রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধান বিরোধী নয় : হাইকোর্ট
রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করে না। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায়  দিয়েছেন। অন্য দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।  রিট খারিজের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিন বিচারপতি একমত পোষণ করেছেন। তবে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল রায়ে পৃথক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাইমা হায়দারের লেখা পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম শুধু সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত শুধু মৌলিক নীতিগুলো অন্য কোনো বিধানের সাথেও অসঙ্গতিপূর্ণ নয়। সংবিধানে ইসলামকে  "রাষ্ট্রধর্ম মর্যাদা" প্রদান করা হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে রাজনৈতিক মর্যাদা প্রদানের বাধ্যবাধকতা নেই। অনুচ্ছেদ ২(ক) অবশ্যই সামগ্রিকভাবে পড়তে হবে এবং পড়লে এটা সুস্পষ্ট হয় যে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার ধারণার সন্নিবেশ কোনভাবেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে না। এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও প্রভাবিত করে না এবং সংবিধানে বাহুল্যতাও সৃষ্টি করে না। রায়ে বলা হয়েছে, তর্কিত সংশোধনী সংবিধানে সন্নিবেশিত রাষ্ট্রধর্ম ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাকেও প্রভাবিত করে না। অতএব, আমরা মনে করি তর্কিত সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ২ক সন্নিবেশ করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান সংবিধান বিরোধী নয়। বিষয়টিকে সহজ করার প্রয়াস হিসেবে, উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক আমরা আমাদের রায়ে  আলোচনা করেছি। রিট আবেদনকারী এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবীগণের সুনির্দিষ্ট আইনগত যুক্তিসমূহ  আমরা রায়ে প্রকাশ  করা থেকে বিরত থেকেছি কারণ সাংবিধানিক বিষয় "সামগ্রিকভাবে " আলোচনা করা উচিত।উপরোক্ত আলোচনার আলোকে রুল  খারিজ করা হলো।  রায়ে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধর্মকে যে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেয়া হয়েছে সে বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক রায়ের এ পর্যবেক্ষণের একমত প্রকাশ করেছেন। ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, এই রিটে আবেদনকারীর আবেদনের এখতিয়ার (লোকাস স্ট্যান্ডি) নেই। বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ এ রায় দেন। ১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে। তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ জন বরেণ্য ব্যক্তি। তাদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন।  তারা হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, বিচারপতি কে এম সোবহান, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, শিল্পী কলিম শরাফী, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ,অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত, লেখক বদরুদ্দীন উমর, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। রিট আবেদনের ২৩ বছর পর ২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।  ওই রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের ৮ মার্চ এই রুল শুনানির জন্য আদালতে ওঠে। ওই দিন আদালত অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের আদেশটি প্রত্যাহার করেন। পরে ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন আদালত।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান : স্পিকার 
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মূলনীতি: গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র, যা সমতা ও সমঅধিকারকে উদ্বুদ্ধ করে। বুধবার (২৭ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্পিকার মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে সুইজারল্যান্ডের জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ‘প্রটেকশন অব মাইনরিটি রাইটস’ শীর্ষক ইভেন্টে প্যানেল স্পিকার হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন। বক্তব্যের শুরুতেই স্পিকার বলেন, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এই দিন আমরা ১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীনতার ৫৩তম বর্ষ উদযাপন করছি। এ সময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ গড়ে তোলাই রাষ্ট্রের লক্ষ্য যেখানে সকলের জন্য সমতা, আইনের শাসন, মৌলিক স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার সুরক্ষিত থাকবে। তিনি বলেন, সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, সকলের সমঅধিকার ও আইনের আশ্রয়লাভের অধিকারের বিষয়ে উল্লেখ আছে।   তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা, নারীর বিরুদ্ধে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কনভেনশনসহ সমস্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আইন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ড. শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী একটি বিল প্রক্রিয়াধীন। বিলটি সমাজের সকল ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য বন্ধ করতে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা বাড়াতে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, খসড়া বিলটি সংসদে এলে তা সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের পর মূল রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপিত হলে তা আইনে পরিণত হবে।   তিনি বলেন, সকলকে মৌলিক মানবাধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে, সমান অধিকারকে সমুন্নত রাখতে হবে। আইনের সমান সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে শফিকুল ইসলাম এমপি, শাহাদারা মান্নান এমপি, নীলুফার আনজুম এমপি, মো. মুজিবুল হক এমপি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
২৭ মার্চ, ২০২৪

সরকারি টাকায় মডেল মসজিদ নির্মাণ সংবিধান পরিপন্থি : শাহরিয়ার কবির
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, সারাদেশে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে মডেল মসজিদ নির্মাণ সংবিধানের পরিপন্থি। একমাত্র আমরাই এটি নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। বাংলাদেশের কোনো সংগঠনের সাহস হয়নি এ প্রসঙ্গ তোলার। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে মহান স্বাধীনতার মাস মার্চে ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ৫৬০টি মডেল মসজিদ বানাচ্ছে সরকার, কাদের টাকা দিয়ে? আমাদের জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এগুলো বানানো হচ্ছে। সংবিধানের ৭ এর ‘ক’ ধারায় পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে- রাষ্ট্র কোনো বিশেষ ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে না। আপনি যদি এতগুলো মডেল মসজিদ বানান, কেন আপনি ৫৬টি মন্দির-প্যাগোডা ও গির্জা বানাবেন না। আর তাই যদি করতে হয় তাহলে সব অর্থ সেখানে আপনি ব্যয় করুন। তিনি বলেন, দুর্নীতির বাইরে কোন দেশ আছে এই উপমহাদেশে, একটি দেশের নাম বলুন? ভারত দুর্নীতির বাইরে? পাকিস্তান দুর্নীতির বাইরে? কিন্তু যেভাবে আমাদের সমাজ রাজনীতির মৌলবাদীকরণ সাম্প্রদায়িকীকরণ হচ্ছে, এটাকে প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না, পাকিস্তান হয়ে যাবে। অর্থাৎ একটি ব্যর্থ, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হয়ে যাবে। আমাদের উদ্বেগটা হচ্ছে সেই জায়গায়। তিনি আরও বলেন, আপনারা স্বাস্থ্য, পরিবেশ নিয়ে কথা বললেন। অনেক বিষয় উঠে এসেছে। কিন্তু ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ফোকাস করছে সংবিধানের মূল জায়গাটিতে। ৭২-এর সংবিধানের মূল চেতনায় আমাদের ফিরে যেতে হবে। কিন্তু এ দায়িত্ব নির্মূল কমিটির একার দায়িত্ব নয়, এর সঙ্গে যত সমমনা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তি আছে, এদের সবাইকে নিয়ে আন্দোলনটা করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, যে দল সরকারে আছে সেই দলই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে দিয়েছিল। এখন এই সরকারে অনেক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী লোক ঢুকে পড়েছে। শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, প্রশাসনে, বিচার বিভাগে, পুলিশে সব জায়গায় কিন্তু মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা জেঁকে বসেছে। তাদের মুখোশ উন্মোচন না করে তারা এই সরকারকে প্রভাবিত করছে। এটি কিন্তু বাস্তব সত্য, যার জন্য মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা সেই দিকে দেশ এগোচ্ছে না। তিনি বলেন, এখন দল ভারী করার জন্য জামায়াত-বিএনপি-শিবির এদের নিলে দলের যে বৈশিষ্ট্য সেটি আর থাকবে না। যারা এসব দল থেকে আওয়ামী লীগে ঢোকার চেষ্টা করছে তাদের একটাই উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের লোকদের যদি জামায়াতি আদর্শে, ভাবধারায় পরিণত করা যায়। সেই দিকে তারা এগোচ্ছে কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আওয়ামী নেতারা সেদিকে খেয়াল করছে না। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো আফজাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. মফিজুল ইসলাম মান্টুসহ অনেকে।
