ইসরায়েল-ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস
ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দিতে বহুল আলোচিত ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। কট্টর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা এই প্যাকেজের বিরোধিতা করলেও বড় ধরনের দ্বিদলীয় সমর্থন পেয়েই শনিবার বিলগুলো পাস হয়েছে। খবর রয়টার্সের। গতকাল শনিবার রাতে প্রতিনিধি পরিষদে এসব বিলের ওপর ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাভুটিতে ৩১১-১১২ ভোটে বিল দুটি পাস হয়েছে। এতে ১০১ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ভোট দিলেও ১১২ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। সহায়তা বিলে ইউক্রেনের জন্য ৬০ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন, ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন এবং তাইওয়ানসহ ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য ৮ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। কংগ্রেসে সহায়তা বিল পাস হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা ইতিহাসকে সঠিক পথে রাখতে অগ্রসর হয়েছেন। গত দুই মাস ধরে বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টি নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে এই সহায়তা বিল পাস করানোর চেষ্টা করে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের বিরোধের জেরে এই প্যাকেজ সামনে অগ্রসর হয়নি। বিশেষ করে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল রিপাবলিকানদের। তবে এবার প্রতিনিধি পরিষদে প্যাকেজটি পাস হওয়ায় তা ডেমোক্রেট সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। সেখানে এটি পাস হলে তা বাইডেনের কাছে পাঠানো হবে এবং তিনি সই করলে বিলগুলো আইনে পরিণত হবে। ফলে এই তিন দেশকে এই সহায়তা দিতে আর কোনো বাধার মুখে পড়বে না মার্কিন প্রশাসন।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেস অনুমোদন না দেওয়ায় ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে যদি এই ইস্যুতে কংগ্রেস তার অবস্থান পরিবর্তন করে, তাহলেই ফের প্রদান করা সম্ভব হবে সহায়তা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ‘আমরা সহায়তা প্যাকেজ সংক্রান্ত সর্বশেষ যে বিলটি কংগ্রেসে পাঠিয়েছিলাম, সেটি অনুমোদিত হয়নি। তাই আপাতত ইউক্রেনে আমাদের সামরিক সহায়তা স্থগিত রয়েছে। কংগ্রেস যদি অবস্থান পরিবর্তন করে, ফের তা শুরু হবে।’ বিভিন্ন মিত্র দেশে সামরিক সহায়তা বাবদ ১০ হাজার কোটি ডলার চেয়ে কংগ্রেসে গত ডিসেম্বরে একটি বিল পাঠিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। এই প্যাকেজের মধ্যে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার কোটি ডলার। কিন্তু সেই বিলটি আটকে দিয়েছে কংগ্রেস। ডিসেম্বরের শেষ দিকে অবশ্য কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নিজের প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে ইউক্রেনে ২৫ কোটি ডলারের একটি সহায়তা প্যাকেজ পাঠিয়েছিলেন বাইডেন, কিন্তু সেজন্য কংগ্রেসে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য ইউক্রেনের তদবিরের জেরে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাতে রুশ বাহিনীকে নির্দেশ দেন পুতিন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর অস্ত্র ও অর্থ সহায়তায় যুদ্ধের শুরুর দিকে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও বর্তমানে বেশ চাপে রয়েছে ইউক্রেন। এরই মধ্যে দেশটির প্রায় এক চতুর্থাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে চলে গেছে। এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনে ১ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা পাঠিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে বর্তমানে বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ। যুদ্ধের প্রথম দিকে দলটির সহায়তা প্রদানে আপত্তি না জানালেও গত বছর থেকে তারা আপত্তি জানাতে শুরু করেন। সম্প্রতি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার মাইক জনসন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য কী এবং এই যুদ্ধ থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে লাভবান হতে পারে— এসব ইস্যুতে যদি বাইডেন প্রশাসন সুনির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা না দেয়, তাহলে ইউক্রেনে অর্থ সহায়তা সংক্রান্ত কোনো বিল আর অনুমোদন করবে না মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। এদিকে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদের সংকটে ভুগছে ইউক্রেন। এ সংকটের কারণে তাদের সামরিক অপারেশনও কাটছাঁট করতে হচ্ছে।
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

তাইওয়ানকে নতুন সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ক্ষুব্ধ চীন
তাইওয়ানকে নতুন করে ৩৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার (২৮ জুলাই) নতুন এ সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেয় জো বাইডেন প্রশাসন। আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।   এবারের সামরিক সহায়তার মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, সামরিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা থাকবে। তবে তাইওয়ানকে ঠিক কী ধরনের অস্ত্র বা সরঞ্জাম দেওয়া হবে তার উল্লেখ করেনি হোয়াইট হাউস। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এবারের প্যাকেজে বহনযোগ্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ছোট আকারের অস্ত্রের জন্য গোলাবারুদ ও গোয়েন্দা সরঞ্জাম থাকবে। তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থি সাই ইং-ওয়েন সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে জো বাইডেন প্রশাসন। এ নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের উত্তেজনা চলছে। নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণার পর পর স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন। আরও পড়ুন : তাইওয়ানের আকাশে চীনের ৩৭ যুদ্ধবিমান, প্রতিরক্ষা জোরদার তাইওয়ানকে ‍নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে থাকে চীন। একসময় স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে তারা। এমনকি প্রয়োজন হলে বল প্রয়োগের কথাও জানিয়েছে দেশটি। এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে হবে। তাইওয়ান প্রণালিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, এমন কিছু করা যাবে না। সাম্প্রতিক বছরে তাইপেকে বিলিয়ন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে ওয়াশিংটন। এমনকি ২০২৬ সালের মধ্যে ৬৬টি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের কথা রয়েছে।
২৯ জুলাই, ২০২৩
X