উপজেলা নির্বাচন / ধান কাটার মৌসুমের কারণে ভোট কম পড়েছে : সিইসি
ধান কাটার মৌসুমের কারণে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট কম পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।  সিইসি বলেন, সদ্য সমাপ্ত প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ধান কাটার মৌসুমের কারণে ভোট কম পড়েছে। সামগ্রিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। যে কটি ঘটনা ঘটেছে সবক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৩৪টি ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৪ জন। ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে সহিংসতা হয়নি। কেন্দ্রের বাইরে সহিংসতা হয়েছে। দুটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়েছে। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে ২২টিতে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কেন্দ্রে আসেন ভোটাররা। পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তারা। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাচনের এই পর্বে প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।  এদিকে, প্রথম ধাপের চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে ২০ জন অর্থাৎ মোট ২৮ জন প্রার্থী এরইমধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।  প্রসঙ্গত, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায়, ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১০ উপজেলায় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫০টির বেশি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।  
০৮ মে, ২০২৪

নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করলে ব্যবস্থা : সিইসি
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাব নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাব বিস্তারে নিবৃত্ত করতে পেরেছি। প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না। নির্বাচন প্রভাবিত করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। সিইসি বলেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অংশগ্রহণের কারণে কমিশন বেকায়দায় নেই। প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। কেউ প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে, মেনে নেওয়া হবে না। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, প্রভাব বিস্তার রোধে কাজ করছে কমিশন। কেন্দ্রীয়ভাবে উপজেলা নির্বাচন মনিটর করা হবে। প্রভাব বিস্তারের সমস্যাটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে না। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায় নেই। পুরোটাই রাজনৈতিক নৈতিকতার বিষয়। সিইসি আরও বলেন, প্রার্থী-সমথর্ক সবাই ভোটের দিন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করবেন সেটাই প্রত্যাশা, পাশাপাশি নজরদারি করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম। সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটাই চায় কমিশন। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন মোটেই নিয়ম রক্ষার ভোট না। নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। কোনো একটা দেশের শাসনব্যবস্থাকে চালু রাখতে হলে নির্বাচন প্রয়োজন। হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে কে এলো, কে এলো না এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার বিষয় না। নির্বাচনের কমিশনের কাজ হলো নির্বাচন আয়োজন করা। প্রসঙ্গত, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটকেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৪১৮ প্ল্যাটুন বিজিবি ও ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। ভোট উপলক্ষে ভোটের দিন ১৪১টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। মোট চার ধাপের এই নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
০৭ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সুষ্ঠুভাবে উপজেলা নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে আমরা যেন প্রতিষ্ঠা করতে পারি বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, এ দেশে নির্বাচন নির্বাচনের মতো হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হবে। এ সময় সিইসি মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপজেলা নির্বাচনে যেন সহিংসতা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে নির্দেশনা দেন। সিইসি বলেন, যেকোনো মূল্যে নির্বাচনটা সুষ্ঠু করতে হবে। আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পারি এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। প্রথম ধাপের তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। এই ধাপে বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল, নিষ্পত্তি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক। দ্বিতীয় ধাপের তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ হয়েছে, মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ চলছে ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে। এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন। তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬- ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে। এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। চতুর্থ ধাপের তপশিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে। চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩-১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

এবার কোরিয়ার নির্বাচন দেখতে যাচ্ছেন সিইসি
জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার সঙ্গে থাকবেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও সিইসির একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন। আগামী ৪ থেকে ১২ এপ্রিল তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করবেন। জানা গেছে, রিপাবলিক অব কোরিয়ার ন্যাশনাল ইলেকশন কমিশন (এনইসি) দেশটির ২২তম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচন দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানানোয় তারা দেশটিতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্লেন ভাড়া, থাকা-খাওয়া, স্থানীয় যাতায়াতের ব্যয় বহন করবে এনইসি। আর অন্যান্য ব্যয় বহন করবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩ এপ্রিল তারা কোরিয়ার পথে উড়াল দিয়ে ১৩ এপ্রিল দেশে ফিরতে পারেন। সম্প্রতি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও দেখতে গিয়েছিলেন সিইসি।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

