রাবি লিগ্যাল সেলের নতুন প্রশাসক অধ্যাপক সাদিকুল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) লিগ্যাল সেলের নতুন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর। রোববার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (৭ মে) তিনি এ পদে যোগদান করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদসহ বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট ও শিক্ষকরা। সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষক, রাবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বডি সিন্ডিকেটের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
০৭ মে, ২০২৪

এক জেলায় পাঁচ সাগর
উত্তর বঙ্গের অন্যতম জেলা দিনাজপুর। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিক্ষায় অনেকটা এগিয়ে। বাংলাদেশের পর্যটনের বিশেষ কিছু আকর্ষণ আছে এই জেলায়। আছে রাজার আমল থেকে চলে আসা পাঁচটি ঐতিহ্যবাহী দিঘি। যেগুলো মূলত ‘সাগর’ নামে পরিচিত। শহরের অল্প দূরে অবস্থিত এই সাগর দেখতে অনেকে আসেন। দিঘিগুলো যথাক্রমে রামসাগর, সুখসাগর, মাতাসাগর, আনন্দ সাগর ও জুলুম সাগর।  রামসাগর : বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম দিঘি রামসাগর। সাগর নয় তবুও গভীরতা আর বিশালতার কারণে ‘সাগর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। রাজা রামনাথ এলাকার কৃষকদের চাষাবাদের লক্ষে এই দীঘি খনন করেছিল। প্রচলিত আছে এই দীঘি খননের পরেও পানি ছিল না। পরে রাজা স্বপ্নে দেখেন নিজ পুত্রকে বলি দিলে পানি উঠবে। কৃষকদের জন্য রাজা পুত্র রামকে বলি দেন। তারপর থেকেই দিঘির নাম রামসাগর।  অনেকে বলেন এটা একটা দীঘি নয়, অনেক দিঘির ফলে এমন বড় দিঘি তৈরি হয়েছে। সাগরের পাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল ও মনোরম পরিবেশের জন্য বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন স্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে রয়েছে একটি চিড়িয়াখানা।  দিনাজপুর জেলা সদর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে রামসাগরের অবস্থান। এর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩১ মিটার, প্রস্থ ৩৬৪ মিটার। গভীরতা ১৩ দশমিক ৫০ মিটার।  ইতিহাসবিদদের মতে, দীঘিটি খনন করতে তৎকালীন প্রায় ৩০ হাজার টাকা এবং ১৫ লাখ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়েছিল। রাজা রামনাথের আমলে পলাশী যুদ্ধের আগে (১৭৫০-১৭৫৫) এই দিঘি খনন করা হয়।  সুখসাগর : দিনাজপুর শহরের রাজবাড়ী থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে এটি অবস্থিত। চারদিকে শাল ও আকাশমণি বাগান আর দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ যেন শহরের ব্যস্তময় জীবনে একটু শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেয়।  স্বচ্ছ জলরাশি, দিঘিতে মাছের সাঁতার কাটা ও লাফালাফি এই সাগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। নৌকা ও স্পিডবোটে চড়ে সাগরে ভ্রমণের কিছুটা স্বাদও নেওয়ার সুযোগ আছে এখানে। সাগরের পাড় যেন ছোট একটা পাহাড়ের মতো। শীতের মূল আকর্ষণ অতিথি পাখি।  সুখসাগর দিনাজপুরের মানুষসহ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এখানে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ হচ্ছে।   মাতাসাগর : রাজা রামনাথের সময়ে খনন করা হয় মাতাসাগর। সুখসাগর থেকে উত্তরে এই দিঘির অবস্থান। দিনাজপুরের সদর উপজেলায় ৪৫ দশমিক ৬০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই সাগর পাড়ের উচ্চতা কম কিন্তু বিস্তৃতি অনেক বেশি। মাতাসাগরের নৈসর্গিক পরিবেশ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় মাতাসাগরের পানিতে সূর্যের লাল আলো দর্শকের মন কাড়ে। আনন্দ সাগর : কথিত আছে, রাজা রামনাথ রানিকে নিয়ে সোনার নৌকায় রাজবাড়ী থেকে পানিপথে নৌবিহারে এই দিঘিতে আসতেন। এ জন্যই এর নাম হয়েছে আনন্দ সাগর। আনন্দ সাগরের সঙ্গে সুখ সাগরের সংযোগ ছিল একটা নালার মাধ্যমে।  সরেজমিনে দেখা যায়, নালা আগের মতোই আছে। তবে নালার পাশে বাড়িঘর করাতে নালা অনেকটা বন্ধের পথে। আগে নালাটি আনন্দ সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এখন সাগরের নালার সঙ্গে সংযোগ বিছিন্ন।  দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের উত্তরে এর অবস্থান। ৭ একর আয়তনের এই দিঘির গভীরতা তুলনামূলক কম।  আনন্দ সাগরের মৎস্যচাষী মো. বাবলু মিয়া বলেন, এখানে কোনো সংস্কার করা হচ্ছে না, পাড়গুলো ধসে যাচ্ছে। অনেক গাছ ছিল, যা এখন নেই। দলিলে মূল রাস্তা থাকলেও আনন্দ সাগরে যাওয়ার রাস্তা বেদখল হয়ে আছে। ড্রেনের সংস্কার ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হলে এই আনন্দ সাগর অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে বলে এলাকাবাসীর অভিমত।  জুলুম সাগর : ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে এই দীঘিতে অত্যাচার করত বলে নাম হয়েছে জুলুম সাগর। দিনাজপুর সার্কিট হাউসসংলগ্ন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিনোদন কেন্দ্র কৃষ্ণকলির নিচে এই সাগরের অবস্থান। প্রায় ৮৪৩ শতক আয়তনের সাগরটি দিনাজপুরের মানুষের প্রিয়।  হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিস অনুষদের ছাত্রী জয়তুননেসা বলেন, অনেক দিন দেখেছি তবুও এর নাম যে ‘জুলুম সাগর’ জানতাম না। সন্ধ্যা বেলা এখানকার পরিবেশ সুন্দর দেখায়। কৃষ্ণকলিতে বসে এই সাগরের ধারে প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটাতে ছুটে আসেন অনেকে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পেকুয়ায় সাগর পথে পাচারের সময় বোটভর্তি চেরাইকাঠ জব্দ
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সাগর পথে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ চেরাইকাঠ জব্দ করেছে বনবিভাগ। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ উপকূলীয় বনবিভাগের ছনুয়া রেঞ্জের আওতাধীন মগনামা বনবিট কর্মকর্তা আবুল মনজুরের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বোটভর্তি এসব কাঠ জব্দ করে। পরে কাঠ ভর্তি বোটটি মগনামা ঘাটে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যার দিকে বোট থেকে কাঠগুলো মগনামা বিট কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যায় বনবিভাগের লোকজন। জানা গেছে, উপজেলার রাজাখালী ইউপির আরবশাহ বাজার থেকে একটি চক্র অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রজাতির চিরাইকাঠ কুতুবদিয়ায় পাচার করছিল। খবর পেয়ে অভিযানে যান বনবিভাগ। এসময়  কুতুবদিয়া চ্যানেলের ছনুয়াখালের মোহনা থেকে ড্যানিস বোটভর্তি বিপুল পরিমান চিরাইকাঠ ও বোট জব্দ করে। মগনামা বিট কর্মকর্তা আবুল মনজুর বলেন, অবৈধ কাঠ পাচারের খবর পেয়ে আমরা ছনুয়া খালের মোহনায় কাঠভর্তি বোটটির জন্য অপেক্ষা করি। আমাদের অভিযানের বোটটি দেখে কাঠভর্তি বোটে থাকা মাঝি-মাল্লাররা কুতুবদিয়া চ্যানেলের পানিতে লাফ দেয়। বোট ও কাঠগুলো জব্দ করে আমাদের হেফাজতে নিয়ে আসি। এদিকে জব্দকৃত চিরাই কাঠগুলো মগনামা বিট কার্যালয়ে নিয়ে আসা হলেও ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বোটটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য দেনদরবার চলছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানায়। 
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

সাগর-রুনি হত্যা : ১০৭ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ১৬ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১০৭ বার পেছানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত এ দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত এসপি খন্দকার মো. শফিকুল আলম আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

ভারতে আনা হলো সোমালি জলদস্যুদের
