লাখ টাকা বেতনের স্বপ্ন দেখছে লোহাগাড়ার তরুণেরা
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের সিপাহি পাড়ার ৬৫ বছর বয়সী আব্দুল হাকিম। পেশায় কৃষক। ৩ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে বড় দুই ছেলে বিএ-অনার্স পাস করেও দেশে ভালো কোনো চাকরি পাচ্ছিল না। বেকার থেকে এলাকার বিভিন্ন বাজে ছেলেদের সঙ্গে মেলামেশা শুরু করে। আব্দুল হাকিমের মনে তখন ভয় ধরে যায়। অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে জমি বিক্রি করে দুই ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়।  ছোট ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের এক বছর আগে এসএসসি পাস করলে তার বাবা তাকে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করান নাই। কারণ তিনি ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন। তার মনে সংশয় লেগেছিল যে লেখাপড়া শেষ করেও চাকরি হবে না। অবশেষে তিনি আশার আলো দেখতে পেলেন। তার ছেলেকে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন। শুধু আব্দুল হাকিম নন দক্ষিণ চট্টগ্রামের হাজারো অভিভাবকের মাঝে স্বস্তি এনেছে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। গত বছর আধুনগর হাইস্কুলের পাশে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ তলা ভবন নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের জন্য যন্ত্রপাতি কিনতে খরচ হয়েছে ২ কোটি টাকা। দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান নোমান গ্রুপ নিজ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছেন। প্রতিষ্ঠানে ৪ বছর মেয়াদি ইলেকট্রিকেল, ইলেকট্রনিক্স, সিভিল ও কম্পিউটার সায়েন্স ৪ বিভাগের ক্লাস রয়েছে। এখান থেকে পাস করতে পারলেই চাকরি মিলবে দেশের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে।  বিশেষ করে এই কলেজ থেকে পাস করতে পারলে নোমান গ্রুপের অর্ধশত গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন উক্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার এলাকায় বর্তমানে লাখো তরুণ সাধারণ বিষয় নিয়ে লেখাপড়া শেষ করে চাকরি পাচ্ছে না। বেকার হয়ে থাকছে। তাই আমি তাদের কথা চিন্তা করে এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছি।  তিনি আরও বলেন, আমার গার্মেন্টসে অনেকেই দেশের বিভিন্ন টেকনিক্যাল কলেজ থেকে পাস করা ছেলে দেড়-দুই লাখ টাকা বেতনে চাকরি করছে। আমি চাই, আমার এলাকার সন্তানরা টেকনিক্যাল কলেজ থেকে পাস করে আমার প্রতিষ্ঠানে বা দেশের ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে প্রতিষ্ঠিত হোক। এ ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠান থেকে পাস চাইলে সহজেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও অনায়াসে চাকরি করতে পারবে। আলহাজ নুরুল ইসলামের এমন আশার বাণী শুনে আশান্বিত হয়ে আব্দুল হাকিম তার ছোট সন্তান মোহাম্মদ জোবায়েরকে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দেন। তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম লেখাপড়া করে যেহেতু কোনো চাকরি হয় না, তাই তাকে আর লেখাপড়া করাব না। কিন্তু নুরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান দেখে এবং তার কথা শুনে আমি আমার সন্তানকে তার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দিয়েছি। আব্দুল হাকিমের সন্তান কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হয়েছে। সে এবং তার সহপাঠীরা বলে আমরা এমন একটি কর্মমুখী প্রতিষ্ঠান পেয়ে খুবই আনন্দিত।  