পুতিনের ভোট দেখতে রাশিয়া যাচ্ছেন সিইসি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আজ বুধবার দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আগামী ১৯ মার্চ সিইসির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সিইসির সফরসঙ্গী হবেন তার একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন। ইসির উপসচিব শাহ আলম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, সফরকালে ১৫ থেকে ১৬ মার্চ ‘নির্বাচনী সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক মান’ শীর্ষক এক সম্মেলনে তারা অংশ নেবেন। ১৭ মার্চ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। সফরের সময় তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যয় বহন করবে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন। আর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে। সকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রথমে দুবাই, সেখান রাশিয়া যাবেন তারা। এরপর ১৮ মার্চ তারা দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। এনআইডি কার্যক্রম দেখতে যুক্তরাজ্য ও সৌদি যাচ্ছেন দুই কমিশনার: এদিকে প্রবাসীদের ভোটার রেজিস্ট্রেশন ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) কার্যক্রম দেখতে যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরব যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনাররা। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আগামী ১৬ থেকে ২০ এপ্রিল যুক্তরাজ্য সফর করবেন। তার সঙ্গে যাবেন ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান ও নির্বাচন কমিশনারের একান্ত সচিব মো. কামরুজ্জামান। এ ছাড়া মো. আলমগীরের স্ত্রী বিলকিস আক্তারও যাবেন ব্যক্তিগত খরচে। আগামী ১৫ এপ্রিল দেশ ছাড়ার পর ২১ এপ্রিল তাদের ফেরার কথা রয়েছে। তাদের অফিসিয়াল সফরের ব্যয় বহন করা হবে স্মার্টকার্ড তথা আইডিইএ-২ প্রকল্প থেকে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান স্ত্রী সালমা সুলতানাকে নিয়ে সৌদি আরব যাবেন। সঙ্গে থাকবেন সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক ও একান্ত সচিব শাহ মো. কামরুল হুদা। ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল তারা দেশটিতে অবস্থান করবেন। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনার তার স্ত্রীর ব্যয় বহন করবেন। আর সবার ব্যয় বহন করা হবে আইডিইএ-২ প্রকল্প থেকে। ১৯ এপ্রিল তারা দেশ ছাড়ার পর ২৬ এপ্রিল ফেরার কথা রয়েছে।
১৩ মার্চ, ২০২৪

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে রাশিয়া যাচ্ছেন সিইসি
ফেডারেল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশটিতে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আগামীকাল বুধবার (১৩ মার্চ) তিনি মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেবেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিইসির সফরসঙ্গী হবেন তার একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন। বুধবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এমিরেটসের ফ্লাইটে প্রথমে দুবাই, পরে সেখান থেকে এমিরেটসের আরেকটি ফ্লাইটে রাশিয়া যাবেন তিনি। এরপর ১৮ মার্চ একই এয়ারলাইনসের একই পথে রওনা হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবেন ১৯ মার্চ। সফরকালে সিইসি ১৫ থেকে ১৬ মার্চ ‘নির্বাচনী সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক মান’ শীর্ষক এক সম্মেলনে অংশ নেবেন। আর ১৭ মার্চ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। সফরের সময় তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যয় বহন করবে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন। আর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে।
১২ মার্চ, ২০২৪