০৭ মার্চ, ২০২৪

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ
পাকিস্তানে আগামী বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট নন—এই অধিবেশন ডেকেছে জাতীয় পরিষদ সচিবালয়। সংবিধান অনুযায়ী, অধিবেশন ডাকার এখতিয়ার প্রেসিডেন্টের। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংরক্ষিত আসনগুলো বণ্টন না হওয়ায় জাতীয় পরিষদ অসম্পূর্ণ রয়েছে দাবি করে অধিবেশন আহ্বান করেননি প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এ অবস্থায় সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। খবর জিও নিউজের। কর্মকর্তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি অধিবেশন আহ্বান না করায় জাতীয় পরিষদ সচিবালয় এই অধিবেশন ডেকেছে। পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে অধিবেশন আহ্বান করার কথা। সেই হিসাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যেই অধিবেশন আহ্বান করতে হতো। প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ছিলেন ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা। ২০১৮ সালের আগস্টে ইমরান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরের মাসে পিটিআই মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন আলভি। মেয়াদ শেষ হলেও পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি। জাতীয় পরিষদ সচিবালয় বলছে, নির্বাচন হওয়ার পর ২১তম দিনে অধিবেশন ডাকার জন্য প্রেসিডেন্ট বা স্পিকারের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এর আগে কয়েকটি সূত্র জিও নিউজকে জানিয়েছিল, জাতীয় পরিষদের বিদায়ী স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ নতুন অধিবেশন ডাকার ‘সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন। সাংবিধানিক সংকট বাড়তে থাকায় তিনি ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকতে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি অধিবেশন আহ্বানে রাজি না হওয়ায় জাতীয় পরিষদ সচিবালয় নতুন অধিবেশন ডেকেছে। প্রেসিডেন্ট মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংরক্ষিত আসনগুলো বণ্টন না হওয়ায় জাতীয় পরিষদ অসম্পূর্ণ রয়েছে। এদিকে অধিবেশন না ডাকায় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির বিরুদ্ধে দুটি মামলা হতে পারে। একটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের পর এনএ ভেঙে দেওয়ার জন্য এবং আরেকটি এনএ অধিবেশন ডাকতে ব্যর্থতার জন্য।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

৬৪৮ এমপি অনুমোদন করে না সংবিধান
দেশে এখন ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন দাবি করে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, এটা দেশের সংবিধান কোনোভাবেই অনুমোদন করে না। গতকাল পুরানা পল্টনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল শুধু আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে হওয়া একটা প্রহসনের নির্বাচন। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য প্রীতম দাশের সঞ্চালনায় সভায় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন দলের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক। আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন, দিদারুল ভূঁইয়া, ইমরান ইমন, নাঈমুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

৬৪৮ জন এমপি সংবিধান অনুমোদন করে না : স্বপন
