মৌলভীবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৌলভীবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৫ মে ) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. সোলায়মান এ রায় প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার ছিক্কা গ্রামের মজমিলের ছেলে আবারক মিয়া (২২) ও দক্ষিণ কাসিমপুরের মৃত হামদু মিয়ার ছেলে জয়নাল মিয়া (৪০)।  আদালতে রায় প্রদানের সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট নিখিল রঞ্জন দাশ এবং আসামির পক্ষে অ্যাড. সানোয়ার হোসেন ও অ্যাড. বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ৩০ মে বিকেল ৩ ঘটিকার দিকে ভিকটিম রাশেদা বেগম (৩০) সিলেট জেলার বালাগঞ্জের অইয়া গ্রাম থে‌কে ধান কেনার জন্য নগদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগরের উদ্দেশ্যে তার বাড়ি থেকে বের হন। পরে ওইদিন সন্ধ্যার পরেও ভিকটিম নিজের বাড়িতে না যাওয়ায় তার বোন রায়শা বেগম ভিকটিমের মোবাইল ফোনে কল দেয়। তখন ভিকটিম তার পরিচিত রাজনগর থানাধীন আবারক মিয়ার বাড়িতে যাচ্ছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। এরপর থেকেই তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির দুই দিন পর রাজনগর থানাধীন রাজনগর ইউপিস্থ স্থানীয় মোবারকের বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বের মাছু গাঙ্গে (খালে) ভিকটিমের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে তার ভাই আব্দুল খালিদ বাদী হয়ে রাজনগর থানায় ২০১৮ সালের ২ জুন মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. নিখিল রঞ্জন দাশ জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলার ২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
১৫ মে, ২০২৪

উপজেলা আ.লীগ সভাপতিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা
বরগুনার তালতলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন, তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু, পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু। বুধবার (৮ মে) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।  আদালতের বিচারক মো. মশিউর রহমান খাঁন মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্তপূর্বক সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে মামলার বাদীর মেয়ের মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান বাচ্চু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু পরে চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে না করে টালবাহানা করতে থাকে। পরে ভুক্তভোগী বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে করবে বলে স্ট্যাম্পে লিখিত দেয় এবং বিভিন্ন স্থানে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতে শুরু করে। এ সময় গোপনে মোবাইলে ছবি ধারণ করে চেয়ারম্যান। ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মামলার ২নং আসামি পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারও দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। চেয়ারম্যান রাজ্জাক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং তিনিও মোবাইলে ছবি ধারণ করে রাখেন।  পরে তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারও ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেইল করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বাধ্য করে। তার কথা না শুনলে তাকে জীবননাশের হুমকি দেন। নিরুপায় হয়ে ধর্ষিতা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে বাধ্য হয়। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ধর্ষণের শিকার নারী তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করবে বলে হুমকি দেয়। এমন খবর পেয়ে তিন চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিলে ওই ধর্ষিতার বিরুদ্ধে উল্টো পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দেয়। ওই মামলায় ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে ওই মামলায় ধর্ষিতা জেলহাজতে রয়েছে।  এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বুধবার বরগুনা নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু ও পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।  আদালতের বিচারক মো. মশিউর রহমান খাঁন মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমার ও অন্য দুই চেয়ারম্যানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি আইনগতভাবে মোকাবিলা করব।  মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আনিচুর রহমান মিলন বলেন, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
