেন হাওড়-টিলা-চা বাগান বেষ্টিত শ্রীমঙ্গলকে। শ্রীমঙ্গলের কথা এলেই ভ্রমণ পিপাসুদের মনের চিত্রপটে ভেসে উঠে সারি সারি চা বাগানের ছবি। শ্রীমঙ্গলের নিসর্গশোভা ৪৮টি চা বাগানের সতেজ সবুজ পাতার মায়া যে কোন ভ্রমণপিপাসু মনকে টানতে সক্ষম। উঁচু-নিচু পাহাড়, পাহাড়ের বুকজুড়ে চা বাগানের সারি, চারদিকে প্রকৃতির নজরকাড়া সৌন্দর্য, হাজার প্রজাতির গাছ-গাছালি, দিগন্তজোড়া হাওর আর নীল জলরাশিতে ঢেউয়ের ছন্দে প্রাণ জুড়িয়ে নিতে প্রতিবছর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা আসেন চায়ের রাজধানীখ্যাত শ্রীমঙ্গল শহরে চা, রাবার, লেবু, পান, আনারস ও মূল্যবান কাঠসহ বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়ের বসবাসের কারণে শ্রীমঙ্গল পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বেশ আকর্ষনীয়। তাইতো দেশি-বিদেশি পর্যটকদের এই ঈদের ছুটিতে হাতছানি দিয়ে ডাকছে শ্রীমঙ্গল। শ্রীমঙ্গলে অবস্থান করে দেখা যাবে এমন কয়েকটি দর্শনীয় স্থানগুলো:  চা কন্যা ভাষ্কর্য: শ্রীমঙ্গলের সীমানায় এ ভাষ্কর্যটি আপনাকে স্বাগত জানাতে দাঁড়িয়ে আছে। ঢাকা চট্টগ্রাম থেকে সড়ক পথে শ্রীমঙ্গল আসতে সাতগাঁও চা বাগানে সড়কের পাশেই আপনার চোখ আটকে যাবে এই শুভ্র ভাষ্কর্যে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকেও আপনি সিএনজি অটোরিকশা কিংবা টমটম নিয়েও যেতে পারেন। ভাড়া সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা। আর পথের দূরত্ব ১২-১৪ কিলোমিটার। ন্যাশনাল পার্ক লাউয়াছড়ার: শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একমাত্র ন্যাশনাল পার্ক লাউয়াছড়ার অবস্থান। ১৯২০ সালে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জায়গাজুড়ে পরিকল্পিত চাষাবাদ করে লাগানো চারাগাছগুলো এখন ঘন প্রাকৃতিক বনের আকার ধারণ করেছে। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই পার্কে দেখা মেলে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির পশুপাখি। ধীরে ধীরে পার্কটি এখন দেশের শিক্ষা, গবেষণা ও ইকো-ট্যুরিজম স্পট হয়ে উঠেছে। শ্রীমঙ্গল থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে অথবা বাসে করেও আপনি যেতে পারেন এ বনে। যাওয়ার পথে রাস্তার দুই ধারে দেখতে পাবেন সবুজ অরণ্য আর বিচিত্র সব পশুপাখি। তবে এসব প্রাণি দেখতে হলে বনের একটু গভীরে যেতে হবে আপনাকে। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই): ইনস্টিটিউটের চারদিকে বিচিত্র সব রঙের ফুলের সমাহার। এছাড়াও রয়েছে সারিবদ্ধ পাম, নাগলিঙ্গম, চামলসহ নানা জাতের বৃক্ষরাজির শোভা। হ্রদের জলে দেখতে পাবেন ফুটন্ত লাল পদ্মফুল। চা গবেষণাগার। আছে একটি চা প্রক্রিয়াজাত কারখানা। পুরো এলাকাটি আপনি দেখে নিতে পারেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে। মনোমুগ্ধকর এলাকাটি শ্রীমঙ্গল শহর থেকে এক কিলোমিটারের পথ। সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ভাড়ায় রিকশা নিয়ে ১৫-২০ মিনিটে আপনি পৌঁছে যাবেন। বাইক্কা বিল: বাইক্কা বিল একটি অনন্য স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রম এবং জলচর পাখির বিচরণভূমি। এর আয়তন ১০০ হেক্টর। বাংলাদেশের অন্যতম জলাশয় হাইল-হাওরে এর অবস্থান। ২০০৩ সালের ১ জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয় বাইক্কা বিলকে একটি স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রম হিসেবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়। হাওরটি বর্ষায় ১৪ হাজার হেক্টর এলাকায় বিস্তৃত হয়। আবার শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে গিয়ে ১৩৩টি বিল ও বেশ ক’টি খালে খণ্ডিত হয়ে মোট ৪ হাজার হেক্টর এলাকায় সংকুচিত হয়ে পড়ে বিলটি। বাইক্কা বিলের প্রধান আকর্ষণ পাখি। বছরজুড়েই নানা