আম নিয়ে সিন্ডিকেট হতে দেব না
কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেছেন, এবার রাজশাহীতে ফলন কম হওয়ায় আম নিয়ে সিন্ডিকেট হতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। কৃষক যেন সঠিক মূল্য পান, সেটাই লক্ষ্য। সিন্ডিকেট আমরা হতে দেব না। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে আম বাগান পরিদর্শন ও কৃষকের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত, চীন, রাশিয়া ও বেলারুশ রাজশাহীর আম নিতে আগ্রহী। দ্রুতই চীনের একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। আমরা বেশি পরিমাণ আম রপ্তানির চেষ্টা করছি। তাই এই দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি কর্মকর্তাদের কিছু নির্দেশনা দেন। তিনি আরও বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০-৩০০ কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে। রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড এবং ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হচ্ছে। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাইকেল জন ওয়েবস্টের ও কোকাকোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জু-উন নাহার চৌধুরী। এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফারমিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বাসতবাড়ি বাগান ও কৃষি ক্ষেত পরিদর্শন করেন। বাগানটিতে বিশ্বব্যাংক, বেসরকারি সংস্থার ডাসকো, কোকাকোলা ও সিনজেনটার সহযোগিতায় উন্নত প্রযুক্তিতে আম চাষ করা হচ্ছে। এ ছাড়া মন্ত্রী গোদাগাড়ীর বিজয়নগর এলাকায় পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তিতে ধান চাষও পরিদর্শন করেন। এরপর সোনাদীঘি এলাকায় তিনি নার্সারিতে উন্নত প্রযুক্তিতে চারা উৎপাদন পদ্ধতি পরিদর্শন করেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৮ মে, ২০২৪

আম নিয়ে সিন্ডিকেট আমরা হতে দেব না : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ফলন কম হওয়ায় আম নিয়ে সিন্ডিকেট হতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যেন খুব বেশি পার্থক্য না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। কৃষক যেন সঠিক মূল্য পান। আম নিয়ে সিন্ডিকেট আমরা হতে দেব না। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর ১২টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে আমবাগান পরিদর্শন ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুস শহীদ বলেন, ভারত, চীন, রাশিয়া ও বেলারুশ রাজশাহীর আম নিতে আগ্রহী। দ্রুতই চীনের একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। আমরা বেশি পরিমাণ আম রপ্তানির চেষ্টা করছি। তাই এ দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০-৩০০ কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে। রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড এবং ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাইকেল জন ওয়েবস্টের ও কোকাকোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জু-উন নাহার চৌধুরী। এর আগে কৃষিমন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলে ফার্মে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফার্মিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষিক্ষেত পরিদর্শন করেন। বাগানটিতে বিশ্ব ব্যাংক, বেসরকারি সংস্থার ডাসকো, কোকাকোলা বাংলাদেশ লিমিটেড ও সিনজেনটার সহযোগিতায় উন্নত প্রযুক্তিতে আম চাষ করা হচ্ছে। এ ছাড়া গোদাগাড়ীর বিজয়নগর এলাকায় পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তিতে ধান চাষও পরিদর্শন করেন। এরপর সোনাদীঘি এলাকায় নার্সারিতে উন্নত প্রযুক্তিতে চারা উৎপাদন পদ্ধতি দেখেন। এ সময় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৭ মে, ২০২৪

সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙুলি হল প্রাধ্যক্ষদের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চলমান সংকট নিরসনের জন্য ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন হলের প্রাধ্যক্ষরা। বুধবার (১ মার্চ) সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গোল চত্বরে মানববন্ধন করেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে এসে শিক্ষার্থীদের একাত্মতা পোষণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন ও শেখ হাসিনা হলের হাউস টিউটর আল আমিন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেছেন। দাবিগুলো হলো ক্যাম্পাস খুলে সব কার্যক্রম চালু করা, অবিলম্বে ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ২৭ তারিখের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেওয়া, প্রশাসনের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল ও হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার। মানববন্ধনে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন বলেন, গণমাধ্যমে যে বিষয়গুলো আসছে, হলে টাকা আর অস্ত্র ঢুকতেছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতেছি আমার হলের মধ্যে কোনো টাকা কিংবা অস্ত্র ঢুকেনি। সিন্ডিকেটে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা শিক্ষার্থীসুলভ না। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি। আমি আমার হল খোলা রাখব। শেখ হাসিনা হলের হাউস টিউটর আল আমিন বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত। আমার হলও খোলা থাকবে। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পাসে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নাই, বিকাল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। হলে শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্ররা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বন্ধের নোটিশ দিয়েছে। যদি ছাত্ররা মনে করে হলে থাকতে হবে তাহলে তারা থাকতে পারবে, আর যদি বন্ধের মধ্যে চলে যেতে চায় তাহলে চলে যেতে পারবে। বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, আমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হল খালি করতে যাব না। হলে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে। নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে না। তবে যারা চলে যেতে চায় তারা চলে যেতে পারবে।
০১ মে, ২০২৪

ববির সিন্ডিকেট সদস্য হলেন সহকারী অধ্যাপক মো. ফরহাদ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফরহাদ উদ্দীনকে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন ২০১৩ এ বর্ণিত ১৭ (১) এর (ঞ) ধারা অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলের ৪৪তম সভার আলোচ্যবিষয়-৩ এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে মো. ফরহাদ উদ্দীনকে সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। সেখানে আরও বলা হয়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় তাকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের একজন সম্মানিত সদস্য হিসেবে আগামী দুই বছরের জন্য মনোনয়ন প্রদান করা হলো।  
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

যৌন হয়রানির অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে জবির সিন্ডিকেট অনুষ্ঠিত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ৯৫তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাবনার অভিযোগ, শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীদের সাথে অসদাচরণ, শিক্ষক নিয়োগসহ নানা বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।  বুধবার (৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও যৌন হয়রানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবিএস মানিক মুনশি। মানিক মুনশির বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে করা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ উচ্চতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন ও প্রতিরোধ সেলে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে।  জানা যায়, গেল বছরের সেপ্টেম্বরে গণিত বিভাগের শিক্ষক মানিক মুনশির বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মানসিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ ওঠে। নিজ স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে জানান ও বিয়ে করার আশ্বাস দেন তিনি। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে বিয়ে করতেও আপত্তি জানান বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। সে সময় তাকে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহরিয়ার ইমনকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে আগেই। তার বিরুদ্ধে আসা তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণও মিলেছে। তবে তাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে এবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাকে। উপাচার্যের গঠিত তদন্ত বোর্ডের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয় একই বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। এ সভায় মিমের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।  