০৮ মে, ২০২৪

বগুড়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার মূল আসামি গ্রেপ্তার
বগুড়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার মূল আসামি লিমন সিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ধুনট উপজেলার নাংলু এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১ মে) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১২ বগুড়ার স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা। লিমন সিকদার (৩০) সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর উত্তরপাড়া এলাকার শাহাদুল সাকিদারের ছেলে। র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার এক নারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে লিমনের পরিচয় হয় এবং একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ২১ অক্টোবর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে সারিয়াকান্দির কুতুবপুর বাজারে ডেকে নেয় লিমন। পরে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফসলের জমিতে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এ সময় লিমনের সঙ্গে আরও তিন-চারজন যোগ দেয়। একপর্যায়ে সেখানে তারা ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। তিনি জানান, এ ঘটনার পরের দিন ওই নারী সারিয়াকান্দি থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর থেকে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে। তিনি আরও জানান, লিমন গ্রেপ্তার এড়াতে ও মামলার থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে বিভিন্ন কৌশলে আত্মগোপনে ছিল। কিন্তু গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লিমনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সারিয়াকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
০১ মে, ২০২৪

বগুড়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
বগুড়ার গাবতলীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ি তরণীহাট সড়কের ধানক্ষেতের পতিত জমিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করে। গতকাল শুক্রবার থানায় মামলা করা হলে আটক পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তাররা হলো মহিষাবান ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের শাহীনের ছেলে রাব্বী (২৫), মোস্তাফিজার রহমানের ছেলে আব্দুল ওয়াহিদ (২১), আলমের ছেলে হৃদয় (২১), জাহিদুল ইসলামের ছেলে কাওছার (২১) এবং চকমড়িয়া গ্রামের ওয়ায়েস কুরুনীর ছেলে নুর আলম নিশাদ (২২)। গাবতলী থানার পরিদর্শক আব্দুস শুকুর জানান, বিষয়টি থানা পুলিশ অবহিত হওয়ার পর রাতেই সেখানে অভিযান শুরু করে তারা। অভিযানে ওই ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়। গৃহবধূকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। মামলা ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী গাবতলী উপজেলার মহিষাবান দহপাড়ার বাসিন্দা হলেও তার পুরো পরিবার বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনি এলাকায় বসবাস করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজিবাইকচালক স্বামীর সঙ্গে ওই নারী সারিয়াকান্দি উপজেলার প্রেম যমুনার ঘাটে ঘুরতে যান। সন্ধ্যা নাগাদ সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তারা। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তারা গোলাবাড়ী-তরণীহাট সড়কের পোড়াদহ এলাকায় পৌঁছলে তাদের ইজিবাইকের গতিরোধ করে একদল যুবক। এরপর ধারালো অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে পার্শ্ববর্তী ইছামতী নদী-সংলগ্ন সিঙ্গারবিল নামক স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা ইজিবাইকের মধ্যে স্বামীকে আটকে রেখে ওই নারীর মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের সেখানে ফেলে রেখে ওই যুবকরা পালিয়ে যায়। পরে মোবাইল ফোনে বিষয়টি তারা স্বজনকে জানালে ওই এলাকার কিছু লোক গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। কেরানীগঞ্জে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার ৫ কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কেরানীগঞ্জে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মিলন, মো. মাসুদ, শহিদুল ইসলাম, মো. রাহাত ও মো. সোহাগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, পহেলা বৈশাখ বিকেলে উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের ঘাটার চর মধু সিটিতে দুই বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে আসেন ওই তরুণী। সন্ধ্যায় পাঁচ থেকে সাত যুবক-তরুণ এসে দুই বন্ধুকে জিম্মি করে। পরে তিনজন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে তরুণী বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