দেশে এখন ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেছেন, দেশের বিদ্যমান সংবিধান এটা কোনোভাবেই অনুমোদন করে না। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরোনো পল্টনের মেহেরবা প্লাজায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। দলটির উদ্যোগে ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচন ও সংসদ সাংবিধানিকভাবে অবৈধ’- শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, সাংবিধানিক বিধিবিধানের তোয়াক্কা না করে আইনমন্ত্রী বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতরা এমপি হিসেবে শপথ নিলেও সংসদে তারা কার্যভার গ্রহণ করার পর থেকে এমপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। সেই ক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায়, তিনি আইনমন্ত্রী হিসেবে যে বক্তব্য দিচ্ছেন সেটা কি আগের সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে না কি বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে? গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল শুধু আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে হওয়া একটা প্রহসনের নির্বাচন। এই নির্বাচনে একটি আসনেও এমন কোনো প্রার্থী অংশ নেননি যিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুরাগপ্রত্যাশী নন। সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, আগের সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবার আগেই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ করা সাংবিধানিকভাবে সম্পূর্ণ অবৈধ। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা আছে, ‘বর্তমান সংসদের মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নতুন নির্বাচিতরা সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।’ অথচ দেখা গেল, আগের সংসদ সদস্যরা মেয়াদ শেষ করার আগেই নতুন নির্বাচিতরা শপথ নিলেন।  রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য প্রীতম দাশের সঞ্চালনায় সভায় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন দলের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের সামনে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই যে রাষ্ট্র সংস্কারের লড়াইয়ে একাকার হয়ে গেছে সেটাই আরও একবার পরিষ্কার হলো। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়া, সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, দপ্তর সমন্বয়ক নাঈমুল ইসলাম নয়ন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আদিল আমজাদ হোসেন, হাবিবুর রহমান রাজা, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আহমেদ ইসহাক প্রমুখ।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

আ.লীগ সরকার সংবিধান মানে না : জয়নুল আবদিন
তিনশ আসনের জাতীয় সংসদে ছয়শ সংসদ সদস্য থাকার বৈধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সংবিধান মানে না।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন। জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, বাংলাদেশে এখন এমপি ছয়শ জন। ২৯ তারিখ পর্যন্ত এই সংসদ (একাদশ), সেই সংসদের সদস্য এখনো বহাল আছেন। কি করে সম্ভব? সংবিধানের কোন আইনে লেখা আছে এরা শপথ করতে পারবেন? আমি বলতে চাই, আপনারা (সরকার) সংবিধান মানেন না, সংবিধানের কথা বলে আর বাংলাদেশের মানুষকে অপমান কইরেন না। দয়া করে সংবিধান মতো চলেন, পদত্যাগ করেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। নবম সংসদের বিরোধী দলের প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়ে গেল এটা কোনো নির্বাচন হয়নি, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এটা দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। এটা লজ্জার।  তিনি বলেন, মামলা-হামলা-জেলজুলুম করছেন। কোনো লাভ হবে না। এই সরকার যত কলাকৌশল করুক না কেনো তারা এ রকম ভুয়া পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। জনগণ অবশ্যই তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করবেই। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।  এ সময় গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তথ্য ও গবেষণাসহ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, কৃষক দলের ওবায়দুর রহমান টিপু, সাহাদাত হোসেন বিপ্লব, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, মৎস্যজীবী দলের সেলিম মিয়া, জাসাসের আরিফুর রহমান প্রমুখ। 
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

সংকট উত্তরণে সংবিধান সংস্কার প্রয়োজন : গণপরিষদ আন্দোলন