প্রজাতির জলজ পাখির বিচরণে মুখরিত থাকে এ বিলটি। তবে শীত মৌসুমে প্রচুর পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে। পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য এখানে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। নয়নাভিরাম এ জলাভূমিতে যখন শাপলা, পদ্মসহ নানা প্রজাতির জলজ ফুল ফোটে, সেই দৃশ্যের কোন তুলনাই হয় না। পশু-পাখি সেবাশ্রম: এক সময়ের সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা এখন নাম পরিবর্তন হয়ে হয়েছে বন্যপ্রাণি ফাউন্ডেশনের পশু-পাখি সেবাশ্রম। সিতেশ রঞ্জন দেবের এই সংগ্রহশালায় গিয়ে দেখতে পাবেন সাদা বাঘ, মেছো বাঘ, সোনালি বাঘ, ভাল্লুক, মায়া হরিণ, ময়না, অজগর সাপ, বানর, লজ্জাবতী বানর, সজারু, সোনালি কচ্ছপ, বনমোরগ, বন্য খরগোশ, উল্লুক, হরিণ, সাইবেরিয়ান ডাক, পাহাড়ি বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী। ভাড়াউড়া লেক: শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জেমস ফিনলের চা-বাগান। ভাড়াউড়ায় আছে একটি লেক যেখানে জলপদ্মের মেলা বসে। চা বাগানের বুকে এই লেকটির আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে কিন্তু কম নয়। এখানে রয়েছে বানর আর হনুমানের অবাধ বিচরণ। পাহাড়ের কাছাকাছি গেলেই দেখতে পাবেন বানরের দল। দু’একটা বানর আপনাকে দেখে ভেংচি কাটছে দেখে চমকে উঠবেননা আবার। তবে সতর্ক দৃষ্টিতে এগোতে হবে। বুঝতেই তো পারছেন, আপনি এখন বানরের রাজ্যে। এছাড়াও এখানে শীতে দল বেঁধে আসে পরিযায়ী পাখি। যা পর্যটকদের চোখে মুগ্ধতা ছড়ায়। নীলকন্ঠ চা কেবিন: দেশের প্রথম দুই রঙ এর চায়ের আবিষ্কারক রমেশ রাম গৌড়ের নীলকন্ঠ চা কেবিনের অবস্থানও শ্রীমঙ্গলে। শহরতলীর রামনগর মনিপুরীপাড়ায় অবস্থিত এই চায়ের দোকানটিতে এখন দুই রঙ এর চা থেকে শুরু করে দশ রঙ এর চা-ও পাওয়া যায়। অনেক পর্যটকের কাছে এ এক বিস্ময়কর আকর্ষণ। বধ্যভূমি ৭১: শহরের ভানুগাছ সড়কে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই বধ্যভূমির অবস্থান।মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মৃতিতে নির্মিত এই বধ্যভূমি। নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর আবাস: শ্রীমঙ্গলে খাসি, মনিপুরী, গারো, হাজং, টিপরা, রিকিয়াসন, বারাইক, সাঁওতালসহ প্রায় ৪০টি নৃগোষ্ঠীর আবাস। দেশের আর কোন উপজেলায় একসাথে আপনি এতোগুলো নৃতাত্তি¡ক জনগোষ্ঠী খোঁজে পাবেন না। তাই বিচিত্রসব জাতি-গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবনধারায় অবগাহনে আপনাকে শ্রীমঙ্গল এর নাম উচ্চারণ করতেই হবে। কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন: ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে কিংবা দেশের যেকোন স্থান থেকে রেলপথ অথবা সড়কপথে আপনি শ্রীমঙ্গল যেতে পারেন। শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল, রিসোর্ট, কটেজ রয়েছে। শ্রীমঙ্গলে রয়েছে পাঁচতারকা মানের গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ। এখানে ১৫ হাজার থেকে রুম ভাড়া শুরু। রুমভেদে ভাড়া নির্ধারিত হয়। এছাড়াও তিন তারকা মানের লেমন গার্ডেন রিসোর্ট, নভেম রিসোর্ট, বালিশিরা রিসোর্ট, গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্ট রয়েছে। এগুলোর ভাড়া রুমভেদে ৩ থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত হয়ে থাকে।  এ ছাড়া চা বোর্ডের একটি রিসোর্ট ও একটি গেস্ট হাউজ রয়েছে শ্রীমঙ্গলে। চা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে এগুলোর রুম বুকিং দেওয়া যায়। অন্যদিকে জেলা পরিষদের দুটি ডাকবাংলো আছে, যেগুলোতে খুব স্বল্প খরচে রাতযাপন করা যায়। পাশাপাশি শহরের ভেতরে অনেকগুলো হোটেল আছে যেগুলোতে কম খরচে থাকা যায়। তবে একটা বিষয় মাথায় রেখে আপনাকে শ্রীমঙ্গলের ভ্রমণপ্ল্যান সাজাতে হবে- তা হলো আগেভাগে থাকার জায়গার বুকিং দেওয়া।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