বগুড়ার গাবতলীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ি তরনীহাট সড়কের ধান ক্ষেতের পতিত জমিতে ঘটনাটি ঘটে।  ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে গাবতলী মডেল থানায় মামলা করেন।  গৃহবধূর স্বামী বলেন, ঘটনার দিন দুজন সারিয়াকান্দী এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বেরিয়ে রাতে একটি অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলাম। গোলাবাড়ি তরনীহাট সড়কের লোহার ব্রিজে পৌঁছামাত্র ৪-৫ জন যুবক ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে অটোরিকশা থামিয়ে আমাদেরকে নামিয়ে নেয়। পরে আমাকে বেঁধে আমার স্ত্রীকে সড়কের পাশে ধানক্ষেতের পতিত জমিতে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ওই ৫ যুবক পালিয়ে যায়।  ঘটনার রাতেই ধর্ষণের স্বীকার গৃহবধূ গাবতলী মডেল থানায় জানালে পুলিশ রাতেই মহিষাবান ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের শাহীনের ছেলে রাব্বী (২৫), মোস্তাফিজার রহমানের ছেলে আব্দুল ওয়াহিদ (২১), আলমের ছেলে হৃদয় (২১), জাহিদুল ইসলামের ছেলে কাওছার (২১) ও চকমড়িয়া গ্রামের ওয়ায়েস কুরুনীর ছেলে নুর আলম নিশাদকে (২২) গ্রেপ্তার করে। গাবতলী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কিশোরীকে তিন দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে সংঘবদ্ধ  ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  রোববার (১৪ এপ্রিল) তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের মৃত লালু সরদারের ছেলে ইব্রাহিম সরদার দুদুল (২০), একই গ্রামের আলম মাঝির ছেলে তুষার মাঝি (২২), সুরেশ্বর গ্রামের আলম হাওলাদারের ছেলে মো. নাহিদ হাওলাদার (১৯) ও তাদের বন্ধু শাকিব হোসেন।  মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর বাড়ি নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে বেড়ানো শেষে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামে নানিবাড়িতে যাচ্ছিল কিশোরী। পথে চন্ডিপুর এলাকার ভিআইপি মোড় থেকে ইব্রাহিম সরদার দুদুল ও তুষার মাঝি তাকে অপহরণ করে।  পরে ভুক্তভোগীকে অটোতে করে নিয়ে সুরেশ্বর দরবার শরীফের একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রাখে। বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার ওই পরিত্যক্ত ঘরটিতে ইব্রাহিম সরদার দুদুল ও তুষার মাঝি ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।  শনিবার সকালে নাহিদ হাওলাদার, শাকিবসহ অজ্ঞাত আরও একজন সেখানে যায়। পরে তারা সবাই মিলে ভুক্তভোগীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। দুপুর ১২টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে ইব্রাহিম সরদার দুদুল তাকে সুরেশ্বর দরবার শরীফের সামনে থেকে অটোতে তুলে দেয় এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দেয়।  বাড়ি ফিরে কিশোরী তার বোনদের কাছে ঘটনা খুলে বললে তারা তাকে নড়িয়া থানায় নিয়ে যান। নড়িয়া থানার পুলিশ রাতেই তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রোববার দুপুরে সদর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক তার ডাক্তারি পরীক্ষা করেন। এ ঘটনায় শনিবার ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে নড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। পুলিশ ওই মামলার আসামি দুদুল সরদার, তুষার মাঝি, শাকিব ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে।  ভুক্তভোগী বলেন, ঈদের দিন হেঁটে নানার বাড়িতে যাচ্ছিলাম। তখন দুদুল ও তুষার মাঝি আমাকে মুখ চেপে ধরে অটোরিকশায় সুরেশ্বর দরবার শরিফের কাছে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তারা আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। শনিবার সকালে আরও তিনজন আমাকে ধর্ষণ করে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি অটোরিকশায় আমাকে পাঠিয়ে দেয়। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক লিমিয়া সাদিনা বলেন, ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