শুধু আব্দুল হাকিম নন, লোহাগাড়াসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দিচ্ছেন। যে কোনো সালের এসএসসি বা সমমনা সনদ নিয়ে বা অনার্স পড়ুয়া ১ম, ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরাও কলেজে ভর্তি হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল আমিন। তিনি বলেন, বর্তমানে অনার্স শিক্ষার্থীরাই আমাদের কলেজে বেশি ভর্তি হতে আসছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে এটিই একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেখান থেকে পাস করে কাউকে বেকার থাকতে হবে না- এমন নিশ্চয়তা রয়েছে। আলহাজ নুরুল ইসলামের কন্যা সাদ গ্রুপের কর্ণধার নুরে ইয়াছমিন ফাতিমা বলেন, আমরা আমাদের বাবার প্রতিষ্ঠানকে সারা দেশের জন্য একটা মডেল হিসেবে দেখাতে চাই। এ জন্য আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ করব। তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। এগুলো শেষ করতে আরও ২ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। দেশের তরুণ যুবকদের কল্যাণের জন্য যে কেউ চাইলে এই প্রতিষ্ঠানে সহায়তা করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
১৩ মে, ২০২৪

সোমাদের অলিম্পিক স্বপ্ন
দক্ষিণ এশিয়ার বাছাই থেকে অলিম্পিক টেবিল টেনিসের টিকিট নিশ্চিত করার কাজটা কঠিন হলেও আশাবাদী বাংলাদেশ। আজ শুরু হতে যাওয়া আসর নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানালেন সোনাম সুলতানা সোমা। ভারত আগেই অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করায় এবার বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সামনে সুযোগ এসেছে। পুরুষ ও নারী বিভাগে এ অঞ্চল থেকে একজন করে প্যাডলার প্যারিস অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করবেন। পুরুষ বিভাগে পাকিস্তান না থাকায় লড়াইটা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও নেপালের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। নারী বিভাগে পাকিস্তানকে নিয়ে দল সংখ্যা পাঁচ। প্রতিটি দেশের দুজন করে প্যাডলার আসরে অংশগ্রহণ করছেন। নেপালের কাঠমান্ডুতে টেবিলের লড়াই শুরুর আগে সোনাম সুলতানা সোমা কালবেলাকে বলছিলেন, ‘ভারত না থাকায় আমাদের সামনে এবার ভালো সুযোগ এসেছে। তারপরও কাজটা কঠিন। কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আমরা অবশ্য প্রস্তুত। চ্যালেঞ্জ জয় করতে পারলে সেটা হবে স্বপ্ন পূরণের মতো বিষয়।’ নারী বিভাগে সোনাম সুলতানা সোমার সঙ্গে আছেন সাদিয়া রহমান মৌ। ছেলেদের বিভাগে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন রামহিম লিওন বম ও মুহতাসিম আহমেদ হৃদয়। প্রতিযোগিতায় একক ইভেন্টে খেলা হবে।
১৩ মে, ২০২৪

স্বপ্ন পূরণ হয়েছে অদিতির
অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারি। গল্পনির্ভর ও একাধিক ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। এবার সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হীরামন্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার’ ওয়েব সিরিজে ‘বিব্বো জান’ হয়ে চমকে দিয়েছেন সবাইকে। নিজেও জানালেন স্বপ্নপূরণ হওয়ার মতোই একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘হীরামন্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার’ ওয়েব সিরিজ নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর থেকেই কাজটি নিয়ে চলছে আলোচনা। বিভিন্ন চরিত্রও হচ্ছে প্রশংসিত। এর মধ্যে হায়দারি তার নিজের চরিত্র নিয়ে বলিউড হাঙ্গামাকে বলেন, ‘নির্মাতা যেখানে সঞ্জয় লীলা বানসালি। সেখানে আলাদা করে কিছু বলার নেই। আমি শুধু এটুকু বলব, প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর স্বপ্নের কিছু কাজ থাকে। যেগুলো তারা করতে চান। আমি তেমনই একটি গল্পে কাজ করলাম। যেই চরিত্রের নাম ‘বিব্বো জান’। এর আগে অনেক চরিত্রেই দর্শক আমাকে দেখেছে। প্রশংসিতও হয়েছি। তবে এ চরিত্রটি আমার কাছে আগের সব চরিত্র থেকে আলাদা হয়ে থাকবে। কারণ এটি আমার স্বপ্নের চরিত্র হয়ে থাকবে।’ ১ মে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় ‘হীরামন্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার’। এ সিরিজে অদিতি ছাড়া আছেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, সানজিদা শেখ, শারমিন সেহগল।
০৭ মে, ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ওদের