কুয়াকাটায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের জমি দখল করে টয়লেট
কুয়াকাটায় শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের জমি দখল করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে বৌদ্ধ বিহার কর্তৃপক্ষ। গত রোববার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এদিকে বৌদ্ধ বিহারে টয়লেট নির্মাণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের বিচার দাবি জানিয়েছেন দেশের ৪৪ বিশিষ্ট নাগরিক। কুয়াকাটা শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিহারাধ্যক্ষ ইন্দ্রবংশ ভান্তে স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে বলা হয়, কুয়াকাটার কেরানীপাড়া সংলগ্ন এস এ ৫৩০নং খতিয়ানের ৫৩৭৪নং দাগে ২ দশমিক ৪৪ একর জমি ১৯৪৭ সালের ৭ নভেম্বর রেজিস্ট্রিকৃত ০৯নং চুক্তিপত্র দলিলের মাধ্যমে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের জন্য কেরানীপাড়ার মগগনের পক্ষে পাড়া মাদবর নোলাউ মগ বরাবর হস্তান্তর করে। মূলত দলিল মূল্যে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার কর্তৃপক্ষ ওই জমির মালিক। কিন্তু এস এ ৫৩৭৪নং দাগের পূর্ব অংশে রাখাইন মার্কেট সংলগ্ন জমিতে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র পাবলিক টয়লেট নির্মাণের কাজ শুরু করেন। শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার কর্তৃপক্ষ ওই কাজ বন্ধে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ দেখিয়ে নির্মাণকাজে আপত্তি জানায়। সরেজমিন দেখা গেছে, গত ২৪ শনিবার রাতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পাবলিক টয়লেটের ছাদ ঢালাই কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভা এলাকায় অঢেল জমি থাকা সত্ত্বেও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জমি দখল করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন। জানতে চাইলে বিহারে অধ্যয়নরত ছাত্র উচাচি বলেন, আমরা এর প্রতিকার চাই। রাখাইন নারী নেত্রী লুমা রাখাইন বলেন, আমরা এর প্রতিকার চাই। সুষ্ঠু সমাধান চাই। আমাদের জমিতে কোনো স্থাপনা করতে দেব না। এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার কালবেলাকে বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত কাজ নয়। এটা পর্যটকদের জরুরি কাজ সারার জন্য। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও জানেন। কয়েকদিন আগে সিপিপির একটি প্রোগ্রাম হয়েছিল কুয়াকাটায়। তখন টয়লেট এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়েছিল যে, তাৎক্ষণিক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম কালবেলাকে বলেন, শনিবার রাতে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে বসতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কোথায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। বিচার দাবি ৪৪ বিশিষ্টজনের: কুয়াকাটা বৌদ্ধ বিহারের জমিতে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৪৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। গত মঙ্গলবার এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের জমিতে পাবলিক টয়লেট নির্মাণকাজের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত করে বৌদ্ধ বিহারের জমির পরিবর্তে অন্য স্থানে পাবলিক টয়লেট স্থানান্তর করার জোর দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমন অসাংবিধানিক নিপীড়নমূলক ও সাম্প্রদায়িক মনোভাব সম্পন্ন কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বৌদ্ধ বিহারের মতো পবিত্র স্থানে পাবলিক