বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
শাহজালালে ৪০ স্বর্ণের বার উদ্ধার, আটক ২
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গতকাল শনিবার ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ সময় ২ জনকে আটক করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। আটকরা হলো, নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল (৫১) এবং তার সহযোগী কামাল হোসেন (২৯)। হেলালের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বসুরহাট থানার চরকাগা গ্রামে। তার বাবার নাম মুর্শিদ আলম। কামালের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার দক্ষিণ বগুলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. করিম। গতকাল বিকেলে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক এ কথা জানান। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও এনএসআই। হেলাল অন্যান্য দিনের মতো গতকালও ডিউটিতে আসে। এরপর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেট দিয়ে বের হয়। এ সময় হেলালকে এক সহযোগীসহ ডমেস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠতে দেখা যায়। এরপর বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা অটোরিকশার গতিরোধ করে তাদের এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদে কামালের সঙ্গে থাকা কাঁধ ব্যাগের ভেতর থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৪০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়, যার ওজন ৪ কেজি ৬৪০ গ্রাম (প্রায়)। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। কামাল জানায়, হেলাল তাকে এ স্বর্ণের বারগুলো দেয়। এগুলো গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারলে সে ১০ হাজার টাকা পেত।
১৭ মার্চ, ২০২৪

সিগারেটের প্যাকেটে মিলল ১৪ স্বর্ণের বার
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া সিগারেটের প্যাকেট থেকে ১৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। বারগুলোর ওজন দেড় কেজিরও বেশি। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে বিমানবন্দরের কনভেয়ার বেল্ট থেকে স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ১৪টি স্বর্ণের বারের ওজন ১ কেজি ৬৩১ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, একটি কনভেয়ার বেল্টে মালিকবিহীন সিগারেটের প্যাকেটটি কয়েকবার ঘোরার পর সন্দেহ হলে সেটি খুলে স্বর্ণের বারগুলো পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে কেউ এসব স্বর্ণ এনেছেন।
২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

পঞ্চগড় সীমান্তে চার কেজি স্বর্ণের বার উদ্ধার
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪ কেজি ৮৬ গ্রাম ওজনের (৩৯১ ভরি ৪ আনা) পাঁচটি বিভিন্ন আকারের স্বর্ণের বার ও ১৫টি বিস্কুট বার উদ্ধার করেছে বিজিবি সদস্যরা। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্তের রমজান পাড়া গ্রাম থেকে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার স্বর্ণের বাজারমূল্য আনুমানিক ৩ কোটি ৫১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় গিরাগাঁও বিওপিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল যুবায়েদ হাসান। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে সীমান্তের রমজানপাড়া এলাকায় ৪১০ নম্বর মেইন পিলারের কাছে জমির কাটা ধান আঁটি বাঁধছিল ৩-৪ জন শ্রমিক। এ সময় বিজিবির গিরাগাঁও বিওপির টহল দল ওই এলাকায় টহল দেওয়ার সময় সন্দেহ হয়। তারা শ্রমিকদের সাথে কথা বলার জন্য এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ধানের আঁটির নিচ থেকে একটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। ওই প্যাকেট থেকে পাঁচটি বিভিন্ন আকারের স্বর্ণের বার ও ১৫টি বিস্কুট বার পাওয়া যায়। যার ওজন ৪ কেজি ৮৬ গ্রাম (৩৯১ ভরি ৪ আনা)। পরে আমরা স্বর্ণের বারগুলো পঞ্চগড় জেলা শহরের বানিয়াপট্টি এলাকায় একটি স্বর্ণের দোকানে নিয়ে পরীক্ষা করি এবং সোনাগুলো আসল বলে নিশ্চিত হই। আমরা জমির মালিক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছি আমরা। তবে এ ঘটনায় আটোয়ারী থানায় বিজিবির পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করা হবে। স্বর্ণের বারগুলো থানায় জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। এ সময় পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মেজর রিয়াদসহ গিরাগাঁও ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার ফারুক হোসেনসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ১৭-১৯ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ২২ কেজি ২৯ গ্রাম ওজনের ২২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার ও জুয়েল নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করে বিজিবি নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঘাগড়া ক্যাম্পের সদস্যরা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

ভারতগামী যাত্রীর মলদ্বারে মিলল স্বর্ণের বার
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপ‌জেলার দর্শনা চেকপোস্টের টহল বিজিবি সোহাগ হাসান (২৪) না‌মে এক পাসপোর্টধা‌রী যাত্রীর মলদ্বার থেকে ৬ টি স্বর্ণের বার (৭শ গ্রাম) উদ্ধার করেছে। আটককৃত সোহাগ শরীয়তপুর জেলার মেহেরালি গ্রামের গোলাম মওলার ছেলে। আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৩ টায় এগুলো উদ্ধার করা হয়। বিজিবি সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞ‌প্তি মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানায়, বু্ধবার বিকেলে শরীয়তপুর জেলার মেহেরালি গ্রামের গোলাম মওলার ছেলে সোহাগ হাসান দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। তার গতিবিধি সন্দেহজনক দেখে বিজিবি তা‌কে আটক ক‌রে দর্শনার একটি ক্লি‌নি‌কে তার শরীর এক্সরে ক‌রে দেখ‌তে পায় তার মলদ্বারে বিশেষ ব্যাবস্থায় ৬ টি স্বর্ণের বার লুকানো আছে। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পি এস সি জানান, এ বিষয়ে চেকপোস্ট বিজিবির টহল কমান্ডার আ. জলিল বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করে আসামিকে সোপর্দ ক‌রে‌ছে। উদ্ধারকৃত স্ব‌র্ণের বারগু‌লো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা করার প্র‌ক্রিয়া চল‌ছে।
১১ অক্টোবর, ২০২৩

মরদেহে বাঁধা ছিল ১০ কেজি স্বর্ণের বার
চুয়াডাঙ্গার ভারত সীমন্তবর্তী দর্শনা থানার বারাদী সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালাকালীন বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে দু’চোরাকারবারী মাথাভাঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় একজন সাাঁতরে উঠে পালাতে সক্ষম হলেও আরেকজন নদীর পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ডুবন্ত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধারের সময় শরীরে বেঁধে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম ওজনের ৬৮টি অবৈধ স্বর্ণের বার।  রোববার (৮ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি মেইলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের অবৈধ স্বর্ণেরবারসহ একজন চারাকারবারীর মরদেহ উদ্ধারের খবরটি জানান। মৃত মেরাজ হোসেন (২২) দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে।  চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি আরও জানান, তারই নির্দেশনায় বারাদী বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেনসহ একদল বিজিবি সদস্য চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সময় সীমান্ত খুঁটি ৮০/১-আর হতে ২৫ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পৌঁছালে মাথাভাঙ্গা নদী পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার আগে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি দেখে দু’চোরাকারবারী নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় একজন সাঁতরে উঠে পালাতে সক্ষম হলেও আরেকজন নদীর পানিতে ডুবে যায়।  সে সময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ডুবন্ত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের সময় শরীরে বেঁধে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় ১০ কেজি ২৬৩ গ্রাম ওজনের ৬৮টি অবৈধ স্বর্ণের বার। স্বর্ণের বার গুলো জব্দ করে উদ্ধার করা লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়।  নায়েক সুবেদার জাকির হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করে এবং জব্দ করা অবৈধ স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা করা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
০৯ অক্টোবর, ২০২৩
X