এ ছাড়াও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অ্যাকাডেমিক কাজে অসহযোগিতার অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিস্তারিত পর্যালোচনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব রিপোর্টে তার অভিযোগ নিয়ে কোনো সংযুক্তি না থাকায় পুনরায় রিপোর্টকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেসটি নিয়ে পুনরায় পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছে সিন্ডিকেট।  এদিন সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের পদন্নোতি, নিয়োগসহ নানা বিষয়াবলি উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ বিষয়াবলি প্রত্যাহার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো জমে থাকা সকল কাজ দ্রুত সমাধান করতে দ্রুত সময়ে সিন্ডিকেট সভা করছে প্রশাসন। গত চার মাসে তিনটি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সভাপতি অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, সাবেক উপাচার্যের দীর্ঘদিন অসুস্থতা ও তার মৃত্যুর পর অনেকদিন পদ শূন্য থাকায় অনেক জটিলতা বেড়েছিল। পুরোনো সমস্যাগুলোর তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জটিলতা দূর করতে পুরোনো তদন্ত কমিটিগুলোতে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত
সাভার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সভাকক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়।  সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা, সিন্ডিকেট সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মিজানুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. করম নেওয়াজ, বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনসুর মুসা, রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ। এ ছাড়া ভার্চুয়ালি অংশ নেন সিন্ডিকেট সদস্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার খসরু পারভেজ।  সভায় ১৫তম সিন্ডিকেট সভার কার্যবিবরণী, ২৫তম একাডেমিক কাউন্সিল সভার সিদ্ধান্তসমূহ অনুমোদনসহ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  
০২ এপ্রিল, ২০২৪

আ.লীগের বাজার সিন্ডিকেটে বাজার নিয়ন্ত্রণহীন : রিজভী 
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বাজার এখন নিয়ন্ত্রণহীন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।   সোমবার (০১ এপ্রিল) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে রিকশা শ্রমিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে রিজভী এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ অসহায়। কিন্তু দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই।  এ সময় তিনি বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার দেশের পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছিল বলে তাকে ছাত্রলীগ নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছিল। তার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছিল গোটা জাতি। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কারণে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের সন্ত্রাসের রাজনীতি বন্ধ করার জন্য শিক্ষার্থীরা বারবার আন্দোলন করছে। অথচ আমরা দেখলাম আবরারের হত্যাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন আদালত। রিজভী বলেন, দেশে ন্যায় বিচার থাকলে আজকে বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকতেন। তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু সরকার তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না।  বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ডামি সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি পিষ্ট, নির্যাতিত নিম্ন আয়ের মানুষ। এ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে শ্রমিক ও ছাত্র দুই শক্তি দাঁড়াতে পারছে না। তাই লুটপাটের কাহিনি দেখতে হচ্ছে।  এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ তালুকদার , শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, ওলামা দলের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, যুবদলের মেহবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কায়সার, জাকির হোসেন, ছাত্রদলের রাজু আহমেদ প্রমুখ। 
০১ এপ্রিল, ২০২৪

সিন্ডিকেটবাজি নিয়ন্ত্রণের উপায়