মোহাম্মদপুরে ২৫ দিন শিকলে বেঁধে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় শিকলে বেঁধে রেখে ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাসায় তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগে শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী। এর আগে তরুণীর চিৎকারে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক ব্যক্তি কল করলে পুলিশ তরুণীকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঁইয়া। মামলায় আসামি করা হয়েছে তিন যুবক ও এক নারীকে। তারা হলো সান (২৬), হিমেল (২৭), রকি (২৯) ও সালমা ওরফে ঝুমুর। গতকাল রোববার রাতে সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কালবেলাকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর জোনের এক কর্মকর্তা। এজাহারের বাইরেও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানান তিনি। আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। গত ৫ মার্চ দুপুর থেকে নবীনগরে আসামি ঝুমুরের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে আটকে রাখা হয়েছিল বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করেছেন ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার তরুণী। এতে বলা হয়, বাবা-মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ এবং পরে তারা অন্যত্র বিয়ে করায় ওই তরুণী তার বড় বোনের বাসায় থাকছিলেন। সে সময় ভগ্নিপতির মাধ্যমে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে ওই যুবকের মাধ্যমে এক প্রবাসীর স্ত্রী সালমা ওরফে ঝুমুরের সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। একপর্যায়ে বোনের বাসা ছেড়ে ঝুমুরের সঙ্গে নবীনগরের ভাড়া ফ্ল্যাটে ওঠেন তিনি। পরে ঝুমুরের মাধ্যমে সান নামের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবীনগরের ওই বাসায় ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধর্ষণ করে সান। বিয়ের কথা বলে ২৭ ফেব্রুয়ারি ফের ধর্ষণ করে। বিয়ের জন্য সানকে চাপ দিলে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সানের মাধ্যমেই তার বন্ধু হিমেল ও রকির সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৫ মার্চ দুপুরে দুই বন্ধু হিমেল ও রকিকে নিয়ে ওই বাসায় এসে সান তাকে সারপ্রাইজ দেবে বলে চোখ বন্ধ করতে বলে। ঝুমুর এ সময় খাবার আনার কথা বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়। সানের কথায় চোখ বন্ধ করলে তারা তিনজন মিলে তরুণীর হাত, পা ও চোখ বেঁধে ফেলে এবং মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। পরে ঝুমুরের কথায় হিমেলকে পাহারায় রেখে অন্যরা শিকল আনার জন্য বাইরে চলে যায়। এ সময় একা পেয়ে হিমেল তাকে ধর্ষণ করে। ওইদিন কিছুক্ষণ পর শিকল নিয়ে বাসায় ফিরে আসে সান, রকি ও ঝুমুর। শিকল দিয়ে তরুণীর হাত ও পা বেঁধে রাখা হয়। নিয়ে যায় তার মোবাইল ফোন। পরদিন ৭ মার্চ রাতে রকি তরুণীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার তরুণী জানান, খাবার এবং  বাথরুমে যাওয়ার সময় বাসায় থাকা ঝুমুর শুধু হাতের শিকল খুলে দিত। কিন্তু পায়ে শিকল পরানো থাকত। ৮ মার্চ দুপুরে ওই বাসায় আসে হিমেল ও সান। তারা এসে ফোনে তার অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। ভুক্তভোগী তরুণী আরও জানান, ৩০ মার্চ রাতে বাসায় কেউ না থাকায় জানালা দিয়ে চিৎকার করতে থাকেন। একজন অজ্ঞাত পথচারী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

রাজশাহীতে সাঁওতাল তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় এক সাঁওতাল তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ওই তরুণী মামলা করার পর রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম। গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার কলমা ইউনিয়নের চকরতিরাম (শালতলা আদিবাসীপাড়া) গ্রামের বাজুন মারডীর ছেলে স্যামুয়েল মারডী, কিলিশ মুর্মুর ছেলে রুবেল মুর্মু ও নরেশ হাঁসদার ছেলে শিবেন হাঁসদা। তারা সবাই সাঁওতাল। মামলার বরাতে ওসি রহিম জানান, ওই তরুণীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রতনপুর গ্রামে। সম্প্রতি দুই বোনকে সঙ্গে নিয়ে চকরতিরাম গ্রামে খালার বাড়িতে যান। সেখানে এক মুসলমান তরুণের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই তরুণের সঙ্গে দেখা করতে রোববার ফের খালার বাড়িতে যান তরুণী। ওসি আরও জানান, ওই দিন রাত ৯টার দিকে খালার বাড়ির পাশের একটি আমবাগানে সেই তরুণের সঙ্গে দেখা করতে যায় মেয়েটি। এ সময় স্যামুয়েল, রুবেল ও শিবেন সেখানে উপস্থিত হয়। তাদের দেখে সেই তরুণ ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। এরপর তারা তিনজন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। গ্রেপ্তারদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। আর তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি রহিম।