সাগরে জাহাজ ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি আটক ৩৫ সোমালি জলদস্যুকে ভারতের মুম্বাই বন্দরে আনা হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক একটি বাণিজ্যিক জাহাজ উদ্ধারের কয়েক দিন পর তাদের ভারতে আনা হলো। খবর আলজাজিরার। এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্বদানকারী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা শনিবার ভোরে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে নোঙর করেছে। উত্তর আরব সাগরের সোকোত্রার পূর্ব উপকূলীয় এলাকা থেকে গত ডিসেম্বরে মাল্টার পতাকাবাহী এমভি রুয়েন ছিনতাই করে নিয়ে যায় সোমালি জলদস্যুরা। এরপর থেকে কয়েক মাস জাহাজটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে সাগরে জলদস্যুতা করে আসছিল তারা। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী জানায়, সোমালিয়া উপকূলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করতে এই জাহাজটি ব্যবহার করে থাকতে পারেন জলদস্যুরা। গত ১৭ মার্চ সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ২৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ভারতীয় নৌ কমান্ডোরা। এ সময় জাহাজে থাকা ১৭ নাবিককে উদ্ধার করেন তারা। উদ্ধার হওয়া নাবিকদের মধ্যে মিয়ানমানের ৯ জন, বুলগেরিয়ার সাতজন এবং অ্যাঙ্গোলার একজন ছিলেন। ভারত মহাসাগরে ২০১১ সালে সোমালি জলদস্যুদের হামলার ঘটনা চূড়ায় পৌঁছায়। তখন এসব হামলায় জড়িতদের বিচারের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাতো ভারতীয় নৌবাহিনী। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাইয়ের কবল থেকে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করে জলদস্যুদের সাগরে ছেড়ে আসছিলেন নৌ সদস্যরা। চলতি সপ্তাহে ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র বিবেক মাধওয়াল বলেছেন, এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এবার প্রথমবারের মতো সাগরে বন্দি জলদস্যুদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ভারতে আনা হবে।
২৪ মার্চ, ২০২৪

ইয়েমেনের হামলায় ডুবল ব্রিটিশ জাহাজ
ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি ব্রিটিশ কার্গো জাহাজ লোহিত সাগরে ডুবে গেছে। শনিবার (২ মার্চ) ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার এমন তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার। ডুবে যাওয়া জাহাজটির নাম এমভি রুবিমার। এটি উত্তর আমেরিকার দেশ বেলিজের পতাকাবাহী যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন একটি পণ্যবাহী জাহাজ। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সার নিয়ে বাব আল-মান্দেব প্রণালি পাড়ি দেওয়ার সময় হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছিল জাহাজটি। হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্রু সদস্যরা জাহাজটি রেখে নিরাপদে সরিয়ে যান। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে হুতিরা। শনিবার এক বিবৃতিতে জাহাজের দায়িত্বে নিয়োজিত ইয়েমেন সরকারের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, গত রাতে বিরূপ আবহাওয়া ও প্রবল বাতাসে এমভি রুবিমার সাগরে ডুবে গেছে। মূলত গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের প্রতি সমর্থন জানায় হুতি বিদ্রোহীরা। তাদের সমর্থনের অংশ হিসেবে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাহাজে হামলা করে আসছে তারা। এরপর এই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জাহাজের নাম যুক্ত করে ইরানপন্থি গোষ্ঠীটি। তাদের হামলার ভয়ে বেশিরভাগ জাহাজ কোম্পানি গুরুত্বপূর্ণ এই দুই নৌপথ এড়িয়ে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এতে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে পশ্চিমারা। লোহিত সাগরে হামলা ঠেকাতে হুতিদের নিশানা করে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। যৌথ অভিযান ছাড়াও প্রায় প্রতিদিন হুতিদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এত এত হামলা করেও এখনো হুতিদের থামাতে পারছে না পশ্চিমারা। জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর হুতিদের সর্বোচ্চ বিপ্লবী কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আলি আল-হুতি বলেছেন, গাজায় গণহত্যা ও অবরোধ সমর্থন করার কারণে এই জাহাজডুবির জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও তার সরকার দায়ী বলে মনে করেন তারা। শনিবার রাতে এক এক্সবার্তায় তিনি বলেন, সুনাকের কাছে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিয়ে রুবিমার জাহাজ পুনরুদ্ধার করার সুযোগ রয়েছে।
০৩ মার্চ, ২০২৪

এক মৌসুমেই ১৯ জলপাইরঙা সাগর কাছিমের মৃত্যু