টয়লেট স্থাপন কখনো সমর্থনযোগ্য নয়। এ কাজটি ধর্মীয় উসকানি বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ধর্মের অবমাননার শামিল। পৌরসভা এলাকায় অনেক জমি থাকা সত্ত্বেও বৌদ্ধ বিহারের মতো পবিত্র স্থানে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটা সংখ্যালঘু রাখাইন সম্প্রদায়কে তাদের উচ্ছেদের চেষ্টার সুস্পষ্ট নামান্তর। কেন বৌদ্ধ বিহারের দেয়াল ভেঙে এবং উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের চেষ্টা করা হলো তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানায়। বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে রয়েছেনÑ সুলতানা কামাল, খুশী কবির, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, রাশেদা কে চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ড. পারভীন হাসান, শিরিন হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু শ্রীমঙ্গল
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নেমেছে কনকনে শীত। গত দুই সপ্তাহ থেকে কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। যার ফলে সর্বসাধারণের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শ্রমজীবী, বাগানের চা শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষজন।  শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কনকনে শীত থাকায় উপজেলার চা বাগান ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনজীবনে জবুথবু অবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে রোগবালাইও বেড়েছে। শীতজনিত নানা রোগে হাসপাতালে ভর্তি সংখ্যা বেড়েছে। শীত থেকে বাঁচতে বিভিন্ন স্থানে অনেককে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, তীব্র শীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে শীতজনিত রোগ সর্দি-কাশি, ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানিসহ শীতজনিত নানা রোগ নিয়ে শিশু এবং বয়স্করা ভর্তি হয়েছেন।  শীতকালীন ডায়রিয়া, ঠান্ডা কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে উপজেলা স্থাস্থ্য ও পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, তীব্র শীতে প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডা-কাশি, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা রোগ নিয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। রোগীর সংখ্যায় হাসপাতালের শয্যা কম থাকায় মাঝেমধ্য হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আনিস জানান, সোমবার ৮ জানুয়ারি সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৯ ডিসেম্বর এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বিভলু চন্দ্র দাস জানান, গত ২০ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি থেকে ১৬ ডিগ্রির ভেতরে ওঠানামা করছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আর্কাইভ সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি এবং ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৮ জানুয়ারি, ২০২৪

পৌষের শুরুতেই কাঁপছে শ্রীমঙ্গল
পৌষের প্রথম দিনেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে মৌলভীবাজার গ্রামাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায়। কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে মৌলভীবাজারে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিন থেকে এ অঞ্চলে ক্রমশ তাপমাত্রা নিচে নামতে শুরু করেছে। এদিকে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা। শীত ও কনকনে হিমেল হাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমুল ও শ্রমজিবী মানুষ। ফুটপাতে গড়ম কাপড়ের দোকানে কেনাকাটায় নিম্ন আয়ের মানুষের