বহু বছর ধরেই দেশে সিন্ডিকেটবাজি চলছে বলে ধারণা সাধারণের। এক-এগারোর সরকারের সময় প্রথম সিন্ডিকেটবাজি শব্দটি বেশি করে আলোচনায় আসে। বিগত কয়েক বছরে পেঁয়াজ, আলু, কাঁচামরিচ, ডিম, সয়াবিন তেল, চিনিসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেশ কয়েকবার হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল। সর্বশেষ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি করার ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বাজারে তার দাম এক লাফে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। সরকারের হস্তক্ষেপে এবং বিশেষ অগ্রাধিকারে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি আশ্বাসে তা কিছু কমেছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসার পর দাম কমেছে। সার্বিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করলে এভাবে দ্রব্যমূল্য হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কথা নয়। এর পেছনে সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করে বলে জনমনে ধারণা রয়েছে। বেশ কয়েকটি ছোট-বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে সরকার বিভিন্ন সময়ে আর্থিক শাস্তিও দিয়েছে। এসব শাস্তি নির্দেশ করে যে বাজারে সিন্ডিকেটবাজি সক্রিয়। রমজান, বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি, কোনো পণ্যের কম উৎপাদন কিংবা যেসব দেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা হয়, সেসব দেশে উৎপাদন কম হওয়া অথবা রপ্তানি বন্ধ বা বাড়তি কর বা কোটা আরোপ ইত্যাদি অজুহাত দেখিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে হঠাৎ করে কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সিন্ডিকেটবাজি সম্পর্কে জনমনে এমনই ধারণা। এ ধারণা সঠিক নয়, এমন কথা বলার মতো কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। সিন্ডিকেটবাজির সঙ্গে সরকারের ভেতরে থাকা কর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও ধারণা আছে সাধারণের। এ কাজ এমন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করা হয় যে, সরকারের ওপরমহল চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে এর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।  সিন্ডিকেটবাজি বন্ধ করতে হলে বাজারকে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে। মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রথম এবং প্রধান শর্তই হচ্ছে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার। তা না হলে মুক্তবাজার অর্থনীতি জনকল্যাণে নয়, গুটিকয়েক পুঁজির মালিকের পকেট ভারী করে, সাধারণ মানুষ বেশি দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হয়, সমাজের সম্পদের পুনর্বণ্টন সঠিকভাবে হয় না। বাজারকে কোনো দেশ কোনোকালে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক করতে পারেনি। এর প্রধান কারণ রাষ্ট্রগুলোকে দেশীয় পণ্যের সুরক্ষা দিতে হয়। নইলে দেশ বিদেশনির্ভর হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক রাজনীতি এখনো এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এতটা যৌক্তিক এবং মানবিক হয়নি যে, কোনো দেশ ডেভিড রিকার্ডোর ‘তুলনামূলক সুবিধা তত্ত্ব’ পুরোপুরি মেনে চলতে পারে। তা ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ—এসব লেগেই আছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেহেতু পুরোপুরি বিদেশনির্ভর হওয়া সম্ভব নয়, সেহেতু একটা ভারসাম্যমূলক নীতি নিয়ে একূল-ওকূল দুই-ই রক্ষা করতে হয়। আমাদের জাতীয় সংবিধানেও রয়েছে মিশ্র অর্থনীতির নির্দেশ। মুখে মুখে শুধু মুক্তবাজার অর্থনীতির বাগাড়ম্বর। মিশ্র অর্থনীতি অনুসরণ করে উৎপাদন, আমদানি এবং রপ্তানি নীতি এমনভাবে গ্রহণ করতে হয় যে, কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য কোনোভাবেই সম্পূর্ণরূপে বিদেশনির্ভর হওয়া যাবে না। পুরোপুরি বিদেশনির্ভর হলে কী হয় তার বাস্তব রূপ আমরা করোনাকালে দেখেছি। করোনাকালের আগে ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশ বেশ কিছু খাদ্যদ্রব্যের জন্য আমদানিনির্ভর ছিল, করোনাকালে সেসব দেশ অনেক পণ্য বাজারে পায়নি। আমরা প্রধান খাদ্যদ্রব্যগুলো উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় করোনা আমাদের বড় রকমের কোনো সমস্যা করতে পারেনি। তবে এখনো আমরা জ্বালানি তেলের জন্য পুরোপুরি, চিনি ও ভোজ্যতেলের জন্য অনেকখানি এবং পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ আরও কিছু পণ্যের জন্য খানিকটা আমদানিনির্ভর। এ নির্ভরতার জায়গাটা কতটা লম্বা, চওড়া এবং গভীর তা বেশ ভালো করে বুঝে নিয়ে উৎপাদন, আমদানি ও রপ্তানিনীতি নির্ধারণ করতে হয়। আমরা প্রায়ই দেখতে পাই যে, আমাদের নীতিনির্ধারণী কাজগুলোতে ঠিকমতো মাপজোখ করে করা হয় না। করা হয় তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে। ট্রাবল শুটিং নয়, দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা। কৃষিজাত