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন জয় করার লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ৯ শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীর মাঝে কেউ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, কেউ লিখতে অক্ষম আবার কেউবা বাকপ্রতিবন্ধী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত একজন সাহায্যকারীর মাধ্যমে পরীক্ষা দেন তারা। শুক্রবার (৩ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি পরীক্ষা দেয় এ নয় শিক্ষার্থী। তারা হলেন- ইফফাত জানাহ বিথী, আবু ফারেজ, হুমাইরা জাহান জিনিত, নুসরাত জাহান কাকলী, আসফিয়া তাসনিম রুহি, হিজবুল্লাহ, সোনিয়া আক্তার, হানিফা মুন্সি হ্যাপি, মাসুদ শাহরিয়ার।  ছোটবেলা থেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার স্বপ্ন বুনতে থাকেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজ থেকে আসা ইফফাত জাহান বিথী নামের এক পরীক্ষার্থী। তিনি বলেন, আজ আমার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ইতিহাস নিয়ে পড়ার ইচ্ছা আমার। আমার মূল লক্ষ্য হলো বিসিএস। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমার মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করতে চাই।  ফেনী পরশুরাম ইসলিমা ডিগ্রি মাদ্রাসা থেকে আসা আরেক পরীক্ষার্থী আসফিয়া তাসনিম রুহি বলেন, আমি লিখতে অক্ষম। তা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমি সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছি। প্রশ্নের মান আমার কাছে ভালোই মনে হয়েছে। আমার লোকপ্রশাসন বিষয় নিয়ে আমার পড়ার ইচ্ছা। যদি জগন্নাথ বিশ্বববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হলে আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হব। এদিন মেডিকেলে পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল উপপ্রধাম চিকিৎসক মিতা শাবনম বলেন, আমাদের এখানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা খুব সুন্দরভাবেই পরীক্ষা দিয়েছে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একজন শ্রুতিলেখক দেওয়া হয়েছে। এসব পরীক্ষার্থী যাতে সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে পারে সে জন্য আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম।
০৩ মে, ২০২৪

স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে সৌদি নারী
চলতি বছর মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার আসরে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের কোনো প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেন। চলতি সপ্তাহে মিস ইউনিভার্সের আয়োজক কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে। সৌদি আরবের এক মডেল গত মাসের শেষের দিকে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নির্বাচিত হয়েছেন বলে দাবি করার পর এমন কথা বলেছে আয়োজক সংস্থা। গত মার্চের শেষের দিকে সৌদি মডেল রুমি আল কাহতানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে দাবি করেন, তিনি আসন্ন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন এবং এতে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। রিয়াদের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী কাহতানি ওই ইনস্টাগ্রাম পোস্টের সঙ্গে নিজের কিছু ছবিও প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে দেখা গেছে, সবুজ রঙের পোশাক পরা কাহতানি সৌদি আরবের পতাকা ধরে রেখেছেন। এর এক সপ্তাহ পর মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতি দেয়। তারা দাবি করে, কাহতানির পোস্টটি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর। তাদের দাবি, সৌদি আরবে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার জন্য কোনো বাছাই প্রক্রিয়া চালানো হয়নি। সম্প্রতি মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সমন্বয়ক মারিয়া হোসে উন্ডা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘সৌদি আরব থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীকে বেছে নিতে এখন কঠোর যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সংস্থাটি।’ উন্ডার ধারণা, মিস ইউনিভার্সের আগামী সংস্করণ শুরুর আগেই সৌদি আরবের প্রতিযোগী নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে। আগামী সেপ্টেম্বরে মেক্সিকোতে এ প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা রয়েছে। উন্ডার তথ্য অনুসারে, মিস ইউনিভার্সের মূল আসরে প্রতিযোগী পাঠানোর আগে সৌদি আরবে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে প্রতিনিধি বাছাই করা হবে। কাহতানি যদি মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান, তবে তাকে আগে জাতীয় পর্বের প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে হবে। রিয়াদের বাড়িতে কাহতানির সঙ্গে এএফপির প্রতিনিধির কথা হয়। কাহতানি বলেন, মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি আলোচনার মধ্যে আছেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত বলেননি। সৌদি আরব থেকে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগী পাঠানোর মধ্য দিয়ে বোঝা যাবে, অতি রক্ষণশীল ভাবমূর্তি থেকে সরে আসার জন্য এটি সৌদি আরবের আরও একটি প্রচেষ্টা। অতি রক্ষণশীল অবস্থান থেকে সরে আসার মধ্য দিয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান পর্যটক এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। সৌদি আরব হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক দেশ। সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা এরই মধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ২০২২ থেকে কার্যকর হওয়া একটি আইন এখনো নারীদের জন্য বৈষম্য তৈরি করছে। বিয়ে, বিচ্ছেদ এবং সন্তান লালনপালনের ক্ষেত্রে আইনটি বৈষম্যমূলক।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ভোজ্যতেলে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে এসিআইয়ের সূর্যমুখীর হাইসান-৩৬ জাত
দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে আমদানি নির্ভরশীলতা কমিয়ে সূর্যমুখী চাষের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কথা জানিয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান এসিআই সিড। সম্প্রতি বরিশাল এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে এসিআই সিডের বাজারজাতকৃত হাইব্রিড সূর্যমুখী হাইসান-৩৬ জাতের চাষে সফলতা লাভ করায় এ কথা জানিয়েছে এসিআই সিড। এ নিয়ে গত ১৮ মে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালীর রানীপুর গ্রামে মাঠ দিবসের আয়োজন করে এসিআই সিড। সেখানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চল বরিশালের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এটি অন্য যেকোনো তেল থেকে ১০ গুণ বেশি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। ফলে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত এসিআই সিডের বিজনেস ডিরেক্টর সুধীর চন্দ্র নাথ। তিনি বলেন, হাইসান-৩৬ একটি স্বল্পমেয়াদি, খরা ও লবণাক্ত মাটি সহনশীল তেল জাতীয় ফসল। এর জীবনকাল ১০০-১১০ দিন এবং তেলের পরিমাণ ৪৬-৪৮ শতাংশ। জাতটির ফলন বিঘাপ্রতি ১১ দশমিক ৭৫ মণ।  তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২৪ লাখ টন যার মধ্যে ২১ দশমিক ১ লাখ টন বা ৮৮ শতাংশই আমদানি করতে হয়। আমাদের লক্ষ্য দেশেই উৎপাদিত ভোজ্যতেল দিয়ে অন্তত ৪০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করা। হাইসান-৩৬ জাতটি এ অঞ্চলের জন্য আবহাওয়া উপযোগী ও লবণাক্ত মাটি সহনশীল জাত। সেইসঙ্গে এটি কৃষকদের জন্য একই সময় চাষকৃত ডাল ফসলের চেয়ে অনেক বেশি লাভবান বলে জানায় এসিআই সিড।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের নতুন স্বপ্ন
বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে স্বপ্নের মতো অভিষেক হয়েছিল স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের। সুখ স্মৃতি উবে যেতেও সময় লাগেনি। প্রিমিয়ার লিগের পর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে অবনমন ঘটে ক্লাবটির। সিনিয়র ডিভিশন লিগে অবস্থান করা দলটি নতুন নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছে। ধাপে ধাপে প্রিমিয়ার লিগে ফিরে আসার লক্ষ্য নিয়ে পরীক্ষিত কোচ কামাল বাবুকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। ক্লাবটির সভাপতি সৈয়দ গোলাম রূপস নতুন মিশনে ফুটবলারদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি, তোমাদের জন্য সর্বোচ্চ মানের ফুডিং-লজিং এবং লজিস্টিক সাপোর্ট নিশ্চিত করব। তোমাদের সেরা মানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। ক্রীড়া সরঞ্জামও হবে সর্বোচ্চ মানের। যাতে অন্য ক্লাবের খেলোয়াড়রা তোমাদের দেখে হিংসা করে। আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে তোমাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার। তোমরা কেবল নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করো। আমাদের লক্ষ্য একটাই, ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়া। চ্যাম্পিয়ন হতে হতে প্রিমিয়ার লিগে ফেরা।’ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমানও স্বপ্ন দেখছেন, ‘কামাল বাবুর কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। কামাল বাবুর অধীনে আপনাদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেই চেষ্টা করব। আপনারা শুধু ভালো খেলা উপহার দিন। ক্লাবকে সম্মানিত করুন। আপনাদের উদ্দেশ্য আপনারা হাসিল করেন, সঙ্গে সঙ্গে ক্লাবের ভালো খেলে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য পূরণ করুন।’
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘সবসময় স্বপ্ন ছিল চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার’
২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেকে পরিচিত করে তোলেন বাংলাদেশের পেস বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। অভিষেকের পরের বছর থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিএলে নিয়মিত মুখ তিনি। হায়দ্রাবাদ থেকে শুরু করে মুম্বাই, রাজস্থান ও দিল্লি ঘুরে তার বর্তমান ঠিকানা এখন মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই। চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সিতে দুর্দান্ত সময় কাটছে বাংলাদেশের এই তারকা পেসারের। দলটির হয়ে ৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে চেন্নাই সমর্থকদের মনেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এবার চেন্নাইয়ের মিডিয়া টিম বাংলাদেশের এই তারকাকে সমর্থকের সামনে পরিচিত করে তুলতে ফিজের একান্ত একটি সাক্ষাতকার তাদের সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। সেখানে অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে জানালেন আইপিএলে শুরু থেকেই চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার স্বপ্নের কথা। চেন্নাইয়ের লায়ন্স আপ ক্লোজ অনুষ্ঠানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোস্তাফিজ জানান দলের হয়ে আগে থেকে তার খেলার স্বপ্ন দেখার কথা। ফিজ আরও জানান, আইপিএলে খেললে একজন ক্রিকেটার অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস পায়, তবে জাতীয় দলের হয়ে বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলতেই তিনি বেশি অনুপ্রাণিত হন। সাক্ষাৎকারে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের এই বাংলাদেশি পেসার বলেন, ‘আসলে এটা চেন্নাইয়ের হয়ে আমার প্রথমবার খেলতে আসা। ২০১৬ সালে আইপিএলে (হায়দ্রাবাদে) আমার অভিষেক হয়, তবে আমার স্বপ্ন ছিল চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার। তাই যখন নিলামের পর চেন্নাই টিম ম্যানেজমেন্টের কল আসে, এরপর থেকে সারারাত আর ঘুম আসতেছিল না। একরকম উত্তেজনা কাজ করছিল। কিন্তু পরদিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ছিল, তাই ঘণ্টাখানেকের মতো ঘুমাই, এরপর থেকে শুধু মেসেজ আসতেছিল। রাত দেড়টার মতো বাজে তখন, সবাই আমাকে অভিনন্দন জানাতে থাকে।’ এ ছাড়াও চেন্নাই দলের অভ্যন্তরীন বন্ধন সম্পর্কেও কথা বলেন তিনি। জানালেন  ধোনি-ব্রাভোদের সঙ্গে কি কথা হয় তার। মোস্তাফিজ বলেন, ‘এখানকার সবাই খুব আন্তরিক, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের। প্রথম দিন থেকেই মানিয়ে নিতে আমার কোন সমস্যা হয়নি। জাতীয় দলে আমার যেমন সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, তেমনি এখানেও শুরু থেকেই আমার অস্বস্তি লাগেনি। এখানে বড় ভূমিকা ছিল মাহি (মহেন্দ্র সিং ধোনি) ভাইয়ের, ডিজে ব্রাভো (চেন্নাইয়ের বোলিং কোচ) এবং অন্যান্য কোচিং স্টাফের। ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সেট-আপ থেকে শুরু করে ছোট ছোট কিছু বিষয় জানায়, সেগুলো আমার ডেথ ওভারের বোলিংয়ে খুব ভালো কাজে লাগে।’ ফিজ আরও ধোনির সাথে কি কথা হয় সে সম্পর্কেও বলেন, ‘মাহি ভাইয়ের সঙ্গে বেশিরভাগ সময় বোলিং নিয়েই কথা হয়, তবে যা হয় মাঠেই। এর বাইরে তেমন কথা হয় না। মাহি ভাই এসেই বলেন যে এটা (কৌশল) করলে ভালো হয়।’ এছাড়াও আইপিএলে খেলার প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, একজন ক্রিকেটার আইপিএলের মতো আসরে খেললে অনেক আত্মবিশ্বাস পায়, পুরো টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক সব তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে যদি আমি সফল হই, যেকোনো জায়গায় সফল হওয়াটা সহজ হবে আমার জন্য।’ তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলা যে ফিজের কাছে বাড়তি মর্যাদার সেটি জানাতেও ভুললেন না। ফিজ বলেন ‘যখন আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলি তখন বাড়তি প্রেরণা কাজ করে। আর বিশেষ করে যখন ভারত, পাকিস্তানসহ অন্য বড় দলের সঙ্গে খেলি, যেখানে হাইলাইটস হয় বেশি, সবমিলিয়ে বড় দলের সঙ্গে খেলতে সবসময় ভালো লাগে। এসব ম্যাচে দর্শক থাকে অনেক বেশি।’
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আইপিএল খেলার স্বপ্ন শরিফুলের, তবে…
জাতীয় দল, বিপিএলের পর এবার প্রিমিয়ার লিগেও বল হাতে দারুণ ছন্দে শরিফুল ইসলাম। তিন ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে আবাহনীকে শিরোপার পথে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। অথচ এ সময়টা চাইলেই আইপিএলে কাটাতে পারতেন বাঁহাতি এ পেসার। বিশ্বসেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে খেলার জন্য প্রস্তাব পেয়েও যাওয়া হয়নি তার। কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে পাওয়া অনাপত্তিপত্রে (এনওসি) পুরো সিজনের জন্য সুযোগ মেলেনি শরিফুলের। এতে অবশ্য আক্ষেপ না থাকলেও একদিন আইপিএলে খেলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। তবে তাতে আবার বড় বাধা জাতীয় দলের ব্যস্ততা! সেজন্যই সে ব্যস্ততা না থাকুক, এটাও মনে করিয়ে দিলেন ২২ বছর বয়সী এ পেসার। কয়েক মাস আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা বোলার হয়েছিলেন শরিফুল। তার দল দুর্দান্ত ঢাকা ভালো না করলেও বোলিংয়ে দারুণ ছন্দময় ছিলেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজেও তার ছাপ ছিল স্পষ্ট। দারুণ ছন্দময় এই পেসারকে তাই এ আসরে দলে পেতে আগ্রহ দেখিয়েছিল আইপিএলের দল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্ট। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টের জন্য এনওসি না পাওয়ায় আর যাওয়া হয়নি তার। গতকাল প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ শেষে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শরিফুলই বলেছেন সে কথা, ‘লক্ষ্ণৌ থেকে আমাকে এসএমএস দেওয়া হয়েছিল, তারা আমাকে চাচ্ছিল। কিন্তু এনওসির সময়টা খুব কম ছিল, যার জন্য তারা আর কোনো উত্তর দেয়নি।’ পুরো সিজনের জন্য হলে সুযোগ হতো বলে বিশ্বাস বাঁহাতি এ পেসারের, ‘হয়তো যদি ফুল এনওসিটা দিত বিসিবি, তাহলে হতো (খেলার সুযোগ)। কিন্তু আমাদের যেহেতু জিম্বাবুয়ে সিরিজ আছে। সেটা চিন্তা করে এনওসিটা ওভাবে দেওয়া হয়েছিল।’ ২০২২ সালে আইপিএলে একই ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদও। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য সুযোগ মেলেনি তার। এবার একই পরিস্থিতির স্বীকার শরিফুল। আইপিএলে খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ইচ্ছা তো আছে সুস্থ থাকলে যেভাবে যাচ্ছে এভাবে গেলে ইনশাআল্লাহ একদিন খেলব আইপিএল। যদি তখন কোনো খেলা না থাকে (জাতীয় দলের)। তাই আশা থাকবে, ইচ্ছাও আছে—হয়তো সুযোগ পেলে ভালো কিছু করব ইনশাআল্লাহ।’ শরিফুলের এমন আত্মবিশ্বাসের কারণ তারই স্বদেশি মুস্তাফিজুর রহমান। এবারের আইপিএলে খেলা বাংলাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় তিনি। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে এখন পর্যন্ত ভালোই ছন্দে মুস্তাফিজ। ছন্দের কারণও নাকি শরিফুলের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন মুস্তাফিজ। শরিফুলের মুখ থেকেই শুনুন সে কথা, ‘উনি বলেন যে, ওখানে (আইপিএল) চাপ কম। তার জন্যই হয়তো বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে।’ শরিফুলেরও বিশ্বাস, একদিন তিনিও আইপিএলে সুযোগ পেলে ভালো খেলবেন।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

গানারদের ক্লাব বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ
সর্বশেষ ২০০৮-০৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ১৪ বছর পর গানারদের কাছে আবার সুযোগ ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার, শুধু হারাতে হতো গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ বায়ার্ন টিমকে। তবে সেই কাজে ব্যর্থ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা।    বুধবার (১৭ এপ্রিল) বায়ার্নের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে ১-০ গোলে হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় গানাররা। তবে আর্সেনাল শুধু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেয়নি একই সঙ্গে আরেকটি টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জায়গা হারাল গানাররা। আগামী বছরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নতুন ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপেও খেলা হচ্ছে না আর্সেনালের। ঘরের মাঠে বায়ার্নের বিপক্ষে দাপট বজায় রেখেও ড্র করতে হয় আর্সেনালের। আলিয়াঞ্জ এরিনায় অবশ্য আর পেরে ওঠেনি আর্সেনাল। জসুয়া কিমিচের একমাত্র গোলে আর্সেনালকে হারিয়ে সেমির টিকিট কাটে বায়ার্ন। এদিকে এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আগামী বছরে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসা নতুন ফরম্যাটের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপেও খেলা হচ্ছে না আর্সেনালের। ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপে এবার ইউরোপ থেকে মোট ১২টি ক্লাব অংশ নেবে। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমসহ শেষ তিন মৌসুমের শিরোপাজয়ী দলগুলোর জায়গা আগেই নিশ্চিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বার্সেলোনার বিদায়ে তারাও ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা হারিয়েছে। বার্সেলোনার জায়গায় ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছেন আরেক স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। এরপর ইউরোপের ক্লাবগুলোর জন্য আরেকটি স্পট ফাঁকা ছিল ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়ার জন্য। সেই এক স্পটের জন্য প্রতিযোগিতায় ছিল দুই দল। আর্সেনাল ও সালজবার্গ। কালকের ম্যাচ হারায় ইউরোপ থেকে সর্বশেষ জায়গাটি পাচ্ছে অস্ট্রিয়ান ক্লাব আরবি সালজবার্গ। এদিকে র‍্যাঙ্কিং বিবেচনায় ক্লাব বিশ্বকাপে ইউরোপ থেকে আগেই জায়গা করে নিয়েছে- বায়ার্ন মিউনিখ, পিএসজি, ইন্টার মিলান, পোর্তো, বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড, বেনফিকা, য়্যুভেন্তাস, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ এবং সালজবার্গ। আর গত তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দল ম্যানচেস্টার সিটি, রিয়াল মাদ্রিদ ও চেলসি তাদের জায়গা আগে থেকেই নিশ্চিত করেছে। আগামী বছর জুনের ১৫ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বসবে বসবে নতুন ফরম্যাটের এই প্রতিযোগিতা। বেশ মোটা অঙ্কের প্রাইজমানি থাকবে অংশগ্রহণকারী সব ক্লাবের জন্য। তবে কতও তা এখনো বিস্তারিত জানানো হয়নি।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪
X