২৭ মার্চ, ২০২৪

স্বামীকে জিম্মি করে অন্তঃসত্ত্বাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
পাবনার আমিনপুরে স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অন্তঃসত্ত্বাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে তার গর্ভের সন্তানও মারা গেছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আমিনপুরের সাগরকান্দি ইউনিয়নের চর কেষ্টপুরে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ। তবে ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। চাপ ও হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী নারীসহ তার পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্তরা হলো চর কেষ্টপুরের মাজেদ প্রামাণিকের ছেলে সেলিম প্রামাণিক (২৩), একই এলাকার মো. শরীফ (২৪), আনিছ সরদারের ছেলে রাজীব সরদার (২১), তালেব মণ্ডলের ছেলে রুহুল মণ্ডল (২৬), শফিক সরদারের ছেলে লালন সরদার (২০) ও মো. শামসুলের ছেলে সিরাজুল (২৩)। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে চর কেষ্টপুরের কাদেরিয়া তরিকাপন্থিদের একটি ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হয়। মাহফিলের ডেকোরেশনের কাজ করছিলেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। টাকার প্রয়োজনে ওই রাতে তার স্বামীর কাছে যান তিনি। সেখানে ওয়াজ শুনে রাত ১২টার দিকে পাশেই তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে গতিরোধ করে অভিযুক্ত ৬ যুবক। তাদের নানা প্রশ্ন করা হয়। একপর্যায়ে নারীর স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ওই নারীকে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্তদের দুজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই নারীর স্বামী তাদের কাছ থেকে ছুটে এসে স্থানীয়দের বললে তারা দলবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে অভিযুক্তদের একজনকে আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে ওই নারীকে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘আমাদের ওয়াজ মাহফিল চলা অবস্থায় রাত ১টার দিকে ওই ছেলে (ভু্ক্তভোগীর স্বামী) ছুটে এসে বলল, কয়েক যুবক তাকে মারধর করে তার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে গেছে। এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা গিয়ে একজনকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দিই। আর মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেন কাদেরির কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে পাঠাই।’ ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমরা আমাদের আত্মীয় বাড়িতে যাওয়া পথে তারা মাঠের মধ্যে পথ আটকায়। আমাদের বলে তোরা স্বামী-স্ত্রী কি না। আমরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী দাবি করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। ফোনে আমাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বললেও ওরা শোনেনি। একপর্যায়ে আমার স্বামীকে ব্যাপক মারধর করে এবং অস্ত্র আর ব্লেডের মুখে আমার তাকে জিম্মি করে আমাকে মাঠের মধ্যে ভু্ট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।’ ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। গর্ভের সন্তান মারা গেছে। মামলা হলেও আমাদের এখনো কোনো কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। থানায় গেলে কিছু পুলিশ সদস্য নানা কথা বলেন। আর যারা ধর্ষণ করেছে তাদের পক্ষ থেকেও নানা হুমকি ও চাপ আসছে। বলছে এ ঘটনায় কিছুই হবে না, তোমাদেরই বিপদ হবে, তাই মীমাংসা করো। আমরা ধর্ষণ এবং আমাদের সন্তান হত্যার বিচার চাই।’ স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক তোফাজ্জল হোসেন কাদেরী বলেন, ‘স্থানীয়রা ওই নারীকে উদ্ধার করে আমার কাছে নিয়ে এলে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দিই। পরে তাদের বলি, মেয়েটাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল বা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে।’ অভিযুক্তরা এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাগরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরছেন, কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। এটা নিয়ে প্রশাসনের তেমন তোড়জোড় আছে বলেও মনে হচ্ছে না। আমরা এরকম একটা ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই।’ তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে দাবি করে আমিনপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, ‘অভিযুক্তরা সবাই পলাতক আছে। পুলিশের গাফিলতির বিষয়টি মিথ্যা। আমরা চেষ্টা করছি তাদের গ্রেপ্তারের। ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা হয় না, বাদীকে হুমকি-ধমকির বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। তাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্বামীকে জিম্মি করে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