কুমিল্লা-ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন / নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে : সিইসি
কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনসহ ২৩১টি নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, কোনো অভিযোগ আমরা এখনও পাইনি। কেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলি হয়েছে। তবে কেন্দ্রের ভেতরে ভোটে তা প্রভাবিত হয়নি। শনিবার (৯ মার্চ) ভোটগ্রহণ শেষে বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।   প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ২৩১টি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় দুচারটি অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেছে। ১৮টি অপ্রতিকর ঘটনায় ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, কুমিল্লায় উল্লেখযোগ্য দুএকটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা নির্বাচনটা ম্যানেজ করার জন্য নির্বাচন কমিশনারদের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, প্রত্যেক প্রার্থীই কম বেশি শক্তি প্রয়োগ করেছে। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যারা এই কাজটি করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা বলেছিলাম যাকে পাওয়া যায় তাকেই যেন গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। পরে কোনো অভিযোগ পাইনি। কুমিল্লায় বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৩৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ সময় বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ময়মনসিংহে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিকেল ৪টার পরও ওখানে একটা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে পরিবেশ কেমন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। ভোটকেন্দ্রের বাইরে যে ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা হয়। সার্বিকভাবে আমরা বলতে পারি ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বরগুনার আমলতীতে ৬০ শতাংশের মতো, পটুয়াখালীতে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান। শান্তিপূর্ণভাবে এখানে নির্বাচন হয়েছে। প্রত্যাশিত সুন্দর, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। কোথাও কোনোকিছু বন্ধ হয়নি।
০৯ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশের সিইসি বললেন, ‘পাকিস্তানে সাড়া জাগানো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে’
পাকিস্তানে সাড়া জাগানো-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আরএফইডির নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্বগ্রহণ ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে আমরা পছন্দ করি না বা ঘৃণা করি। যখন আমার প্রশংসা করা হয় তখন ভালো লাগে। কিন্তু আমাকে জানতে হবে প্রশংসা নয়, সমালোচনার জায়গায় সমালোচনা করতে হবে। সমালোচনার জায়গায় ছাড় দেওয়া যাবে না। এই সাহসী ভূমিকা গণমাধ্যমের পালন করতে হবে। এটাই গণমাধ্যমের ভূমিকা। দেশের গণমাধ্যমের প্রতি আমি যথেষ্ট আস্থাশীল। স্ট্যাগারিং পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরীক্ষামূলকভাবে স্ট্যাগারিং পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। একটা জেলার মধ্যে আমি যদি তিনটি পর্বে নির্বাচন করি, যেটাকে ভারতে স্ট্যাগার্ড বলে, জাতীয় নির্বাচনটা স্ট্যাগারিং করে হয়- তিন মাস ধরে হয়। ভবিষ্যতে পুরো দেশে স্ট্যাগারিং পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে পারে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, সামনে আরও অনেক নির্বাচন আছে, উপনির্বাচন, সেগুলোকেও খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব গড়ে তোলার যে দায়িত্ব, সেখানে যদি নেতৃত্ব শক্তিশালী না হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়েও নেতৃত্ব শক্তিশালী হবে না। তৃণমূলের সংস্থাগুলোয় নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে। সেখানেও গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে। সেখানে গণতন্ত্র কতটা কাজ করছে, কতটা কাজ করছে না, এগুলো তুলে আনতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমি জেনেছি এবার নির্বাচনে কোনো দলীয় প্রতীক থাকবে না। এটার ভালো দিক আছে। এটা রাষ্ট্রীয় নির্বাচন নয়। এলাকাভিত্তিক নির্বাচন। এখানে মানুষ এলাকার লোককে নির্বাচিত করবেন, পুরো জাতির জন্য নয়। স্থানীয় সরকার তার নির্ধারিত এলাকা জনশাসন পরিচালনা করে থাকে। তার সীমিত ক্ষমতা থাকে। সেখানে বিভিন্ন দল, আমার মনে হয়, এখানে সুযোগটা থাকবে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে আমার যে অভিজ্ঞতা, আমারটা ভুল হতে পারে-সেখানে আমি সব সময় লক্ষ করেছি, উপস্থিতি অনেক বেশি হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মানুষের সঙ্গে মানুষের বা ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির যে সম্পৃক্ততা, সেটা অনেক বেশি নিবিড় ও গভীর।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বড় রাজনৈতিক দল অংশ না নিলে নির্বাচন অশুদ্ধ হয় না : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বড় বড় রাজনৈতিক দল অংশ না নিলে নির্বাচন অশুদ্ধ বা অবৈধ হয় না। তবে, নির্বাচনের সার্বজনীনতা ও গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হয়। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন ও ডেমোক্র্যাসির (আরএফইডি) নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সিইসি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় দলগুলো অংশগ্রহণ করলে ভোটার উপস্থিতি আরও বেশি হতো। বড় বড় দল অংশ না নিলে নির্বাচন অশুদ্ধ বা অবৈধ হবে না। কিন্তু নির্বাচনের সার্বজনীনতা ও গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হয়। তবে নির্বাচন স্বচ্ছ করতে আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে হবে।  উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, নিঃসন্দেহে ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে। এখানে প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটারদের যোগাযোগ বেশি থাকে। সম্পর্কের বিষয় থাকে। এই নির্বাচনে মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। তৃণমূল শক্তিশালী না হলে জাতীয় পর্যায়েও শক্তিশালী হবে না। নির্বাচন ভালো নাকি খারাপ হয়েছে, তা জনগণ ঠিক করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গণমাধ্যমকে গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকা শক্তিশালী হলে রাষ্ট্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আদায় করতে নিতে হয়। এটা কেউ এগিয়ে দেবে না। গঠনমূলক সমালোচনা করলে আমার দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। বরং সমালোচনা সমৃদ্ধ করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোনো ভুল সংবাদ যাতে পরিবেশন করা না হয়।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পুতিনের ভোট দেখতে যাচ্ছেন সিইসি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে দেশটিতে আট দিনের সফরে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সিইসির সফরসঙ্গী হবেন তার একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন। আগামী ১২ মার্চ তাদের রাশিয়ায় যাওয়ার কথা রয়েছে। সফরকালে ১৪ থেকে ১৮ মার্চ ‘নির্বাচনী সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক মান’ শীর্ষক এক সম্মেলনে অংশ নেবেন তারা। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব মো. শাহ আলম এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি এরই মধ্যে প্রধান হিসাব ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন। সফরের সময় তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যয় বহন করবে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন। আর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে। আগামী ১৯ মার্চ তাদের ঢাকায় ফেরার কথা।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪
X