ভীর বাড়ছে। হিম বাতাসে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ আর ছিন্নমূল মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন অনেকে। এ ছাড়া ঠান্ডার কারণে কৃষিকাজও চরমভাবে ব্যাহত হওয়ায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম অনেক ফসলের। শীত নিবারণের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। চা বাগানের চা শ্রমিক সুমি বলেন খুব ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্র-বিছানা সব বরফ হয়ে গেছে। সকালে গৃহস্থালির কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠাণ্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে। চা দোকানদার বিক্রেতা অজয় বলেন, কয়েক দিন থেকে খুবই শীত। আজ সকালে এত শীত পড়েছে যে রাস্তা দেখায় যায় না। এরকম ঠান্ডা ও শীত হলে আমার মতো বয়স্ক মানুষগুলোর সমস্যা। নাইট চৌকিদার ইরেশ বৌদ্ধ বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব শীত। মাঠে কাজ করতে সমস্যা হয়। এখনো কেউ আমাক কম্বল দেয়নি। কম্বলের খুব দরকার। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক মো. মুজিবুর রহমান জানান, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষ দিকে তাপমাত্রা কমতে পারে।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

হরতাল-অবরোধে পর্যটকশূন্য শ্রীমঙ্গল
পর্যটকরা সারা বছর আসতে চান, ঘুরতে চান জলকন্যা ও চায়ের দেশ খ্যাত শ্রীমঙ্গলে। হরতাল অবরোধের কারণে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের পর্যটনশিল্পে খরা পড়েছে। পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো। চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এ খাতে বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবরোধ কর্মসূচির প্রভাবে মৌলভীবাজারে পর্যটকদের দেখা মিলছে না। পর্যটক না আসায় এ খাতের ব্যবসায়ীরা হতাশ। অন্যান্য বছর শীত মৌসুমের শুরুতে শ্রীমঙ্গলের হোটেল-রিসোর্টে দেশি-বিদেশি প্রচুর পর্যটক থাকলেও সরজমিনে ১০ নভেম্বর শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা যায়, সকল পর্যটন স্পটগুলো প্রায় পর্যটকশুন্য। গত বছর নভেম্বর মাসে এ জেলায় পর্যটকের ভিড় থাকলেও এ বছর গত অক্টোবর মাস হরতাল ডাকার পর থেকে পর্যটকের আগমন কমতে শুরু করেছে। চলতি নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রভাবে জেলার জলপ্রপাত, মাধবপুর লেক, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হামহাম ঝরনা এবং চা বাগানসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে একেবারেই পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। গেল সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার অবরোধ না থাকলেও কোনো পর্যটকের দেখা মিলেনি চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলে। এদিকে পর্যটক না আসায় এ খাতের ব্যবসায়ীরা চরম হতাশায় রয়েছেন। শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন হোটেল-কটেজ ও রেস্ট হাউসগুলোতে কোনো বুকিং নাই। অলস সময় পার করছেন হোটেল-রিসোর্ট কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। পর্যটক না আসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীদের। বুকিং ছিল না হোটেল মোটেলের ৯৫ শতাংশ কক্ষ। শ্রীমঙ্গলের পর্যটন ইকো গাইড শ্যামল দেব বর্মা বলেন, বিগত বছরগুলোয় এ সময়টাতে শ্রীমঙ্গলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। হোটেল-মোটেলে কোনো সিট ফাঁকা থাকে না। বিশেষ করে প্রতি বছর এ সময় দেশ-বিদেশের নানা বয়সী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন স্পট। কিন্তু টানা অবরোধ-হরতালের কারণে এবছর শীত মৌসুমের শুরুতে এসব স্পটে এখন পর্যটকদের দেখা মিলছে না। শ্রীমঙ্গল ভ্রমণের