পণ্যগুলোর উৎপাদনের তথ্য নিয়েও বিভ্রাট দেখা যায়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় একরকম তথ্য দেয়। পরিসংখ্যান ব্যুরো দেয় আরেকরকম। কোনটা সঠিক? সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী এবং বিশ্লেষকরা কার দেওয়া তথ্য নেবে? এ সমস্যা দূরীকরণে আমাদের উৎপাদন পরিমাপ করার পদ্ধতিগুলো আধুনিক করে তুলতে হবে। এতে সরকারের জনবল এবং আর্থিক বিনিয়োগ করার প্রয়োজন আছে। আমরা যদি কোনো কৃষি পণ্যের মৌসুমের সময়ে সঠিকভাবে জেনে যাই যে উৎপাদন কতটুকু হয়েছে, সারা বছর ধরে এ পণ্যের চাহিদা কত হবে এবং ঘাটতি বা উদ্বৃত্ত কী দাঁড়াবে, তাহলে আমদানি ও রপ্তানিনীতি গ্রহণ সহজ হয়। কোনো পণ্যের ওপর কতটুকু কর বসাতে বা তুলে নিতে হবে, কোন পণ্য কতটুকু আমদানি বা রপ্তানি করতে হবে ইত্যাদি পরিমাপ করে আগেভাগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকা যায়। এতে হঠাৎ করে সংকট তৈরি হবে না। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটবাজি করার সুযোগ পাবে না। দেশের অভ্যন্তরে পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি এবং পণ্যের হাতবদলের সঙ্গে সঙ্গে কয়েকগুণ দাম বেড়ে যাওয়া দ্রব্যমূল্য বেশি হওয়ার আরেক বড় কারণ। ছোট, বড় সবরকমের পাইকারদের ওপর সরকারের নজরদারি অত্যন্ত প্রয়োজন। পণ্য সংগ্রহ খরচের সঙ্গে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ যোগ করে দিলে, তা নিয়মিত অনলাইনে মনিটরিং করলে এবং পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারলে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য।  নিত্যপণ্যের সরবরাহ সিন্ডিকেটমুক্ত করতে হলে আমদানি বা রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনোরকম লাইসেন্স, পারমিট, কোঠা ইত্যাদি রাখা যাবে না। যেসব পণ্য আমদানি বা রপ্তানি করতে হবে তার জন্য ছোট-বড় সব ব্যবসায়ীকে অবাধ সুযোগ দিতে হবে। যারা নিত্যপণ্য গুদামজাত করতে চাইবে তাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি গুদামজাত করতে হলে ব্যবসায়ীদের সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এমন নিয়ম করা যেতে পারে—অনুমতির বিনিময়ে তাদের সরকার স্বীকৃত সফটওয়্যারে গুদামজাত পণ্যের তথ্যাবলি সংরক্ষণ করতে হবে, কেনাবেচার তথ্যাবলি প্রতিদিন হালনাগাদ করতে হবে এবং সে তথ্য সরকার যেন যে কোনো সময় দেখতে পায় তার ব্যবস্থা থাকতে হবে। সরকারি গুদামসহ সব পণ্যের ডাটাবেজে অভিগমনের সুযোগ থাকলে সরকার সব পণ্যের বর্তমান মজুত সম্পর্কে হালনাগাদ থাকবে, মজুতদাররা নিয়ন্ত্রণে আসবে, সিন্ডিকেটবাজি দূর হবে।  আমাদের অনেক পণ্য সংরক্ষণের অভাবে পচে যায় মৌসুমের সময় সঠিক দাম পাওয়া না যাওয়ায়। পেঁয়াজের ২৫ শতাংশই পচে যায় বলে আমদানি করতে হয়। তা না হলে আলু-পেঁয়াজসহ অনেক পণ্য আমদানি নয়, রপ্তানি করা যেত। এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আধুনিক গুদাম তৈরি করা দরকার। এ কাজে ব্যাংকগুলো এবং সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।  সিন্ডিকেটবাজি দূর করার জন্য ২০১২ সালে প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের কাজকর্ম জনগণের কাছে দৃশ্যমান নয়। ওপরে যেসব কাজের প্রস্তাব করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করার কাজ প্রতিযোগিতা কমিশন করতে পারে। আইনগতভাবে তারাই এ কাজের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত। প্রস্তাবিত কাজগুলো করতে হলে তাদের লোকবল এবং তথ্যপ্রযুক্তি দরকার হবে। সরকার তাদের পর্যাপ্ত বাজেট দিয়ে শক্তিশালী করে তুললে চিরতরে দূর হবে সিন্ডিকেটবাজি, জনগণ ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাবে, কৃষক তার শ্রমের ন্যায্য দাম পাবে, সুষম বণ্টন হবে সামাজিক সম্পদের, কমে যাবে অর্থনৈতিক বৈষম্য।  লেখক: চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট
৩১ মার্চ, ২০২৪

সিন্ডিকেট চক্র সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে : ডা. ইরান 