কক্সবাজার সৈকতের বিভিন্ন অঞ্চলে এক মৌসুমে মারা গেছে প্রায় ১৯টি অলিভ রিডলি (জলপাইরঙা সাগর কাছিম) প্রজাতির মা কাছিম। আবাসস্থল ধ্বংস, সাগরে নিষিদ্ধ ক্যারেন্ট জালের ব্যবহার এবং জেলের জালে আটকে পড়ে এসব কাছিম মারা গেছে বলে জানিয়েছেন সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা। এর মধ্যে সেন্টমার্টিনে ছয়টি, টেকনাফে তিনটি, শামলাপুরে একটি, সোনারপাড়া দুটি, পেচারদ্বীপ ও হিমছড়ি এলাকায় তিনটি এবং সোনাদিয়া অঞ্চলে চারটি কাছিম মারা গেছে।  প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, সামুদ্রিক কাছিম রক্ষায় গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরসহ কাজ করছে বেশ কয়েকটি এনজিও। চলতি মৌসুমে এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ৭০টি কাছিম থেকে ৮ হাজার ৪৪১টি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে।  কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (কোডেক) নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্প টেকনাফের বড় ডেইল, জাহাজপুরা, শীলখালী, মনতলিয়া এবং উখিয়ার ছেপটখালী, মাদারবুনিয়া থেকে ৩৫টি মা কাছিম থেকে ৪০ হাজার ৫৪টি, পরিবেশ অধিদপ্তর সেন্টমার্টিনে ১০২৮টি ডিম সংগ্রহ করেছে।  বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট উখিয়ার সোনারপাড়া বিচে দুটি মা কাছিম থেকে ২৫৭টি ডিম সংগ্রহ করেছে। এছাড়া নেকম টেকনাফ, শীলখালী, মাদারবুনিয়া, পেচারদ্বীপ, হিমছড়ি, সোনাদিয়া থেকে ৩ হাজার ১০২টি ডিম সংগ্রহ করেছে। এসব ডিম হ্যাচারিতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  সর্বশেষ ১০ ফেব্রয়ারি টেকনাফের শিলখালীতে ছয়টি, হামজাপাড়ায় একটি এবং উখিয়ার ছেপটখালিতে দুটি কাছিম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ৯৪৮টি ডিম। এসব ডিম কোডেকের হ্যাচারিতে সংরক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিনে বেশ কিছু ডিম থেকে জন্ম নেওয়া বাচ্চা সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।  সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্বে গ্রীন, লগারহেড, কেম্পস রিডলী, অলিভ রিডলী, হক্সবিল, লেদারব্যাক এবং ফ্ল্যাট ব্যাকসহ সাত প্রজাতির কাছিম পাওয়া যায়। যেখানে ‘অলিভ রিডলি’ এবং ‘হক্সবিল’- এ দুই প্রজাতির কাছিম আমাদের সমুদ্র উপকূলে দেখা যায়। এদের মধ্যে অলিভ রিডলি প্রজাতির আধিক্য অনেক বেশি হলেও এরা সাইজেও ছোট। এরা সধারণত ৬০ থেকে ৭০ সেমি লম্বা হয় এবং ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। এ প্রজাতির মা কাছিমগুলো দলবেঁধে এসে ডিম পাড়ে। একটি অলিভ রিডলি সামুদ্রিক কাছিম গড়ে ১০০ থেকে ১৫০টি ডিম দিয়ে থাকে। তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ৬০ থেকে ৭০ দিন সময় লাগে।কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন, টেকনাফ, শামলাপুর, ইনানী, সোনারপাড়া, পেচারদ্বীপ, ননিয়ারছড়া, সোনাদিয়া এলাকায় সমুদ্রের জোয়ারের পানির চেয়েও উচ্চতায় ডিম পারে। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ১৯টি অলিভ রিডলি মা কাছিম মারা পড়েছে। এ প্রজাতির কাছিম রক্ষা করতে হলে সৈকত এলাকায় কাছিমের আবাসস্থল যেন ধ্বংস না হয় সেদিক খেয়াল রেখে পরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সৈকত এলাকায় আলোকায়ন বন্ধ রাখতে হবে। নিষিদ্ধ করতে হবে কারেন্ট ও টানা জালের ব্যবহার। কাছিম সম্পর্কে জেলেদের অবগত করার পাশাপাশি সমুদ্রে পরিত্যক্ত জাল এবং বিহিংগি জাল ফেলা বন্ধ করতে হবে। বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা কালবেলাকে জানান, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংস্থার (আইইউসিএন) লাল তালিকায় অলিভ রিডলে প্রজাতির কচ্ছপকে সংকটাপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই এটি শিকার, হত্যা বা এর কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ইয়েমেনিদের হামলা বন্ধে ইরানকে চাপ দিচ্ছে চীন