জন্য যারা আগাম বুকিং দিয়েছিলেন তাও তারা বাতিল করেছেন। এতে ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বছরের এই সময় থেকেই চায়ের রাজ্যে ভিড় করতে শুরু করেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারণে সব বুকিং বাতিল করেছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসার পথে গণপরিবহন না পাওয়া ও রাস্তাঘাটে সংঘাত, সংঘষের কথা চিন্তা করে কেউ বের হচ্ছেন না। শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী সেলিম আহমেদ বলেন, দুর্গাপূজার শুরু থেকেই শ্রীমঙ্গলের পর্যটন শিল্প বেশ জমে ওঠেছিল। কিন্তু হরতাল অবরোধের কারণে চলতি বছরের শুরুতেই আমরা বিশাল আর্থিক লোকসানের মুখোমুখি হলাম। হরতাল অবরোধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতা চলমান থাকলে আমরা কর্মীদের ছাঁটাই করতে হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজার জোনের পুলিশ উপপরিদর্শক প্রবাল সিনহা বলেন, চায়ের রাজ্য শ্রীমঙ্গলে গত দুই সপ্তাহ ধরে তেমন কোনো পর্যটকের সমাগম ছিল না। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রস্তুত রয়েছে শ্রীমঙ্গল ট্যুরিস্ট পুলিশ।
২০ নভেম্বর, ২০২৩

পর্যটকশূন্য চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল
পর্যটকরা সারা বছর আসতে চান ঘুরতে চান চায়ের দেশ খ্যাত শ্রীমঙ্গলে। কিন্তু সাম্প্রতিক হরতাল অবরোধের কারণে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের পর্যটনশিল্পে খরা পড়েছে। পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো।  চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এ খাতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবরোধ কর্মসূচির প্রভাবে মৌলভীবাজারে পর্যটকদের দেখা মিলছে না। পর্যটক না আসায় এ খাতের ব্যবসায়ীরা হতাশ।  অন্যান্য বছর শীত মৌসুমের শুরুতে শ্রীমঙ্গলের হোটেল-রিসোর্টে দেশি-বিদেশি প্রচুর পর্যটক থাকলেও শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা যায় সকল পর্যটন স্পটগুলো প্রায় ফাঁকা।  গত বছর নভেম্বরে এ জেলায় পর্যটকের ভিড় থাকলেও এ বছর গত অক্টোবর মাস হরতাল ডাকার পর থেকে পর্যটকের আগমন কমতে শুরু করেছে। চলতি নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় দফা অবরোধের প্রভাবে জেলার জলপ্রপাত, মাধবপুর লেক, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হামহাম ঝরনা এবং চা বাগানসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো একেবারেই পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে।  গত সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার অবরোধ না থাকলেও কোনো পর্যটকের দেখা মেলেনি চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলে। এদিকে পর্যটক না আসায় এ খাতের ব্যবসায়ীরা চরম হতাশায় রয়েছেন। শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন হোটেল-কটেজ ও রেস্টহাউজ গুলোতে কোন বুকিং নেই। অলস সময় পার করছেন হোটেল-রিসোর্ট কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। পর্যটক না আসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীদের। বুকিং ছিল না হোটেল মোটেলের ৯৫ শতাংশ কক্ষ।  পর্যটন ইকো গাইড শ্যামল দেব বর্মা বলেন, বিগত বছরগুলোয় এ সময়টাতে শ্রীমঙ্গলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। হোটেল-মোটেলে কোনো সিট ফাঁকা থাকে না। বিশেষ করে প্রতি বছর এ সময় দেশ-বিদেশের নানা বয়সী পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন পর্যটন স্পট। কিন্তু টানা অবরোধ-হরতালের কারণে এ বছর শীত মৌসুমের শুরুতে এসব স্পটে এখন পর্যটকদের দেখা মিলছে না। এতে ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বছরের এই সময় থেকেই চায়ের রাজ্যে ভিড় করতে শুরু করেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। কিন্তু হরতাল ও অবরোধের কারণে সব বুকিং বাতিল করেছেন তারা।  পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশ মৌলভীবাজার জোনের পুলিশ উপপরিদর্শক প্রবাল সিনহা বলেন, চায়ের রাজ্য শ্রীমঙ্গলে গত দুই সপ্তাহ ধরে তেমন কোনো পর্যটকের সমাগম ছিল না। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রস্তুত রয়েছে শ্রীমঙ্গল ট্যুরিস্ট পুলিশ।