সরকার নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও এর কোনো কার্যকারিতা বাজারে নেই বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে কখনোই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি সরকার। কারণ, কালোবাজারি সিন্ডিকেট চক্র সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ লেবার পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইরান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার কেবল হাঁকডাকই দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিলেও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম নিম্নমুখী, তখনো সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। সরবরাহ প্রক্রিয়ায় যাতে সিন্ডিকেটের আধিপত্য তৈরি না হয়, সে ক্ষেত্রে সরকারের যে বহুবিধ ভূমিকা প্রয়োজন, সেসব পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করেনি। সরকার সিন্ডিকেটকে সুবিধা করে দিতে ভারসাম্য তৈরি থেকে বিরত থেকেছে। ফলে কতিপয় কোম্পানিই পুরো বাজারে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। সরকারের ছায়াতলে থাকা এসব সিন্ডিকেট জনগণের পকেট থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ লেবার পার্টির সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রাজু, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্মমহাসচিব তরিকুল ইসলাম সাদী, মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ) ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব ইমাম উদ্দিন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন মহানগর সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, লেবার পার্টির মহানগর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আরিফ সাকিল ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. পারভেজ বেপারী প্রমুখ।
২৯ মার্চ, ২০২৪

কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন / সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ : কৃষিমন্ত্রী
‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এই স্লোগানে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের (বাফা) উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় রাজধানীতে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির পাশে বঙ্গবন্ধু চত্বরে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রম করে কৃষকরা এ তরমুজ চাষ করেন। সেই কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও উন্নতির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  মন্ত্রী বলেন, বাফা নেতারা আমার সঙ্গে যখন পরামর্শ করতে এলো, তখন আমি তাদের বললাম, ভোক্তারা তরমুজ খেতে চায়, কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় অনেকে কিনতে পারছেন না। আপনারা উদ্যোগ নিন। এরপর তারা এ উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি, এটি সিন্ডিকেট ভাঙার একটি বড় উদ্যোগ।  সিন্ডিকেটের তথ্য গণমাধ্যমে আরও বেশি করে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের বিরাট পার্থক্য রোধে সরকার কাজ করছে। আপনারা গণমাধ্যমে সিন্ডিকেটের তথ্য আরও বেশি করে তুলে ধরুন। কোথাও সিন্ডিকেটের তথ্য পেলে সেটি ভাঙতে আমরা দেরি করব না।  মন্ত্রী বলেন, সরকার তো জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য সরকারের অনেক উদ্যোগ রয়েছে। কিন্তু সব উদ্যোগ সারা দেশে একসঙ্গে নেওয়ার মতো জনবল ও বিশেষজ্ঞ নেই। তারপরও আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য যতটুকু পারছি কাজ করে যাচ্ছি।  বাফার সভাপতি এ কে এম নাজিব উল্লাহ্ বলেন, কৃষকরা যে মূল্যে পণ্য উৎপাদন করে এবং বিক্রি করে ভোক্তারা সেই দামে পণ্য পায় না। ভোক্তারা কয়েকগুণ বেশি দামে সেই পণ্য কিনে। যার ফলে পণ্যের দামের তফাৎ অনেক বেশি দেখি। এটা সমন্বয় হওয়া দরকার। বাড়তি দামের সুবিধা কৃষকরা পায় না। মধ্যস্বত্বভোগীরা লভ্যাংশটা খেয়ে ফেলে, তাদের আটকাতে হবে। এজন্য আমরা কৃষকের দামে তরমুজ বিক্রির এ উদ্যোগটি নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা সারা দেশের মানুষকে দেখাতে চাই, তরমুজের দাম বেশি না। কিন্তু বেশি দামে এটি বিক্রি হচ্ছে।  রোজার শুরুতে বা আরও আগে এ উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো না- এমন প্রশ্নের জবাবে বাফার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, তরমুজের ভরা মৌসুম এখনো শুরু হয়নি। রমজানের শুরুতে যেসব তরমুজ বাজারে এসেছিল, তার বেশির ভাগই ছিল অপরিপক্ব। আমরা শুধু কম দাম নয়, কোয়ালিটিও নিশ্চিত করতে চেয়েছি। সেজন্য, এ সময়টি বেছে নিয়েছি।  বাফা নেতারা জানান, আজ দুপুর থেকে কৃষকের দামে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসেবে বিক্রি শুরু হয়েছে। কৃষক সরাসরি তার উৎপাদিত তরমুজ বিক্রি করছেন।  রাজধানীর ৫টি স্থানে এই কার্যক্রম চলছে। স্থানগুলো হলো- খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার। ২৭ রমজান পর্যন্ত এই উদ্যোগটি চলবে এবং পরবর্তীতে বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তরমুজ কেনায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে এবং আজ প্রথমদিনে ৫টি স্থানে ২ হাজার ৫০০টি তরমুজ কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাফা।
২৮ মার্চ, ২০২৪
X