লোহিত সাগরে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা একের পর এক বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। গোষ্ঠীটির হামলার কারণে এ পথে জাহাজ চলাচলে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এবার গোষ্ঠীটির হামলা বন্ধে ইরানের ওপর চাপ দিচ্ছে চীন। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের কর্মকর্তারা ইরানের ওপর ইয়েমেনিদের হামলা বন্ধের জন্য চাপ দিচ্ছে। এমনকি তারা ইরানের ওপর হামলা বন্ধ না করলে পাল্টা হুঁশিয়ারিও দিয়েছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, তেহরান হামলা বন্ধে পদক্ষেপ না নিলে বেইজিং ইরান ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য সীমিত করার হুমকি দিয়ছে।  ইরানের এক কর্মকর্তা জানান, মূলত চীন বলেছে, ‘যদি কোনোভাবে আমাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ইরানের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রভাবিত হবে। অতএব হুতিদের বলুন যেন তারা সংযত হয়।’ এর আগে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দফায় দফায় হামলায় বিপর্যস্ত পশ্চিমারা। কোনোভাবেই ইরানপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে থামাতে পারছে না তারা। এমন পরিস্থিতিতে হুতি যোদ্ধাদের হাত থেকে বাণিজ্যিক জাহাজ রক্ষায় প্রধান শত্রু চীনের দ্বারস্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।  চলতি মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিভাগের প্রধান লিউ জিয়ানচাও-এর সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা। বৈঠকে হুতিদের হামলা থামাতে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চীনকে আহ্বান জানান মার্কিন কর্মকর্তারা। গত ৭ অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের প্রতি সমর্থন জানায় হুতিরা। তাদের সমর্থনের অংশ হিসেবে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাহাজে হামলা করে আসছে তারা। নভেম্বরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট গ্যালাক্সি লিডার জাহাজ জব্দ করার পর থেকে অন্তত ২৬টি জাহাজে হামলা চালিয়েছে এ গোষ্ঠীটি হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বিভিন্ন জাহাজ কোম্পানি হয় লোহিত সাগর এড়িয়ে ভিন্ন পথে গন্তব্যে যাচ্ছে নতুবা চুক্তিই বাতিল করে দিচ্ছে। লোহিত সাগর দিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আনা-নেওয়া করা হয়। তবে হুতিদের হামলার জেরে এর পরিমাণ প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।  
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

সাগর-রুনি হত্যা : ১০৫ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১০৫ পেছানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত এসপি খন্দকার মো. শফিকুল আলম আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন-রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের 'বন্ধু' তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

বিচিত্র / সৈকতেই দেখা মেলে সাগর বালু আর তুষার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ক্রমেই চিত্তাকর্ষক-শ্বাসরুদ্ধকর ছবি, আকর্ষণীয় ভিডিওর প্রাণবন্ত কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুঁ মারলেই বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ঘটনা, ছবি ও ভিডিও সামনে চলে আসে। যেসবের বেশিরভাগই বিশ্বজুড়ে ব্যবহারকারীদের মোহিত করে। সম্প্রতি জাপানের এমনই একটি ছবি সাড়া ফেলে সামাজিক মাধ্যমে। একটি সৈকতে একই স্থানে তুষার, বালু ও সাগরের মিলনের মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য মন কেড়েছে নেটিজেনদের। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ডানপাশে তুষার, আর সাগর বামপাশে এবং একজন ব্যক্তি এ দুয়ের মধ্যে থাকা বালুর ওপর দিয়ে হাঁটছেন। ছবিটি জাপানের পশ্চিম উপকূলের সানিন কাইগান জিওপার্কে তোলা। হিসা নামে এক ফটোগ্রাফার ছবিটি তুলেছেন। ওয়েলথ নামে একটি পেইজে ছবিটি ফের শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, জাপানের হোক্কাইডো সৈকত, পৃথিবীর মধ্যে অনন্য একটি জায়গা, যেখানে সাগর মিলিত হয়েছে বালু ও তুষারের সঙ্গে। চিত্তাকর্ষক ছবিটি এরই মধ্যে ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮২৯ জন পছন্দ করেছেন। মন্তব্যের ঘরে একজন লিখেছেন, আমার দেখা সবচেয়ে বিস্ময়কর ও সুন্দর ছবিগুলোর একটি। সূত্র : এনডিটিভি।
২২ জানুয়ারি, ২০২৪
X