পাবনার আমিনপুরে স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে তার গর্ভের সন্তানও মারা গেছে। এ ঘটনার ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমিনপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে আমিনপুরের সাগরকান্দি ইউনিয়নের চর কেষ্টপুরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলো- চর কেষ্টপুরের মাজেদ প্রামাণিকের ছেলে সেলিম প্রামাণিক (২৩), একই এলাকার মো. শরীফ (২৪), আনিছ সরদারের ছেলে রাজীব সরদার (২১), তালেব মণ্ডলের ছেলে রুহুল মণ্ডল (২৬), শফিক সরদারের ছেলে লালন সরদার (২০) ও  মো. শামসুলের ছেলে সিরাজুল (২৩)। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে চর কেষ্টপুরে একটি ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হয়। মাহফিলের ডেকোরেশনের কাজ করছিলেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী। টাকার প্রয়োজনে ওই রাতে তার স্বামীর কাছে যান তিনি। সেখানে ওয়াজ শুনে রাত ১২টার দিকে পাশে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে গতিরোধ করে অভিযুক্ত ৬ যুবক। একপর্যায়ে নারীর স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ওই নারীকে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্তদের দুজন ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর স্বামী তাদের কাছ থেকে ছুটে এসে স্থানীয়দের বললে তারা দলবদ্ধ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় গেলে অভিযুক্তদের একজনকে আটক করে গণধোলাই দেন এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে ওই নারীকে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় লিটন মণ্ডল, রাজ্জাক মণ্ডল, নিফাস মণ্ডল ও শহিদ মণ্ডল বলেন, আমাদের ওয়াজ মাহফিল চলা অবস্থায় রাত ১টার দিকে ওই ছেলে ছুটে এসে বলল, কয়েকজন যুবক তাকে মারধর করে তার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে গেছে। এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয়রা গিয়ে একজনকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেন। আর মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমরা আমাদের আত্মীয় বাড়িতে যাওয়া পথে তারা মাঠের মধ্যে পথ আটকায়। আমাদের বলে তোরা স্বামী-স্ত্রী কি না। আমরা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী দাবি করলেও তারা কর্ণপাত করেননি। ফোনে আমাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বললেও ওরা শোনেনি। একপর্যায়ে আমার স্বামীকে ব্যাপক মারধর করে এবং অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে আমাকে মাঠের মধ্যে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় আমার স্বামী ছুটে গিয়ে পাশের লোকজন ডেকে আনলে একজনকে আটক করা হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, আমার স্ত্রী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। গর্ভের সন্তান মারা গেছে। মামলা হলেও আমাদের এখনো কোনো কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। থানায় গেলে কিছু পুলিশ সদস্য নানা কথা বলেন। আর যারা ধর্ষণ করেছে তাদের পক্ষ থেকেও নানা হুমকি ও চাপ আসছে। বলছে এ ঘটনায় কিছুই হবে না। তোমাদেরই বিপদ হবে, তাই মীমাংসা কর। আমরা ধর্ষণ এবং আমাদের সন্তান হত্যার বিচার চাই। অভিযুক্তরা এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাগরকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা প্রকাশ্য দিবালোকে বেড়াচ্ছে কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। আমরা এরকম একটা ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে দাবি করে আমিনপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, অভিযুক্তরা সবাই পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশি গাফিলতির বিষয়টি মিথ্যা। ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসা হয় না, বাদীকে হুমকি-ধমকির বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। তাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X