১৭ নভেম্বর, ২০২৩

শ্রীমঙ্গল ডাকঘর প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত না হওয়ায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের প্রধান ডাকঘরটি আজও সাব-ডাকঘর হিসেবে চালিয়ে যাচ্ছে তার কর্মকাণ্ড। অথচ টার্গেট পূরণ করছে প্রথম শ্রেণির। আর প্রথম শ্রেণির ডাকঘরে উন্নীত না করায় কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাটি সুদূর প্রাচীনকাল থেকেই একটি উন্নত ব্যবসায়িক অঞ্চল। যেখানে একসময় মারোয়ারীরা ব্যবসা করতেন এবং পরে ব্রিটিশরা চা বাগান করার পর তা আরও সমৃদ্ধ হয়। যেখানে চালু হয় সিলেট বিভাগের অন্যতম আড়তদারি বা পাইকারি ব্যবসাকেন্দ্র। সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই এখানে সিলেট বিভাগ তথা চট্টগ্রাম বিভাগের বেশ কিছু অঞ্চলের পাইকাররা শ্রীমঙ্গলের বাজার থেকে মালামাল সংগ্রহ করতেন। এখনো শ্রীমঙ্গলের আড়তদারি বা পাইকারি ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে। শ্রীমঙ্গল পোস্ট অফিসের ৪৫ শতাংশ জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমান ছোট এই ভবন ছাড়া বাকি জায়গা পতিত। লোকবল বৃদ্ধির পাশাপাশি অচিরেরই প্রয়োজন সম্প্রসারিত ভবন। এর আগে ত্রিপুরা রাজা এখানে নিয়মিত আসতেন। শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জ সড়কে রাজ কাছারিতে বসতেন। যে কারণেও এখানে গড়ে উঠে নগরায়ণ। বিগত ৫৩ বছর ধরে তিনি এই ডাকঘরে লেনদেন করে আসছেন। তার আয়ের অংশ তিনি এখানেই সঞ্চয় করেন। কিন্তু যুগ বদলে গেছে, সবকিছু আধুনিক হয়েছে, কিন্তু আধুনিক হয়নি এই ডাকঘরটি।  আর চা বাগান হওয়ার পর এর গুরুত্ব বেড়ে যায় অনেকগুণ। আর শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অর্ধশতাধিক পর্যটন স্পট থাকায় এর ব্যবসায়িক পরিধিও বেড়েছে আশাব্যঞ্জক। আর বর্তমানে এটি তৃতীয় শ্রেণির ডাকঘর হলেও এর আয় ও গ্রাহক সংখ্যা প্রথম শ্রেণির সমান। এটিকে প্রথম শ্রেণির ডাকঘরে রূপান্তরিত না করায় গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত। বর্তমানে এর মাসিক লেনদেন ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা।  আর এটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলে তা শতকোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে কয়েকগুণ। পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে তা আজও আলোর মুখ দেখেনি। এতে দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলের ডাকঘর থেকে প্রথম শ্রেণির সুবিধাসংবলিত সেবা বঞ্চিত গ্রাহকরা। এ অবস্থায় বর্তমানে অনেক ব্যবসায়ী এই ডাকঘর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিচ্ছেন। চলমান আধুনিক যুগে এ ডাকঘরটি এখনো তৃতীয় শ্রেণির অফিস হিসেবে আছে। অথচ বহু বছর আগে থেকেই এটি দ্বিতীয় শ্রেণির প্রধান ডাকঘরে উন্নীত হতে মাসিক ২০ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন অতিক্রম করে। বর্তমানে এর লেনদেন প্রায় ৩০ কোটি টাকা, যা প্রথম শ্রেণির ডাকঘরে উন্নীত হওয়ার টার্গেট।  