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম বলেছেন, বাংলাদেশে যেসব সংকট বারেবারে ফিরে আসছে, তা মূলত রাজনৈতিক সংকট, জনগণের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে না পারার সংকট, নাগরিকদের রাষ্ট্র ক্ষমতা চর্চা করতে না পারার সংকট, শান্তিপূর্ণ পথে সরকার বদল করতে না পারার সংকট। এসবই সংবিধানের সাথে সম্পর্কিত। শান্তিপূর্ণ পথে ক্ষমতা হস্তান্তর, লুটপাট ও পাচার বন্ধ করা, রাষ্ট্রের মালিক জনগণকে রাষ্ট্রক্ষমতা প্রয়োগের ব্যবস্থা করার মধ্যেই বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আর তাই প্রথমেই বিদ্যমান সংবিধানকে সংস্কার করে গণতান্ত্রিক করতে হবে। বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণপরিষদ আন্দোলনের উদ্যোগে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশে গণপরিষদ আন্দোলনের সদস্য সচিব ও সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ বলেন, দেশ আজ মহাসংকটে নিপতিত। অসীম সম্ভাবনা নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ আজ গভীর খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। এ রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করা ছাড়া বিদ্যমান এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা গণপরিষদ গঠন করে সংবিধানকে জনগণের গণতান্ত্রিক সংবিধান করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক সংগ্রাম পরিচালনা করছি। সংগঠনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবদুল মোনেমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- গণপরিষদ আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ এ এম ফয়েজ হোসেন, সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ইসলামি সমাজের সভাপতি মাসুদ হোসেন, সমন্বয়ক ও ইসলামি ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আমীন, সমন্বয়ক ও গণফোরামের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক, সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পিস ফোরামের সভাপতি জসীম উদ্দিন রাজা, সমন্বয়ক ও সোনার বাংলা পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য মো. আব্দুল আজিজ, সোনার বাংলা পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য হাজি মো. ইব্রাহিম খলিল, সমন্বয়ক অলক চৌধুরী, চাষি মাসুম প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র ও সরকারকে একাকার করে ফেলা হয়েছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই সরকারি দল ও রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকেনি। যার ফলে সরকার ও সরকারি দলের কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের কাছে প্রতিকার সাংবিধানিকভাবেই রুদ্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়াও বাংলাদেশে শ্রম শোষণের চেয়ে লুণ্ঠন ও পাচারভিত্তিক অর্থনীতি প্রধান হয়ে উঠেছে। এসব লুণ্ঠন ও পাচার আইনিভাবেই সংঘটিত হচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, সংবিধান সংস্কার একটি রাজনৈতিক পরিভাষা, এর সীমা আদালত দ্বারা নির্ধারিত নয়, রাজনৈতিকভাবে জনগণ দ্বারা নির্ধারিত। জনগণই ঠিক করবে, তারা সংবিধানের কোন অংশ কী দিয়ে পরিবর্তিত করবে। এই পরিবর্তনের জন্য তারা গণপরিষদ নির্বাচন বা সংবিধান সভার নির্বাচন করবে, নির্বাচিত সদস্যরা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সর্বস্তরের জনগণের মতামত নিয়ে তা পরিবর্তন করবে এবং জনগণের সামনে গণভোট আকারে উত্থাপন করবে। সংস্কারকৃত সংবিধানকে গণভোটে অনুমোদন করার পর এটি চূড়ান্ত হবে। চূড়ান্ত হওয়ার পর পরিবর্তিত সংবিধানই হবে আদালতের বিচারের ভিত্তি।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

সংবিধান পর্যালোচনার প্রস্তাব জাসদের
নির্বাচনী ইশতেহারে সংবিধান পর্যালোচনার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। একই সঙ্গে রাষ্ট্র-রাজনীতি-অর্থনীতি-বাজার নিয়ন্ত্রণকারী লুটেরা-দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট দমন, সুশাসন ও আইনের শাসন নিশ্চিত, বৈষম্য-বঞ্চনার অবসান ও বাংলাদেশের জন্মশত্রুদের মূলোৎপাটন করে জাতীয় বিকাশ অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতীয় পুনর্জাগরণের অঙ্গীকার করেছে দলটি। সাত পর্বের ইশতেহারে রয়েছে আদর্শিক ভিত্তি, উন্নয়ন নীতি, খাতওয়ারি নীতি, বিশেষ জনগোষ্ঠী, জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি। গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে এ দলীয় নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারসহ এ সময় ছিলেন সহসভাপতি ফজলুর রহমান বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, রোকনুজ্জামান রোকন ও শ্রমিকনেতা সাইফুজ্জামান বাদশা। এবারের নির্বাচনে জাসদ মনোনীত ৬৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ৬৩ জন দলীয় প্রতীক ‘মশাল’ এবং তিনজন ১৪ দলীয় জোটের অভিন্ন প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাকি ২৩৩ আসনে জাসদ ১৪ দলের অভিন্ন প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছে। ইশতেহারে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট-সংকট-সম্ভাবনা ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপট-সংকট-সম্ভাবনার যুগে আমাদের অত্যাবশ্যক জাতীয় পুনর্জাগরণকে কাঠামোবদ্ধ করতে বিদ্যমান সংবিধানের পর্যালোচনা অত্যাবশ্যক। সেজন্য জাসদ জরুরি ভিত্তিতে ‘সংবিধান পর্যালোচনা’র প্রস্তাব রাখছে। এ পর্যালোচনায় জাসদ সর্বজনীন খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও ইন্টারনেট অভিগম্যতাকে নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা; বিকেন্দ্রীকরণ ও স্তরে স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে জনগণের স্বশাসন কায়েম করা; শ্রমজীবী-কর্মজীবী-পেশাজীবী মেহনতি জনগণের অধিকার-মর্যাদা-কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় জাতীয় সংসদে ‘উচ্চকক্ষ’ গঠনসহ দ্বিকক্ষের সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

জাসদের ইশতেহারে সংবিধান পর্যালোচনার প্রস্তাব
রাষ্ট্র-রাজনীতি-অর্থনীতি-বাজার নিয়ন্ত্রণকারী লুটেরা-দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট দমন, সুশাসন ও আইনের শাসন নিশ্চিত, বৈষম্য-বঞ্চনার অবসান ও বাংলাদেশের জন্ম শত্রুদের মূলোৎপাটন করে জাতীয় বিকাশ অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতীয় পুনর্জাগরণের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। সাত পর্বের ইশতেহারে রয়েছে প্রথম অধ্যায়, আদর্শিক ভিত্তি, উন্নয়ন নীতি, খাতওয়ারী নীতি, বিশেষ জনগোষ্ঠী, জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দলের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারসহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, রোকনুজ্জামান রোকন ও শ্রমিক নেতা সাইফুজ্জামান বাদশা। এবারের নির্বাচনে জাসদ মনোনীত ৬৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে ৬৩ জন দলীয় প্রার্থী দলীয় প্রতীক ‘মশাল’ এবং ৩ জন প্রার্থী ১৪ দলীয় জোটের অভিন্ন প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ৬৬টি আসনের বাইরে বাকি ২৩৩ আসনে জাসদ ১৪ দলের অভিন্ন প্রার্থীদের সমর্থন করেছেন। দলের ইশতেহারে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট-সংকট-সম্ভাবনা ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপট-সংকট সম্ভাবনার যুগে আমাদের অত্যাবশ্যক জাতীয় পুনর্জাগরণকে কাঠামোবদ্ধ করার জন্য বিদ্যমান সংবিধানের পর্যালোচনা অত্যাবশ্যক। সে জন্য জাসদ বিদ্যমান সংবিধানের অসঙ্গতি ও গোঁজামিল দূর করতে উপরে বর্ণিত আদর্শিক বিষয়াবলি বিবেচনায় রেখে জরুরি ভিত্তিতে ‘সংবিধান পর্যালোচনা’র প্রস্তাব রাখছে। এই পর্যালোচনায় জাসদ সর্বজনীন খাদ্য নিরাপত্তা, সর্বজনীন স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, সর্বজনীন শিক্ষা, সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা ও সর্বজনীন ইন্টারনেট অভিগম্যতাকে নাগরিকের অবশ্যিক মৌলিক অধিকার হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা; বিকেন্দ্রীকরণ ও স্তরে স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে জনগণের স্বশাসন কায়েম করা; শ্রমজীবী-কর্মজীবী-পেশাজীবী মেহনতি জনগণের অধিকার-মর্যাদা-কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘উচ্চকক্ষ’ গঠনসহ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করবে। প্রচলিত আসনভিত্তিক নির্বাচনের বদলে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিম্নকক্ষের পাশাপাশি উচ্চকক্ষের সকল শ্রম-কর্ম-পেশার জনগণের প্রতিনিধির সাথে স্বশাসিত স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের দেশ পরিচালনায় ভূমিকা রাখায় প্রস্তাব করেছে দলটি। ইশতেহারে বলা হয়, দলের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করলে ইশতেহারের ভিত্তিতে সংসদীয় ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি সমানতালে রাজপথে রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করবে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
X