শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কিশোরীকে তিন দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

শরীয়তপুর জেলার মানচিত্র। গ্রাফিক্স : কালবেলা
শরীয়তপুর জেলার মানচিত্র। গ্রাফিক্স : কালবেলা

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলো- উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের মৃত লালু সরদারের ছেলে ইব্রাহিম সরদার দুদুল (২০), একই গ্রামের আলম মাঝির ছেলে তুষার মাঝি (২২), সুরেশ্বর গ্রামের আলম হাওলাদারের ছেলে মো. নাহিদ হাওলাদার (১৯) ও তাদের বন্ধু শাকিব হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর বাড়ি নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে বেড়ানো শেষে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামে নানিবাড়িতে যাচ্ছিল কিশোরী। পথে চন্ডিপুর এলাকার ভিআইপি মোড় থেকে ইব্রাহিম সরদার দুদুল ও তুষার মাঝি তাকে অপহরণ করে।

পরে ভুক্তভোগীকে অটোতে করে নিয়ে সুরেশ্বর দরবার শরীফের একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রাখে। বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার ওই পরিত্যক্ত ঘরটিতে ইব্রাহিম সরদার দুদুল ও তুষার মাঝি ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

শনিবার সকালে নাহিদ হাওলাদার, শাকিবসহ অজ্ঞাত আরও একজন সেখানে যায়। পরে তারা সবাই মিলে ভুক্তভোগীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। দুপুর ১২টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে ইব্রাহিম সরদার দুদুল তাকে সুরেশ্বর দরবার শরীফের সামনে থেকে অটোতে তুলে দেয় এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দেয়।

বাড়ি ফিরে কিশোরী তার বোনদের কাছে ঘটনা খুলে বললে তারা তাকে নড়িয়া থানায় নিয়ে যান। নড়িয়া থানার পুলিশ রাতেই তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রোববার দুপুরে সদর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক তার ডাক্তারি পরীক্ষা করেন।

এ ঘটনায় শনিবার ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে নড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। পুলিশ ওই মামলার আসামি দুদুল সরদার, তুষার মাঝি, শাকিব ও নাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভুক্তভোগী বলেন, ঈদের দিন হেঁটে নানার বাড়িতে যাচ্ছিলাম। তখন দুদুল ও তুষার মাঝি আমাকে মুখ চেপে ধরে অটোরিকশায় সুরেশ্বর দরবার শরিফের কাছে একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তারা আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। শনিবার সকালে আরও তিনজন আমাকে ধর্ষণ করে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে একটি অটোরিকশায় আমাকে পাঠিয়ে দেয়।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক লিমিয়া সাদিনা বলেন, ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নড়িয়া থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লটারির পর একযোগে ৬৪ এসপিকে বদলি

লটারিতে এসপি নিয়োগে মেধাবী কেউ বাদ পড়েনি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা

সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সব বাহিনী প্রস্তুত : সিইসি

দাঁতের জন্য মারাত্মক খারাপ যে ৫ খাবার

এলিফ্যান্টস ফুট : পাঁচ মিনিট কাছে থাকলেই মৃত্যু

‘কবর থেকে মানুষ যেমন ফেরে না, শেখ হাসিনাও রাজনীতিতে ফিরবেন না’

বাংলাদেশে অবাধ-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জার্মানি

আ.লীগ নেতাদের বিএনপিতে যোগদান

ধানক্ষেতে মিলল গলাকাটা বিবস্ত্র মরদেহ, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ

১০

বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে যে দলকে চায় ভারত

১১

সাগরে লঘুচাপ, নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে যেতে মানা

১২

ভিটামিনের ঘাটতি মেটাতে শীতে কয়টা ডিম খাবেন

১৩

পাগলা শিয়ালের তাণ্ডব : শিশুসহ আহত ২০

১৪

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন

১৫

এবার তিশার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে

১৬

আইটেম গানে শাকিবের নায়িকা, সমালোচনার কড়া জবাব

১৭

বিপিএল: বিদেশি লেগস্পিনারকে দলে ভেড়াল চট্টগ্রাম

১৮

চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ প্রবেশপথ অবরোধ

১৯

এক লাফে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ শহরে উঠে এলো ঢাকা

২০
X