শ্রীমঙ্গল উপজেলা ডাকঘরের ভারপ্রাপ্ত পোস্ট মাস্টার আব্দুল মতিন জানান, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতি বিমুখ। একজন গ্রাহক বই জমা দিলে তা মৌলভীবাজার ঘুরে এসে টাকা পেতে সময় লাগে প্রায় ১৫ দিন থেকে এক মাসেরও বেশি। এখন যে ২৫ কোটি টাকার ওপরে আয় হয়, তা সঞ্চয় ব্যাংক, সঞ্চয়পত্র, রেজিস্টার ইস্যু, দৈনিক পার্সেলসহ অন্যান্য খাত থেকে। তিনি জানান, এক সময় লেনদেন ছিল প্রায় ৫০ কোটি। সুবিধা না পাওয়ায় এখন কমেছে। শ্রীমঙ্গল ডাকঘরের অপারেটর সবিতা রানী রায় জানান, শ্রীমঙ্গলে অনেক প্রবাসী রয়েছেন। দ্বিতীয় ও প্রথম শ্রেণি না হওয়ায় এখানে লোকবল ও অবকাঠামো কম। গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে হলে আগে মৌলভীবাজারে চাহিদা দিতে হয়।  কাতার প্রবাসী সুব্রত চক্রবর্তী জানান, শ্রীমঙ্গল পোস্ট অফিসটি তৃতীয় শ্রেণির হওয়ায় বর্তমানে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইমার্জেন্সি মেইল সার্ভিস (ইএমএস) সার্ভিস পাচ্ছি না। এটি প্রথম শ্রেণি বা দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হলে আমরা এ সার্ভিস পাব। শ্রীমঙ্গল উপজেলা সদর হলেও এখানে রয়েছে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা, রয়েছে বিজিবির সেক্টর, ব্যাটালিয়ন, রয়েছে চা গবেষণা কেন্দ্র, চা বোর্ডেও প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট, পল্লী­বিদ্যুৎ সমিতির মৌলভীবাজার জেলা অফিস, পাওয়ার গ্রিডের মৌলভীবাজার জেলা অফিস, প্রথম শ্রেণির রেলওয়ে স্টেশন, রয়েছে র‌্যাব-৯ এর হবিগঞ্জ মৌলভীবাজার জেলার প্রধান অফিস, রয়েছে আনসার ব্যাটালিয়ান, বন বিভাগের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ, জেলা বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক ও রেঞ্জ কর্মকর্তার পৃথক পৃথক কার্যালয়, বিভাগীয় শ্রমকল্যাণ অফিস, জেলা কলকারাখানা অফিস, পদ্মা মেঘনা যমুনার বিভাগীয় ডিপু, রয়েছে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কার্যালয়।  এ ছাড়াও রয়েছে অর্ধশতাধিক এনজিও, ৪৬টি চা বাগান, বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি রাবার বাগান, রয়েছে পাঁচ তারকা মানের হোটেলসহ অর্ধশতাধিক হোটেল রিসোর্ট। আছে অর্ধশতাধিক ব্যাংক বীমা অফিস। আর হাজার হাজার প্রবাসী তো আছেনই। শ্রীমঙ্গল পোস্ট অফিস পরিদর্শক আবু সালে মোহাম্মদ আল রাজীব বলেন, শ্রীমঙ্গল শাখা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রধান ডাকঘরে উন্নীত হলে এই ব্রাঞ্চের নিজস্ব একটি অ্যাকাউন্ট থাকবে। অ্যাকাউন্টে সবসময় স্থিতি থাকবে যার মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত সেবা দেওয়া যাবে।
১১ নভেম্বর, ২০২৩

শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত, গুরুতর আহত ৪
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গাছের সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় আরোহী এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন। বুধবার ১ নভেম্বর রাত ১২ টার দিকে ঢাকা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের নোয়াগাঁও এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত তারেক চৌধুরী শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন শ্রীমঙ্গল পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল শান্তসহ চারজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাতে শ্রীমঙ্গল থেকে মৌলভীবাজারমুখী নীল রঙের প্রাইভেট কার (নং-ঢাকা মেট্র্রো-গ-১১-২৬৭০) সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে গাড়ির চালক ও আরোহীসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গাড়ির দরজা কেটে আহতদের উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক তারেক চৌধুরীকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত পৌর ছাত্রলীগ নেতা সাকিল আহমদ,সাজু মিয়া,জাহিদ,আলামীনকে সংটাপন্ন অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের একটি টিম আহতদের উদ্ধার করে।
০২ নভেম্বর, ২০২৩
X